Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

স্বামীজির চোখে নারীজাতি 

ভারতবর্ষ তথা এই উপমহাদেশ নারীজাতির প্রতি সুপ্রাচীনকাল থেকেই পরম শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছে। বেদের যুগে এই উপমহাদেশ নারীর প্রতি যে সম্মান জ্ঞাপন করত তা ছিল পূজার যোগ্য। পরবর্তীকালে নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে নারী জাতির অবস্থার অবনতি ঘটে।
বর্তমানকালে নারী জাগরণে সর্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন উনিশ শতকের নবজাগরণের পথ-প্রদর্শক রাজা রামমোহন রায়। সমাজ সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা-বিবাহের প্রচলন করলেন। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর রচিত দেবীচৌধুরানী চরিত্র মানসিক দৃঢ়তায় ও সাহসিকতায় পুরুষের তৈরি গণ্ডিকে অতিক্রম করতে সাহস দেখালেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘সবলা’ কবিতায় দৃঢ় ভাষায় নারীর অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করার দাবি জানালেন ঠিক এইভাবে—
‘নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার
কেহ নাহি দিবে অধিকার—
হে বিধাতা
নত করি মাথা
পথপ্রান্তে কেন রব জাগি
ক্লান্ত ধৈর্য প্রত্যাশার পূরণের লাগি
দৈবাগত দিনে?’
মানবদরদী শরৎচন্দ্র তাঁর নারী চরিত্রগুলির মানসিক উন্নতিসাধনে সচেষ্ট হলেন। প্রকৃতপক্ষে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের হাত ধরেই নারী আন্দোলন তার সার্বিক রূপ পায়। শ্রীরামকৃষ্ণ অবতারের একটি বিশেষ অবদান হল নারীর মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করে তাদের আত্মনির্ভর করে তোলা। তাঁর এই নারী জাগরণের সূচনা শৈশবকালে কামারপুকুর থেকেই। শাস্ত্রীয় আলোচনা, ভক্তিগীতি, যাত্রা, কবিগান সবকিছুর মাধ্যমে পল্লীর নারীজাতিকে তিনি আত্মসচেতন করে তুলেছিলেন। নারীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তুচ্ছ করেছিলেন জাতিভেদ প্রথাকে। তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দিয়েছিলেন ধনী কামারনীকে ভিক্ষে মা’র আসনে অধিষ্ঠিত করার মধ্যে। তাঁরই পবিত্র অধ্যাত্মশক্তির ছোঁয়ায় নটী বিনোদিনীর চেতনা জাগ্রত হয়েছিল। এছাড়া নিজের স্ত্রীকে ষোড়শী পূজা করে তিনি ভারতীয় নারীত্বের অতি উচ্চ আদর্শকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন।
স্বামীজি তাঁর গুরুভাই স্বামী বিজ্ঞানানন্দকে একবার বলেন, ‘মাতৃশক্তিই হচ্ছে সমস্ত শক্তির কেন্দ্রবিন্দু। এই শক্তিরই এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সে এই দেশেই হোক বা অন্য দেশেই হোক। দেখছ না শ্রীশ্রীমা সেই ঘুমন্ত শক্তিকে জাগ্রত করবার জন্য এসেছেন। এ তো সবে শুরু, সমস্ত পৃথিবীতে এই মাতৃশক্তি কালে এক বিরাট রূপ নেবে।’ ‘স্বামীজির চোখে পতিতা নারীও ছিলেন মহামায়ার অংশ স্বরূপিণী। তাঁর সমস্ত উপদেশের মূলমন্ত্র হল আত্মতত্ব বা মানুষের অন্তনির্হিত দেবত্বের উদ্বোধন। তিনি বিশ্বাস করতেন নারী ও পুরুষ দু’জনেরই এই আত্মজ্ঞান লাভ করার সমান অধিকার আছে। তিনি বলেছেন, অতএব পুরুষ যদি ব্রহ্মজ্ঞ হতে পারে তো মেয়েরা তা হতে পারবে না কেন? তাই বলছিলুম মেয়েদের মধ্যে একজনও যদি কালে ব্রহ্মজ্ঞ হন, তবে তার প্রতিভায় হাজারো মেয়ে জেগে উঠবে এবং দেশের ও সমাজের কল্যাণ হবে।’ নারী জাতির মধ্যে এই আদর্শের পূর্ণত্বের চরম বিকাশ হল মাতৃত্ব এবং সতীত্ব। স্বামী বিবেকানন্দ নারীর জায়া রূপকে অস্বীকার করেননি কিন্তু জননী রূপকেই সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতে নারীর আদর্শ মাতৃত্বে—সেই অপূর্ব, স্বার্থশূন্য সর্বংসহা নিত্য ক্ষমাশীলা জননী।’ তিনি পাশ্চাত্য নারীর শক্তিরূপকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন কিন্তু সেই সঙ্গে পাশ্চাত্যের জীবনধারাকে উপলব্ধি করে বুঝেছিলেন ভারতের স্বাতন্ত্র্য কোথায় এবং ভারতীয় নারীর শক্তিরূপ কীভাবে জাতির পক্ষে কল্যাণজনক হয়ে উঠতে পারে।
‘হে ভারত, ভুলিও না—তোমার নারী জাতির আদর্শ সীতা, সাবিত্রী, দময়ন্তী।’
সীতা সহিষ্ণুতার প্রতীক। সাবিত্রী সাহসিকতার প্রতীক, কারণ তিনি মৃত্যু দেবতার মুখোমুখি হয়ে মৃত্যুকে জয় করেছিলেন। আর দময়ন্তী মানবতার প্রতীক—তাঁর স্বয়ম্বর সভায় উপস্থিত দেবতাদের প্রত্যাখ্যান করে একজন মানুষকে তিনি বরণ করেছিলেন।
পাশ্চত্য দেশীয় নারীদের আত্মনির্ভরশীলতা, গুণাবলী, বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা, মানসিক উদারতা ইত্যাদি স্বামীজিকে মুগ্ধ করে। নিঃসম্বল, নিঃসহায় অবস্থায় যখন তিনি আমেরিকায় উপস্থিত হন তখন সেখানকার মহিলাগণ যেভাবে তাঁর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তা স্বামীজি আজীবন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। তাঁর এক ভক্ত হরিপদ মিত্রকে তিনি লেখেন, ‘এ দেশের (আমেরিকার) স্ত্রীদের মতো স্ত্রী কোথাও দেখি নাই। সৎ পুরুষ আমাদের দেশেও অনেক, কিন্তু এদেশের মেয়েদের মতো মেয়ে বড়ই কম। এদের কত দয়া! যতদিন এখানে এসেছি, এদের মেয়েরা বাড়িতে স্থান দিচ্ছে, খেতে দিচ্ছে—লেকচার দেবার বন্দোবস্ত করে, সঙ্গে করে বাজারে নিয়ে যায়, কি না করে বলতে পারি না। শত শত জন্ম এদের সেবা করলেও এদের ঋণমুক্ত হব না। এদের মেয়েরা কি পবিত্র! ২৫ বৎসর ৩০ বৎসরের কমে কারুর বিবাহ হয় না। আর আকাশের পক্ষীর ন্যায় স্বাধীন। বাজার হাট, রোজগার, দোকান, কলেজ—সব কাজ করে, অথচ কি পবিত্র! যাদের পয়সা আছে, তারা দিনরাত গরিবদের উপকারে ব্যস্ত!’ এরা রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী, আমি এদের পুষ্যিপুত্তর, এরা সাক্ষাৎ জগদম্বা, বাবা! এইরকম মা জগদম্বা যদি ১০০০ আমাদের দেশে তৈরি করে মরতে পারি, তবে নিশ্চিন্ত হয়ে মরব। ভারতীয় স্ত্রী জাতির শিক্ষিকা ও পথপ্রদর্শকরূপে স্বামীজি ভগিনী নিবেদিতাকে ১৮৯৭ সালের ২৯ জুলাই একটি চিঠিতে লিখেছিলেন—‘ভারতের জন্য বিশেষত ভারতের নারী সমাজের জন্য পুরুষের চেয়ে নারীর একজন প্রকৃত সিংহিণীর প্রয়োজন।’ তাঁর এই আন্তরিক আহ্বান নিবেদিতার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল। তাই তো স্বদেশ, স্বজন, প্রতিষ্ঠা সব বিসর্জন দিয়ে তিনি ভারতের স্ত্রী জাতির উন্নয়নকল্পে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
সমাজের মঙ্গলের জন্য নারীর ভূমিকাকে পুরুষের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করতেন স্বামীজি। তিনি মনে করতেন নারী শক্তির সার্থক উদ্বোধনের উপরই সমাজ, দেশ ও জাতির উন্নতি নির্ভরশীল। স্বামীজি বলেছেন ভারতীয় নারীর সব সমস্যার সমাধান সম্ভব শিক্ষা-নামক শব্দের সেই মন্ত্রটির সাহায্যে। আশ্রমবাসিনী নারীদের শিক্ষার কথায় তিনি বলেছিলেন, মেয়েরা নিজেদের ভাবনাকে মূর্তিরূপ দিক।’ আরও বললেন, ‘কালীকে যে সব সময় একই ভঙ্গীতে থাকতে হবে তার কোনও মানে নেই। তাঁকে নতুন নতুন ভাবে আঁকার কথা ভাবতে তোমার মেয়েদের উৎসাহ দাও, সরস্বতীর একশ রূপ কল্পনা কর।’ একই সঙ্গে স্বামীজি চেয়েছিলেন নারীরা আত্ম-নির্ভরশীলা হবে। সে জন্যও প্রয়োজন শিক্ষা এবং হাতের কাজ অথবা বিভিন্নরকম শিল্পকর্ম-শিক্ষা, লক্ষ্য রাখ প্রত্যেকটি মেয়ে যেন এমন কিছু জানে যাতে দরকার হলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।’
ভবিষ্যৎ যুগের আদর্শ নারী কেমন হবে সেই সম্বন্ধে বিবেকানন্দের কল্পনার একটি সার্থক ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন স্বামীজির সুযোগ্যা শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতা তাঁর The Master As I saw Him’ বইটিতে। আগামী যুগে নারীর মধ্যে বীরোচিত দৃঢ় সংকল্পের সহিত জননীসুলভ হৃদয়ের সমাবেশ ঘটিবে। যে বৈদিক অগ্নিহোত্রাদি পারিপার্শ্বিকি অবস্থার মধ্যে শান্তি ও স্বাধীনতার প্রতীক সাবিত্রীর আবির্ভাব, উহাই আদর্শ অবস্থা, কিন্তু ভবিষ্যৎ নারীর মধ্যে মলয় সমীরের কোমলতা এবং মাধুর্যেরও বিকাশ ঘটিবে।’ শ্রীশ্রীমার নামোল্লেখ না থাকলেও এ কথা উপলব্ধি করা যায় যে শ্রীশ্রীমা সারদাদেবীকে দিশারীরূপে দাঁড় করিয়ে রেখে তিনি তাঁর আদর্শ নারীকে সৃষ্টি করেছেন। স্বামীজি স্বামী যোগানন্দকে গভীর আবেগভরে বলেছিলেন, ‘আমাদের মা আধ্যাত্মিক শক্তির একটি বিশাল আধার, যদিও বাইরে গভীর সমুদ্রের মতো প্রশান্ত। তাঁর আবির্ভাব ভারতের ইতিহাসে এক নব যুগের সূচনা করেছে। যে আদর্শসমূহ তিনি তাঁর জীবনচর্যায় রূপায়িত করেছেন এবং অপরকে আচরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছেন তা শুধুমাত্র ভারতবর্ষের নারীর বন্ধনমুক্তির প্রচেষ্টাকেই অধ্যাত্মরসে সঞ্জীবিত করবে না, সমগ্র পৃথিবীর নারী জাতিকে তা প্রভাবিত করে তাদের হৃদয় ও মানসলোকে অনুপ্রবিষ্ট হবে।’ বর্তমান যুগে বহু অধিকার আয়ত্তে এসেছে নারীর স্বচ্ছন্দে বা সংগ্রামে, ভালোবাসায় বা বিবাদ প্রতিবাদে। তবুও শান্তি এখনও অর্জিত হয়নি। বিবেকানন্দের বাণী ও রচনার মধ্যে আছে শান্তির সুগভীর আশ্বাস—‘ভারত ও ভারতীয় ধর্মে বিশ্বাস কর, তেজস্বিনী হও, আশায় বুক বাঁধো। তোমরা সবাই অমৃতের সন্তান। নারীজাতি তথা সমস্ত মনুষ্য-সমাজের প্রতি বিবেকানন্দের আহ্বান সুন্দরের আহ্বান—পৃথিবীতে সুন্দরের বাণী এসেছে, তুমি তাতে বেসুর লাগিও না। জগতে আনন্দলক্ষ্মীর যে সিংহাসন সে যে শতদল পদ্ম, মত্তকরীর মতো তাকে দলতে যেও না। আপন পূর্ণতাকে উৎসর্গ করে দিয়ে পূর্ণতার ঐশ্বর্য লাভ কর।’
তথ্যসূত্র: স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা, স্বামী শিষ্য সংবাদ, তদেব, The Master as I saw him, প্রবুদ্ধ ভারত।
অসীমকুমার দেব 
ইতিহাসে হরমনপ্রীত 

ইতিহাসে ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত। দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে হেরে গেলেও ভারতের পারফরমেন্স কিন্তু গ্রুপ পর্যায়ে ছিল নজরকাড়া। চার-চারটি ম্যাচ জিতে গ্রুপ শীর্ষে উঠে সেমি-ফাইনালে গিয়েছিল ভারত। ট্রফি না পেলেও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ভারত অধিনায়ক কিন্তু দুর্দান্ত ব্যাট করেন। চেনান নিজের জাতকে। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষে ভারত এবং দলনায়ক হরমনপ্রীত কাউরকে নিয়ে আলোচনা সর্বত্র।  বিশদ

নারী মূল্যায়ণে সাহিত্যিক বাণী রায় শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলী 

বিংশ শতাব্দীতে মেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ পেলেও বহির্জগতে তাঁদের যাতায়াত খুব একটা সুগম ছিল না। তাঁরা ‘মেয়েমানুষ’— এই তকমা তাঁদের গায়ে সাঁটা ছিল। তাঁদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের পথ প্রশস্ত ছিল না। সাহিত্যিক বাণী রায় প্রত্যক্ষতই নিজের চলার পথে সেই সীমানা ভেঙে দিতে পেরেছিলেন।  বিশদ

শীতের জীবিকা 

শীত মানেই কুয়াশাভেজা সকালে লেপের ওম নিতে নিতে গরম চায়ে চুমুক দেওয়া। কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারি না যে, এই শীত কিছু মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের পথ বাতলে দেয়। আমরা তাদের তৈরি জিনিস সারা শীতকাল জুড়ে উপভোগ করি। তেমনই দুটো পেশা নিয়ে আজ আলোচনা করব।  বিশদ

লাঠি হাতে রুখে দাঁড়ান ইথিওপিয়ার নারীরা 

ওরোমো জাতিগোষ্ঠীর নারীরা নিজের রক্ষাকবচ লাঠি হাতে নিয়ে চক্রাকারে ঘুরছে আর নিজেদের ভাষায় গান গাইছে। মুখ দিয়ে বিচিত্র এক শব্দ করছে। মাঝখানে একজন নারী বসে আছেন— এই বিশেষ আচরণের পিছনে রয়েছে বহু পুরনো ইতিহাস। ওরোমো নারীদের যখন বিয়ে হয় তখন তারা এই কাঠের লাঠিটা পেয়ে থাকে তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে। 
বিশদ

05th  January, 2019
অঙ্গদাতা নারী 

সম্প্রতি দেশের পঞ্চম কনিষ্ঠ এবং এ রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ মরণোত্তর অঙ্গদাতা হিসেবে দেশের মানচিত্রে উঠে এল মধুস্মিতা বায়েনের নাম। এর আগে তিরুবনন্তপুরমের ৩ বছরের শিশুকন্যা গত ২ অগাস্ট ২০১৫ সালে লিভার, কিডনি ও কর্নিয়া দান করে সারা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছিল।  
বিশদ

05th  January, 2019
এখন মেয়েরা 

থামতে নয়, চলতে শেখান মনীষা কৈরালা
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী হলেন মনীষা কৈরালা। বলিউডের অন্যসব তারকাদের চেয়ে অনেক দিক দিয়েই আলাদা তিনি। নেপালের শীর্ষস্থানীয় এক রাজনৈতিক পরিবারে তাঁর জন্ম। মিষ্টি হাসির অভিনয়ের জন্য নব্বই দশকের হাজার হাজার তরুণের স্বপ্নের নায়িকা ছিলেন তিনি। 
বিশদ

05th  January, 2019
কন্যা সন্তানের রক্ষায় গুড টাচ ব্যাড টাচ 

শৈশবেই কন্যা সন্তানরা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শিউরে উঠছে গোটা পৃথিবী সহ যাঁর কন্যা সন্তান আছে সেই ‘মা’টি ও। তাই কন্যা সন্তান দায় না হলেও গভীর চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে দিন কে দিন। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার কিছু দিন পর থেকেই মায়ের মাথায় সর্বক্ষণ একটাই দুশ্চিন্তা— মেয়ে সুরক্ষিত কিনা? কন্যা সন্তানকে ছোট থেকেই শেখাতে হয় ‘গুড টাচ’ বা ‘ব্যাড টাচ’-এর গুরুত্ব।  
বিশদ

05th  January, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জামিন অযোগ্য ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা’ জারি হয়েছিল আগে। হুগলির পুরশুড়ায় এক বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সেই কর্তা শেখ সারাফাত আলিকে অবশেষে গ্রেপ্তার করল পুলিস। শুক্রবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশালের সেবির বিশেষ আদালতে তোলা হয়। ...

