Bartaman Patrika
চারুপমা
 

নকশা বদল

ঋতু অনুযায়ী আমাদের সাজগোজের সঙ্গে বদলে যায় পোশাকের ডিজাইন। কোন মরশুমে কেমন নকশা ভালো লাগবে সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডিজাইনারদের মতামত জানালেন কমলিনী চক্রবর্তী।
 
সেটা ছিল ১৯৬৯ সাল। ফ্যাশন দুনিয়ায় এক নয়া ট্রেন্ড নিয়ে হাজির হলেন তরুণী ডিজাইনার ঋতু কুমার। তাঁর ‘ঋ বা ঋতু’ কালেকশনের হাত ধরে পাশ্চত্যের এক ঝলক দেখল ভারত। ব্লক প্রিন্ট, জিওমেট্রিক শেপ ইত্যাদির মাধ্যমে শাড়ি ও পোশাকে নতুন ধরনের নকশা আঁকলেন ঋতু। ক্রমশ এই ব্লক প্রিন্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠল দিল্লি, কলকাতার মতো শহরে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ঋতু বলেন, ‘ফ্যাশন এমনই একটা জিনিস যা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলাতে থাকে। আজ যা ইন কাল তা-ই আউট অব ফ্যাশন হয়ে যায়। আবার কিছু ডিজাইন এমনও রয়েছে যা বদলায়, পুরনো হয় আবার কালের নিয়মে সময়ের হাত ধরে ফিরেও আসে। গতানুগতিকের সঙ্গে নতুনের সাবলীল সংমিশ্রণের মাধ্যমেই তৈরি হয় নতুন ট্রেন্ড।’
পোশাকে প্রিন্ট কি মরশুমের সঙ্গেই বদলায়? ঋতুর কথায়, ‘আমাদের দেশে প্রিন্টের প্রাচুর্য। আজরাখ, বাঁধনি, বাটিক, বাগ— কত নাম করব? কিন্তু যে কোনও প্রিন্ট যে কোনও মরশুমে চলে না। মরশুমি বদলের সঙ্গে আমাদের পোশাকের প্রিন্টও বদলায়। যেমন বসন্ত আসে ফুলেল সুগন্ধ নিয়ে। গ্রীষ্ম আবার চোখের আরাম চায়। শীত মানেই উৎসব আর বিয়েবাড়ির মরশুম, তাই একটু জমকালো প্রিন্টের চাহিদা থাকে মনে। আবার বর্ষার মেঘলা দিনে একটু উজ্জ্বল রঙে সাজাতে হয় নিজেকে।’    
 
