Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

নারীর নিরাপত্তায় সমাজ ও রাষ্ট্রের ভূমিকা 

ঘটনা এক
অফিস থেকে ফিরতে সেদিন একটু বেশিই঩ দেরি হয়ে গিয়েছিল অন্তরার। তার কাজটাই এমন। সময়ের ঠিক থাকে না। সেদিন বড় রাস্তায় ক্যাবের জন্য অপেক্ষা করার সময় কোথা থেকে একটা গাড়ি সামনে এসে দাঁড়ায়। নেমে আসে জনা দুই-তিন বীরপুঙ্গব। শুরু হয় অশ্লীল বাক্যবাণ। তার ওপরে হাত ধরে টানাটানি। পরিস্থিতি বুঝেই একদম শুরুতেই ১০০ ডায়াল করায় সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল অন্তরা। রাগে, দুঃখে, অপমানে, ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছিল সে, নিজের শহরে নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা ভেবে।

ঘটনা দুই
সন্ধেবেলায় বন্ধুর সঙ্গে স্কুটারে চেপে বেরিয়েছিল সোহিনী। পথে, পাশ দিয়ে যাওয়া অটোর ভেতর থেকে উড়ে এল কটূক্তি। প্রতিবাদ করায় মারধর। সঙ্গে শাসানি, হুমকি আর অকথ্য ভাষার গালিগালাজ। এরপর অভিযোগ জানানো হলেও চলে চাপান-উতোর, ন্যায়-অন্যায় বিচার, সোহিনীর পোশাক নিয়ে বিতর্ক। একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির ধ্বজা ওড়ানোর সময়ে দাঁড়িয়েও একজন মেয়ের পথ চলাতে নিরাপত্তার কতটা অভাব সেটা এই ঘটনা থেকে সহজেই অনুমেয়।

