Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

প্রাচ্য পুরাণে নারীর বেঁচে থাকার দুঃখ-ইতিহাস 

মহাভারতের বনপর্বে সত্যভামা দ্রৌপদীকে প্রশ্ন করেছিলেন, পাঁচ স্বামীকে তিনি কীভাবে সন্তুষ্ট রাখতে সক্ষম হয়েছেন? উত্তরে দ্রৌপদী পতিব্রতা নারীর ওপর এক সুদীর্ঘ বক্তৃতা দেন। যাঁর মূল কথা ছিল— নারী যদি সম্পূর্ণভাবে আত্মবঞ্চনা করে এবং নিজেকে স্বামীর ইচ্ছা পোষণের যন্ত্রমাত্রে পরিণত করে তবেই সে যথার্থ পতিব্রতা হতে পারে এবং স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখতে সক্ষম হয়।
সীতা যখন স্বামীর সঙ্গে বনবাসে যায় শাশুড়ি কৌশল্যা তাঁকে পরামর্শ দেন এই বলে— যে সব স্ত্রী স্বামীর কাছে ভালো ব্যবহার পেয়েও দুর্দশাগ্রস্ত স্বামীকে অবহেলা করে প্রাপ্য মর্যাদা দেয় না, লোকে তাকে অসতী বলে। জানকী, আমার বনবাসী ছেলে নির্ধন বা ধনী যাই হোক না কেন তুমি তাঁকে দেবতুল্য জ্ঞানে অনুসরণ করো।
গান্ধারী অন্ধ স্বামীর প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনে সবসময় নিজের সুস্থ সুন্দর চোখ দুটো বেঁধে রাখতেন কাপড় দিয়ে। স্বামীর প্রতি অন্ধ সহানুভূতি ও আনুগত্যে সম্পূর্ণভাবে আত্মবিলোপ করে নিজের দৃষ্টিশক্তি স্বেচ্ছায় বিসর্জন দিয়েছিলেন। একশতটি সাবালক পুত্র, একটি কন্যাসন্তানের মা হওয়া সত্ত্বেও তাদের কাউকে কখনও দেখেননি তিনি। কেবল দুর্যোধনের শেষ দিনে একবার তাঁকে দেখা ছাড়া।
গালব তাঁর গুরুদক্ষিণা জোগাড় করতে হবু স্ত্রী মাধবীকে একে একে গুটিকয় রাজার কাছে বন্ধক দিয়েছিলেন, মাধবীর মতামতের অপেক্ষা না করেই। তারও আগে রাজা যযাতি নির্দ্বিধায় কন্যা মাধবীকে ঘোড়ার পরিবর্তে গালবকে দান করেছিলেন। নিজ কন্যাকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে তুলে দিতে দানবীর রাজার এতটুকু দ্বিধা বা সংশয় হয়নি। একটুকরো সম্পত্তির মতো করে মাধবীকে কেন্দ্র করে এই ঘৃণ্য লেনদেনে মাধবী নিজের অসম্মান, অপমান বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নিয়েছিলেন।
নিষ্ঠুর, স্বার্থপর মনোহরণকারী পুরুষকে ভালোবেসে নারী এযাবৎকাল মেনে নিয়েছে যাবতীয় পীড়ন নিজের আত্মমর্যাদাকে ধুলোয় মিশিয়ে। নারীত্বের চরম আত্মত্যাগ ও অবমাননা পুরাণের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে রয়েছে। যেখানে নারীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা, সম্মতি-অসম্মতি বিবেচ্য ছিল না মোটেও।
সদ্য যুদ্ধে নিহত স্বামীর মরদেহ ফেলে রেখে মন্দোদরী ও তারাকে বিয়ে করতে হয়েছিল তাদের নিজ নিজ দেওরকে। রাবণকে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করার পর রাম পুরস্কার হিসেবে বিভীষণের হাতে তুলে দেন রাবণের প্রধানা মহিষীকে। রাবণের বিশ্বাসঘাতক ভাই ও মন্দোদরীর ষড়যন্ত্রকারী দেওরকে ওইরকম মানসিক বিপর্যয়ের সময়ে নিরুপায় মন্দোদরীকে মেনে নিতে হয়েছিল। স্ব-ইচ্ছায়, সাদরে যে তিনি এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি এ তো সহজেই অনুমান করা যায়। কেন না মন্দোদরী যিনি যুদ্ধে রাবণের সঙ্গে অস্ত্র ধরেছিলেন রামের প্রতিপক্ষ হিসেবে। লঙ্কার নবনিযুক্ত রাজা বিভীষণের একাধিক পত্নীর সঙ্গে সে সময়ে যুক্ত হয়েছিল আরও একটি নাম মন্দোদরী। বানর রাজা বালীর স্ত্রী তারাকেও সুগ্রীবের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারা হলেন কিস্কিন্ধ্যার রানি, বানররাজ বালীর সহধর্মিণী ও সুগ্রীবের ভ্রাতৃবধূ। রামকে যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য উপহার হিসেবে পূর্বপ্রতিশ্রুতি মতো বানর রাজা সুগ্রীব এই উপহার লাভ করেছিলেন।
