নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
নিত্যদিন পেছনে লেগে থাকা এবং বলে বলে কাজ করানোর জন্য হয়তো আপনার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু আপনি জানেন না যে গবেষকদের মতে, কঠোর মায়েদের সন্তানেরাই ভবিষ্যতে সফলতার মুকুট পরতে সমর্থ হন। সুতরাং, তখন অসহ্য মনে হলেও ভবিষ্যতে আপনি আপনার মাকে বারংবার ধন্যবাদ জানাবেন, এটাই সত্য।
ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের সিনিয়র প্রফেসর এরিকা র্যাসকন সম্প্রতি এই বিষয়ের ওপর একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন। সেখানে প্রমাণিত হয়েছে যে কঠোর মায়েদের সন্তানের জীবন সাফল্যে পরিপূর্ণ এবং ওই সব মায়েরা সন্তানদের শৈশবে ভালোরকম শাসন করেছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের ওপর এই গবেষণাটি চালানো হয়।
অধ্যাপক র্যাসকনের মতে, শৈশব থেকেই সন্তানের পড়াশোনার ব্যাপারে পিতা-মাতার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও বিশ্বাস তাদেরকে খ্যাতির চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। আমাদের গবেষণা এই ব্যাপারটাই প্রমাণ করেছে।
যে সকল বাচ্চার মায়েদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল তাঁরা বর্তমানে অধিক আত্মবিশ্বাসী এবং নিরাপদ। গবেষণায় এও প্রমাণিত হয়, যে সকল মেয়ের মায়েরা অতিরিক্ত কঠোর ছিলেন তাদের মধ্যে অল্প বয়সে মা হওয়ার প্রবণতা শতকরা চার ভাগ কম। শক্ত ও রাগী মায়েদের সন্তানেরা দ্রুত গ্র্যাজুয়েট হতে পেরেছে এবং ভালো চাকরিও পেয়েছে। এটা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও ঘটনাটা সত্য।
গবেষণায় আরও জানানো গিয়েছে, অনেক বাচ্চাই তাদের মায়েদের সাক্ষাৎ যম মনে করে। কিন্তু এখানে নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, এ শাসন বিফলে যাবে না। পরবর্তী জীবনে সন্তানদের উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। উপহার পাবেন সুন্দর ও অভাবনীয় একটি জীবন। এখানেই শেষ নয়, এই শিক্ষায় আপনিও আলোকিত করে তুলবেন আপনার সন্তানের জীবনও। অতীত কিংবা শৈশবের কথা একটু মনে করুন তো। আপনার মা কেমন ব্যবহার করতেন আপনার সঙ্গে? এ গবেষণার ব্যাপারে আপনার মতামতই বা কী?
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস