ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
তাঁর মতে, কর্মক্ষেত্রে আপনার অবদান অন্যেরা লক্ষ্য করবে এবং আপনাকে পুরস্কার দেবে, এমন আশা করবেন না। বরং যদি মনে হয় আপনার বস আপনার কর্মদক্ষতার মাত্রা বুঝতে পারছেন না তাহলে সপ্তাহে একবার বসকে এমন একটি ই-মেল পাঠান যেখানে সংক্ষিপ্ত আকারে বলা থাকবে যে, ওই সপ্তাহে আপনি কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এটি নারীদের জন্য একটি অসাধারণ সফল কৌশল।
দ্বিতীয় পরামর্শে তিনি মেয়েদের বলেছেন, ‘‘না’ বলতে শিখুন। আপনি যদি সবসময় অন্যের অনুগ্রহ বা দয়া খোঁজেন, তাহলে প্রতিনিয়ত অন্যের কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে এবং কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে একমাত্র উপায় ‘না’ বলা। কেউ যদি সীমা লঙ্ঘন করে তাহলে প্রতিবাদ করতে হবে।’
তৃতীয়ত এক সময় একটাই কাজ করার অভ্যাস করা মেয়েদের জন্য খুবই জরুরি। শুধু তাই নয়। একসঙ্গে অনেক কাজ করতে গেলে কাজের মান কমে যায়। ফলে অনেক সময়ই অযথা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। এর থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যও মেয়েদের মাল্টিটাস্কিংয়ের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
চতুর্থত ব্যাপারটা নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা। নিখুঁত হতে গিয়ে মেয়েরা অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে বসে। একজন নিখুঁত কাজ করা ব্যক্তির সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, অন্যদের সঙ্গে কাজ করতে গেলে তাদের সমস্যা হয়, মনে করেন হেলজেসেন। ফলে অতিরিক্ত নিখুঁত হওয়ার জন্য টিমওয়ার্কের সুবিধেগুলো হেলায় হারাবেন না। এমন লোকের সঙ্গে কাজ করুন যে মিলেমিশে কাজ করতে সক্ষম। তাতে স্ট্রেস লেভেল কম থাকে। এতে একই কাজে বিভিন্ন সুযোগ পাওয়া যায়। একে অপরের কাজের প্রতিক্রিয়া জানালে কাজটাও অনেক ভালোভাবে করা যায়।
পঞ্চম কথা হল, নিজের ভুলগুলো ভুলে না গিয়ে, তা ঢাকার চেষ্টা না করে বরং সেই ভুলের থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজটা আরও ভালো করে তোলা উচিত। পুরুষের তুলনায় নারীরা সাধারণত অনেক বেশি ভুল নিয়ে ভাবে। এই প্রবণতা নারীদের পেছন দিকে টেনে রাখে।