শীত উজ্জ্বল রং ঝলমল
শীতের বিয়েবাড়ি মানেই সাজগোজ একটু বেশি। কিন্তু সোয়েটার, শাল আর জ্যাকেটের ভিড় সামলে সাজ যেন ঢাকা পড়ে যায়। এমন ধারণায় ইতি টানার সময় এসেছে জানালেন বিশেষজ্ঞ ডিজাইনাররা। তাঁদের সকলেরই মত, যুগ বদলের হাত ধরে আমাদের দেশের ফ্যাশনে জাঁকিয়ে বসেছে ফিউশন ট্রেন্ড। অতএব সাজগোজে একটু অদলবদল করলে স্টাইলও বজায় থাকবে আবার শীতও মানবে। 
ডিজাইনার ঋতু কুমার সম্প্রতি তাঁর উইন্টার কালেকশন নিয়ে বাজার আলো করেছেন। তিনি জানালেন, শীত ফ্যাশনে একটু উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা হয়। যেমন ফুশিয়া পিঙ্ক, তুঁতে, ব্রাইট ইয়েলো ইত্যাদি। তার মধ্যে গোল্ড প্রিন্ট শীতের পক্ষে আদর্শ। একটু অবাঙালি সাজের কথা দিয়ে শুরু করলেন ঋতু। বললেন, শীতের বিয়েবাড়িতে লেহেঙ্গা চোলি সবসময়ই ট্রেন্ডি। কিন্তু তার সঙ্গে সোয়েটার, শাল বা জ্যাকেট? নাহ্, সাজের ষোলো আনাই মাটি। তাই অনেক ভেবেচিন্তে ডিজাইনটা বের করেছেন তিনি। চোলি ফুল স্লিভস, ফ্রক স্টাইল। এর সঙ্গে আবার হাই নেকলাইনও চলছে। ফ্যাব্রিক আর প্রিন্ট থাকছে জমকালো। পিওর সিল্ক, বেনারসি, তসর ইত্যাদির সঙ্গে উলেন শালের লাইনিং দেওয়া হচ্ছে। লেহেঙ্গা অবশ্য ট্র্যা঩ডিশনাল বেনারসি সিল্কেই তৈরি হচ্ছে। ঝুলটা অনেকসময় একটু ছোট রাখছেন ইচ্ছে করেই। ঋতু বললেন, ‘এতে হিলওয়ালা অ্যাঙ্কেল বুট দিয়ে পরলেও মন্দ লাগে না।’ 
বিয়েবাড়ি আর সাজগোজ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রেণির অধিকর্তা ও ডিজাইনার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় জানালেন, ‘একটু কাজ করা কাপড়ের উপর নানা ধরনের ডিজাইন করা হয় এই সময়। আর ফ্যাব্রিকের রংটাও এক্ষেত্রে একটু গাঢ় বাছা হয়। যেমন কালো, মেরুন, খয়েরি, লাল ইত্যাদি। তার উপর কাঁথার কাজ, সিকুইনের কাজ খুবই জনপ্রিয়। ভারী সিল্ক, তসর, কাতান সিল্ক, র সিল্ক এগুলো তো আমরা ব্যবহার করিই। এর সঙ্গে শীতের ফ্যাশনে দোপাট্টা খুবই ব্যবহার করা হচ্ছে। একটু ফ্লেয়ারি একরঙা প্যান্ট বা স্কার্টের সঙ্গে বেনারসি নকশার লং টপ আর একটা জমকালো দোপাট্টা— এই নিয়েই সম্পূর্ণ হচ্ছে শীতের সাজ।’ 
ঋতু কুমার আবার শাড়ির ফ্যাশনের কথা বলতে গিয়ে বললেন, শাড়ির সঙ্গে শাল না ব্যবহার করে সোয়েটারটাকেই ক্রপ টপের মতো পরে ব্লাউজের কাজ চালানো যায়। সেক্ষেত্রে কিন্তু সোয়েটার শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং হবে না, বরং কনট্রাস্ট হওয়াই ভালো। তবে পরার পর তা ক্যারি করতে পারছেন কি না দেখে নিন। শাড়ি যদি খুব উজ্জ্বল ও জমকালো হয় তাহলে সোয়েটার ক্রপ টপ একটু ম্যাট হতে পারে। তার সঙ্গে সূক্ষ্ম সুতোর কাজ বা অল্প চুমকি বসানো থাকলে ভালো লাগবে। তবে কোনও নকশাই যেন অতিরিক্ত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।    
খাদির ডিজাইনার ঐশী গুপ্তর মতে, শীতকালীন উৎসবের মেজাজের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ‘এক্সট্রা লার্জ প্রিন্ট’ খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চেকস থাকবে, বড় ফুলের নকশা থাকবে, বড় পোলকা থাকবে। এইসব আরও উজ্জ্বল করে তুলতে শীতের পোশাকে গ্লিটারও দেখা যায়। একটু শিমারি গোল্ড ডাস্ট, ভেলভেট কাপড়ে সুতোর নকশা, তার সঙ্গে সিকুইনের কাজ, এইসব নিয়েই শীত উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ঐশীর মত, শীতে যতটা ফিউশন ডিজাইন দেখা যায়, অন্য কোনও ঋতুতে তা দেখা যায় না। ফলে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় এই সময়।  

