পুজো এসে গেল। বাঙালির সেরা উৎসবের প্রস্তুতিতে মেতে উঠেছে কলকাতার বিখ্যাত হোটেল ও রেস্তরাঁ। আজ আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গল হোটেলের শেফ প্রমোদ সিংহ জানালেন উৎসবের তোড়জোরের কথা। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। সঙ্গে থাকছে শেফের তৈরি দু’টি ভিন্ন স্বাদের রেসিপি।
ভোগের খিচুড়ি : উপকরণ: গোবিন্দভোগ চাল ২৫০ গ্ৰাম, সোনামুগের ডাল ২০০ গ্রাম, গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা ও তেজপাতা ফোড়নের জন্য, আদাবাটা ২ চামচ, জিরে গুঁড়ো ২ চামচ, ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো আন্দাজ মতো, নুন ও চিনি স্বাদ অনুযায়ী,
দুর্গোৎসব মানেই ভরপুর খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। আর সেই আয়োজনে চাই নানারকম বাহারি মেনু। আমিষ ও নিরামিষের মনমাতানো মেনু নিয়ে প্রতি সপ্তাহে থাকবে বিভিন্ন রেসিপি। এবার সপ্তমীর মেনুতে মাছের নানা পদ সাজিয়ে দিলেন মণিকাঞ্চন দে।
পুজো মানেই নানারকম খাবার মেনু। নবমীতে মাটন হলে সপ্তমী জমে যাবে কন্টি স্টাইল ডিনারে। এবছর রেস্তরাঁ যেতে না চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মেনুর বিভিন্ন রকম। রেসিপি তো হাতের কাছে পেয়েই গেলেন। দক্ষিণ কলকাতার ছোট্ট রেস্তরাঁ রেলিশ রুটের কর্ণধার শেফ জয়ন্ত বললেন বাঙালি চিরকালই খাবারে এক্সপেরিমেন্ট ভালোবাসে।
দুর্গোৎসব মানেই ভরপুর খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। আর সেই আয়োজনে চাই নানারকম বাহারি মেনু। আমিষ ও নিরামিষের মনমাতানো মেনু নিয়ে প্রতি সপ্তাহে থাকবে বিভিন্ন রেসিপি। এবার ষষ্ঠীর নিরামিষ মেনু সাজিয়ে দিলেন মনীষা দত্ত।
মিষ্টি যদি একটু ভাজা হয় তাহলে তা স্বাদে হয়ে ওঠে অনন্য। বাড়িতেও কিন্তু এই ভাজা মিষ্টি তৈরি করতে পারেন। রেসিপি দিয়ে সাহায্য করলেন দেবারতি রায়।
বাঙালির উৎসবের আয়োজন মাছ ছাড়া অসম্পূর্ণ। তাই পার্ক স্ট্রিটের বাঙালি রেস্তরাঁ থেকে দু’টি মাছের পদ সাজিয়ে দিলেন কর্ণধার লোপামুদ্রা কামিল্লা। 
চিকেনের নানা পদ সাজিয়ে ফেলুন পুজোর ভোজে। একটু অন্যরকম রেসিপি দিয়ে সাহায্য করলেন শ্রাবণী রায়।
বিরিয়ানি খেতে ভালোবাসে না এমন বাঙালি পাওয়া ভার। আপনাদের অতি প্রিয় বিরিয়ানি নিয়েই মেনু সাজিয়েছে আওয়াধ ১৫৯০। সেখান থেকে দু’টি বিরিয়ানির রেসিপি দিলেন রেস্তরাঁর এগজিকিউটিভ শেফ।
অক্টা : এই রেস্তরাঁটি শিক্ষক দিবস উদ্যাপন করছে। শুরু হয়েছে গত ৩০ আগস্ট, চলবে আগামিকাল রবিবার পর্যন্ত।
