বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
শুধু নিরাপত্তা দেওয়া না, কোনও শিশুর প্রতি কোন প্রকার যৌন অপরাধ ঘটলে কীভাবে বা কী পদ্ধতিতে তার বিচার হবে, কোন আদালতে তার বিচার হবে, কোন পদ্ধতিতে শিশুটির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে, কোন পদ্ধতিতে তদন্ত হবে, শিশুটির চিকিৎসা কীভাবে হবে ইত্যাদি নানা প্রকার বিধানের ব্যবস্থা রয়েছে এই আইনে। পকসোতে ১৮ বছরের নীচের বয়সের বাচ্চাদেরই শুধুমাত্র শিশু বলে গণ্য করা হয়।
ভারতীয় সংবিধানে সমস্ত শিশুদের মৌলিক অধিকারগুলি সুনিশ্চিত করার নির্দেশ আছে। প্রত্যেক রাজ্য যাতে শিশুদের জন্য বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তারও নির্দেশ দেওয়া আছে।
শিশুরা যাতে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্বাধীনভাবে ও সম্মানের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠে ও সুনাগরিক হতে পারে সরকারকে নিশ্চিতভাবে তার সুব্যবস্থা করতে হবে।
ন্যাশনাল পলিসি অব চিলড্রেন অনুযায়ী, ১৯৭৪ সালে আন্তর্জাতিক অধিবেশনে শিশুদের সমাজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এই আইন অনুযায়ী ভারতও শিশুদের জন্য বিশেষভাবে সুব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
ভারতীয় সংবিধানে ১৪নং অনুচ্ছেদে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে শিশুরাও পড়ে। এটা মনে রাখতে হবে শিশুদের প্রতি যৌন অপরাধ মানে কেবলমাত্র সেই শিশুর প্রতি নয়, এ অপরাধ মানবিকতার প্রতি, দেশের প্রতি।
ভারতীয় সংবিধানের ১৫ নং অনুচ্ছেদে রাজ্যকে শিশুদের জন্য বিশেষ ধরনের বিধি-ব্যবস্থার বিধান গ্রহণের বা প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার ৩৯ নং ধারায় বলা আছে যে, শিশুরা যাতে কোনও ধরনের যৌন হেনস্তা ও শোষণের শিকার না হয় এবং শিশুরা যাতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে, সম্মানের সঙ্গে স্বাধীনভাবে মানুষ হতে পারে তার জন্য রাজ্যগুলি সুনির্দিষ্টভাবে উপযুক্ত বিধানের ব্যবস্থা করতে পারবে।
পকসো আইনে শিশুদের যৌন নির্যাতন ও তাদের বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের অত্যাচার থেকে তাদের রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। যাতে বিচারের প্রত্যেক স্তরে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে বিশেষ আদালতে দ্রুততার সঙ্গে এই ধরনের অপরাধের বিচার হয় তার বিধান দেওয়া হয়েছে।
১৯৯২ সালের ১১ ডিসেম্বর জেনারেল অ্যাসেম্বলি অব ইউনাইটেড নেশনসে অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতবর্ষও শিশুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য অঙ্গীকার করে। আগামী প্রজন্মই দেশের সম্পদ। ফলে তাদের রক্ষা করাই আমাদের কর্তব্য।
গত ১৯ জুন ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতির সম্মতি পায় এই আইন। গেজেট অব ইন্ডিয়াতে তা প্রকাশিতও হয়। এই আইনের বিভিন্ন ধারায় কমবেশি এমনকী যাবজ্জীবন কারাবাসের কথাও বলা আছে, এছাড়াও সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডেরও বিধান দেওয়া হয়েছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে ওই শাস্তির সঙ্গে অর্থদণ্ডেরও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রয়োজন বিশেষে ওই অর্থদণ্ডের অর্থে প্রতারিত বা লাঞ্ছিত নাবালিকার ডাক্তারি চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে।