Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

নারীবাদ ও নারীমুক্তি  

মহিষাসুরের কবল থেকে স্বর্গরাজ্য উদ্ধারের জন্য দেবতাগণ দেবী দুর্গার আবাহন করেছিলেন। তিনি দশভুজা, অসুরদলনী এবং সর্বোপরি তিনি মা। নারীকে তুলনা করা হয় দেবী দুর্গার সঙ্গে। ঋগ্‌বেদের যুগে সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক। সেই সমাজে নারীই ছিল প্রধান। পরবর্তী সময়ে নারীর ক্ষমতা ক্রমশ খর্ব হতে শুরু করে এবং সমাজ পিতৃতান্ত্রিক বা পুরুষতান্ত্রিক হয়ে যায়।
কালক্রমে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও বঙ্গদেশের কিছু সমাজ সংস্কারকের অগ্রণী ভূমিকায়, ব্রিটিশ সরকারের আনুকূল্যে সতীদাহ বা বাল্য বিবাহের মতো প্রথা বন্ধ হয়। নারীদের শিক্ষার জন্য ‘বেথুন স্কুল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ১৮৩৭ সালে কুমিল্লায় প্রথম বালিকা বিদ্যালয় ও ১৮৯৩ সালে মহিলা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮৫ সালে বাংলার প্রথম নারীবাদী ‘সখী সমিতি’ প্রতিষ্ঠা করেন স্বর্ণকুমারী দেবী। লাঠি খেলা ও অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে তিনি দেশপ্রেম সঞ্চারিত করার চেষ্টা করেন। সরোজিনী নাইডু, সরলা দেবী চৌধুরাণী প্রমুখ নারী নেত্রী কংগ্রেস সভাপ্রধানের পদেও উন্নীত হন। ভারতবর্ষের প্রথম নারীবাদী আন্দোলনের সংগঠিত রূপকার মহারাষ্ট্রের পণ্ডিত রামবাই প্রকাশ্য আন্দোলনে নামেন। আইন-নিয়ম-ক্ষমতার জোরে আচার-অনুষ্ঠানকে পরিবর্তিত করা যায় বটে, কিন্তু সংস্কার ও মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো কি ততটা সহজ? তাই গৃহের অভ্যন্তরেই নারীর ওপর যে অত্যাচার চলছিল তা শাস্ত্রীয় নিয়মের অপব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়।
আজ একবিংশ শতাব্দীতে আমরা নারীরা অনেক বেশি ফরওয়ার্ড। পাশ্চাত্য শিক্ষার ভাবাদর্শের বন্যায় আমরা পরিচিতি, সত্তা, স্বীকৃতি, সম্মান এই শব্দগুলির তাৎপর্য অনুধাবনের সঙ্গে সঙ্গে এগুলিকে অনেকটাই বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হয়েছি। সে যুগে নারী ছিল পর্দানশিন, আর এ যুগের নারী রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চপদ অলঙ্কৃত করছেন। তবুও নারী নির্যাতন সমূলে উৎপাটিত হয়নি। দিল্লিতে নির্ভয়া থেকে শুরু করে কামদুনি, কুশমণ্ডি ও স্কুল-কলেজ পর্যন্ত ভারতের প্রায় সর্বত্রই নির্যাতন, অত্যাচার এমন ভয়ঙ্কর পাশবিক রূপ ধারণ করেছে যে তা ভাষায় বর্ণনা করা দুঃসাধ্য।
যে অশুভ শক্তি, অশুদ্ধ ইচ্ছাকে দমনের জন্য মা কালীর আবাহন, যে মহিষাসুরকে বধের জন্য মা দুর্গার আবাহন এবং একদিকে হিন্দু ধর্মে তথা ভারতে যেখানে নারীকে পূজা করা হয়েছে মহাশক্তি, মহামায়ারূপে, সেই নারীর আজ এ কোন অবস্থা দেখা যাচ্ছে? পুরাণ প্রভৃতিতে বর্ণিত আছে, একসময় আসুরিক শক্তির নিকট দেবতাদের পরাজয় ঘটেছিল, দেবতারা স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন। আজ সমাজে যে অনাচার, অত্যাচার ও নিপীড়ন তা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নির্বিকল্প প্রভুত্বের আস্ফালন ব্যতীত আর কিছুই নয়। কার্ল মার্কস মনে করতেন, যখন শ্রেণী বৈষম্য ধ্বংস হবে, তখন আর নারী বৈষম্য