Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

নাচেই মুক্তির দিশা 

শুধু নাচ শেখানো নয়। নাচকে আত্মবিশ্বাস ফেরানোর কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন তিনি। পাচার হয়ে যাওয়া মেয়েদের বেঁচে থাকাকে সম্মান জানাতে চেয়েছিলেন। তাই নির্যাতনে কুঁকড়ে গিয়ে একদিন যাঁদের জীবন থমকে গিয়েছিল, তাঁরাই আজ অগ্রণী। ৩০ জুলাই, আর্ন্তজাতিক মানব-পাচার বিরোধী দিবস। তার আগে কলকাতা সংবেদের সোহিনী চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলেছেন অন্বেষা দত্ত।
 কীভাবে নাচের মাধ্যমে নিগৃহীত মেয়েদের মনে বাঁচার আশা জাগিয়ে তুললেন? গোড়ার কথাটা যদি বলেন।
  অন্তত ২৬ বছর আগের কথা। সমাজবিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলাম। নাচের চর্চাও করতাম। তখন থেকেই মাথায় ভাবনাটা ছিল, নাচ আর সমাজবিদ্যাকে কীভাবে এক জায়গায় নিয়ে আসা যায়। এর মধ্যে একসময় কলকাতা বইমেলায় একটা পোস্টার দেখেছিলাম। তাতে কোনও এক মেয়ের মুখ, আর সঙ্গে ছিল কবিতা। যার শেষে লেখা, ‘আই অ্যাম নো মোর ব্রাইড টু বি, আই অ্যাম নো মোর মাদার টু বি, আই অ্যাম নো মোর ফিউচার টু বি।’ সেই কথাগুলো সমাজবিজ্ঞানের ছাত্রী হিসেবে মনে রীতিমতো দাগ কেটে গিয়েছিল। তখনই ভেবেছিলাম, নাচকে এমনভাবে ব্যবহার করব যাতে কেউ একজন এই কথাগুলো এভাবে বলতে পারে। তাছাড়া, অল্প বয়স থেকেই ঠিক করেছিলাম নাচ শিখে আর যা-ই হোক, নাচের স্কুল খুলব না।
ঊষা গাঙ্গুলী এবং মঞ্জুশ্রী চাকী সরকার, দু’জনেই আমার গুরু। কিন্তু পারফরম্যান্সের দিকে যাব না, সেটা আমার কাছে স্পষ্ট ছিল। আমি বরং ওঁদের দার্শনিক ভাবনাচিন্তা বা নারীবাদ সংক্রান্ত ধ্যানধারণায় প্রভাবিত হয়েছি এবং কাজও করেছি। তবে তখন বয়স মাত্র ২১। তাই ডান্স মুভমেন্ট থেরাপি কোনও কাজ করতে পারে, এত সব সেই সময় মাথায় আসেনি।
 তাহলে কীভাবে এল?
  শুরুটা এইভাবেই হয়েছিল। তার কিছু বছর পরে সংলাপ বলে যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, তার প্রতিষ্ঠাতা ইন্দ্রাণীদির (সিনহা)কাছে বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছিলাম। অর্থাৎ মানসিক সঙ্কটে নাচ কীভাবে ‘থেরাপিউটিক এফেক্ট’ তৈরি করতে পারে, সেই ভাবনাটা তখন একটু একটু দানা বাঁধছে। ইন্দ্রাণীদি উৎসাহ দেখাননি, এমন নয়। বলেছিলেন, ভালো ভাবনা। কিন্তু এই ধরনের ভাবনা নিয়ে এগতে গেলে আমাদের হাতে খুব বেশি টাকাপয়সা নেই। আমি বলেছিলাম, টাকা চাই না। যদি ভাবনাটা কার্যকর করার একটা জায়গা দেন, তাহলেই হবে। তখন এতটাই ফুটছি গোটা ব্যাপারটা নিয়ে, উনি একরকম রাজি হয়ে গেলেন। তার পরের দিন থেকে শুরু করে দিই কাজ।
 সেই অভিজ্ঞতাটা কেমন?