 সিডনি, ১১ জানুয়ারি: এশিয়ার প্রথম অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের মুকুট সদ্য তাঁর মাথায় উঠেছে। তবু অজিদের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে খেলতে নামার আগে মন ভালো নেই বিরাট কোহলির। চোখে মুখে ধরা পড়েছে বিষণ্ণতার ছাপ। খানিক অপ্রস্তুতও বটে। ...

 ইসলামাবাদ, ১১ জানুয়ারি (পিটিআই): প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ সহ পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-এর একাধিক নেতার বিদেশ ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল পাক সরকার। ...

বিএনএ, চুঁচুড়া: বামেদের ডাকা ধর্মঘটের দিন কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় দলীয় কর্মীকে মারধরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার উত্তরপাড়া থানার কানাইপুর ফাঁড়ি ঘেরাও করল তৃণমূল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় যুব দিবস
১৮৬৩: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম
১৯৩৪: মাস্টারদা সূর্য সেনের ফাঁসি
১৯৫০: কলকাতায় চালু হল চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৬০ টাকা ৭১.২৯ টাকা
পাউন্ড ৮৮.২২ টাকা ৯১.৪৩ টাকা
ইউরো ৭৯.৬৯ টাকা ৮২.৭০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৬৬৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৯৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৪৫৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৯,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৯,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৭তম আবির্ভাব দিবস
২৭ পৌষ ১৪২৫, ১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ষষ্ঠী ৩৯/১৫ রাত্রি ১০/৫। নক্ষত্র- পূর্বভাদ্রপদ ৫/৫০ দিবা ৮/৪৩, সূ উ ৬/২২/৫৮, অ ৫/৬/৩০, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০। বারবেলা ঘ ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/৪ গতে ২/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ঘ ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৩ গতে উদয়াবধি।
আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৭তম আবির্ভাব দিবস
২৭ পৌষ ১৪২৫, ১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ষষ্ঠী রাত্রি ৫/৫১/২৯। উত্তরভাদ্রপদনক্ষত্র অহোরাত্র। সূ উ ৬/২৪/১, অ ৫/৪/৪২, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৭/৬/৪৪ মধ্যে ও ঘ ৭/৪৯/২৮ থেকে ঘ ৯/৫৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫/৪৮ থেকে ২/৫৬/৪২ মধ্যে ও ৩/৩৯/২৫ থেকে ৫/৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪/২২ থেকে ঘ ২/৫০/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ১/৪/৩৩ থেকে ২/২৪/৩৯ মধ্যে, কালবেলা ৭/৪৪/৭ মধ্যে ও ঘ ৩/৪৪/৪৫ থেকে ৫/৪/৫২ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৪৪/৪৬ মধ্যে ও ঘ ৪/৪৪/১৬ থেকে ৬/২৪/১০ মধ্যে।
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। বৃষ: দাম্পত্য জীবনে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
জাতীয় যুব দিবস১৮৬৩: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম১৯৩৪: 'মাস্টারদা' সূর্য সেনের ফাঁসি১৯৫০: ...বিশদ

07:03:20 PM

ভর সন্ধ্যায় শ্যুটআউট পার্কসার্কাসে
ভর সন্ধ্যায় পার্কসার্কাস স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় গুলি করে খুন করা ...বিশদ

09:59:38 PM

কলকাতায় চিতা বাঘের চামড়া সহ ধৃত ২

শনিবার বিকালে উত্তর কলকাতার একটি বাড়ি থেকে চিতা বাঘের চামড়া ...বিশদ

06:20:00 PM

আইলিগ: নেরোকাকে ১-০ গোলে হারাল মোহন বাগান 

04:09:04 PM

পথ দুর্ঘটনায় জখম উঃদিনাজপুরের জেলাশাসক
পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন উঃদিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। তবে ...বিশদ

04:05:22 PM