তারার মন্দলাগা, স্বামী হারানোর শোক-দুঃখের কোনও মূল্যই ছিল না কারওর কাছে। পুত্র অঙ্গদের প্রাণাশঙ্কা আর সমাজের শাসনে তারা বাধ্য হল। তবে ভক্তি, আনুগত্যর প্রকাশে লক্ষ্মণের স্ত্রী ঊর্মিলার কথাও ভুললে চলবে না। বিবাহিত লক্ষ্মণ যুবতী ঊর্মিলার শত অনুরোধে তাকে সঙ্গে নিয়ে বনবাসে তো যাননি। অথবা তার কাছে প্রাসাদেও থেকে যাননি। অল্পবয়সি স্ত্রীর নিরাপত্তা, আর ইচ্ছা-অনিচ্ছা, শারীরিক ও মানসিক চাহিদা সব কিছুকে তুচ্ছ করে চোদ্দো বছরের জন্য দিব্য বনবাসে চলে যায় ভ্রাতৃপ্রেমের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে। অথচ পত্নী প্রেম সেখানে অপাংক্তেয়ই রয়ে যায়। লক্ষ্মণের অবহেলিত স্ত্রী ঊমিলা সাধ্বী স্ত্রীর উদাহরণ হিসেবে জ্বলন্ত প্রদীপে ক্রমাগত তেল ঢেলে ঢেলে তাকে প্রজ্জ্বলিত রেখে সেই প্রদীপের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে পতি প্রেমের বিরহে শোকাকুলা হয়ে চোদ্দো বছর কাটিয়ে দেন।
স্বামীর প্রত্যাখ্যানকে নিশ্চুপে মেনে নিয়ে আত্মবঞ্চনা আর উপেক্ষিতার চূড়ান্ত নিদর্শন হয়ে ঊর্মিলার নাম ইতিহাসে রয়ে গিয়েছে। তবে মেনে নিলেও গর্ভবতী সীতাকে যখন লক্ষ্মণ বনবাসে রেখে আসছিল তখন সীতার খেদোক্তি— শুধু দুঃখ ভোগ করার জন্যই এই দেহটার সৃষ্টি হয়েছিল।
নারী-পুরুষের যাপিত জীবনে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় চিরদিনই ঘর আর বাইরে বিভক্ত হয়ে আছে। সব মেয়ের জন্য একটা সময় পর্যন্ত নির্দিষ্ট ছিল স্বামীসেবা, তাকে সঙ্গদান, তার পরিবার-পরিজনদের আনন্দ দেওয়া। মেয়েদের শিক্ষা অবশ্যই ছিল স্বামীসেবার শিক্ষা, আত্মপ্রবঞ্চনার শিক্ষা, গৃহস্থালির শিক্ষা, মেনে নেওয়ার শিক্ষা, মানিয়ে নেওয়ার শিক্ষা।
আচ্ছা কেমন হতো যদি সীতা কৌশল্যাকে মুখ ফুটে বলে ফেলত মনের কথাটা। অথবা দ্রৌপদী যদি পাঁচ স্বামীর মনরক্ষা না করে চলত? ঊর্মিলা যদি নিজের মর্জিমাফিক সিদ্ধান্ত নিত লক্ষ্মণের মতামতের তোয়াক্কা না করেই। আর গান্ধারী যদি তাঁর চাঁদের আলোর মতো স্নিগ্ধ মায়াবী প্রশান্ত চোখ দুটোকে না বেঁধে স্বপ্নিল এই পৃথিবীর রূপ-রং চুটিয়ে উপভোগ করতেন, কেমন হতো তাহলে? নাহ্‌, ঩নিছক কল্পনাটুকুই সার।
সীতা, মন্দোদরী, মাধবী, দ্রৌপদী বা তারাকে তো সেই অপমান আর অধর্মকে সহ্য করে যেতেই হয়েছিল। বিজয়া রাজা বিজিত রাজার থেকে উপঢৌকন হিসেবে নারীকে লাভ করবে, নারী ইচ্ছেমতো ব্যবহৃত হবে অথবা উপেক্ষার আগুনে ঝলসে যাবে এটাই তো নীতি। এই তো ধর্ম। এটাই দস্তুর, জীবনের নানা কঠিন পরিবেশ পরিস্থিতিতে যুগ যুগ ধরে চলে আসা রীতি ও সংস্কারই মেয়েদের বাধ্য করেছে অপমানের দগদগে ক্ষত নিয়ে বাঁচতে। নারীর জন্য সেখানে কোনও সমাজ নেই, পায়ের নীচে মাটি নেই। কোনও পুরুষ দয়িত, পিতা, ভ্রাতা কেউ নেই।
সুদীর্ঘ মহাভারতের চরিত্রে বৈচিত্র্যময়তার মাঝে আরেক নারী কুন্তীও কিন্তু পাণ্ডুর অপারগতা সত্ত্বেও পাণ্ডুর কথাতেই দেবসঙ্গম করেছিলেন। স্ব-ইচ্ছায় নয়। এবং অবশ্যই তা ছিল অনিচ্ছুক সহবাস। দ্রৌপদী চিরকাল অর্জুনকে ভালোবাসলেও পাঁচ স্বামীকেই মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। দুঃখ সাগরে ডুবে থাকা তারা ও মন্দোদরীকে স্বামীর হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীকে পুরুষের দেওয়া বিধান হিসেবে জীবনে মেনে নিতে হয়েছিল। নিষ্ঠুর স্বার্থপর বহুগামী পুরুষকে দুনিয়ার সব কিছু ত্যাগ করে বেঁচে থাকার আর্তি নিয়ে বাঁচতে হয়েছিল। দুঃসহ যন্ত্রণা আর শাণিত অপমান গিলে নিতে হয়েছিল। পুরাণের কাহিনীতে আজও চাপা পড়ে আছে নারীর বেঁচে থাকার দুঃখ-ইতিহাস। একক এবং সহস্র— অশ্রু আর আগুন। যার শুরু আছে শেষ নেই।
তনুশ্রী কাঞ্জিলাল মাশ্চরক 
29th  June, 2019
সমাজের পিছিয়ে পড়া মহিলা ও বাচ্চাদের মুখে হাসি দেখতে চাই : রাখী বসু 