আদায় আড়ে : উপকরণ: আড় মাছ ৬ পিস, আদা, গোটা জিরে, গোটা ধনে, চারমগজ, গোটা গরমমশলা, হলুদ গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো, তেজপাতা, হিং, নুন ও চিনি, সর্ষের তেল, টক দই সামান্য, লম্বা করে কাটা আদা ২ চা চামচ।
বিরাট কোহলির রেস্তরাঁ ওয়ান এইট কমিউনে খাবারের ধরন ভিন্ন। সেই স্বাদের খাবার বাড়িতেও বানাতে পারেন। আমিষ ও নিরামিষ দু’টি পদের রেসিপি দিলেন রেস্তরাঁর হেড শেফ পবন বিস্ত।
সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
তালের বড়া খাইয়া নন্দ নাচিতে লাগিল...। শুধু তালের বড়াই নয়, আরও নানারকম খাবার রয়েছে যা শ্রীকৃষ্ণের অতি প্রিয়। আর সেইসব খাবার বাড়িতেও বানানো যায় সহজেই। এমনই কিছু ঘরোয়া রেসিপি দিলেন প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেসিপি দেখে আপনিও বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন সেইসব পদ।
মাঝে মাত্র একটা দিন। তারপরেই জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। এই দিনে আবার খাবারের বিশেষ গুরুত্ব। দুধ, ঘি, মাখন আর মিছরি শ্রীকৃষ্ণের বড্ড প্রিয়। তার সঙ্গে আছে তাল। সেইসব উপকরণ দিয়ে ভোগের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ঘরে ঘরে। দুধের বিভিন্ন পদে ভরা থাকবে শ্রীকৃষ্ণের ভোগ। সঙ্গে নানা ধরনের মিষ্টি। মালপোয়া, লাড্ডু, পুলি আরও কত কী! আর আছে ফলাহার। নানা রকম মরশুমি ফল কেটে সাজিয়ে নিবেদন করা হয় শ্রীকৃষ্ণের পাতে। ভোগের কিছু রন্ধন প্রণালী থাকছে অন্দরমহলের পাঠকদের জন্য।
তালের মালপোয়া
উপকরণ: তালের রস ১ কাপ, ময়দা ১ কাপ, সুজি কাপ, বেকিং পাউডার কাপ, দুধ ১ কাপ, চিনি কাপ, ভাজার জন্য ঘি।
চিনির রস করার জন্য: চিনি ২ কাপ, ছোট এলাচ ৪টে, দারচিনি ১ টুকরো, জল ২ কাপ।
প্রণালী : ময়দা, সুজি, তালের রস, দুধ, চিনি, ও বেকিং পাউডার একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর তা গাঢ় করে গুলে একটা পাত্রে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। এবার একটা বড় পাত্রে জল, চিনি, এলাচের গুঁড়ো ও দারচিনি দিয়ে জ্বাল দিন। জ্বাল দিতে দিতে ঘন রস বানিয়ে নিন। কড়াইতে ঘি দিন। ঘি গরম হলে তালের রসের মিশ্রণ থেকে বড় চামচ অথবা হাতা দিয়ে মালপোয়ার আকারে তুলে ভেজে নিন। একপিঠ লালচে হলে অন্য পিঠ উল্টে ভাজুন। তারপর তা চিনির রসে ফেলুন। কিছুক্ষণ রেখে তুলে নিয়ে পরিবেশন করুন।
সরের লাড্ডু
উপকরণ: দুধের সর ২ কাপ, খোয়া ক্ষীর ২০০ গ্রাম, চিনি ২০০ গ্রাম, আটা ৫০ গ্রাম, কিশমিশ ৫০ গ্রাম, আমন্ড ১০ গ্রাম, কাজুবাদাম ১০টি, নলেন গুড় ২ চামচ, পোস্ত ৫০ গ্রাম, ঘি ২
চামচ।