ঘটনা তিন
কিশোরী কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে বাবা-মা বাসে উঠেছেন। চলন্ত বাসের সামনে বসা দুই যুবকের অশালীন আচরণ, কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি এবং শেষে মা-মেয়ের ছবি মোবাইল বন্দি করায় ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। মায়ের চিৎকারে ও বাসের লোকজনের সম্মিলিত প্রতিবাদে রক্ষা পান কিশোরী কন্যাটি। এখন শহরে কি গ্রামে দিনের আলো বা রাতের অন্ধকারে মেয়েরা নিরাপদ নয় একেবারেই। আজও ভাবলে শিউরে ওঠে কিশোরী কন্যা ও তার মা।
খবরের কাগজ খুললেই শিরোনামে নারীর ওপর নেমে আসা জঘন্য সব লাঞ্ছনার ঘটনা প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত আমাদের চোখে পড়ে। শুধু রাতবিরেতেই নয়, দিনের আলোয়, দুপুরে, সন্ধে সব সময় ঘটে চলেছে একটার পর একটা ঘটনা। শুধু অন্তরা, সোহিনীই নয়, অপর্ণা, আরতি, অনিন্দিতা, দেবস্মিতা অথবা করুণা, মালতী, ভজা বা পচা বা ক্যাবলার মা এছাড়া ছোট ছোট দুধের শিশু দিয়া, হিয়া, রিয়া এরাই বা কতটা নিরাপদ?
স্কুলে, কলেজে, পথে, ঘাটে, বাসে, ট্রামে, ট্রেনে, প্লেনে, কর্মক্ষেত্রে এমনকী নিজের বাড়িতেও কতটা নিরাপদ মেয়েরা? সবসময়ই একজন নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। আজও সমাজে মেয়েদের দুর্বল ভাবা হয়। সমাজে, সংসারে মাথা উঁচু করে বাঁচার ক্ষেত্রে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় এই সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতি। মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রের ভূমিকাই বা কতটা? কী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নারী নিরাপদ থাকবে? নাকি এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা? সমাজ বা রাষ্ট্রের দায়ই বা কতটা? কী ব্যবস্থা নিয়েছে বা নিচ্ছে সমাজ? এই সমস্ত বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সমাজতত্ত্ববিদ ডঃ পার্থসারথি দে।
 সমাজে মেয়েদের নিরাপত্তার অভাববোধ করা কতটা সঙ্গত?
 নিরাপত্তার অভাব বা নিরাপত্তাহীনতা যদি একজনের মধ্যে দানা বাঁধে তাহলে সেটা ধীরে ধীরে সমাজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে বিষয়টাকে যদি আমরা দেখি, সমাজে তো আমরা সবাই চলাফেরা করছি। কখনও যদি দু-চারটে ঘটনা ঘটে তার ওপর ভিত্তি করে তো আমরা সাধারণীকরণ করতে পারি না। তবে হ্যাঁ, যদি সেটা নিরন্তর ঘটতে থাকে অনেক মেয়ের ওপর বারবার, তখন বলা যায় বিষয়টা সমাজের ওপর গাঢ় ছায়া ফেলেছে। তখন সেটা দূর করার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা অবশ্যই করতে হবে। পাশাপাশি এটাও বলব যে, পুরুষদের নিরাপত্তার অধিকার তো একচেটিয়া হতে পারে না, মহিলাদেরও সমান অধিকার আছে সমাজে। তো সেই কারণে নিরাপত্তাহীনতার বোধটা মহিলাদের মধ্যে না থাকাই বাঞ্ছনীয়। মহিলারাও সব পেশায়, সব কাজে এগিয়ে আসছেন সমস্ত বাধা-বিপত্তি দূরে ঠেলে। সমাজের বুকে ঘটে চলা বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে একসঙ্গে গাঁথার ভাবনা থেকে দূরে থাকাই উচিত। এই ধরনের ঘটনা কাঙ্ক্ষিত নয়। একশো জন মহিলার মধ্যে হয়তো একজনের সঙ্গে কোনও একদিন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটল এখন সেইটা ধরে নিয়ে যদি মহিলারা পিছিয়ে যান বা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন সেটাও ঠিক নয় একেবারেই। তবে আবারও বলছি মেয়েদের ওপর ঘটে চলা অপরাধমূলক কোনও একটি ঘটনাও কাম্য নয় একেবারেই।
 কী করে সমাজে মেয়েদের অবস্থানের উন্নতি ঘটবে?
 মেয়েদের অবস্থার উন্নতি ঘটার ক্ষেত্রে মেয়েদের পরিবারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। লিঙ্গবৈষম্য শুরু হয় পরিবার থেকেই। এটা কাটানোর জন্য সামাজিক শিক্ষা খুব জরুরি। মানসিকতার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। পুরুষ ও নারীর সমানাধিকার এই ভাবনা তৈরি করার পিছনে বাবা-মা, দাদু-ঠাকুমা, কাকা-পিসি সহ পরিবারের প্রত্যেকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আবহমানকাল ধরে প্রথম পরিবারেই শুরু হয় মেয়েদের খাটো করার পদ্ধতি। একই পরিবারে ভাই-বোন দু’জন থাকলে ছেলেটিকে খাওয়া, খেলা, পড়া, আদর-আহ্লাদে প্রাধান্য দেওয়ার মানসিকতা দেখা যায়। এই মনোভাবের পরিবর্তন ভীষণভাবে দরকার। তবেই ছোট থেকে কন্যাসন্তানটির বোধ, ভরসা, বিশ্বাসের জায়গা তৈরি হবে। এছাড়া সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আরেক বিষয় উল্লেখ করা দরকার, সেটা হল গ্রাম এবং শহরে এই দুই ক্ষেত্রেই মহিলাদের সমান গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। গ্রামীণ মহিলাদের শুধু শিক্ষা নয়, স্বনির্ভর করতে হলে প্রশিক্ষণ জরুরি। সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে আইন, নিয়ম-কানুন নিয়ে। যে কোনও বয়েসের মহিলাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে তাই নয়, মেয়েটি যাতে শারীরিক নিগ্রহ বা লাঞ্ছনার শিকার হলেও প্রতিবাদের মনোবল অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে সেই মানসিকতা তার মনে গড়ে তুলতে হবে পরিবারের লোকজনদের। ভয়ে, লজ্জায় নয়, দৃঢ় মনোভাব নিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার সাহসের শিক্ষা আসবে পরিবার থেকেই।
 আজও সমাজে মেয়েদের দুর্বল ভাবা হয়। এই ধারণা কতটা সঠিক?
 এমন ভাবনাই ভুল। সমাজের বুকে যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই ধারণার বদল দরকার। মেয়েরা তো সব পেশায়, সব ক্ষেত্রে ছেলেদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। ছেলেদের তুলনায় শারীরিক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও তাদের আটকানো যাচ্ছে কি? শুধু দৌড়ে বেড়াচ্ছে বলা বোধহয় ভুল হবে নিজেদের সফল হিসেবে প্রমাণও করেছে মেয়েরা। তাহলে তাদের দুর্বল ভাবার কারণটা কী? এই মানসিকতার পরিবর্তন বাঞ্ছনীয়।
 মেয়েদের আত্মসচেতনতা কতটা জরুরি?
 ভীষণ জরুরি। এর পিছনে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি মেয়ে আত্মসচেতন হলে তবেই পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব। এর জন্য কিছু সংস্থা, সংগঠন, সমাজের অন্য অংশের মানুষ, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় এবং রাষ্ট্রের পরিকল্পনা প্রয়োজন। গ্রামের মেয়েদের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র আর্থিক সহায়তা দিয়ে উন্নতি ও সচেতনতা সম্ভব নয়। সামাজিক শিক্ষা এবং বার্তারও প্রয়োজন। গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতাও দূর করতে হবে।
 আর্থিক স্বনির্ভরতা মেয়েদের কতটা নিরাপত্তার অনুভূতি জোগায়?
 অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জোগায়। মেয়েরা যদি আর্থিক দিক থেকে স্বয়ম্ভর হয় তাহলে নিরাপত্তার প্রশ্নে তারা অনেকটা সাহস পায়। প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো বা মোকাবিলা করার জোর আপনিই আসে। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ মেয়েদের মনের প্রসার ঘটায়। শুধু তাই নয়, অনেক সময়ই দেখা যায় নিজের জীবন সম্পর্কে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারার মনোবল ও আত্মপ্রত্যয় স্বনির্ভরতা থেকেই আসে।
 সমাজে ও সংসারে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হলে বিশেষ কী কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার?
 (১) প্রতিটি মেয়েকে শিক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়িত করতে হবে। (রাইট টু এডুকেশন)।
(২) সচেতনতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। (অ্যাওয়ারনেস ট্রেনিং)
(৩) কী শহরে অথবা গ্রামে বিভিন্ন মহিলাদের বয়স অনুযায়ী হাতে-কলমে প্রশিক্ষিত করতে হবে। বয়স্ক শিক্ষা (অ্যাডাল্ট এডুকেশন) জরুরি।
(৪) প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মেয়েদের সহায়ক নানা ব্যবস্থা যে সমাজ ও রাষ্ট্রের আছে এটা মেয়েদের জানা জরুরি।
 মেয়েরা নাকি লাইসেন্স নেওয়া বন্দুক কিনছে। এটা কি আদৌ জরুরি? নাকি বাড়াবাড়ি চিন্তা?
 না, এটা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। বন্দুক মানে তো আরেকটা হিংস্রতার জন্ম দেওয়া। তার জন্য রাষ্ট্রের ব্যবস্থা রয়েছে, পুলিস আছে। তারা লাইসেন্স নিয়ে ব্যবহার করবে। গ্রামের ক’টা মেয়ে এটা পারবে? ধরা যাক, একটি ছেলে অভব্য আচরণ করল তাহলে সেই মেয়েটি নিরাপত্তার জন্য তাকে গুলি করে মেরে দেবে? তাহলে তো একটা অন্যায় আরেকটা অন্যায়ের জন্ম দেবে। এগুলো পশ্চিমী ধারণা। আমাদের দেশে এর থেকে অনেক ভালো পদ্ধতি রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য বন্দুক না রেখে মেয়েরা বরং ক্যারাটে, জুডো শিখুক।
 মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য, উন্নতির জন্য সমাজ কী ব্যবস্থা নিয়েছে বা নিচ্ছে?
 ভারতবর্ষের সামাজিক যে পরিকাঠামো, যে ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি রয়েছে তাতে সব সময় যে মহিলাদের খুব খারাপ অবস্থা ছিল তেমনটা নয়। স্বাধীনতার পর থেকে মহিলাদের অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হয়েছে। এরও পরে একবিংশ শতাব্দীতে এসে সামাজিক, রাজনৈতিক অথবা অর্থনীতিতেও মহিলাদের অংশগ্রহণ দেখবার মতো। সমস্ত কঠিন শিক্ষাও দেয় তাদের সহজাত দক্ষতায়। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদ, সোশ্যাল প্ল্যানার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এয়ার ক্রাফট পাইলট এবং অনেক ধরনের এমন পেশা যেগুলোয় পুরুষদের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল, সেই সব পেশা যেমন যুদ্ধবিমান পরিচালনা এবং আর্মিতে মহিলাদের স্কোয়াড তৈরি হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই তারা। এই যে সমাজের সর্বস্তরে মহিলাদের উত্তরণ এর পেছনে কোনও না কোনওভাবে রাষ্ট্র এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনও নানা সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলেই এসব সম্ভব হয়েছে।
তনুশ্রী কাঞ্জিলাল মাশ্চরক 
19th  October, 2019
মানুষ চেনা খুব কঠিন: অন্বেষা হাজরা 

