মা হওয়া আনন্দের। কিন্তু সুন্দর অভিজ্ঞতার সঙ্গেই অনেক মা শিকার হন প্রসবোত্তর বিষণ্ণতার। সমস্যা ও সমাধানের খোঁজে ডঃ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিশুকে মনোযোগী করে তুলুন একদম ছোট বয়স থেকেই। কীভাবে? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ শোনালেন কমলিনী চক্রবর্তী।
শুধুমাত্র ফল খেয়ে কি বেঁচে থাকা সম্ভব? তাও আবার যে কোনও একটি ফল? এ নিয়ে তর্ক হতেই পারে। তবে পরীক্ষিত সত্য, একটিমাত্র ফল খেয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব। তা প্রমাণ করলেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা অ্যান অসবোর্ন। টানা ৪০ দিন কমলালেবু খেয়ে বেঁচে রয়েছেন তিনি।
মহিলাদের সমানাধিকারের দাবি ভারতে নতুন নয়। তাকে মান্যতা দিতেই চলতি লোকসভা নির্বাচনে কান্নুরের মাহে বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথ সামলাবেন মহিলা কর্মীরা। প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, পুলিস, বয়ঃজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের সাহায্যকারী হিসেবে ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের স্বেচ্ছাসেবক— সব বিভাগই সামলাবেন মহিলারা।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় স্তরের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফল। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন গত মঙ্গলবার ফলপ্রকাশ করে। এ বছর এই পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন একজন মহিলা। তেলেঙ্গানার ডোনুরু অনন্যা রেড্ডি।
প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড ও বলিউড অভিনেত্রী অদিতি গোভিত্রিকর, রোলি ত্রিপাঠী, নিতু সাহা, টলিউড অভিনেত্রী মৌবনী সরকার সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ট্রানিসটিক্স ডাটা টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড-এর পৃষ্ঠপোষকতায়
বৈশাখ পয়লার আগে স্মৃতি রোমন্থনে অম্লানকুসুম চক্রবর্তী। 
ক্যালেন্ডার বাংলা হোক বা ইংরেজি, এটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তু। তবে বর্তমান সময়ে বাংলা ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব অনেক হ্রাস পেয়েছে। কারণ বোধহয় এই ক্যালেন্ডার অনেকেই দেখতে বা পড়তে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখলেন অন্বেষা দত্ত।
১৯৩০-এর ৬ এপ্রিল সমাপন হয় ডান্ডি অভিযান। লবণ সত্যাগ্রহের সেই পদযাত্রার হাত ধরেই আসে আইন অমান্য। বিপ্লবীরক্ত চলকে ওঠে দেশ জুড়ে। তেমনই এক নেত্রী কটকের বিমলপ্রতিভা দেবী। আমরা তাঁকে ভুলতে বসলেও ভোলেনি ইতিহাস। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
‘স্ট্রাগল’ শব্দটার সঙ্গে ছোট থেকে পরিচয় বিদিশা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মেয়ে হিসেবে জন্মের পর থেকেই লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে, একথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মা। কলকাতায় স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করা বিদিশা এমন পরিবারে বড় হয়েছেন, যেখানে চাকরি করাটাই ছিল সাফল্য!
যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। সাবিত্রী জিন্দাল এই উপমার আদর্শ উদাহরণ। ফোর্বসের প্রকাশিত তালিকায় ভারতের সবথেকে ধনী মহিলা সাবিত্রী। তাঁর বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
জোরায়া টের বেকের বয়স ২৮। নেদারল্যান্ডসের একটি ছোট গ্রামে থাকেন। এই ডাচ তরুণী আইনের সাহায্য নিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিতে ইচ্ছুক। এমন খবর শিরোনামে আসতেই জোরায়াকে নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে নানা মহলে।
চলছে নতুন বিভাগ ‘তর্ক বিতর্ক’। সন্তানের মোবাইল ব্যবহারের নেপথ্যে বাবা-মা। — এই মতের পক্ষে ও বিপক্ষে পাঠকদের মতামত বেছে নিয়েছি আমরা। পরের পর্বে আপনিও জানাতে পারেন আপনার মতামত।
কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুরুষের দ্বারা নানাভাবে নির্যাতিত নারীরা গড়ে তুলেছেন জিনওসার গ্রাম। সেখানে পুরুষের প্রবেশ নিষেধ। তাই নিশ্চিন্তে জীবনটা কাটাতে পারছেন তাঁরা। জিনওসার গ্রামটা পেরলেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়া। সেখানে আইএস জঙ্গিদের কালো পতাকা আর ঘন ঘন গ্রেনেডের হুঙ্কারে জনপদ কার্যত শূন্য। এর মধ্যেই নিজেদেরকে নিজেরা নিরাপত্তা দিয়ে তৈরি করেছে সুরক্ষিত গ্রাম। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কুর্দিশ এলাকা লাগোয়া এই জিনওসার গ্রামের সব বাসিন্দাই নারী।
জিনওসার গ্রামের প্রত্যেক মেয়ের জীবনেই রয়েছে এক একটি মর্মান্তিক ঘটনা। কেউ জঙ্গিদের হাতে দীর্ঘদিন যৌনদাসী হয়ে বর্বরোচিত অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছেন। কারও স্বামীকে সামনেই খুন করা হয়েছে। কেউ বা জঙ্গি হামলায় পরিবারের সবাইকে খুইয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়েছেন। কেউ আবার দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার হয়ে মা হওয়ার সম্ভবনা হারিয়েছেন। জীবনের ঘটনা যাই হোক না কেন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এক সরলরেখায় তাঁরা যে অত্যাচারিত এবং অবহেলিত আজ সেটা কোনও রাখঢাক না করেই বলছেন ওই গ্রামের মহিলারা।
সেখানকার বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সি জয়নব গাবারী বলেন, ‘আমাদের জীবনে কোনও পুরুষের প্রয়োজন নেই। আমরা এখন বেশ ভালো আছি। যে সমস্ত মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান, তাঁদের জন্য এটা আদর্শ স্থান।’ মেয়েরা চাইলে কী না করতে পারে? জিনোসার গ্রামের কিছু সর্বহারা স্বল্পশিক্ষিত মহিলা তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখানকার সব মেয়েই এই ভাবনায় বিশ্বাসী। আর সেই ভাবনাকে কাজে লাগিয়েই তাঁরা তৈরি করেছেন নিজেদের শান্তির গ্রাম।
জিনওসার গ্রামে ঢোকার পথে সামনের ফটকে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে থাকে বেশ কয়েকজন মহিলা। তারা আইএস পতাকাধারীদের হামলা রুখতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দিচ্ছেন। কৃষিকাজ থেকে স্কুলে পড়ানো সব কাজে পারদর্শী এরা। স্থানীয় মহিলা এবং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে এই গ্রামখানি।
গ্রামের বাড়িগুলোর দেওয়ালে দেওয়ালে আঁকা আছে নারীদের বীরত্বের নানা কাহিনী। শরণার্থী হয়ে না পালিয়ে আইএস জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। স্বামী হারানো ৩৫ বছরের আমিরা মহম্মদ বলেন, ‘নারী ছাড়া স্বাধীনতা পাওয়া যায় না। যতদিন না নারীরা শিক্ষিত হচ্ছে এই সমাজও ততদিন স্বাধীন হতে পারবে না।’ এই গ্রামের মহিলারা অধিকাংশই কৃষিজীবী।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার গা ঘেঁষে তৈরি হয়েছে পুরুষবিহীন শান্তির গ্রাম জিনোসার।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, জি নিউজ
জিনওসার গ্রামের প্রত্যেক মেয়ের জীবনেই রয়েছে এক একটি মর্মান্তিক ঘটনা। কেউ জঙ্গিদের হাতে দীর্ঘদিন যৌনদাসী হয়ে বর্বরোচিত অত্যাচারের মুখোমুখি হয়েছেন। কারও স্বামীকে সামনেই খুন করা হয়েছে। কেউ বা জঙ্গি হামলায় পরিবারের সবাইকে খুইয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়েছেন। কেউ আবার দিনের পর দিন ধর্ষণের শিকার হয়ে মা হওয়ার সম্ভবনা হারিয়েছেন। জীবনের ঘটনা যাই হোক না কেন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এক সরলরেখায় তাঁরা যে অত্যাচারিত এবং অবহেলিত আজ সেটা কোনও রাখঢাক না করেই বলছেন ওই গ্রামের মহিলারা।
সেখানকার বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সি জয়নব গাবারী বলেন, ‘আমাদের জীবনে কোনও পুরুষের প্রয়োজন নেই। আমরা এখন বেশ ভালো আছি। যে সমস্ত মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান, তাঁদের জন্য এটা আদর্শ স্থান।’ মেয়েরা চাইলে কী না করতে পারে? জিনোসার গ্রামের কিছু সর্বহারা স্বল্পশিক্ষিত মহিলা তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখানকার সব মেয়েই এই ভাবনায় বিশ্বাসী। আর সেই ভাবনাকে কাজে লাগিয়েই তাঁরা তৈরি করেছেন নিজেদের শান্তির গ্রাম।
জিনওসার গ্রামে ঢোকার পথে সামনের ফটকে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে থাকে বেশ কয়েকজন মহিলা। তারা আইএস পতাকাধারীদের হামলা রুখতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দিচ্ছেন। কৃষিকাজ থেকে স্কুলে পড়ানো সব কাজে পারদর্শী এরা। স্থানীয় মহিলা এবং আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে এই গ্রামখানি।
গ্রামের বাড়িগুলোর দেওয়ালে দেওয়ালে আঁকা আছে নারীদের বীরত্বের নানা কাহিনী। শরণার্থী হয়ে না পালিয়ে আইএস জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। স্বামী হারানো ৩৫ বছরের আমিরা মহম্মদ বলেন, ‘নারী ছাড়া স্বাধীনতা পাওয়া যায় না। যতদিন না নারীরা শিক্ষিত হচ্ছে এই সমাজও ততদিন স্বাধীন হতে পারবে না।’ এই গ্রামের মহিলারা অধিকাংশই কৃষিজীবী।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার গা ঘেঁষে তৈরি হয়েছে পুরুষবিহীন শান্তির গ্রাম জিনোসার।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, জি নিউজ
সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়