প্রণালী: কড়াইতে ঘি দিন। ঘি গরম হলে আটা দিয়ে ভালো করে কিছুক্ষণ নাড়ুন। এরপর ওর মধ্যে দুধের সর, খোয়া ক্ষীর দিন। আরও ভালো করে নাড়ুন। এবার গুঁড়ো চিনি মেশান আর মিশ্রণটি ভালো করে নাড়তে থাকুন। যখন বেশ ভালো মতো পাক হয়ে আসবে তখন পুরো মিশ্রণটি ঢেলে নিন একটি বড় প্লেটে। একটা পাত্রে কিশমিশ, কাজু কুচি, আমন্ড কুচি, আর নলেন গুড় একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পুর বানান। এবার দুধের সর, খোয়া ক্ষীর দিয়ে যে মণ্ডটা তৈরি করা হয়েছে তার থেকে কিছুটা করে নিয়ে গোল করে গড়ুন। তার মধ্যে পুর ভরে দিন ও লাড্ডুর আকারে গড়ে নিন। লাড্ডুর গায়ে বেশ খানিকটা পোস্ত মাখান আর পরিবেশন করুন।
চিজ পুরি
উপকরণ: সুজি ১ কাপ, ময়দা কাপ, চিজ ১০০ গ্রাম, মৌরি গুঁড়ো ১ চামচ, আমচুর পাউডার চামচ, লঙ্কার গুঁড়ো চামচ, ভাজা জিরের গুঁড়ো চামচ, ঘি ১০০ গ্রাম, হিং অল্প, নুন পরিমাণ মতো।
প্রণালী: চিজ গ্রেট করে তার মধ্যে আমচুর পাউডার, লঙ্কার গুঁড়ো, ভাজা জিরের গুঁড়ো ও অল্প হিং দিয়ে একসঙ্গে নেড়ে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি পাত্রে সুজি, ময়দা, মৌরি গুঁড়ো, গুঁড়ো চিনি ও ঘি নিয়ে ভালো করে মেশান। এবার অল্প গরম দুধ দিয়ে সবটা একসঙ্গে বেশ করে মেখে নিন। একটা মণ্ড মতো বানিয়ে নিন। এরপর ওই মণ্ড থেকে কিছুটা করে নিয়ে ছোট ছোট লেচি করে নিন আর তার মধ্যে চিজের পুর ভরে লুচির আকারে বেলে নিন। গ্যাসে কড়াই বসান। তাতে ঘি ভালো করে গরম করে নিন। তারপর এই লুচি ভেজে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন চিজ পুরি।
সাবুদানা ক্ষীর মাখনা
উপকরণ: সাবুদানা ১০০ গ্রাম, মাখনা ৫০ গ্রাম, মাখন ১০০ গ্রাম, মিছরি ২০০ গ্রাম, দুধ ১ লিটার, কাজুবাদাম কুচি ১০ গ্রাম, আমন্ড ১০ গ্রাম, কিশমিশ ১০০ গ্রাম, পেস্তা ৫ গ্রাম, ছোট এলাচ গুঁড়ো ১ চামচ, অল্প কেশর।
প্রণালী: কড়াইতে মাখন দিয়ে মাখনাগুলো হাল্কা করে ভেজে তুলে রাখুন। তার অর্ধেক অংশ গুঁড়ো করে নিন আর অর্ধেক গোটা রাখুন। কাজুবাদাম,আমন্ড, কিশমিশ, মাখন দিয়ে হাল্কা করে ভেজে তুলে রাখুন। কেশর অল্প দুধে গুলে নিন। গ্যাসে কড়াই বসান। দুধ দিয়ে ফুটতে দিন। দুধ কিছুটা ফুলে উঠলে ওর মধ্যে সাবুদানা, কাজুবাদাম, আমন্ড, কিশমিশ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ নাড়ার পর ছোট এলাচের গুঁড়ো দিন। মাখনা আর মিছরির গুঁড়ো দিয়ে নাড়ুন। দুধ ঘন হলে দুধে গোলা কেশর দিয়ে নামান। উপরে গোটা মাখনা ভাজা, কাজু, পেস্তা ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন।
তাল পুলি
উপকরণ: তালের পাল্প ৪ চামচ, পাতলা তালের রস কাপ, দুধ ১ লিটার, ময়দা ২০০ গ্রাম, চিনি ৩০০ গ্রাম, চালের গুঁড়ো ২০০ গ্রাম, নারকেল কোরা ২ কাপ, খোয়া ক্ষীর ২০০ গ্রাম, ছোট এলাচের গুঁড়ো ১ চামচ।