থাকবে না। শ্রেণী বৈষম্য এবং শ্রেণী শোষণকে সর্বাঙ্গে দূর করার জন্যই শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম হয়েছে। কিন্তু আমাদের মন-মানসিকতার উত্থান ঘটেনি। ফলে স্বীকৃতি, সম্মান ও পরিচিতি লাভের উদ্দেশ্য নিহিত সামাজিক ন্যায়-আন্দোলনকে ভিতর থেকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং বৈষম্য বৈষম্যের জায়গাতেই রয়ে গেছে। উচ্চশিক্ষিতা, আধুনিকারা আজ সমাজের সর্বস্তরে পুরুষের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিতে গিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করছেন।
লিবারাল ফেমিনিজম ও র‌্যাডিকাল ফেমিনিজমের দৌলতে নারীও আজ বহুগামী। ‘বিল্বমঙ্গল’ নাটকে এক বণিকের তাঁর সহধর্মিনীকে লম্পট অতিথির শয্যায় প্রেরণ প্রসঙ্গটিকে ‘নারীর মূল্য’ প্রবন্ধে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করেছেন। তিরস্কার করেছেন সমগ্র পুরুষজাতিকে এবং তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব জন কেরির মতে, যে সব দেশ বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে মেয়েদের অংশগ্রহণের সম্পূর্ণ সুযোগ দেয়, তারাই তুলনায় বেশি সুস্থিতি, সমৃদ্ধি এবং শান্তি অর্জন করে। আলাপ-আলোচনার পরিসরে যেখানে মেয়েদের স্থান দেওয়া হয় না, সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা তুলনায় কঠিন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনটিতে মেয়েদের সুযোগকে প্রসারিত করার মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে শান্তি ও সমৃদ্ধির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার যে অঙ্গীকার করা হয়, তা কি সত্যিই সর্বাংশে বাস্তবায়িত হয়? মেয়েরা কি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজও নির্যাতিত হয় না? মেয়েদের সব অধিকার কি তারা সঠিকভাবে পায়? এমন নানা প্রশ্নের সম্মুখীন আজকের সমাজ। তবু তার কোনও সঠিক উত্তর মেলে না। পুরুষদের মন থেকে এখনও অবদমনের ইচ্ছা লুপ্ত হয়নি। তাই নারী আজও বহুলাংশেই অবদমিত।
সতীত্ব কি শুধু নারীর জন্য, পুরুষের জন্য নয়? নাকি ঘোমটা ও পর্দার কারণেই সতীত্বের প্রশ্ন? তার বাইরে সতীত্ব অপ্রয়োজনীয়? ধর্ষণ বা অ্যাবিউস যাই হোক না কেন, তা তো শুধু শরীরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, শরীরের ঊর্ধ্বে যে বিষয়টিকে সর্বাগ্রে রাখা উচিত, তা হল মর্যাদা। যুগ বদলের পরেও নারী সব ক্ষেত্রে তার প্রাপ্য মর্যাদা পায় না। তাকে ক্রমাগত বঞ্চিত করে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। সে কখনওই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। যখনই মাথা তুলতে যায় তখনই তাকে টেনে নামিয়ে দেওয়া হয়।
শুধুমাত্র সংখ্যালঘিষ্ঠতার কারণে অত্যাচারিত নারীদের কাহিনী আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় না। অনেক সময়ই পুরুষ নারীকে নির্যাতন করার পরও দিব্যি পার পেয়ে যায়। কেন এই বৈষম্য? কেন এই একমুখিনতা? তা কি শুধুই নারী সংখ্যালঘু তাই? নাকি বহুদিন অবদমিত থাকার ফল? মেয়েরা সংসারে শান্তি বজায় রাখতে চায়। কিন্তু তাই বলে যুগ যুগ ধরে কখনও প্রকাশ্যে কখনও বা নীরবে অত্যাচার হবে তাদেরই বিরুদ্ধে তাও তো মেনে নেওয়া যায় না।