  অত বছর আগে পরিস্থিতিটা তো অন্য রকম ছিল। এখন মানুষ অনেক বেশি সচেতন। তরুণ প্রজন্মের অনেকে এই কাজে আসছেন। কিন্তু আমি শেল্টার হোম বা যৌনপল্লি, তা সে যে জায়গাই হোক, মাঠে নেমে কাজ করতে গিয়ে দেখলাম, এত দিন ধরে পড়াশোনা করে আসা কোনও ধারণাই ঠিক কাজে দিচ্ছে না। আমার স্পেশাল পেপার ছিল ক্রিমিনোলজি, উত্তর-আধুনিক নাচ, বা নাচের মধ্যে নারীবাদী মতাদর্শ, নাচের চিরাচরিত ধ্যাণধারণা ভেঙে দেওয়া (যেটা মঞ্জুশ্রীদি করেছেন)— এগুলোও আমার কাজের ক্ষেত্রে সেভাবে ফলদায়ী হচ্ছিল না। তারপরে যেটা হল, যা শিখে এসেছি, সেগুলো এক পাশে সরিয়ে রেখে নতুন অনেক কিছু শিখতে শুরু করলাম। সেটা নিজের জন্য তো বটেই এবং যাঁদের নিয়ে কাজ করছি, তাঁদের ভালো করে গড়ে তোলার জন্যও। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে নিজেই অনেক মুভমেন্ট বেসড গল্প তৈরি করে নানারকম পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করলাম। সেগুলো কাজে দিচ্ছিল। পাশাপাশি খোঁজ রাখছিলাম এই নিয়ে সারা বিশ্বে কী ধরনের কাজ হচ্ছে। সেখান থেকেই ডান্স মুভমেন্ট থেরাপি নিয়ে আরও পড়াশোনা। সেটা করতে গিয়ে দেখলাম ঠিক পথেই এগচ্ছি। তবে আমার ভাবনাগুলো অবশ্যই আমার দেশের কথা ভেবে। এইভাবে অনেক যোগাযোগও গড়ে উঠল। সিদ্ধান্ত নিলাম, এর জন্য যে ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার, সেটা নেব। কিন্তু পশ্চিমের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নয়, এখানেই। কারণ আমাদের পূবের নাচের ঐতিহ্যেই অনেক হিলিং এলিমেন্ট (উপশমের উপাদান) রয়েছে। সেগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সেই চেষ্টা করেছি।
 কাজটা কীরকম?
  ন’বছর ধরে কমিউনিটি এবং কেয়ারিং ইনস্টিটিউশনে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে কাজ করেছি, যাঁদের একসময় পাচার করে দেওয়া হয়েছিল এবং যাঁরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেখান থেকে তৈরি হয় আমার মেথডোলজি, ‘সম্পূর্ণতা।’ সামাজিক উন্নয়নে নতুন ভাবনা সৃষ্টির জন্য এই সময়েই আমি অশোকা ফেলো নির্বাচিত হই। কাজ করতে গিয়ে দেখেছিলাম এই নিগৃহীত মেয়েদের যেভাবে পুনর্বাসন দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তার মধ্যে জামাকাপড় সেলাই করা ইত্যাদি ছিল। আর একটা বিকল্প লাইভলিহুডও গড়ে তোলার কথা ভেবেছিলাম তখন। আজ থেকে বছর ২০ আগে অবশ্য অনেকেই ভেবেছিলেন, এই প্রচেষ্টা কোনওভাবেই সফল হবে না। কারণ পারফর্মিং আর্ট ব্যাপারটাই কিছুটা কোণঠাসা, পরীক্ষামূলক নাচ তো আরও বেশি প্রান্তিকায়িত। সেখান থেকে এমন কিছু মেয়েকে সেই পরিমণ্ডলে আনা হবে, যাঁদের অনেকেরই কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। এ অসম্ভব। তবে আমি ভাগ্যবান যে যাঁদের (সারভাইভার) সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁরাও আমার মতোই ব্যাপারটা নিয়ে উৎসাহী ছিলেন।