মেয়েটির ভূত দেখার খুব ইচ্ছে। তাই সে ভূত দেখার জন্য যখন তখন হানাবাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু ভূতের বদলে সেখানে দেখা মেলে শুধুমাত্র চোরের। মেয়ের ভূত দেখার তাড়নায় অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ির লোক মেয়েটিকে বলে যে, তাকে ভূতের বাড়িতেই বিয়ে দেবে। যেখানে শাশুড়ি হবে শাকচুন্নি আর ননদ হবে পেতনি। 
বিশদ

02nd  November, 2019
বিদ্যাসাগরের বিধবারা 

বঙ্গবিধবাদের জগন্নাথধাম ‘পালানো’ সম্পর্কে এই বর্ণনা পাওয়া যায় ১৮৪৯ সালের ‘সম্বাদ রসরাজ’ পত্রিকায়— ‘নগরেতে হইয়াছে গেল গেল রব।/ পলাইয়া ক্ষেত্রে যায় নরনারী সব।।/ কাহারো পলায়ে গেল বিধবা বহুড়ী।/ এর বাড়ি তার বাড়ি খুঁজিছে শাশুড়ী।।’  
বিশদ

02nd  November, 2019
মা দুর্গার আর এক অন্য রূপ জ গ দ্ধা ত্রী

মা জগদ্ধাত্রী মহাশক্তির প্রতীক, তিনি সর্বস্থানে বিচরিত, তিনি চির শাশ্বত। তাঁর ধ্যান মন্ত্রে পাওয়া যায়,
সিংহ স্কন্ধ সমারূঢ়াং নানালঙ্কার ভূষিতাং।
চতুর্ভুজাং মহাদেবীং নাগ যজ্ঞোপবীতিধারিণীং...
নারদাদ্যৈ মুনিগণৈঃ সেবিতাং ভবসুন্দরীয়।।  বিশদ

02nd  November, 2019
যুগে যুগে ভা ই ফোঁ টা 

‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমদুয়ারে পড়ল কাঁটা’— বোনেরা এই মন্ত্র উচ্চারণে কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে তাদের ভাইদের দীর্ঘায়ু কামনা করে। এই নিয়ম যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু এখন তো প্রায় সবাই একা একা বড় হচ্ছে। তাই আগেকার মতো ভাইফোঁটা সবাই কি পালন করতে পারে? নাকি ভাইফোঁটা হারিয়ে যাচ্ছে? 
বিশদ

26th  October, 2019
ডুব দে রে মন কালী বলে 

জব চার্নকের শহরে উত্তর থেকে দক্ষিণ অজস্র কালীবাড়ি রয়েছে। কোনও কালীবাড়ি সম্ভ্রান্ত পরিবারের রানির হাত ধরে, কোনওটা বা ফিরিঙ্গি সাহেবের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সারাবছর যে নিয়মই থাকুক না কেন দীপান্বিতা অমাবস্যায় অর্থাৎ কালীপুজোর বিশেষ দিনে কীভাবে পূজিত হন কলকাতার বিখ্যাত সব মন্দিরের মাতৃমূর্তি?
বিশদ

26th  October, 2019
মা কালী ও তন্ত্রসাধনা 

তন্ত্র সাধনার দেশ ভারতবর্ষ। সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে ভক্ত তার সিদ্ধিলাভের জন্য তন্ত্র সাধনা করে আসছেন। যে সব দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে তন্ত্র সাধনা হয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দেবী হলেন কালী। বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সাধক-সাধিকারা মা কালীর নানা রূপের সাধনা করেন। তন্ত্র সাধনা খুবই গুপ্ত ও কঠিন সাধনা। 
বিশদ

