পনির একটা পাত্রে নিয়ে, আলু সেদ্ধ, নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো অল্প, গরমমশলা গুঁড়ো, আদা বাটা চা চামচ, ময়দা অল্প দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। ছ’টা ভাগ করে কোপ্তার আকারে তা গড়ে নিন। মাঝখানে কিশমিশ ও ভাঙা কাজু দিয়ে আবারও গোল করে গড়ুন।
বাংলা নববর্ষে বাঙালি খাবারের প্রতি ঝোঁক আমাদের চিরকালের। বাড়িতে তো বটেই এমনকী রেস্তরাঁতেও সেই মেনু খুঁজি আমরা। তেমনই কয়েক পদ সহজ রেসিপি জানালেন ‘সপ্তপদী’ রেস্তরাঁর কর্ণধার শেফ রঞ্জন বিশ্বাস।
প্রথমে দুধ থেকে ছানা কাটিয়ে নিতে হবে। জল চিপে ছানা শুকনো করে তা ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর ছানাটাকে একটি মলমলের কাপড়ে ঢেলে বাকি জল ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার চিনির শিরা তৈরির জন্য জল ও চিনি একটি স্যসপ্যানে বসিয়ে ফুটিয়ে ঘন করে নিতে হবে।
হোটেলের থ্রি সিক্সটি থ্রি রেস্তরাঁয় ১৪ এপ্রিল পাবেন নববর্ষ ব্রাঞ্চ। দুপুর ১২টা থেকে ৩টে। থাকবে চিংড়ির মালাইকারি, ছানার পাতুরি, কচি পাঁঠার ঝোল, পোলাও, ঘি ভাত। একজনের খাওয়ার খরচ ২৫০০ টাকা, কর অতিরিক্ত।
রান্নায় পোস্ত পড়লেই নাকি স্বাদের ষোলোকলা পূর্ণ হয়। বিভিন্ন ধরনের রান্নায় পোস্ত ঠেসে রেসিপি জানালেন দেবারতি রায়।
সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন শেফ সুইটি সিং। নিজের রান্নার ধরন সম্পর্কে জানালেন তিনি। সঙ্গে তন্দুরি চিকেনের রেসিপিও পাঠালেন পাঠকদের।
আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস রেস্তরাঁয় চলবে বাংলাদেশের পোলাও পায়েস ফেস্টিভ্যাল। শেফ নয়না আফরোজ কলকাতায় এসেছেন এই ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে। ইদের আগেই এই উৎসবের আয়োজন করেছে সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস।
স্টার্টারে এই পদ অতি সুস্বাদু। ঘরোয়া উপায়েই বানিয়ে ফেলুন চটপট। রেসিপি জানালেন শ্রাবণী রায়।
গোটা আইপিএল ক্রিকেট সিজন জুড়েই এই রেস্তরাঁয় পাবেন জমজমাট ভোজের আয়োজন। ম্যাচ দেখতে দেখতে খাওয়াদাওয়া করতে চাইলে বেছে নিতে পারেন এখানকার বিশেষ মেনুর কয়েকরকম।
দোল মানেই নানারকম মিষ্টির সম্ভার। বিশেষ কয়েকরকম মিষ্টির রেসিপি জানালেন মণিকাঞ্চন দে।
রঙের উৎসবে বাড়িতে অতিথি এলে তাদের দিন সুস্বাদু নোনতা স্ন্যাক্স। রেসিপি সহযোগিতায় সুমিতা শূর।
উৎসবের মরশুমে আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গল হোটেল নিয়ে এল বিশেষ মেনুর সম্ভার। রুহানিয়াত বাই গুর্মে কাউচ মেনুটি বাড়িতে আনিয়ে খাওয়া যাবে। আগামী ১১ এপ্রিল চলবে এই অফার। এই মেনুর দু’টি ধরন। রুহানিয়াত রয়্যাল টেবল ও রুহানিয়াত টেবল।
বাঙালির অন্যতম প্রিয় ছুটি কাটানোর স্পট, দক্ষিণের এই সমুদ্রনগরীতে রয়েছে হোটেল দশপাল্লা এগজিকিউটিভ কোর্ট। অবাক কাণ্ড! সেখানে পাবেন বাঙালি মেনু। কেমন মাছের ঝোল পরিবেশন করা হয় এই হোটেলে? জানালেন শেফ গণেশ প্রধান। লিখছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
দোলমা চিকেন কারি
উপকরণ: বোনলেস চিকেন ৫০০ গ্রাম, টম্যাটো ২টি, পেঁয়াজ ৩টি, আদা ১ ইঞ্চি, রসুন ৬ কোয়া, ধনেগুঁড়ো ১ চা চামচ, জিরেগুঁড়ো ১ চা চামচ, কাজুবাদাম ১০টি, হলুদ চা চামচ, কাঁচা লঙ্কা ৪টি, শুকনোলঙ্কা ১টি, নুন, চিনি, ঘি ১ টেবিল চামচ, সরষের তেল ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি, পাতিলেবুর রস ১ টেবিল চামচ।
প্রণালী: শুকনো প্যানে ধনেগুঁড়ো আর জিরের গুঁড়ো ভেজে নামিয়ে রাখুন।
প্যানে সামান্য তেল দিয়ে টম্যাটো, পেঁয়াজ, রসুন, আদা কাজুবাদাম (সব বড় করে কাটা) হালকা বাদামি করে ভেজে ঠান্ডা করে মিক্সিতে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন।
