বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
প্রিয় অভিনেতা: অমিতাভ বচ্চন
প্রিয় অভিনেত্রী: রেখা, দীপিকা পাড়ুকোন
প্রিয় শিল্পী: অনিশ কাপুর সহ
আরও অনেকে
প্রিয় সিনেমা: যব উই মেট
হবি: বই পড়া, ঘোরা,
ট্রেক করা, সিনেমা দেখা
প্রিয় খাবার: খিচুড়ি
প্রিয় ফুল: গোলাপ
প্রিয় ফল: স্ট্রবেরি
প্রিয় বন্ধু: আমার স্বামী আদিত্য
প্রিয় রং: লাল
আমার দুই মেয়ে
স্মরণীয় মুহূর্ত: যেদিন কলেজ
যাওয়া শুরু করল
জীবনের সংজ্ঞা: আই বিলিভ ইন
সেরিনটি প্রেয়ার।
কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটি, সংক্ষেপে কেসিসি (KCC) সৃষ্টিশীলতার অন্য নাম। কলকাতার ই এম বাইপাসের কাছেই সত্তর হাজার বর্গফুট জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে এই সেন্টার। যেখানে শিল্পের আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে। ভাস্কর্য, পেন্টিং, সেরামিকের কাজ, ফোটোগ্রাফির মতো শৈল্পিক কাজগুলি যেমন আছে, ঠিক তেমনি এর সঙ্গে নাচ গান বা খাবারের মতো বিষয়গুলিও এখানে আছে। আর সব বিষয়গুলি অর্থাৎ শিল্পের সমস্ত ধরনের বিষয়কে একই ছাদের তলায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা যার মস্তিষ্ক প্রসুত, তিনি হলেন রিচা আগরওয়াল। ইমামি আর্টের কর্ণধার শ্রী আর.এস. আগরওয়াল এর সুযোগ্য পুত্রবধূ।
ছোটবেলায় রিচার ছুটিগুলি তার তুতো ভাইবোন আর দিদিমা ঠাকুমার সঙ্গের কাটাত। সেই সময় তারা পেন্টিং করতেন, ক্রাফ্ট শিখতেন। এই সময় থেকেই বিভিন্ন ধরনের শিল্পকে ভালোবাসতে শুরু করেছিলেন রিচা। উটির কোয়েম্বটর (Coimbatore) কলেজে পড়াকালীন বিয়ে হয়ে যায় আদিত্য আগরওয়ালের সঙ্গে। বিয়ের পর কমার্স নিয়ে গ্যাজুয়েশন শেষ করেন রিচা। যেহেতু একটি ব্যবসায়িক পরিবারে তার বিয়ে হয়, সেহেতু সবসময় তার মাথায় ঘুরতো কিছু না কিছু করতেই হবে। আর সেটা হবে একদমই অন্যধরনের কিছু। এরপর শ্বশুরবাড়ির উৎসাহে ইমামি গ্রুপে যোগ দেন রিচা। আর এর পরেই জন্ম নেয় কেসিসি, অর্থাৎ কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটির।
‘বহু মানুষ এখানে এসে বিখ্যাত শিল্পীদের কাছ থেকে, তাদের শিল্প নিয়ে আলোচনা অথবা তাদের কাছ থেকে কাজ শিখে নেওয়ার স্বপ্ন সার্থক করতে পারবে।
এছাড়াও এখান থেকে নিজের পছন্দমতো শিল্প সংক্রান্ত জিনিস কেনারও সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে— বললেন এই সংস্থার ডিরেক্টর রিচা। রিচাকে এই ব্যবসা করার উৎসাহ দিয়েছিলেন এই সংস্থার অন্যতম কর্ণধার আরএস আগরওয়াল এবং যুগ্ম চেয়ারম্যান আরএস গোয়েঙ্কা। আর এখন রিচার স্বামী আদিত্যও রিচার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
রান্না করা, পোশাক পড়া, কথা বলা সবকিছুর মধ্যেই শিল্প খুঁজে পান রিচা। আর তাই রান্না করা রিচার ভালোবাসার মধ্যেই পরে। রিচার হাতের রান্না তার বাড়ির সকলেরই খুব পছন্দের। একদিকে যৌথ পরিবার আর একদিকে ব্যবসা দুটোই দক্ষ হাতে সামলান রিচা। এটা একধরনের টাইম ম্যানেজমেন্ট বলেই মনে করেন তিনি। তার মধ্যে একটা মেয়েকে বাড়িতে গৃহবধু, মেয়ে, বউমা, মা এর ভূমিকা যেমন পালন করতে হয়। ঠিক তেমনি অফিসে বস এবং কর্মচারী সব ভূমিকায় কাজ করতে হয়। আর দু’দিকে সামাল দিতে মেয়েরা সবসময়ই পারদর্শী।
কেসিসি হচ্ছে রিচার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান রিচা। আর সেকথা মাথায় রেখেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য মেম্বারশিপ চালু করছেন তারা। ‘যাদের মেম্বারশিপ থাকবে তারা এখানে অনুষ্ঠিত সমস্ত ইভেন্টে যোগদান করার সুযোগ পাবে। ইভেন্টগুলিতে আন্তর্জাতিক খ্যতি সম্পন্ন শিল্পীরা উপস্থিত থাকবেন এবং ছাত্রছাত্রীরা এদের কাছ থেকে কিছু শেখার সুযোগও পাবে—বললেন রিচা। রিচার স্বপ্ন কেসিসি আগামী দিনে বিশ্বের দরবারে খ্যাত হবে বলেই আশা রাখেন রিচা।