কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পটলের ফরেটা
উপকরণ: পটল ৬-৮টা, ময়দা কাপ, চালের গুঁড়ো কাপ, দই ২ চামচ, জায়ফল গুঁড়ো চামচ, মোচা ১ বাটি, নুন ও চিনি স্বাদমতো, জিরে গুঁড়ো ১ চামচ, কাঁচালঙ্কা ২-৩টে, তেল পরিমাণ মতো।
প্রণালী: পটলের খোসা ছাড়িয়ে দু’ফালি করে চিরে বীজ বের করে ফেলে দিন। কড়াইতে তেল দিয়ে দু’দিক হাল্কা করে ভেজে নিন। মোচা ছাড়িয়ে সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে ভালো করে বেটে নিন। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে লঙ্কা কুচি, নুন, হলুদ ও মিষ্টি দিয়ে মোচা নাড়াচাড়া করে ভাজা জিরে গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করে প্রতি পটলের অর্ধেক অংশে মোচার পুর ভরুন ও অন্য অর্ধেক অংশ দিয়ে ঢেকে দিন। একটা বাটিতে ময়দা, চালের গুঁড়ো, টকদই ভালো করে মিশিয়ে নিন পরিমাণ মতো জল দিয়ে একটা ঘন ব্যাটার বানান। তাতে নুন, জায়ফল গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এবার আগে থেকে মোচার পুর দেওয়া পটলগুলো ময়দার গোলায় ডুবিয়ে তেলে ভেজে নিন। তৈরি হয়ে যাবে পটলের ফরেটা। গরম ভাজা খেতে খুব ভালো লাগে। আর যদি গ্ৰেভি বানাতে চান তাহলে তেল গরম করে জিরে, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে আদাবাটা, লঙ্কা বাটা, টম্যাটো বাটা, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো দিয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়ে ফুটতে দিন। ফুটে উঠলে পটলগুলো ছেড়ে দিন। কিছুক্ষণ ফোটার পরে ঘি, গরম মশলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
পটল বাটা
উপকরণ: পটল ৩০০ গ্ৰাম, রসুন-কুচি ৫-৬ কোয়া, কাঁচা পাকা লঙ্কা ২টো, শুকনো লঙ্কা ২টো, নুন ও চিনি স্বাদ মতো, হলুদ গুঁড়ো চা চামচ, কালোজিরে চা চামচ, পোস্ত ২ চামচ, সর্ষের তেল পরিমাণ মতো।
প্রণালী: পটল ধুয়ে ছুলে নিন। এবার কুচি করে নিয়ে মিক্সিতে বা শিলে বেটে নিন। কড়াইয়ে সর্ষের তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা ভেজে তুলে নিন। এবার কালোজিরে, রসুন কুচি, নুন, হলুদ গুঁড়ো, সামান্য চিনি, কাঁচা ও পাকা লঙ্কা কুচি দিয়ে হালকা ভেজে বাটা পটল দিন। বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে শুকনো হয়ে এলে আগে থেকে ভেজে নেওয়া শুকনো লঙ্কা কুচি ছড়িয়ে দিন। আবারও নাড়াচাড়া করে ওপর থেকে সর্ষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
পটলের মালাইকারি
উপকরণ: পটল ৪০০ গ্ৰাম, হিং চা চামচ, তেজপাতা ২টো, আদা ১০ গ্ৰাম, দাড়চিনি ১ ইঞ্চি, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ, কাঁচা লঙ্কা ২টো, শুকনো লঙ্কা ২টো, নুন, চিনি স্বাদ মতো, দই ১ টেবিল চামচ, নারকেল বাটা আধমালা, জিরে গুঁড়ো ১চা চামচ, নারকেলের দুধ ১ কাপ, ঘি ১ চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো চা চামচ, তেল পরিমাণ মতো।
প্রণালী: পটল খোসা ছাড়িয়ে নিন। দু’দিকে অল্প চিরে নিন। আদা, লঙ্কা, একসঙ্গে বেটে নিন। নারকেল বেটে নিন। কড়াইয়ে ২টেবিল চামচ তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে নুন, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে পটলগুলো ভালো করে ভেজে নিন। এবার হিং, গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিয়ে আদার মিশ্রণ দিন। একটা বাটিতে টকদই ফেটিয়ে তাতে জিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, নুন, চিনি মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা কড়াইতে দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। নারকেল বাটা দিয়ে মাঝারি আঁচে আবার কষিয়ে নিন। তেল ছেড়ে এলে ভাজা পটল দিন। নুন, চিনি ও নারকেলের দুধ দিয়ে ফুটিয়ে নিন ২মিনিট। ঘি,গরমমশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
ক্ষীর পটল
উপকরণ: পটল ১০টা, চিনি ১ কাপ,আমন্ড ও পেস্তা কুচি ২ টেবিল চামচ, খোয়াক্ষীর ১০০ গ্ৰাম, চিনি গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ, দুধ ২ টেবিল চামচ, গোলাপ জল ১ চা চামচ।
প্রণালী: পটলের খোসা এমনভাবে ছাড়াবেন যাতে গায়ে কোনও খোসা না লেগে থাকে। মাঝখানে লম্বালম্বি চিড়ে দানাগুলো ফেলে দিন। এবার স্যসপ্যানে জল গরম করে নিন। ফুটে উঠলে পটলগুলো দিন ও চা চামচ খাবার সোডা দিন। হাই ফ্লেমে মিনিট পাঁচেক ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে পটলগুলো তুলে জল ঝরিয়ে নিন। এবার রস তৈরির জন্য এক কাপ চিনি আধকাপ জলে ফুটিয়ে নিন। ফুটে উঠলে পটলগুলো দিন। দশ মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে রস ঝরিয়ে নিন। এবার প্যানে গ্ৰেটেড খোয়াক্ষীর, দুধ ও গুঁড়ো চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। আঁচ একদম কমিয়ে রাখুন। আমন্ড ও পেস্তাকুচি দিন। ওপর থেকে এক চামচ গোলাপ জল ছড়িয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। তৈরি হল পুর। এবার পটলের মধ্যে পুর ভরে দিন। একটা প্লেটে পুরভরা পটলগুলো রেখে ওপর থেকে গ্ৰেটেড খোয়া ও বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিন। রূপোর তবক দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন পটলের মিষ্টি বা ক্ষীর পটল।