প্রণালী: প্রথমে তালের পাল্প, চালের গুঁড়ো, ময়দা ও চিনি একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে একটা মণ্ড বানান। এবার নারকেল কোরা, খোয়া ক্ষীর, চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে পাক দিয়ে একটা পুর তৈরি করে রাখুন। এরপর তালের মণ্ড থেকে কিছুটা নিয়ে ছোট ছোট লেচি কেটে তার মধ্যে পুর ভরে পুলির আকারে গড়ে রাখুন। দুধ জ্বাল দিন। কিছুটা ঘন হলে ওর মধ্যে পাতলা তালের রস দিয়ে আবার ফোটান। এবার তালের পুলিগুলো দুধের মধ্যে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ ফোটান ছোট এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে গ্যাস আভেন থেকে নামান। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
দিলখুশ তালের বড়া
উপকরণ: তাল ১টা, নারকোল কোরা কাপ, কলা ২টো, সাদা তিল ৪ চামচ, চালের গুঁড়ো ২ চামচ, কিশমিশ ৫ গ্রাম, সাদা তিলের গুঁড়ো ২ চামচ, বড় এলাচ ১ টা, চিনি ৩০০ গ্রাম, ঘি ৪ টেবিল চামচ।
প্রণালী: প্রথমে তালের পাল্প গাঢ় করে বার করে নিন। এবার তালের পাল্প- এর মধ্যে চালের গুঁড়ো, কলা, নারকেল কোরা, তিলের গুঁড়ো, বাদাম কুচি, কিশমিশ, বড় এলাচ দানা আর চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে মেখে রাখুন। এবার সেখান থেকে কিছুটা করে নিয়ে ছোট ছোট গোল বলের আকৃতিতে গড়ে নিন। একটা প্লেটে সাদা তিলের গুঁড়ো রেখে বড়াগুলোর গায়ে মাখিয়ে দিন। এরপর কড়াইতে ঘি দিন। ঘি গরম হলে ওর মধ্যে তালের বড়াগুলো দিয়ে ভালো করে ছাঁকা ঘিতে ভাজুন। বড়াগুলো লালচে রঙের হলে তুলে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
মাঝে মাত্র একটা দিন। তারপরেই জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। এই দিনে আবার খাবারের বিশেষ গুরুত্ব। দুধ, ঘি, মাখন আর মিছরি শ্রীকৃষ্ণের বড্ড প্রিয়। তার সঙ্গে আছে তাল। সেইসব উপকরণ দিয়ে ভোগের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ঘরে ঘরে। দুধের বিভিন্ন পদে ভরা থাকবে শ্রীকৃষ্ণের ভোগ। সঙ্গে নানা ধরনের মিষ্টি। মালপোয়া, লাড্ডু, পুলি আরও কত কী! আর আছে ফলাহার। নানা রকম মরশুমি ফল কেটে সাজিয়ে নিবেদন করা হয় শ্রীকৃষ্ণের পাতে। ভোগের কিছু রন্ধন প্রণালী থাকছে অন্দরমহলের পাঠকদের জন্য।
তালের মালপোয়া
উপকরণ: তালের রস ১ কাপ, ময়দা ১ কাপ, সুজি কাপ, বেকিং পাউডার কাপ, দুধ ১ কাপ, চিনি কাপ, ভাজার জন্য ঘি।
চিনির রস করার জন্য: চিনি ২ কাপ, ছোট এলাচ ৪টে, দারচিনি ১ টুকরো, জল ২ কাপ।
প্রণালী : ময়দা, সুজি, তালের রস, দুধ, চিনি, ও বেকিং পাউডার একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর তা গাঢ় করে গুলে একটা পাত্রে ঘণ্টাখানেক রেখে দিন। এবার একটা বড় পাত্রে জল, চিনি, এলাচের গুঁড়ো ও দারচিনি দিয়ে জ্বাল দিন। জ্বাল দিতে দিতে ঘন রস বানিয়ে নিন। কড়াইতে ঘি দিন। ঘি গরম হলে তালের রসের মিশ্রণ থেকে বড় চামচ অথবা হাতা দিয়ে মালপোয়ার আকারে তুলে ভেজে নিন। একপিঠ লালচে হলে অন্য পিঠ উল্টে ভাজুন। তারপর তা চিনির রসে ফেলুন। কিছুক্ষণ রেখে তুলে নিয়ে পরিবেশন করুন।
সরের লাড্ডু
উপকরণ: দুধের সর ২ কাপ, খোয়া ক্ষীর ২০০ গ্রাম, চিনি ২০০ গ্রাম, আটা ৫০ গ্রাম, কিশমিশ ৫০ গ্রাম, আমন্ড ১০ গ্রাম, কাজুবাদাম ১০টি, নলেন গুড় ২ চামচ, পোস্ত ৫০ গ্রাম, ঘি ২
চামচ।
প্রণালী: কড়াইতে ঘি দিন। ঘি গরম হলে আটা দিয়ে ভালো করে কিছুক্ষণ নাড়ুন। এরপর ওর মধ্যে দুধের সর, খোয়া ক্ষীর দিন। আরও ভালো করে নাড়ুন। এবার গুঁড়ো চিনি মেশান আর মিশ্রণটি ভালো করে নাড়তে থাকুন। যখন বেশ ভালো মতো পাক হয়ে আসবে তখন পুরো মিশ্রণটি ঢেলে নিন একটি বড় প্লেটে। একটা পাত্রে কিশমিশ, কাজু কুচি, আমন্ড কুচি, আর নলেন গুড় একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পুর বানান। এবার দুধের সর, খোয়া ক্ষীর দিয়ে যে মণ্ডটা তৈরি করা হয়েছে তার থেকে কিছুটা করে নিয়ে গোল করে গড়ুন। তার মধ্যে পুর ভরে দিন ও লাড্ডুর আকারে গড়ে নিন। লাড্ডুর গায়ে বেশ খানিকটা পোস্ত মাখান আর পরিবেশন করুন।
চিজ পুরি
উপকরণ: সুজি ১ কাপ, ময়দা কাপ, চিজ ১০০ গ্রাম, মৌরি গুঁড়ো ১ চামচ, আমচুর পাউডার চামচ, লঙ্কার গুঁড়ো চামচ, ভাজা জিরের গুঁড়ো চামচ, ঘি ১০০ গ্রাম, হিং অল্প, নুন পরিমাণ মতো।
প্রণালী: চিজ গ্রেট করে তার মধ্যে আমচুর পাউডার, লঙ্কার গুঁড়ো, ভাজা জিরের গুঁড়ো ও অল্প হিং দিয়ে একসঙ্গে নেড়ে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি পাত্রে সুজি, ময়দা, মৌরি গুঁড়ো, গুঁড়ো চিনি ও ঘি নিয়ে ভালো করে মেশান। এবার অল্প গরম দুধ দিয়ে সবটা একসঙ্গে বেশ করে মেখে নিন। একটা মণ্ড মতো বানিয়ে নিন। এরপর ওই মণ্ড থেকে কিছুটা করে নিয়ে ছোট ছোট লেচি করে নিন আর তার মধ্যে চিজের পুর ভরে লুচির আকারে বেলে নিন। গ্যাসে কড়াই বসান। তাতে ঘি ভালো করে গরম করে নিন। তারপর এই লুচি ভেজে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন চিজ পুরি।
সাবুদানা ক্ষীর মাখনা
উপকরণ: সাবুদানা ১০০ গ্রাম, মাখনা ৫০ গ্রাম, মাখন ১০০ গ্রাম, মিছরি ২০০ গ্রাম, দুধ ১ লিটার, কাজুবাদাম কুচি ১০ গ্রাম, আমন্ড ১০ গ্রাম, কিশমিশ ১০০ গ্রাম, পেস্তা ৫ গ্রাম, ছোট এলাচ গুঁড়ো ১ চামচ, অল্প কেশর।
