কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
৭ মার্চ, শনিবার ‘একবিংশ শতাব্দীতে আন্তর্জাতিক এবং ভারতীয় পরিপ্রেক্ষিতে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’ প্রসঙ্গে এই আলোচনার শিরোনাম ছিল— ‘উইংস: রাইজ অ্যান্ড শাইন’। আইসিসিআর-এর গ্রন্থাগার কক্ষে এই আলোচনার উদ্বোধনে এসে মহিলাদের ক্ষমতায়নের প্রয়োজনের কথা বলতে গিয়ে উক্তিটি করেন রাজ্যপাল।
আলোচনায় এসেছিলেন ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ার দুই কনসাল জেনারেল ভার্জিনি কারটিভাল ও অ্যান্ড্রু ফোর্ড।
মহিলাদের ক্ষমতায়ন মানেই পুরুষকে বঞ্চিত করা নয়। আইনসভায় প্রতিনিধিত্ব, পারিবারিক সম্পত্তিতে অধিকার, উচ্চশিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ পেলে ধীরে ধীরে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে সক্ষম হবে। বলছিলেন, ভার্জিনি কারটিভাল। কূটনীতি এবং সরকারি নীতি নির্ধারণে লিঙ্গসাম্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই এর অগ্রাধিকার প্রয়োজন, বলেও মন্তব্য করেন এই ফরাসি কূটনীতিবিদ। অন্যদিকে, আরেক কূটনীতিবিদ অ্যান্ড্রু ফোর্ড লিঙ্গসাম্যে তাঁদের বিশ্বাসের কথা জানান।
আলোচনার উদ্যোক্তা ছিল বেঙ্গল ইনটেলেকচুয়াল সোসাইটি। সঙ্গে ছিল ‘দ্য যাদবপুর অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস’, সংক্ষেপে জে এ আই আর।
বিআইএস বা বেঙ্গল ইনটেলেকচুয়াল সোসাইটি একটি নতুন সংগঠন। এই সংগঠন জনকল্যাণের লক্ষ্যে শিক্ষা, পরিবেশ, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, লিঙ্গবৈষম্য ইত্যাদি নানা বিষয়ে দিশা দেখাবার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও কণ্ঠস্বরকে একত্রিত করতে চায়। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নিলেন অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর নীলাঞ্জন ঘোষ, প্রাক্তন গোয়েন্দা অফিসার গদাধর চট্টোপাধ্যায়, অধ্যাপক ইমনকল্যাণ লাহিড়ী এবং বিআইএস-এর সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পাল। প্রত্যেকেই মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রয়োজনে নারীর ক্ষমতায়নে জোর দিলেন। তুলে ধরলেন নারীর স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও নিরাপত্তার তথ্যভিত্তিক আলোচনাও। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন অপালা বসু। আলোচনায় অংশ নেন শ্রোতারাও।