তবে বিপরীত ছবিও যে দেখা যায় না তা নয়। এমন সংসারও আছে যেখানে মেয়েরা উচ্চ মান ও মর্যাদা পায়। স্ত্রী উচ্চপদে চাকুরিরতা হওয়ার জন্য অনেক পুরুষ কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরেও সন্তানকে সামলান। দিবারাত্রি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যাঁরা পরিবার পরিজনদের প্রতি সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেন, কর্মজীবন থেকে অবসরগ্রহণের পরও এই বৃদ্ধ বয়সে, যে গৃহকর্তা তাঁর অসুস্থ স্ত্রীর সেবা করেন, সেইসব পুরুষও যে সমাজে নেই তা নয়। তবে তাদের কথা অনেক সময়ই আমাদের সমাজ মনে রাখে না। কারণ এমন পুরুষ সমাজে আজও কম।
স্ত্রী স্বামীর চেয়ে বেশি রোজগার করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বামীদের মনে একরকম হিংসার উদ্রেক হয়। যে হিংসা থেকে অধিকাংশ পুরুষই একটা ডিপ্রেশনে চলে যেতে থাকেন। স্ত্রী’র কৃতিত্বটাকে তখন তাঁরা নিজেদের পরাজয় বলে মনে করতে শুরু করেন। আর সেই কারণেই তাঁদের এই মনঃকষ্ট। উল্টো দিকে স্বামীর রোজগার বেশি হলে বা তাঁর কোনও কৃতিত্ব বৃদ্ধি পেলে স্ত্রী কিন্তু সত্যিই খুশি হয়।
তখন তাদের মনে কোনও খেদ বা ক্লেশ থাকে না। স্ত্রীকে স্বামীর গৌরবের কথা জাহির করে বলতে প্রচুর শোনা যায়। কিন্তু উল্টো ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। বা বলা উচিত কম হয়। আসলে এই যে আচরণ, এগুলো সবই মানসিক শিক্ষার পরিচয়। আধুনিকতা ততক্ষণ আসবে না যতক্ষণ আমাদের মন আধুনিক না হচ্ছে। নারী মানেই পুরুষের চেয়ে নিম্ন, পুরুষ অপেক্ষা হীন এই ধারণা মন থেকে মুছে ফেলে প্রকৃত অর্থে উন্নত হতে হবে পুরুষকে। তবেই আমাদের সমাজ এগবে।
আসলে নারী আর পুরুষের মধ্যে এই বিভেদটা চিরকালই ছিল, চিরকালই থাকবে। তবু সমাজকে উন্নততর করতে হলে, সমাজকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হলে এমন বিভেদ থাকা ভালো নয়। ব্যবহারিক দিক দিয়ে নারী ও পুরুষকে এই বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।
জীবনের পথে চলতে গিয়ে অনেক বাধা আসে, কিন্তু সেগুলোকে সরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। বর্তমান সমাজে নারীকেও সেই পথেই চলতে হবে। আর নারীর এগিয়ে চলার পথকে আরও সুন্দর করে তোলার দায়িত্ব অনেকটাই পুরুষের ওপর। তারা যদি নিজেদের ছোটখাট অহং ভুলে নারীর পরিপুরক হয়ে উঠতে পারে তবেই আমাদের সমাজ উন্নত হবে।
শুধু সমাজই বা কেন? পরবর্তী প্রজন্মকেও তো উন্নত করতে হবে। তাদের মনকে আলোকিত করার দায়িত্বও তো আমাদেরই ওপর। তাই নারী-পুরুষ নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি না করে বরং একে অপরের সঙ্গে, একে অপরের হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলুক। তবেই আমাদের সমাজ লাভবান হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এক উন্নত দেশের নাগরিক হয়ে জীবনযাপন করার সুযোগ পাবে। সন্তানের কাছে বাবা ও মায়ের যেমন গুরুত্ব, সমাজের কাছেও নারী ও পুরুষের তেমনই গুরুত্ব। যতদিন এই গুরুত্ব আমাদের সমাজ বুঝতে না পারবে ততদিন নারী তার পূর্ণ মর্যাদা কখনওই পাবে না।
সোমা চক্রবর্তী 
16th  November, 2019
মা হওয়ার পর অবসাদ কাটাতে সাইকোথেরাপি