 যাত্রাপথটা কেমন ছিল?
  ওঁদের মধ্যে পাঁচ জনের সঙ্গে মিলে ২০০৪ সালে তৈরি করি কলকাতা সংবেদ। তারপর এই থেরাপি দিয়ে যে কাজ হয়, তার প্রচার শুরু। মানুষকে বোঝানো, যে যন্ত্রণা থেকে এইভাবেও স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যায়। কাজ করা যায়। তবে হ্যাঁ, প্রক্রিয়াটা একটু সময়সাপেক্ষ। ধরো, কেউ যদি এই রকম নির্যাতিতাদের ড্রাইভার হিসেবে কর্মক্ষম করে তুলতে চান, দু’মাসে হয়তো ২০জন তৈরি হয়ে যাবেন। আমি কিন্তু দেড় বছরে ৪জনের বেশি তৈরি করতে পারব না। কারণ, মানসিকভাবে সেরে ওঠার পরে অ্যাকাডেমিক প্রক্রিয়াটায় ঢোকা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। যিনি থেরাপিউটিক প্রসেসটা নিয়ে পরে থেরাপিস্ট হচ্ছেন, তাঁকে তো অনেক কিছু শিখতেও হয়। তবেই তিনি আবার আরও অনেককে অতল খাদ থেকে তুলে আনতে পারেন। কলকাতা সংবেদের ৬৫ শতাংশ কর্মী এভাবেই উঠে এসেছেন। তাঁরা প্রান্তিক সমাজের প্রতিনিধি। এখন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে মিলে আমরা
কাজ করি।
 যাঁদের এভাবে গড়ে তুলেছেন, তাঁদের কথা বলুন।
  যৌন নির্যাতন বা নিগ্রহ, পাচার থেকে বেঁচে ফেরা মেয়েরা নিজেদের শরীর নিয়ে ভয়ঙ্কর অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন অনেকে। প্রথম কাজ হল শরীরের সেই আড় ভাঙানো। নাচের ভঙ্গিমা দিয়ে তাঁদের শরীরকে ভালোবাসতে শেখানো হয়। সেটা থেকেই ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। কারণ প্রথম এসে হয়তো টানা ছ’মাস কেউ কোনও কথা বলার জায়গাতেই থাকেন না। শরীরের নড়াচড়া তো দূরের কথা। সেখান থেকে রূপান্তরের প্রক্রিয়াটা তাই কখনও ভালো এগোয়, কখনও থমকে যায়। শরীরের সঙ্গে মানসিক দিকে সাড়া জাগানোর প্রক্রিয়াটাও চলে। যাঁরা এই লম্বা সময়টার শেষে দেহের ওপর নিজের অধিকারবোধটা ফিরে পান, তখন বোঝা যায়, রূপান্তরের প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ হয়েছে। তাঁরা তখন আপনা থেকেই বুঝতে পারেন, আমায় এবার নিজেকে সাহায্য করতে হবে। তারপর সেটা থেকে তাঁর পরিবারকেও বোঝানোর প্রক্রিয়া চলে। নিজের পরিবর্তনটা বোঝার পরে তিনি আগ্রহী হন আরও দশজনকে একইভাবে সাহায্য করতে। অনেকে অন্য পেশাতেও যোগ দেন। প্রথমে যে পোস্টারের কথা বলেছিলাম, আমাদের সংস্থার মাধ্যমে যাঁরা তৈরি হয়েছেন, তাঁরা কিন্তু সেই কথাগুলো বলার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন। উপার্জনক্ষম হওয়ার পরে তাঁকে আর হিংসা, নির্যাতন বা দারিদ্র্য, কোনও পরিসরেই ফিরে যেতে হচ্ছে না। সেই স্বপ্নটাই দেখেছিলাম। এখন তাই ওঁদের বলি, সংস্থা থেকে আমি অবসর নিলেও আর অসুবিধা নেই। স্বপ্ন সফল হয়ে গিয়েছে! 
04th  July, 2020
শুধু লোকাচারে বিয়েকে
বেঁধে ফেললেই বিপদ