প্যানে ঘি এবং তেল মিশিয়ে গরম করে নুন, লেবুর রস মাখানো চিকেন বেশ লালচে করে ভেজে তার মধ্যে মশলার পেস্ট, রোস্টেড ধনে, জিরের গুঁড়ো, হলুদ, নুন, চিনি, লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে বেশ করে কষাতে হবে কম আঁচে। যখন তেল ছেড়ে আসবে তখন নামিয়ে উপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন দোলমা চিকেন।
পনির পোলাও
উপকরণ: পনির ১০০ গ্রাম (ছোট করে কাটা), বাসমতী চাল ২ কাপ, খোয়াক্ষীর ৫০ গ্রাম (গ্রেট করা), কাজুবাদাম ১০টি (ভাঙা), কিসমিস ১২টি, কড়াইশুঁটি কাপ, গোলমরিচের গুঁড়ো ২ চা চামচ, গরম মশলার গুঁড়ো ১ চা চামচ, নুন, চিনি, কেশর ১ চিমটে, কাপ দুধ, ঘি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালী: প্যানে ঘি গরম করে পনিরগুলো হালকা ভেজে তুলে নিয়ে ওই ঘিতে কাজুবাদাম, কিসমিস হালকা ভেজে তুলে আবারও ওই ঘিয়ের মধ্যে খোয়াক্ষীর, চাল আর কড়াইশুঁটি হালকা ভাবে কিছুক্ষণ নেড়ে নিন। তার মধ্যে একে একে পনির, কাজুবাদাম, কিসমিস, নুন, চিনি, দুধে গোলা কেশর দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ৪ কাপ জল দিয়ে ফোটান। ভালোভাবে ফুটে উঠলে ঢাকা দিয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। ৩০ মিনিট পরে ঢাকা খুলে পরিবেশন করুন পনির পোলাও।
বাসন্তী বেগুন
উপকরণ: বেগুন বড় ১টি (লম্বা করে কাটা), পোস্তবাটা ২ টেবিল চামচ, সরষেবাটা ১ টেবিল চামচ, নারকেল বাটা ৩ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা বাটা স্বাদমতো, নুন, চিনি, ধনেপাতাকুচি, পাঁচফোড়ন, সরষের তেল।
প্রণালী: বেগুনে নুন, হলুদ আর চিনি মাখিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর বেগুনগুলোকে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়ে ওই তেলে পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিয়ে পোস্তবাটা, সরষেবাটা, নারকেল বাটা, কাঁচালঙ্কাবাটা, নুন, চিনি দিয়ে বেশ করে কষিয়ে ভাজা বেগুনগুলো দিয়ে অল্প জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ভালো করে ফুটে গা-মাখা হলে উপরে কাঁচা সরষের তেল আর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি বাসন্তী বেগুন।
ভুনা মাংস
উপকরণ: মাটন ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি ৩টে, টম্যাটোকুচি ২টো, আদাবাটা ১ চা চামচ, রসুনবাটা ১ চা চামচ, জিরেবাটা ২ চা চামচ, ধনেবাটা ২ চা চামচ, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো স্বাদমতো, গরম মশলার গুঁড়ো চা চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, সরষের তেল ২ টেবিল চামচ, (ফোড়নের জন্য ১টি শুকনোলঙ্কা, গোটা জিরে চা চামচ, তেজপাতা ১টি) জল ১ লিটার, নুন, চিনি, হলুদ।
প্রণালী: প্যানে তেল ও ঘি মিশিয়ে গরম করে ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু বাদামিভাব এলে টম্যাটো কুচি দিন। টম্যাটোগুলো নরম হওয়া পর্যন্ত তা নাড়ুন। একে একে মাটন, আদাবাটা, রসুনবাটা, লঙ্কার গুঁড়ো, জিরেবাটা, ধনেবাটা, হলুদ, নুন, চিনি দিয়ে কষতে থাকুন। বেশ ভালো করে কষিয়ে নিন। ১ লিটার জল দিয়ে ঢাকা দিন। মাঝারি আঁচে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। আধ ঘণ্টা পরে ঢাকা খুলে উপরে গরম মশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিলেই তৈরি ভুনা মাংস।
উপকরণ: বোনলেস চিকেন ৫০০ গ্রাম, টম্যাটো ২টি, পেঁয়াজ ৩টি, আদা ১ ইঞ্চি, রসুন ৬ কোয়া, ধনেগুঁড়ো ১ চা চামচ, জিরেগুঁড়ো ১ চা চামচ, কাজুবাদাম ১০টি, হলুদ চা চামচ, কাঁচা লঙ্কা ৪টি, শুকনোলঙ্কা ১টি, নুন, চিনি, ঘি ১ টেবিল চামচ, সরষের তেল ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি, পাতিলেবুর রস ১ টেবিল চামচ।