মা হওয়া আনন্দের। কিন্তু সুন্দর অভিজ্ঞতার সঙ্গেই অনেক মা শিকার হন প্রসবোত্তর বিষণ্ণতার। সমস্যা ও সমাধানের খোঁজে ডঃ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

ক্রমশ বাড়িয়ে তুলতে হয় মনোযোগ

শিশুকে মনোযোগী করে তুলুন একদম ছোট বয়স থেকেই। কীভাবে? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ শোনালেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

৪০ দিন কমলালেবু খেয়ে বাঁচলেন অ্যান

শুধুমাত্র ফল খেয়ে কি বেঁচে থাকা সম্ভব? তাও আবার যে কোনও একটি ফল? এ নিয়ে তর্ক হতেই পারে। তবে পরীক্ষিত সত্য, একটিমাত্র ফল খেয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব। তা প্রমাণ করলেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা অ্যান অসবোর্ন। টানা ৪০ দিন কমলালেবু খেয়ে বেঁচে রয়েছেন তিনি। বিশদ

মহিলা পরিচালিত বুথ

মহিলাদের সমানাধিকারের দাবি ভারতে নতুন নয়। তাকে মান্যতা দিতেই চলতি লোকসভা নির্বাচনে কান্নুরের মাহে বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথ সামলাবেন মহিলা কর্মীরা। প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, পুলিস, বয়ঃজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের সাহায্যকারী হিসেবে ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের স্বেচ্ছাসেবক— সব বিভাগই সামলাবেন মহিলারা। বিশদ

আইএএস অনন্যার প্রেরণা কোহলি

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় স্তরের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফল। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন গত মঙ্গলবার ফলপ্রকাশ করে। এ বছর এই পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন একজন মহিলা। তেলেঙ্গানার ডোনুরু অনন্যা রেড্ডি। বিশদ

মিস মিসেস ইন্ডিয়া

প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড ও বলিউড অভিনেত্রী অদিতি গোভিত্রিকর, রোলি ত্রিপাঠী, নিতু সাহা, টলিউড অভিনেত্রী মৌবনী সরকার সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ট্রানিসটিক্স ডাটা টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড-এর পৃষ্ঠপোষকতায় বিশদ

চৈত্র সেলের একাল সেকাল

বৈশাখ পয়লার আগে স্মৃতি রোমন্থনে অম্লানকুসুম চক্রবর্তী। 
  বিশদ

13th  April, 2024
বাংলা ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব হারিয়েছে বাঙালির কাছেই

ক্যালেন্ডার বাংলা হোক বা ইংরেজি, এটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তু। তবে বর্তমান সময়ে বাংলা ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব অনেক হ্রাস পেয়েছে। কারণ বোধহয় এই ক্যালেন্ডার অনেকেই দেখতে বা পড়তে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। বিশদ

13th  April, 2024
স্বামীর অবর্তমানে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর অধিকার

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

06th  April, 2024
চাবুক হাতে আগুনে মেয়ে

১৯৩০-এর ৬ এপ্রিল সমাপন হয় ডান্ডি অভিযান। লবণ সত্যাগ্রহের সেই পদযাত্রার হাত ধরেই আসে আইন অমান্য। বিপ্লবীরক্ত চলকে ওঠে দেশ জুড়ে। তেমনই এক নেত্রী কটকের বিমলপ্রতিভা দেবী। আমরা তাঁকে ভুলতে বসলেও ভোলেনি ইতিহাস। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
  বিশদ

06th  April, 2024
বিশ্বজয়ের দৌড়ে বাঙালি কন্যে

‘স্ট্রাগল’ শব্দটার সঙ্গে ছোট থেকে পরিচয় বিদিশা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মেয়ে হিসেবে জন্মের পর থেকেই লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে, একথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মা। কলকাতায় স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করা বিদিশা এমন পরিবারে বড় হয়েছেন, যেখানে চাকরি করাটাই ছিল সাফল্য! বিশদ

06th  April, 2024
ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা সাবিত্রী 

যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। সাবিত্রী জিন্দাল এই উপমার আদর্শ উদাহরণ। ফোর্বসের প্রকাশিত তালিকায় ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা সাবিত্রী। তাঁর বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। বিশদ

06th  April, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনে ডাচ তরুণী

জোরায়া টের বেকের বয়স ২৮। নেদারল্যান্ডসের একটি ছোট গ্রামে থাকেন। এই ডাচ তরুণী আইনের সাহায্য নিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিতে ইচ্ছুক। এমন খবর শিরোনামে আসতেই জোরায়াকে নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে নানা মহলে। বিশদ

06th  April, 2024
তর্ক-বিতর্ক: বাচ্চার মোবাইল আসক্তির জন্য

চলছে নতুন বিভাগ ‘তর্ক বিতর্ক’। সন্তানের মোবাইল ব্যবহারের নেপথ্যে বাবা-মা। — এই মতের পক্ষে ও বিপক্ষে পাঠকদের মতামত বেছে নিয়েছি আমরা। পরের পর্বে আপনিও জানাতে পারেন আপনার মতামত। বিশদ

30th  March, 2024
একনজরে
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM