বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
উপকরণ: গাজর ৬টা (বড় সাইজের), ফুল ক্রিম মিল্ক ২টো (প্যাকেট), ঘি ২ চামচ, কাজু বাদাম বাটা ৩ চামচ, এলাচ ৩টে, বড় এলাচ ৪ দানা, খোয়া ক্ষীর ২ চামচ, চিনি কাপ, খেজুর ৪টে, নুন চামচ।
প্রণালী: ঠান্ডা জলে গাজরগুলোকে ভিজিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। জল থেকে তুলে ওপর ও নীচের কিছুটা অংশ কেটে বাদ দিন। গায়ের ওপরের ছালটা হালকা কয়ে ছাড়িয়ে ফেলুন। আবারও আধ ঘণ্টা ঠান্ডা জলে গাজরগুলোকে চুবিয়ে রাখুন। ঠান্ডা জলে চুবিয়ে রাখলে রান্নার পরেও গাজরের রংটা লালচে আসবে। জল থেকে তুলে গাজরগুলোকে সুন্দরভাবে কুরিয়ে ফেলুন। প্যানে ঘি গরম করুন। কোরানো গাজর দিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ ২ মিনিট ঢেকে ফেলুন হালকা আঁচে। ২ মিনিট পর ঢাকনা খুলে আবারও একটু নেড়ে দিয়ে চিনি দিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন। বাটা বাদাম ও থেঁতা এলাচ দিয়ে দিন। হালকা হাতে নাড়তে থাকুন। নরম নরম ভাব আসলে দুধ দিয়ে ফোটাতে থাকুন (দুধটাকে ইতিমধ্যে ফুটিয়ে ফুটিয়ে ঘন করে রাখবেন)। ফুটতে ফুটতে থকথকে ভাব আসলে নামিয়ে ফেলুন।
নলেন গুড়ের পায়েস
উপকরণ: গোবিন্দভোগ চাল ২ মুঠো, দুধ ২ প্যাকেট (ফুটিয়ে ঘন করে নেবেন) নলেন গুড় ২ কাপ, এলাচ ৪টে, ঘি ১ চামচ, চিনি ১ কাপ, নুন ১ চিমটে, কাজু ১০ পিস, কিশমিশ ১০ পিস।
প্রণালী: চালটাকে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। জল ঝরিয়ে একটা থালার ওপর ছড়িয়ে শুকিয়ে নিন। কড়ায় ঘি দিন। ঘি গরম হলে চালটাকে ভেজে নিন। ভেজে নিলে চালগুলো পরস্পরের গায়ে জড়িয়ে যাবে না। ঘন দুধটাকে এই সামান্য ভাজা চালে ঢেলে দিন। চালটাকে সেদ্ধ হতে দিন। কিছুক্ষণই পর পরই নাড়তে থাকুন, নইলে তলা ধরে যাওয়ার ভয় থাকেই। যখন বুঝবেন চালটা সেদ্ধ হয়ে এসেছে থেঁতা এলাচগুলোকে দিয়ে দিন। যখন বুঝবেন চালটা ঠিকঠাক সেদ্ধ হয়েছে এবং দুধের ঘনত্ব ঠিকঠাক আছে তখন চিনি দিন। সব মিশে গেলে নামান। পাত্রে ঢেলে অপেক্ষা করুন ঠান্ডা হবার। নর্মাল টেম্পারেচারে আসলে তবেই নলেন গুড় মেশান, (গরম অবস্থায় গুড় দিলে কাটা কাটা একটা ভাব আসতে পারে)। ইচ্ছে হলে ওপরে কাজু ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন।
কাজু বরফি
উপকরণ: কাজু ২০০ গ্রাম, ১ কাপ, জল ৬ চামচ, চিনি কাপ, গোলাপজল ১ চামচ, ঘি ৩ চামচ, বড় এলাচ ১টা।
প্রণালী: গ্রাইন্ডারে কাজু ভালো করে গুঁড়িয়ে নিন। দানা দানা ভাব হবে। আবারও গ্রাইন্ডার চালিয়ে পেস্ট করুন। একটু একটু থেমে গ্লাইন্ডার চালান। নইলে কাজু দলা পাকিয়ে যাবে এবং কাজুর তেল ভাবটা বেরিয়ে যাবে। দানা দানাগুলোকে ভালো করে মিহি করে নিন। নন স্টিক প্যানে জলের মধ্যে চিনি দিয়ে ফোটাতে থাকুন। চিনি গুলে গেলে কাজু পেস্ট দিয়ে আঁচ কমিয়ে দিন। খুব ভালো করে মেশাতে থাকুন। মিশ্রণটি খুব মসৃণ হওয়া দরকার। ক্রমাগত নেড়ে নেড়ে একে ঘন করুন। এবার পরিমাণ মতো ঘি ও গোলাপজল দিন। বড় এলাচের গুঁড়োও দিতে পারেন। ঢিমে আঁচে মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না থকথকে হচ্ছে। আবারও কয়েক ফোঁটা ঘি দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। খেয়াল রাখুন মিশ্রণটি যেন খুব শুকনো না হয়। কিছুটা ঠান্ডা হলে ছোট ছোট বল তৈরি করুন। দেখুন যেন আঠালো ভাব না থাকে। বাটার পেপারে ঢেলে ফেলুন। বড় গোল্লা বানান। ঢেকে রাখুন। কিছুক্ষণ পর বেলুনে ইঞ্চি পুরু করে বেলে নিন। ছুরি দিয়ে বরফির আকারে কেটে এয়ার টাইট বক্সে রাখুন।
মালপোয়া
উপকরণ: ময়দা ১ কাপ, এলাচ চামচ গুঁড়ো, মৌরী ১ চামচ, দুধ ১ কাপ (প্রয়োজনে), ঘি ৪ চামচ, মিল্ক পাউডার ৩ চামচ। খোয়া ক্ষীর, সুগার সিরাপ কাপ।
প্রণালী: মিক্সিং বোলে দুধ, খোয়া ক্ষীর ভালো করে মিশিয়ে নিন। ময়দা দিন এতে। এলাচ ও মৌরীও দিন। একটা মসৃণ ঘন দলাহীন মিশ্রণ তৈরি করুন। প্রয়োজনে দুধ দিন। যেন বেশি ঘন না হয়। পাতলা হলেও ছড়িয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে। ভালো করে ফেটিয়ে নিন ব্যাটারটাকে। ঘণ্টা ৪ মিশ্রণটিকে রেখে দিন। চিনির রস (সুগার সিরাপ) একটা গরম জলের পাত্রের ওপর বসিয়ে রাখুন। নইলে জমাট বেঁধে যাবে। কড়ায় ঘি গরম করুন। গরম হলে ২-৩ চামচ ব্যাটার দিন। ভালো করে ভাজুন। উল্টে আবার ভাজুন। লালচে রং ধরলে নামিয়ে ফেলুন। এক এক করে ভাজতে থাকুন। সব ভাজা হলে চিনির রসে ১০ মিনিট চুবিয়ে রাখুন। সময়মতো রাবড়ির সঙ্গে পরিবেশন করুন। ওপরে একটু পেস্তা ছড়িয়ে দিতে পারেন।