শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
করোনা সঙ্কটেও বিয়েবাড়ির ভোজের সব দায়িত্ব কেটারিং সংস্থাকে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। শুধু কেটারিং পরিষেবা নয়, সংস্থাগুলি সংক্রমণ ঠেকাতেও বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিয়েবাড়িতে কচুরি ও রাধাবল্লভি, আলুর দম, ছোলার ডাল, ফিশ চপ, রকমারি স্যালাড, পোলাও, ফ্রায়েড রাইস, রুই মাছের কালিয়া, চিকেন কারি, ফিশ ফ্রাই, মাটন কোর্মা, বড় গলদা চিংড়ির প্রিপারেশন, মাটন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, চাটনি, পাঁপড় প্রভৃতি লোভনীয় পদ তৈরি করে দেবে কুক অ্যান্ড কেয়ার। সংস্থার কর্ণধার সন্দীপ সেন জানালেন, এই সব পদ ছাড়াও তাঁদের স্পেশাল মেনুতে পাওয়া যাবে ফিশ মুনিয়ের, ফিশ বরোদা, ফ্রায়েড বেবিকর্ন, ভেজ পকোড়া, পনির টিক্কা, চিকেন টিক্কা, চিকেন পকোড়া, ফিশ বল, ফিশ ফিঙ্গার, চিকেন মালাই কাবাব প্রভৃতি জিভে জল আনা খাবার। যোগাযোগ : ৯০৫১৭২৯৯৭৩।
সিলেকশন কেটারারসের স্টার্টার, মেন কোর্স, ডেজার্ট সবেতেই অভিনবত্ব পাবেন। স্টার্টারে কাঁকড়ার পা দিয়ে তৈরি ফ্রাই, বস্টন ফ্রাই চিকেন, প্রন শাটে উইথ এগজটিক মিন্ট স্যস, মাটন পিয়ারে কাবাব, চিকেন মাটন কুড়কুড়ে কাবাব একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। এছাড়াও প্রন মালাইকারি, মাটন, চিকেন, মাছ, বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, স্পেশাল ফিশফ্রাই ও নিরামিষের অনেক রকম লোভনীয় পদ বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এদের স্যালাডের লিস্টও বেশ লম্বা। সংস্থার কর্ণধার সঞ্জয় আইচের বক্তব্য, তাঁদের সব ক’টি পদই স্বাদে, গুণে সেরা। যোগাযোগ: ৯৮৩০০৪৩৮৫৬
সুরুচি কেটারারের চিকেন শসলিক, পনির শসলিক, বিভিন্ন প্রকার কাবাবের সঙ্গে লোভনীয় স্যুপ স্টার্টারে মন ভরিয়ে দেবে। মেন কোর্সে পেয়ে যাবেন, রকমারি স্যালাড, বেবি নান, মশলা কুলচা, লাচ্চা পরোটা, ডালমাখানি, পনির বাটার মশলা, নবরত্ন কোর্মা, ছানার কোপ্তা, ফিশ ফ্রাই, ফিশ ওরলি, ফিশ মুনিয়ের, ফিশ পাসিন্দা, ফিশ রোল, ফিশ অমৃতসরি, চিকেন টেংরি কাবাব, মোতি পোলাও, খুসকা পোলাও, কাশ্মীরি পোলাও, ফিশ দম পিস্তা, ফিশ এন টমেটো, গন্ধরাজ মাটন, চিকেন চাপ, মাটন বিরিয়ানি, মাটন কোর্মা, প্রন মালাইকারি, চাটনি, পাঁপড় সহ সুস্বাদু মিষ্টি প্রভৃতি। সংস্থার কর্ণধার সমরেন্দ্রনাথ দাস বলেন, তাঁরা সেরা বাঙালি মেনুও পরিবেশন করে থাকেন। যোগাযোগ: ৯৮৩০৯১২৩৪১।
বাজেট বেশ কিছুটা বেড়েছে করোনার চাপে। সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিতের সংখ্যা যেন ২৫ জনের বেশি না হয়। ফলে কম সদস্য সংখ্যা, সব কিছু স্যানিটাইজ করার খরচ, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, একবার ব্যবহারযোগ্য জিনিসের ব্যবহার, কর্মী সঙ্কট সহ একাধিক কারণে সংস্থাগুলোকে মেনুর দাম বাড়াতে হচ্ছে। সংস্থা বিশেষে মেনুর দাম প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কোনও কোনও সংস্থা খরচ কমাতে অনুষ্ঠান বাড়িতে রান্নার কোনও ব্যবস্থা রাখছে না। আবার কোনও কোনও সংস্থা দু’রকমের পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাড়তি সতর্কতার জন্য কেটারিং সংস্থাগুলি সংক্রমণের কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। তাই এক একটি সংস্থা এক এক রকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, স্যানিটাইজড গেট, একবার ব্যবহারযোগ্য জিনিসের ব্যবহার (যেমন ডিশ, গ্লাস, চামচ), সবকিছু গরম জল দিয়ে ধোয়া, বসার জায়গা ও টেবল স্যানিটাইজ করা, কর্মীদের হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক, মাথায় টুপি পরা, উপস্থিত সবাইকে থার্মাল টেস্ট করা প্রভৃতি।
কী ভাবছেন ওয়েডিং প্ল্যানাররা
আজকাল অনেকেই বিয়ের দায়িত্ব ওয়েডিং প্ল্যানারকে দিয়ে দেন। বিয়ের কার্ড থেকে হনিমুন ট্রিপ পুরোটাই থাকে প্যাকেজে। মর্ফিয়াস প্ল্যানারস ও কানাসা ওয়েডিং এমন কাজ করে। দেশে বিদেশে ডেস্টিনেশন ওয়েডিংও। মর্ফিয়াস প্ল্যানারসের অনসূয়া ঘোষ বললেন, ‘এখন সারা বিশ্বে সংক্রমণ, তাই ডেস্টিনেশন ওয়েডিং বিপজ্জনক। অনেকে ভাবছেন ২৫ জনের জন্য বাড়িতেই সব করা যায়। তাতে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মানা অসম্ভব। ছোট ব্যাঙ্কোয়েট হল বা হোটেল-রেস্তরাঁর হল ভাড়া নিলে সুবিধে। মূল প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্রিনিং, হ্যান্ড স্যানটাইজেশনের ব্যবস্থা থাকবে, বিয়ের স্টেজ থেকে অতিথিদের বসার জায়গা দূরে হবে, জায়ান্ট স্ক্রিনে সব দেখা যাবে। যাঁদের আমন্ত্রণ জানানো যায়নি, লিঙ্কে দেখানো যাবে তাঁদেরও।’ খাওয়াদাওয়ার হাইজিনেও কড়া নজর থাকবে।