একটি বিবাহবিচ্ছেদের মামলাকে কেন্দ্র করে গৌহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অজয় লাম্বা ও বিচারপতি সৌমিত্র শইকিয়া রায় দিয়েছেন, হিন্দু এয়োস্ত্রীর শাঁখা-সিঁদুরে ভূষিত না থাকার অর্থ নিজেকে ‘অবিবাহিত’ মনে করা। এই রায় কি আদৌ সমর্থনযোগ্য? বিশ্লেষণ করলেন সমাজতত্ত্ববিদ বুলা ভদ্র। বিশদ

11th  July, 2020
নাম বদলালে কালোর
কদর হবে নাকি ?

এত উন্নতি। তবু আজও নারীর রূপের বিচার হয়, গুণের কদর হয় না। তাই তো কালো মেয়ের বাবা- মায়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কোনও প্রসাধনী সামগ্রীর নাম পাল্টে গেলে সেই মেয়েদের ভাগ্য বদলাবে কি? প্রশ্ন তুললেন অন্বেষা দত্ত।
বিশদ

11th  July, 2020
এমসিসির প্রথম
মহিলা-প্রেসিডেন্ট 

ঐতিহ্যবাহী মেরিলেবন ক্রিকেট ক্লাবে (এমসিসি) ২৩৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম মহিলা-প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ক্লেয়ার কনর। ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক ২০২১ সালের ১ অক্টোবর মর্যাদাপূর্ণ এই পদে বসতে চলেছেন।
বিশদ

11th  July, 2020
মধ্যপ্রদেশের সেরা কন্যা 

অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়াশোনার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই চালাতে হয়েছে রোশনি ভাদোরিয়াকে। শুধু সরকারি স্কুলে পড়বে বলে ২৪ কিলোমিটার পথ রোজ সাইকেল চালিয়ে যাতায়াত করেছে সে। অবশেষে এই খাটুনির ফলও পেয়েছে সে।
বিশদ

11th  July, 2020
সবার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠব,
সেটাই ছিল আমার স্বপ্ন: শিবাঙ্গী  

লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী হিসেবেই তিনি পরিচিত। পদবি ব্যবহারে বড্ড আপত্তি। নামই বরং হয়ে উঠুক পরিচয়, ক্ষতি কী? তবে গত ডিসেম্বর মাস থেকে তাঁর পরিচয়ের পরিধি আর একটু প্রসারিত। তিনি এখন লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গী, ভারতীয় নৌসেনার প্রথম মহিলা পাইলট।  বিশদ

04th  July, 2020
পেশার দুনিয়ায় প্রথা ভেঙে প্রথমা
বাঁধা গতে নয়, এগিয়ে যেতে চাই নিজের পছন্দে: হর্ষিণী কনহেকর  

মেয়েদের সম্পর্কে পুরনো ধারণাগুলো একে একে পাল্টে দিতে আমরা মেয়েরাই পারি। ভিন্নধর্মী দু’টি পেশায় নিযুক্ত দু’জন মহিলার তেমনই পদক্ষেপ সম্পর্কে জানালেন কমলিনী চক্রবর্তী। 
বিশদ

04th  July, 2020
এখন মেয়েরা 

এখন সময় মানবিকতার। করোনা সঙ্কটে কাউকে কাছে টানা যায় না ঠিকই, কিন্ত পাশে থাকা যায়। যেসব মানুষ লকডাউনের কারণে অনিশ্চিত জীবনের মধ্যে পড়ে গিয়েছেন, তাঁদের পাশে বিত্তবানদের দাঁড়ানো উচিত।  বিশদ

04th  July, 2020
বিশ্বের সেরা সুন্দরী ঠাকুমা
ভারতের আরতিদেবী 

সম্প্রতি ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় শেষ হল ‘গ্র্যান্ডমা আর্থ ২০২০-র আসর। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী ঠাকুমার মুকুট উঠেছে ভারতীয় মহিলা আরতি চাটলানির মাথায়। এই পুরস্কার এই প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলার মাথায় উঠল। চলতি বছর (২০২০) ১৯ থেকে ২৩ জানুয়ারি বুলগেরিয়ায় এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।  
বিশদ

