কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সেই কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে কাজ করছেন ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী সিস্টার জেরার্ড ফার্নান্দেজ। তিনি একসময় টান মুই চু’কে স্কুলে পড়িয়েছেন। সিস্টার জেরার্ড বলেন, টান ছিলেন এক সাদাসিধে মেয়ে। ধর্মপরায়ণ এক পরিবার থেকে তিনি কনভেন্ট স্কুলে পড়তে এসেছিলেন। তার খবরটা প্রথম শোনার পর সিস্টার জেরার্ডের খুব খারাপ লেগেছিল। তখনই তাঁর মনে হয়েছিল যে করেই হোক তার সঙ্গে দেখা করতে হবে।
এরপর বেশ কয়েক বছর ধরে সিস্টার জেরার্ড কারাগারে যান টান মুই চু’র সঙ্গে দেখা করতে। দু’জনে গভীর রাত পর্যন্ত একত্রে উপাসনা করেন।
টান মুই চু’র ফাঁসি হয়েছিল ১৯৮৮ সালের ২৫ নভেম্বর। সেদিন সকালে সিস্টার জেরার্ড তাঁর পাশে ছিলেন। সে জেরার্ডের হাত ধরে ফাঁসির মঞ্চে এগিয়ে যায়। জেরার্ড বলছেন, ‘টান যখন ফাঁসির মঞ্চের ঘোরালো সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে যাচ্ছিল তার পায়ের শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছিলাম! এর অল্পক্ষণের মধ্যেই সে আমাদের ছেড়ে চলে যায়।’ সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত চাঙ্গি বিমানবন্দর থেকে একটু দূরে বিশাল এই কারাগার। এই কারাগারেই টান মুই চু’র মতো আরও ১৮ জন কয়েদিকে সিস্টার জেরার্ড মানসিকভাবে চাঙ্গা করে ফাঁসির মঞ্চে পৌঁছে দিয়ে এসেছেন।
গত চল্লিশ বছর ধরে তিনি এই কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি মনে করেন, ভগবানই তাঁকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ফাঁসির আসামির অনেক ধরনের মানসিক ও ধর্মীয় সাহায্যের প্রয়োজন হয়। আমি তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। ’
সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়