এই অনিশ্চিত সময়ে ভালো থাকুন যোগাসনে। পরামর্শ দিলেন
যোগবিদ রাজশ্রী চৌধুরী।
গবেষণা বলছে, মানসিক অবসাদের শিকার পুরুষের তুলনায় মহিলারাই বেশি। নিজেকে ভালো রাখতে বাচ্চার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বাড়িয়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন যোগবিদ রাজশ্রী চৌধুরী। বাচ্চার পড়াশোনায় তাকে সাহায্য করা, অনলাইন ক্লাসের খোঁজ খবর নেওয়া, তার রোজকার জামাকাপড় গোছানোয় পাশে থাকা, তার সঙ্গে গল্প করা ইত্যাদির মাধ্যমে মা নিজের মন ভালো রাখতে পারেন। বাচ্চার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখতে পারলে মন সজীব থাকবে।
আমাদের দেশে বয়স্ক মহিলারা বেশি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। সেক্ষেত্রেও অবসাদ কাটানোর উপায় হিসেবে অল্পবয়সী ছেলেমেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে তোলার পরামর্শ দিলেন রাজশ্রী।
মহিলাদের জন্য
বিশেষ যোগাসন
মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠে শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে মহিলারা কিছু বিশেষ আসন অভ্যাস করতে পারেন। মেয়েদের জন্য পবন্মুক্তাসন, ভূজঙ্গাসন, অর্ধকুর্মাসন ও জানুশিরাসন সবচেয়ে উপযোগী। এর ফলে শরীর সচল থাকবে আর মন থাকবে চিন্তামুক্ত। পবন্মুক্তাসন আমাদের হজম ক্ষমতা উন্নত করে। ভুজঙ্গাসন নিয়মত অভ্যাস করলে মন মেজাজ ভালো থাকে। হার্টের পক্ষেও এই আসনটি উপযোগী। তাছাড়া এতে শরীরও সচল হয়। অর্ধকুর্মাসন শরীরকে ভেতর থেকে রোগমুক্ত রাখে। এতে ক্লান্তি দূর হয় এবং শরীর ও মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ভালো হয়। জানুশিরাসনের মাধ্যমে আমাদের মন চিন্তামুক্ত হয়। নিয়মিত অভ্যাস করলে দুশ্চিন্তা দূর হয়।
ধ্যান ও প্রাণায়াম
মানসিক শান্তির জন্য দিনে কুড়ি মিনিট ধ্যান ও প্রাণায়াম অভ্যাস করা জরুরি। ধ্যানের ক্ষেত্রে মেরুদণ্ড সোজা রেখে পদ্মাসন বা যে কোনও সুখাসনে বসুন। হাত দু’টোর তালু ওপরের দিকে খুলে রাখুন। তারপর চোখ বন্ধ করে মনকে ক্রমশ চিন্তামুক্ত করে তুলুন। অনেক সময় ঈশ্বরের নাম জপ করলে মন চিন্তামুক্ত হয়। অন্যথায় কোনও মন্ত্র মনে মনে বলতে পারেন। তবে এই সময় অন্য কোনও চিন্তা মনে আনবেন না।
প্রাণায়ামের ক্ষেত্রেও মেরুদণ্ড সোজা রেখে পদ্মাসনে বা অন্য কোনও সুখাসনে বসুন। তারপর ডান হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে ডান নাসিকা বন্ধ করে বাঁ নাসিকা দিয়ে শ্বাস নিন। শ্বাস ধরে রেখে ডান হাতের অনামিকা দিয়ে বাঁ নাসিকা বন্ধ করে ডান নাসিকা দিয়ে ক্রমশ নিঃশ্বাস ছাড়ুন। এই ভাবে অন্তত দশবার অভ্যাস করুন। ধ্যান ও প্রাণায়ামের মাধ্যমে কিডনি, ফুসফুস ও হার্ট ভালো থাকবে।