ছোটবেলা থেকেই সমাজের জন্য কাজ করার স্বপ্ন দেখতেন রাখী। স্বপ্ন ছিল তার হাত ধরে সমাজের পিছিয়ে পড়া বাচ্চারা আর অসহায় মহিলারা মাথা তুলে দাঁড়াবে। তারা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে। ছোটবেলায় দেখা স্বপ্ন আরও প্রগাঢ় হল, যখন তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর পুত্রবধূ হয়ে এলেন। 
বিশদ

06th  July, 2019
নারীমুক্তি আন্দোলনে কবি সুফিয়া কামাল 

বিংশ শতাব্দীর নারীমুক্তি আন্দোলনে এক অনন্য স্থান অধিকার করে আছেন মহিলা কবি সুফিয়া কামাল। পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনেও তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ এক স্মরণীয় কীর্তি। 
বিশদ

06th  July, 2019
মাহেশে জগন্নাথদেবের মূর্তি প্রতিষ্ঠাতা 

চতুর্দশ শতাব্দীতে সন্ন্যাসী ধ্রুবানন্দ প্রতিষ্ঠিত তিনটি বিগ্রহ জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরামের পুজো আজও শ্রীরামপুরে মাহেশের মন্দিরে হয়ে আসছে। বলা বাহুল্য, ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী হলেন সেই সিদ্ধপুরুষ যিনি সর্বপ্রথম বঙ্গভূমিতে ভগবান শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের পুজোর প্রবর্তন করেন। তাঁর ভক্তি ও জগন্নাথ সাধনার কথা জগৎ বিখ্যাত। তিনিই মাহেশে জগন্নাথদেবের মূর্তি স্থাপন করেন। রথের মরশুমে সেই সাধনার আখ্যানই শুনিয়েছেন দীপক বসু।
 
বিশদ

06th  July, 2019
নারীদের জন্য ভয়ঙ্কর দেশ অস্ট্রেলিয়া 

অল্প কিছুদিন আগে এক তরুণীর হত্যাকাণ্ডের খবরে দারুণ ধাক্কা খেয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার মানুষ। তিনি মেলবোর্ন শহরে হেঁটে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে নিহত হন। একুশ বছর বয়সি ইজরায়েলি এই তরুণীর নাম আয়া মাসারভি। তার মৃত্যুর ঘটনা অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে।  
বিশদ

