কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তাছাড়া দক্ষিণ কলকাতার খিদিরপুরে যে চারটি গির্জা এখানে ওখানে ছড়ানো রয়েছে তার মধ্যে ডেন্ট মিশন রোডের সেন্ট বার্নাবাস গির্জাটিও অন্যতম। এটিরও নির্মাণকাল ১৮৬৭ সালে। এই গির্জাটি নির্মাণ করার জন্য ধর্মপ্রাণ উইলিয়াম ডেন্ট সাহেব ৪৫,০০০/- টাকা দান করেন। তারপর সেন্ট বার্নাবাস মিশনারিদের বিশেষ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় সেন্ট বার্নাবাস গির্জা। এই গির্জার ঘণ্টার ধ্বনি বহু দূর থেকে শোনা যায়। প্রতি বছর পঁচিশে ডিসেম্বর বড়দিনের সময় মিশনারিদের প্রার্থনা সঙ্গীতে মুখর হয়ে ওঠে সেন্ট বার্নাবাস গির্জা। গির্জার পক্ষ থেকে এই দিন পথশিশুদের নতুন জামাকাপড় ও খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়।
এছাড়া ইকবাল রোডে অবস্থিত সেন্ট ইগনাসিয়াস গির্জা কলকাতার পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গির্জাটি প্যারিস স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি। তাছাড়া নিমক মহল রোডে আর একটি গির্জা যার নাম হল স্টেলা মেরিচ গির্জা। যার নির্মাণকাল ১৮৪৫ সালে।
এখানেও বড়দিনে দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নামে। বড়দিনের আনন্দে মেতে ওঠে কলকাতার মানুষ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড়দিনে ভগবান যিশুর কাছে মানুষের সার্বিক মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন। বলা বাহুল্য খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা কলকাতা শহরে যে কতটা নিরাপদ তা বড়দিনে তাদের আনন্দোৎসবেই ধরা পড়ে। প্রমাণিত হয় কলকাতা হল সম্প্রীতির শহর।
দীপক বসু