বসন্ত জাগ্রত
বসন্ত মানেই রঙের উৎসব। রঙিন হওয়ার দিন। মরশুমের বদলটা এই সময় প্রকৃতিতে ধরা দেয় সম্পূর্ণ রূপে। রুক্ষ শুষ্ক শীতের পর বসন্ত নতুন প্রাণ নিয়ে হাজির হয় আমাদের জীবনে। ঩সেই রং ও রূপকে পুরোপুরি নিজেদের মধ্যে ভরে নিতে চাইলে ফুলেল সাজই যথাযথ, জানালেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁর মতে, ‘ফুল বললেই যে মনের মধ্যে একরাশ রঙের সঞ্চার ঘটে সেই রংই বসন্তের নকশাকে সজীব করে তোলে। একটা মনমাতানো গন্ধ থাকে বসন্তের নকশায়। তবে ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী কেউ হয়তো বড় প্রিন্ট চান সেই নকশায়। কেউ বা ফুলের সঙ্গে লতাপাতা মিলিয়ে মিশিয়ে সাজতে চান। মোটমাট রঙের উৎসব উদ্‌যাপন করার জন্য রঙিন নকশাই উপযুক্ত। এছাড়া পাখি দিয়েও এই সময়কার নকশা আঁকা যায়। নানা ধরনের পাখির কলরবে যেমন বসন্ত জেগে ওঠে তেমনই পোশাকেও সেই জিনিসটা তুলে ধরা যায়। একটা প্রাকৃতিক ফিল পাওয়া যাবে এইভাবে। এছাড়া একেবারে ভিন্ন কিছু চাইলে একটু ফ্রুটি ফ্লেভার আনা যায় বসন্তের নকশায়। বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফল দিয়েও সাজানো যায় এই সময়কার পোশাক।’
একই সুরে কথা বললেন ঐশী। তাঁর মতেও, বসন্ত মানেই রঙিন হওয়ার দিন। তিনি বললেন, বসন্তে ফুলের রঙের সঙ্গে একটু সবুজ পাতা যুক্ত করলে দারুণ লাগবে। আসলে এটা একটা উৎসবে মুখরিত মরশুম। আমাদের দেশে বসন্ত গ্রীষ্মের মধ্যে অনেকটাই ঢুকে যায়। বসন্তেও দহনদিনের আমেজ। ফলে সুতির পোশাকই আমাদের দেশে উপযুক্ত। সেক্ষেত্রে সুতির উপর রঙের খেলা করা হয় নকশার মাধ্যমে। বাটিক, বাঁধনি, আজরাখ এই মরশুমে আদর্শ। এই প্রিন্ট কিন্তু একটু একটু করে বসন্তের হাত ধরে গ্রীষ্মেও ঢুকে পড়ে। আর ফুলের নকশায় সবুজের ছোঁয়া বসন্তকে আরও ভালো ফুটিয়ে তুলতে পারে। বসন্ত সবসময়ই একরাশ ফুলের গন্ধ নিয়ে হাজির  হয়। ফলে এই মরশুমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে আমরা ফ্লোরাল প্রিন্টের পোশাক পরি’, জানালেন নামেঘ-এর অন্যতম কর্ণধার মেঘালি লাহিড়ী। তিনি আরও বলেন, শুধু ফুলই নয়, এই সময় আকাশে বাতাসে রং লাগে। তাই উজ্জ্বল নকশাও বসন্তের অন্যতম অঙ্গ।
 রঙের খেলার কথা বলতে গিয়ে ঐশী বললেন, ‘স্প্রে প্রিন্ট, হ্যান্ড বাটিক ইত্যাদি দিয়েও বসন্তকে সাজানো যায়। এতে শৈল্পিক ছোঁয়া আসে নকশায়। অন্যান্য দেশের তুলনায় তা আলাদা হয়ে ওঠে।’   