26th  October, 2019
দেবী কালিকার দেশমাতৃকা রূপ 

জাতীয়তাবাদের প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচয় ‘মা’ শব্দটি। মাতৃশক্তি এমনই বৈশিষ্ট্য সমন্বিত যে মাতৃজাতির সৃষ্টি না হলে দেশকে বা ভগবানকে মাতৃজ্ঞানে অর্চনা করার অধিকারী আমরা হতাম না। বিশ্বাত্মবোধ, জাতীয়তাবাদ ও স্বদেশপ্রেম চিরন্তনী এই ত্রিধারা শাশ্বত ভারতে মাতৃবন্দনার বিশ্বরূপ। দেশমাতারূপে মহাশক্তি মহামায়া মহাকালিকাকে প্রত্যক্ষ করা সেই প্রেরণারই জীবন্ত প্রতিমা। 
বিশদ

26th  October, 2019
টেনিস তারকা অ্যাশলে বার্টি 

ফরাসি ওপেনে এবারকার মেয়েদের সিঙ্গলস চ্যাম্পিয়ন অ্যাশলে বার্টি। ছেচল্লিশ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২৩ বছরের অস্ট্রেলীয় তরুণীর ফরাসি ওপেন জয়! ইতিহাস গড়লেন বার্টি। রোলাঁ গারোজে চেক কন্যা মার্কেতা ভন্ড্রোসোভাকে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে জয়ী হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের দেশ কুইন্সল্যান্ডের মেয়ে বার্টি।  
বিশদ

19th  October, 2019
ভারত-সুন্দরী সুমন রাও একজন সমাজসেবীও 

২০১৯ সালের ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া’ হলেন রাজস্থানের সুমন রাও। এছাড়া, ছত্তিশগড়ের শিবানী যাদব ‘ফেমিনা মিস গ্র্যান্ড ইন্ডিয়া’ আর বিহারের শ্রেয়া শঙ্কর ‘মিস ইন্ডিয়া ইউনাইটেড কনটেস্ট’ খেতাব জিতেছেন। সম্প্রতি মুম্বইয়ের ওয়ার্লির সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া’র গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।  
বিশদ

19th  October, 2019
ক্যারাটেতে সাফল্য এনেছে তারকেশ্বরের মেয়ে বৃষ্টি 

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছে হুগলি জেলার তারকেশ্বরের পার্শ্ববর্তী মুক্তারপুর গ্রামের পঞ্চদশী বৃষ্টি মণ্ডল। এবছর ১৬ আগস্ট ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া এম জি বিদ্যাপীঠে অনুষ্ঠিত ৬৫তম চন্দননগর মহকুমা স্কুল ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ানশিপে মেয়েদের বিভাগে (অনূর্ধ্ব ১৭) দ্বিতীয়স্থান দখল করে মহকুমা ক্রীড়া মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে সে।  
বিশদ

19th  October, 2019
কঠোর মায়েদের সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয় 

বেড়ে ওঠার বয়সে আপনার মা কি খুব কঠোর ছিলেন? তিনি কি আপনাকে ঘর পরিষ্কার করতে, বাড়ির কাজ করতে এবং প্রতিনিয়ত ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে বলতেন? আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ সন্তানই এমন পরিবারে বড় হয়েছি যেখানে মায়েরা ছিলেন আমাদের চিরশত্রু! 
বিশদ

12th  October, 2019
এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে 

ননীবালার কথা: আশ্বিনে মা আসেন। তার রেশ মিটতে না মিটতেই দু-দিন পরেই তো মেয়ে আসবে। তাঁকে আবাহনেরও কম আয়োজন নাকি! বর্ষা শেষ হয়ে ভাদ্র পড়তেই ভাঁড়ার ঘরের ঝাড়া-বাছা রোদে দেওয়ার ধুম।  
বিশদ

12th  October, 2019
লক্ষ্মীর পাঁচালি গৃহিণীদের
সুখী সংসারের উপদেশ দেয় 

আমাদের বাড়ির হোম মিনিস্টার বলা যায় বাড়ির গৃহবধূ বা গৃহিণীদের। প্রতি বৃহস্পতিবার আমাদের বাংলার ঘরে ঘরে গৃহলক্ষ্মীর পুজো ও পাঁচালি পাঠ সেই পুরানো দিন থেকে আজ পর্যন্ত চলে আসছে। বলা যায় আমাদের সমাজের অন্দরমহলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেবী হলেন লক্ষ্মী। 
বিশদ