29th  June, 2019
১৯ বছরের রাখি দত্ত নিজের
লিভার দিয়ে বাঁচালেন বাবাকে 

বাবার বয়স ৬৫। কিছুদিন ধরেই পেটে ব্যথা হতো, কিছু খেতে পারতেন না। হাসপাতালে ভর্তির পর পরীক্ষায় ধরা পড়ল তিনি লিভারের কঠিন রোগে আক্রান্ত। সুস্থ করে তুলতে হলে লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে। কিন্তু কে দান করবে লিভার? এগিয়ে এলেন একমাত্র মেয়ে রাখি দত্ত।  
বিশদ

29th  June, 2019
ফেসবুকের মেয়ে 

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট খুলে দিয়েছে এক নতুন দিগন্ত। সম্পর্ক বিস্তারের জালপাতা যেন ভুবন জুড়ে। ওয়েব নেট থেকে জালের ফাঁদে। বন্দি আজ আবালবৃদ্ধবণিতা। সামাজিক বাধা-নিষেধ নেই। সম্পর্কের উন্মুক্ত আবহাওয়ায় গা ভাসিয়ে দাও।  
বিশদ

29th  June, 2019
বাজে খবরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন প্রিয়াঙ্কা

 বেশ কিছুদিন প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরির পর গতবছরের শেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। তবে সম্প্রতি শোনা যাচ্ছিল তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের গুজব। তবে এই গুজবের দাঁত ভাঙা জবাব দিলেন প্রিয়াঙ্কা।
বিশদ

22nd  June, 2019
চা বিক্রেতা বাবার বিচারক মেয়ে

 আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী একসময় চা বিক্রি করতেন। এবার এক চা বিক্রেতার মেয়ে দেশের আদালতের বিচারক হলেন। পাঞ্জাবের জলন্ধরের এক আদালত চত্বরে চা বিক্রি করে সংসার চালানো সুরেন্দ্র কুমার নামে এক ব্যক্তি। তাঁর মেয়ে ওই কোর্টেরই বিচারক হলেন।
বিশদ

22nd  June, 2019
দীপিকার অভিনয়ে লক্ষ্মীর সংগ্রাম

বলিউডে সাহসী নারীদের তালিকায় নিশ্চিতভাবেই প্রথম সারিতে নাম থাকবে দীপিকা পাড়ুকোনের। এবার বড় পর্দায় একজন অ্যাসিড আক্রান্ত নারীর চরিত্রে অভিনয় শুরু করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবির ফার্স্ট লুক প্রকাশ করেছেন তিনি। ভক্তরা সেই ছবি দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন।
বিশদ

22nd  June, 2019
বিস্মৃতপ্রায় সমসাময়িক কিছু
মহিলা সাহিত্যিক

আগে যখন আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে প্রথাগত শিক্ষার অভাব ছিল তখন অনেকেই কিন্তু ঘর সংসারের ফাঁকে ফাঁকেই সাহিত্যসাধনা চালাতেন। বাস্তব নিয়ে সেইসব মহিলা সাহিত্যিকদের আবেগঘন সৃষ্টি পাঠকসমাজকে একসময় অভিভূতও করে তুলেছিল। কিন্তু আজ তাঁরা বিস্মৃত প্রায়। তাঁদেরই মধ্যে কয়েকজনের কথা বলি।
সাহিত্যিক নিরুপমা দেবী দু’জন ছিলেন। নিরুপমা দেবী (১) ও নিরুপমা দেবী (২)।
বিশদ

22nd  June, 2019
 কন্যাভ্রুণ হত্যা ও আইন

কন্যা সন্তান কি আজও আতঙ্ক জাগায়? বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় যেখানে উন্নতিই মানব জীবনের একমাত্র লক্ষ্য সেখানেও কি কন্যাসন্তান বাবা মায়ের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে? না হলে বারবার খবরে কন্যাভ্রূণ হত্যার কথা, কন্যাসন্তান জন্মানোর অপরাধে মায়েদের উপর নির্যাতনের কথা উঠে আসবে কেন? তবে কি এই উন্নত সমাজেও কন্যাসন্তান এক দায়?
বিশদ

22nd  June, 2019
ভারতের গুগ্‌ল প্রধান এখন ময়ূরী কঙ্গো

 ‘পাপা ক্যাহতে হ্যায়’ ছবিতে যুগল হংসরাজের নায়িকা হয়েছিলেন ময়ূরী কঙ্গো। গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষে ‘ঘর সে নিকালতে হি’ গানটিতে তাঁকে খুব পছন্দ করেছিলেন বলিউডপ্রেমীরা। কিন্তু ২০০০ সালের পর হুট করে অভিনয় ছেড়ে দেন তিনি। সম্প্রতি আবার ভারতে ফিরে এসেছেন ময়ূরী।
বিশদ