গ্রীষ্মের দহনদিনে
‘নকশা একধরনের চালচিত্র। আমাদের সামাজিক নানা রূপ ফুটে ওঠে পোশাকের নকশার মাধ্যমে’, বললেন ঐশী। সামাজিক নানা গোষ্ঠীও নিজেদের প্রকাশ করে পোশাকি প্রিন্ট বা নকশার মাধ্যমে। গ্রীষ্মের ক্ষেত্রে পোলকা ডট ও ফুলের নকশা দিয়ে ঋতুটিকে বর্ণনা করা যায়। কিন্তু এর মধ্যে আবার একটা ফিউশন এলিমেন্টও ঢুকে পরেছে জানালেন তিনি। পোলকা ডটস যেমন পাশ্চাত্যের নকশাকে তুলে ধরে, সাত ও আটের দশকের সাজকে বোঝায়, তেমনই আবার ফ্লোরাল হলে ব্যাপারটাতে একটা বৈচিত্র্য আসে। ফলে তাতে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের মিলমিশ হয়।   
গ্রীষ্মকাল মানেই ফ্যাব্রিক থেকে নকশা সব হবে হালকা। তাই ব্লক প্রিন্ট এই সময়ে আদর্শ। স্বস্তিকার কথায়, ‘হালকা রং, হালকা নকশা আর হালকা ফ্যাব্রিক এই তিনটে জিনিস গরমকালে পোশাক ডিজাইনিংয়ের ক্ষেত্রে মাথায় রাখা জরুরি। তাই মলমল, চান্দেরি ইত্যাদি ফ্যাব্রিক যেমন গরমের জন্য উপযুক্ত তেমনই প্রিন্টের ক্ষেত্রে বেছে নিন ছোট ব্লক প্রিন্টে আঁকা ডিজাইন। একটু দূরে দূরে নকশা থাকলে পোশাকের রং আর নকশা দুটোই খোলে। আর গরমকালে সেটাই ভালো লাগে।’ 
ঐশী জানালেন গ্রীষ্মের পক্ষে আদর্শ কিচ প্রিন্ট। কাচের বোতলে যেমন হালকা নকশা আঁকা হয়, গ্রীষ্মের পোশাকেও তেমনই জলে ধোয়া রঙিন নকশা মানানসই। আবার গ্রীষ্মের নকশায় রাস্তাঘাটের রূপটান দিয়েও তাকে প্রাণবন্ত করে তুলতে চান অনেক ডিজাইনার। সেই মতো গ্রীষ্মের প্রিন্টের মধ্যে অটো রিকশা, ট্যাক্সি ইত্যাদিরও প্রবেশ ঘটে গিয়েছে। গ্রীষ্মের নকশায় একটু বড় ফুল, দূরে দূরে ছাপানো ফল, ফুল ইত্যাদি ভালো লাগবে বলে মনে করেন মেঘালি। তাঁর কথায়, ‘গ্রীষ্ম মানেই হালকা রং। আর হালকা রঙের সঙ্গে মানানসই হল দূরে দূরে নকশা বা প্রিন্ট। সেই জিনিসটা অবশ্যই এই ধরনের নকশায় ধরা পড়ে।’ এছাড়া সুতির কাপড়ের উপর বাটিকের কাজ বা প্রিন্টও তাঁর খুব পছন্দ এই সময়ের জন্য। বাটিকের নকশা একই সঙ্গে উজ্জ্বল, রঙিন এবং সুদিং। ফলে গ্রীষ্মের পক্ষে এই নকশা একেবারে অনবদ্য।   