27th  June, 2020
৯০ বছর বয়সে ব্যবসায়
হাতেখড়ি বৃদ্ধার 

৯০ বছরের মায়ের সঙ্গে গল্প জুড়েছিলেন মেয়ে। বৃদ্ধা মা এখন ভালো করে হাঁটতে পারেন না, চোখের দৃষ্টিও আগের চেয়ে অনেক ঝাপসা। মায়ের কী করতে ভালো লাগে? ৯০ বছর কাটানোর পর জীবনটাকে কীভাবে দেখেন তিনি? এইসব নিয়ে কথা এগোচ্ছিল। কথা প্রসঙ্গেই মাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন মেয়ে, তাঁর জীবনে কোনও আক্ষেপ রয়েছে কি না।  
বিশদ

27th  June, 2020
মহিলাদের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে লকডাউনের জন্য 

দীর্ঘ লকডাউনের ফলে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। রোজগার বন্ধ হয়েছে বহুজনের। তার মধ্যে মহিলারা যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, পুরুষরা ততটা হননি। অন্তত পরিসংখ্যান তাই বলছে। এই বিষয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন র‌্যাশেল লেভেনসন ও লায়লা ও’কেন।  বিশদ

27th  June, 2020
সঙ্কটে দাম্পত্য, বাড়ছে নারী নির্যাতন
বন্দি ঘরের মধ্যে বেড়েছে হিংসা, আমরা চেষ্টা করেছি পাশে থাকার 

লকডাউনের অনেক অসুবিধার মধ্যে শিরোনামে এসেছে বাড়িতে দাম্পত্য অশান্তি, মনোমালিন্য থেকে শুরু করে পুরোদস্তুর নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার ঘটনা। মহিলা এবং শিশুরাই যার প্রাথমিক শিকার। ২০-৩১মার্চের মধ্যে (লকডাউনের প্রথম সপ্তাহ) চাইল্ডলাইন ১০৯৮এ সারা দেশ থেকে ৯২ হাজার এসওএস কল গিয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশন শুধু এপ্রিলেই ৩১৫টি পারিবারিক হিংসার অভিযোগ পেয়েছে। পরিসংখ্যানগুলোর গ্রাফ কিন্তু এখনও উর্ধ্বমুখী। এ ব্যাপারে সমাজকর্মী অনুরাধা কাপুরের সঙ্গে আলোচনায় কমলিনী চক্রবর্তী এবং অন্বেষা দত্ত।  
বিশদ

27th  June, 2020
সঙ্কটে দাম্পত্য, বাড়ছে নারী নির্যাতন
ক্রমশ বাড়ছে অন্তর্দ্বন্দ্ব, নড়বড়ে হচ্ছে বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত

লকডাউনের অনেক অসুবিধার মধ্যে শিরোনামে এসেছে বাড়িতে দাম্পত্য অশান্তি, মনোমালিন্য থেকে শুরু করে পুরোদস্তুর নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার ঘটনা। মহিলা এবং শিশুরাই যার প্রাথমিক শিকার। ২০-৩১মার্চের মধ্যে (লকডাউনের প্রথম সপ্তাহ) চাইল্ডলাইন ১০৯৮এ সারা দেশ থেকে ৯২ হাজার এসওএস কল গিয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশন শুধু এপ্রিলেই ৩১৫টি পারিবারিক হিংসার অভিযোগ পেয়েছে। পরিসংখ্যানগুলোর গ্রাফ কিন্তু এখনও উর্ধ্বমুখী। এ ব্যাপারে সমাজতত্ত্ববিদ অভিজিৎ মিত্রের সঙ্গে আলোচনায় কমলিনী চক্রবর্তী এবং অন্বেষা দত্ত।  
বিশদ