প্রণালী: শুকনো প্যানে ধনেগুঁড়ো আর জিরের গুঁড়ো ভেজে নামিয়ে রাখুন।
প্যানে সামান্য তেল দিয়ে টম্যাটো, পেঁয়াজ, রসুন, আদা কাজুবাদাম (সব বড় করে কাটা) হালকা বাদামি করে ভেজে ঠান্ডা করে মিক্সিতে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন।
প্যানে ঘি এবং তেল মিশিয়ে গরম করে নুন, লেবুর রস মাখানো চিকেন বেশ লালচে করে ভেজে তার মধ্যে মশলার পেস্ট, রোস্টেড ধনে, জিরের গুঁড়ো, হলুদ, নুন, চিনি, লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে বেশ করে কষাতে হবে কম আঁচে। যখন তেল ছেড়ে আসবে তখন নামিয়ে উপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন দোলমা চিকেন।
পনির পোলাও
উপকরণ: পনির ১০০ গ্রাম (ছোট করে কাটা), বাসমতী চাল ২ কাপ, খোয়াক্ষীর ৫০ গ্রাম (গ্রেট করা), কাজুবাদাম ১০টি (ভাঙা), কিসমিস ১২টি, কড়াইশুঁটি কাপ, গোলমরিচের গুঁড়ো ২ চা চামচ, গরম মশলার গুঁড়ো ১ চা চামচ, নুন, চিনি, কেশর ১ চিমটে, কাপ দুধ, ঘি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালী: প্যানে ঘি গরম করে পনিরগুলো হালকা ভেজে তুলে নিয়ে ওই ঘিতে কাজুবাদাম, কিসমিস হালকা ভেজে তুলে আবারও ওই ঘিয়ের মধ্যে খোয়াক্ষীর, চাল আর কড়াইশুঁটি হালকা ভাবে কিছুক্ষণ নেড়ে নিন। তার মধ্যে একে একে পনির, কাজুবাদাম, কিসমিস, নুন, চিনি, দুধে গোলা কেশর দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ৪ কাপ জল দিয়ে ফোটান। ভালোভাবে ফুটে উঠলে ঢাকা দিয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। ৩০ মিনিট পরে ঢাকা খুলে পরিবেশন করুন পনির পোলাও।
বাসন্তী বেগুন
উপকরণ: বেগুন বড় ১টি (লম্বা করে কাটা), পোস্তবাটা ২ টেবিল চামচ, সরষেবাটা ১ টেবিল চামচ, নারকেল বাটা ৩ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা বাটা স্বাদমতো, নুন, চিনি, ধনেপাতাকুচি, পাঁচফোড়ন, সরষের তেল।
প্রণালী: বেগুনে নুন, হলুদ আর চিনি মাখিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর বেগুনগুলোকে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়ে ওই তেলে পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিয়ে পোস্তবাটা, সরষেবাটা, নারকেল বাটা, কাঁচালঙ্কাবাটা, নুন, চিনি দিয়ে বেশ করে কষিয়ে ভাজা বেগুনগুলো দিয়ে অল্প জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ভালো করে ফুটে গা-মাখা হলে উপরে কাঁচা সরষের তেল আর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি বাসন্তী বেগুন।
ভুনা মাংস
উপকরণ: মাটন ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি ৩টে, টম্যাটোকুচি ২টো, আদাবাটা ১ চা চামচ, রসুনবাটা ১ চা চামচ, জিরেবাটা ২ চা চামচ, ধনেবাটা ২ চা চামচ, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো স্বাদমতো, গরম মশলার গুঁড়ো চা চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, সরষের তেল ২ টেবিল চামচ, (ফোড়নের জন্য ১টি শুকনোলঙ্কা, গোটা জিরে চা চামচ, তেজপাতা ১টি) জল ১ লিটার, নুন, চিনি, হলুদ।
প্রণালী: প্যানে তেল ও ঘি মিশিয়ে গরম করে ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু বাদামিভাব এলে টম্যাটো কুচি দিন। টম্যাটোগুলো নরম হওয়া পর্যন্ত তা নাড়ুন। একে একে মাটন, আদাবাটা, রসুনবাটা, লঙ্কার গুঁড়ো, জিরেবাটা, ধনেবাটা, হলুদ, নুন, চিনি দিয়ে কষতে থাকুন। বেশ ভালো করে কষিয়ে নিন। ১ লিটার জল দিয়ে ঢাকা দিন। মাঝারি আঁচে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। আধ ঘণ্টা পরে ঢাকা খুলে উপরে গরম মশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিলেই তৈরি ভুনা মাংস।
মনীষা দত্ত