15th  June, 2019
 ইতিহাসে নিজের ঠাঁই করে নিলেন কেটি বাউম্যান

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ২৯ বছর বয়সি কম্পিউটার বিজ্ঞানী কেটি বাউম্যানের আপলোড করা ব্ল্যাক হোলের ছবি। ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের প্রথম ছবি লেন্সবন্দি করার পেছনে রয়েছেন কেটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেটির ছবি পোস্ট হওয়ার পর ব্যাপক সাড়া পড়ে।
বিশদ

15th  June, 2019
 নারী কর্মীরাই ভোট পরিচালনায় বেশি দক্ষ

ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে নারীরাই কি বেশি দক্ষ? আমাদের দেশে এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ শেষে পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরায় এ প্রশ্নই এখন মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। কারণ, সম্পূর্ণ নারীদের দ্বারা পরিচালিত বুথগুলোর বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক দলেরই কোনও অভিযোগ নেই।
বিশদ

15th  June, 2019
একনজরে
 ওয়াশিংটন, ১১ জুলাই (এএফপি): শরণার্থী এক মহিলার দুগ্ধপোষ্য শিশুকন্যার মৃত্যুতে কাঠগড়ায় উঠল মার্কিন প্রশাসন। নিন্দায় সরব হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের একাধিক সদস্যও। ...

 বিএনএ, চুঁচুড়া: ডাক্তারের গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার রোগীর বাড়ির লোকজন বিক্ষোভ দেখালেন পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। অবিলম্বে ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করতে হবে বলে তাঁরা দাবি করেন। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদ জানাতে দিল্লিতে বিধায়কদের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের পরিবর্তনের দাবিতে আনা একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই ...

  সংবাদদাতা, ইসলামপুর: বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে ইসলামপুর পুরসভার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। এদিন দুপুরের পর বৃষ্টি কমলেও আকাশ মেঘলাই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
১৮২৩ সালের এই দিনে ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৮৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
১৯২১: মঙ্গোলিয়ায় গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করল লাল ফৌজ
১৯৩০ সালের এই দিনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ডন ব্রাডম্যান এক দিনে ৩০৯ রান করার রেকর্ড করেন, পরে টেস্ট ম্যাচে তা ৩৩৪ রানের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছিল।
১৯৫৬: সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষের জন্ম
১৯৬২: প্রথম ট্রান্সআতলান্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু হল
১৯৬৭: সাহিত্যিক ঝুম্পা লাহিড়ির জন্ম
১৯৭২: বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম খেলা ববি ফিশার ও বরিস স্পাসকির মধ্যে শুরু হল
১৯৭৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্কাইল্যাব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। সেটিকে ভারত মহাসাগরে ফেলে ধ্বংস করা হয়।
২০০৬: মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০৯জনের মৃত্যু
২০১২: আবিষ্কার হল প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ এস/২০১২ পি ১

11th  July, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৫৫ টাকা ৬৯.২৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.১০ টাকা ৮৭.২৪ টাকা
ইউরো ৭৫.৬৬ টাকা ৭৮.৫৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,২০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৩,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ৪৮/৪০ রাত্রি ১২/৩১। বিশাখা ২৭/১৪ দিবা ৩/৫৭। সূ উ ৫/৩/১৩, অ ৬/২০/৫৩, অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/২২ গতে ১১/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে।
২৬ আষাঢ় ১৪২৬, ১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, একাদশী ৫৩/৮/৩৭ রাত্রি ২/১৮/৩৩। বিশাখানক্ষত্র ৩৪/৮/৪১ সন্ধ্যা ৬/৪২/৩৪, সূ উ ৫/৩/৬, অ ৬/২৩/৬, অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৩/৬ গতে ১০/৩/৬ মধ্যে, কালবেলা ১০/৩/৬ গতে ১১/৪৩/৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৯/৩/৬ গতে ১০/২৩/৬ মধ্যে।
৮ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বৃষ: কোনও উচ্চতর পদের জন্য ডাক আসবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮২৩: কলকাতা বন্দর থেকে ছাড়ল ভারত নির্মিত প্রথম বাষ্পচালিত জাহাজ ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজাবাজারে গুলি চালনার ঘটনায় ধৃত ১ 

06:47:00 PM

চৌবাগা খালে বাস উল্টে জখম বেশ কয়েকজন 

06:32:34 PM

মুর্শিদাবাদের প্রদীপপাড়ায় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে গুলি করে খুন

04:06:59 PM

৮৭ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:59:16 PM