প্রণালী: কড়াইতে মাখন দিয়ে মাখনাগুলো হাল্কা করে ভেজে তুলে রাখুন। তার অর্ধেক অংশ গুঁড়ো করে নিন আর অর্ধেক গোটা রাখুন। কাজুবাদাম,আমন্ড, কিশমিশ, মাখন দিয়ে হাল্কা করে ভেজে তুলে রাখুন। কেশর অল্প দুধে গুলে নিন। গ্যাসে কড়াই বসান। দুধ দিয়ে ফুটতে দিন। দুধ কিছুটা ফুলে উঠলে ওর মধ্যে সাবুদানা, কাজুবাদাম, আমন্ড, কিশমিশ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ নাড়ার পর ছোট এলাচের গুঁড়ো দিন। মাখনা আর মিছরির গুঁড়ো দিয়ে নাড়ুন। দুধ ঘন হলে দুধে গোলা কেশর দিয়ে নামান। উপরে গোটা মাখনা ভাজা, কাজু, পেস্তা ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন।
তাল পুলি
উপকরণ: তালের পাল্প ৪ চামচ, পাতলা তালের রস কাপ, দুধ ১ লিটার, ময়দা ২০০ গ্রাম, চিনি ৩০০ গ্রাম, চালের গুঁড়ো ২০০ গ্রাম, নারকেল কোরা ২ কাপ, খোয়া ক্ষীর ২০০ গ্রাম, ছোট এলাচের গুঁড়ো ১ চামচ।
প্রণালী: প্রথমে তালের পাল্প, চালের গুঁড়ো, ময়দা ও চিনি একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে একটা মণ্ড বানান। এবার নারকেল কোরা, খোয়া ক্ষীর, চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে পাক দিয়ে একটা পুর তৈরি করে রাখুন। এরপর তালের মণ্ড থেকে কিছুটা নিয়ে ছোট ছোট লেচি কেটে তার মধ্যে পুর ভরে পুলির আকারে গড়ে রাখুন। দুধ জ্বাল দিন। কিছুটা ঘন হলে ওর মধ্যে পাতলা তালের রস দিয়ে আবার ফোটান। এবার তালের পুলিগুলো দুধের মধ্যে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ ফোটান ছোট এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে গ্যাস আভেন থেকে নামান। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
দিলখুশ তালের বড়া
উপকরণ: তাল ১টা, নারকোল কোরা কাপ, কলা ২টো, সাদা তিল ৪ চামচ, চালের গুঁড়ো ২ চামচ, কিশমিশ ৫ গ্রাম, সাদা তিলের গুঁড়ো ২ চামচ, বড় এলাচ ১ টা, চিনি ৩০০ গ্রাম, ঘি ৪ টেবিল চামচ।
প্রণালী: প্রথমে তালের পাল্প গাঢ় করে বার করে নিন। এবার তালের পাল্প- এর মধ্যে চালের গুঁড়ো, কলা, নারকেল কোরা, তিলের গুঁড়ো, বাদাম কুচি, কিশমিশ, বড় এলাচ দানা আর চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে মেখে রাখুন। এবার সেখান থেকে কিছুটা করে নিয়ে ছোট ছোট গোল বলের আকৃতিতে গড়ে নিন। একটা প্লেটে সাদা তিলের গুঁড়ো রেখে বড়াগুলোর গায়ে মাখিয়ে দিন। এরপর কড়াইতে ঘি দিন। ঘি গরম হলে ওর মধ্যে তালের বড়াগুলো দিয়ে ভালো করে ছাঁকা ঘিতে ভাজুন। বড়াগুলো লালচে রঙের হলে তুলে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