12th  October, 2019
বিজয়া দশমী 

দশমী তিথিতে সকাল বেলায় নির্ঘণ্ট অনুযায়ী পুরোহিত আচমন ভূতাপসারণ প্রভৃতি করে পঞ্চোপচারে দেবীর পুজো করেন। ওই দিন দেবীকে পান্তাভাত, কচুর শাক (নুন ছাড়া) ভোগ দেওয়া হয়। যাঁরা অন্নভোগ দেন না তাঁরা চিঁড়ে, মুড়কি, খই, বাতাসা, দই প্রভৃতি ভোগ দেন।  
বিশদ

05th  October, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: রাস উৎসবকে সামনে রেখে নবদ্বীপে ফেরিঘাটগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হল। রাসের দিনগুলিতে ফেরিঘাট দিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষের আনাগোনা লেগে থাকে। ফলে তাদের পারাপার ও নিরাপত্তা নিয়ে নবদ্বীপের ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়েছেন। পাশাপাশি নবদ্বীপ পুরসভা ও ব্লক প্রশাসনও এনিয়ে তৎপর। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণীর আসা বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। সরকারের এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে স্কুলগুলিতে যে অতিরিক্ত ক্লাসরুমের বন্দোবস্ত করতে হবে, তার ...

রাঁচি, ৭ নভেম্বর (পিটিআই): ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবারের দাবি, না খেতে পেয়ে তিনি মারা গিয়েছেন। যদিও রাজ্য প্রশাসনের তরফে অনাহারে মৃত্যুর ...

 বিএনএ, বারাকপুর: বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গড় ভাটপাড়া পুরসভার আরও পাঁচ বিজেপি কাউন্সিলার তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রাখলেন। তাঁরা যে কোনও দিন ঘরে ফিরতে পারেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিনচন্দ্র পালের জন্ম
১৮৬২: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের মৃত্যু
১৮৬৭: বিজ্ঞানী মেরি কুরির জন্ম
১৮৮৮: নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর বেঙ্কটরমনের জন্ম
১৯২৩: সাহিত্যিক ও সমাজসেবী অশ্বিনীকুমার দত্তের মৃত্যু
১৯৫৪: অভিনেতা কমল হাসানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্ম
১৯৭৯: অভিনেত্রী রাইমা সেনের জন্ম

07th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৪৮ টাকা ৭২.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৯.১২ টাকা ৯৩.৪৫ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৪ টাকা ৮০.৪৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৮২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৮৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৭৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৮৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২১ কার্তিক ১৪২৬, ৮ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ১৬/৩০ দিবা ১২/২৫। পূর্বভাদ্রপদ ১৫/৫৯ দিবা ১২/১২। সূ উ ৫/৪৮/২৭, অ ৪/৫২/২১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৭/১৭ গতে ৯/৩০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪২ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪৪ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ৩/১৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩৫ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৩ মধ্যে। 
২১ কার্তিক ১৪২৬, ৮ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ১৫/৫৮/১৯ দিবা ১২/১২/৪৩। পূর্বভাদ্রপদ ১৭/৫৮/২৫ দিবা ১/০/৪৫, সূ উ ৫/৪৯/২৩, অ ৪/৫৩/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৭/২৭ গতে ৯/৩৬ মধ্যে ও ১১/৪৫ গতে ২/৩৭ মধ্যে ও ৩/২০ গতে ৪/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৩৯ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৫০ গতে ৩/২২ মধ্যে ও ৪/১৫ গতে ৫/৫০ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩৫/২১ গতে ৯/৫৮/২০ মধ্যে, কালবেলা ৯/৫৮/২০ গতে ১১/২১/১৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৭/১৬ গতে ৯/৪৪/১৭ মধ্যে। 
১০ রবিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: টসে জিতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট নিল দিল্লি

07:13:52 PM

আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মিথুন: উচ্চবিদ্যায় ভালো ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৬২- সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি পুরুষ ওস্তাদ আলাউদিন খাঁর জন্ম।১৮৯৫- জার্মান ...বিশদ

07:03:20 PM

আগামীকাল অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট

09:17:50 PM

এবার হকি বিশ্বকাপ ভারতে
২০২৩ সালে পুরুষদের এফআইএইচ হকি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। ...বিশদ

05:08:38 PM

পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী
 মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সরকার গড়ার ...বিশদ

05:01:39 PM