27th  June, 2020
যোগাসনে সুস্থ মন 

এই অনিশ্চিত সময়ে ভালো থাকুন যোগাসনে। পরামর্শ দিলেন
যোগবিদ রাজশ্রী চৌধুরী। 
বিশদ

20th  June, 2020
পাশে থেকে 

করোনার মধ্যে কাজ হারিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুলুন্ডের তরুণী বিদ্যা শেল্কে। তবু আর পাঁচজনের মতো ভেঙে পড়েননি। ট্যাক্সি চালানোর সংস্থা তাঁকে ছাঁটাই করার পরে মহারাষ্ট্রে আটকে পড়া বিভিন্ন মানুষকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কাজে হাত লাগান।   বিশদ

20th  June, 2020
একনজরে
সুমন তেওয়ারি  আসানসোল: করোনার দাপটের মধ্যেই এবার ডেঙ্গু হানা দিল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল, দুর্গাপুর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এখনও ...

মাদ্রিদ: রিয়াল মাদ্রিদের লিগ জয় কার্যত নিশ্চিত। অঘটন না ঘটলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই খেতাব জিতবে জিনেদিন জিদান-ব্রিগেড। লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলির পর বাড়ির কাছেই কাজের সুযোগ পেলেন চারশোর বেশি স্বাস্থ্যকর্মী। শুক্রবার ৪১৫ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টকে রাজ্যের বিভিন্ন ...

  নয়াদিল্লি: ফের বাড়ল ডিজেলের দাম। দু’সপ্তাহ আগে দিল্লিতে প্রথমবার ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৮০ টাকা ছাড়িয়েছিল। রবিবার তা প্রতি লিটারে ১৬ পয়সা বেড়ে ৮১ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩০: কলকাতায় দ্য জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন, অধুনা স্কটিশ চার্চ কলেজ প্রতিষ্ঠা করলেন আলেকজান্ডার ডাফ এবং রাজা রামমোহন রায়
১৯০০: অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের জন্ম
১৯৪২: মার্কিন অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ডের জন্ম
১৯৫৫: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর মৃত্যু
২০১১: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক তিনটি বিস্ফোরণে হত ২৬, জখম ১৩০
২০১৩: বোফর্স কান্ডে অভিযুক্ত ইতালীয় ব্যবসায়ী অত্তাভিও কাত্রোচ্চির মৃত্যু।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩১ টাকা ৭৬.০৩ টাকা
পাউন্ড ৯৩.০০ টাকা ৯৬.২৯ টাকা
ইউরো ৮৩.২৩ টাকা ৮৬.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  July, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৯৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৩৮০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,০৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫২,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫২,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ আষাঢ় ১৪২৭, ১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার, অষ্টমী ৩২/৪৫ অপঃ ৬/১০। রেবতী ১৫/২৫ দিবা ১১/১৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৫২, সূর্যাস্ত ৬/২০/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২২ মধ্যে। রাত্রি ৯/১২ গতে ১২/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ২/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৩/১ গতে ৪/৪১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২১ গতে ১১/৪২ মধ্যে।
২৮ আষাঢ় ১৪২৭, ১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার, অষ্টমী অপরাহ্ন ৫/০। রেবতী নক্ষত্র দিবা ১১/৮। সূযোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/২৯ গতে ২/৫৫ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২৩ মধ্যে ও ৩/৩ গতে ৪/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২৩ গতে ১১/৪৩ মধ্যে।
২১ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বৃষ: কোনও সম্পদ লাভে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

১৮৩০: কলকাতায় দ্য জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন, অধুনা স্কটিশ চার্চ কলেজ ...বিশদ

07:03:20 PM

গুজরাটে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৯০২ 
গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ...বিশদ

08:06:12 PM

মহারাষ্ট্রে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৬,৪৯৭ 
মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৪৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত ...বিশদ

07:52:00 PM

উত্তর প্রদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১,৬৬৪ 
উত্তর প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৬৪ জন করোনায় ...বিশদ

07:47:39 PM

২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১,৪৩৫
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৪৩৫ জন। ...বিশদ

07:47:36 PM