বাদল দিনের সাজ
বর্ষায় একটা মাটির গন্ধ পান স্বস্তিকা। তিনি এই ঋতুতে সুন্দর সাজগোজ করতে ভালোবাসেন। বললেন, ‘আকাশ মেঘলা হলে পোশাকে রং ঢেলে দিন। একটু নিয়ন কালার যেমন শকিং পিঙ্ক, ইলেকট্রিক ব্লু, ব্রাইট ইয়েলো ইত্যাদি। তার উপর জিওমেট্রিক প্রিন্ট সবচেয়ে ভালো লাগে। একটু স্ট্রাইপ, একটু চেকসও মন্দ নয়। আবার জিওমেট্রিক প্রিন্টের সঙ্গে এথনিক সাজে অল্প হাতের কাজ রাখা যেতেই পারে। যেমন প্রিন্টের মধ্যে গুজরাতি স্টিচ, কাঁথা, অল্প চুমকি দিয়ে সাজানো হয় পোশাক। এগুলো বর্ষায় ভালো।   
ঐশী কিন্তু বর্ষায় একেবারে অন্য ধরনের নকশার কথা বললেন, তাঁর মতে একটু অ্যানিমাল প্রিন্ট বর্ষার পোশাকে একেবারে ভিন্ন মাত্রা আনতে পারে। আগেকার দিনে অ্যানিমাল প্রিন্ট বলতে ছিল লেপার্ড প্রিন্ট বা জেব্রা প্রিন্ট। কিন্তু এখন আর সেরকম হয় না। এখন অ্যানিমাল প্রিন্ট বলতে প্য প্রিন্ট, বিয়ার প্রিন্ট, পান্ডা প্রিন্ট, ক্যাটি, ডগি প্রিন্ট সবই বুঝি। এই ধরনের প্রিন্ট বর্ষায় দারুণ মানিয়ে যায়। বর্ষার থিম থেকেই এই মরশুমের নকশা বেছে নেওয়া যায়। যেমন মেঘলা আকাশ, বৃষ্টির ফোঁটা এই ধরনের নকশা যেমন বর্ষায় মানানসই, তেমনই আবার কাগজের নৌকো, সেলবোট, ইয়ট ইত্যাদিও বর্ষার নকশায় ঢুকে পড়েছে। ‘আসলে আমরা যে কোনও মরশুমে খুশি থাকার রসদ খুঁজি’, জানালেন ঐশী। ফলে অন্য ধরনের প্রিন্ট ক্রমশ খুঁজে বের করছি। এমন কিছু যা আমাদের মুখে হাসি এনে দেয়। কাগজের নৌকো, সেল বোট ‌ইত্যাদি তারই মধ্যে পড়ে। মেঘালির মতে, বর্ষায় উজ্জ্বল রং ভালো লাগে। আকাশের মুখ ভার। তাই নিজের সঙ্গে প্রকৃতিকেও রাঙিয়ে তুলতে হয়। অনেকে ফুলেল নকশা চান, কেউ চান জিওমেট্রিক শেপ, আবার কারও পছন্দ ফিগার। ফলে বর্ষার নকশায় বাঁধাধরা নিয়ম নেই, বললেন মেঘালি। প্রকৃতির মতোই নকশাও এলোমেলো। কখনও মেঘ, কখনও বৃষ্টি আর কখনও রোদে প্রকৃতি যেমন নিজেকে সাজায়, তেমনই পোশাকেও নানা নকশা, হরেক রং। ডিজাইনারদের মতে পোশাকি নকশা আমাদের জীবনকে উদ্‌যাপন করার একটা বড় উপায়। এই উদ্‌যাপন একটা স্তরে ব্যক্তিগত, তাই পোশাকের নকশাও নিজের পছন্দ পছন্দের উপর নির্ভর করে। কিন্তু তারও মধ্যে তারতম্য রয়েছে। সাজের ষোলো আনা পূর্ণ করতে নকশার সাত সতেরো জানা তাই জরুরি। 
05th  November, 2022
ঘরেই স্বস্তি

সাধারণ উপকরণে ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভ কীভাবে করবেন? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে লিখলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য। বিশদ

20th  April, 2024
গরমে কোন শাড়ি

রাত পোহালেই নতুন বছর। শুভ সূচনায় বেশিরভাগ মহিলাই শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। উষ্ণ দিনে কেমন শাড়ি চলছে, খোঁজ নিলেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

13th  April, 2024
ঘরোয়া টোনারে স্বস্তি

মুখের ঘাম নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে লিখলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।  বিশদ

06th  April, 2024
ফ্যাশনে লিনেন

গ্রীষ্মের শুরুতেই ওয়ার্ডরোব সাজিয়ে ফেলুন পছন্দসই লিনেন পোশাকে। ক্যাজুয়াল থেকে ফর্মাল, সব পোশাকেই তা মানানসই। জানালেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

30th  March, 2024
চোখ বাঁচিয়ে মেকআপ
 

চোখের মেকআপের আগে সতর্কতা কেমন হবে? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য। বিশদ

30th  March, 2024
দোলের দিনে সাজার টিপস

দু’দিন পরে রঙের উৎসব। কীভাবে সাজবেন? লিখছেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

23rd  March, 2024
কেশচর্চার নানারকম

গরমে চুলের পরিচর্যা কীভাবে করবেন? বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

23rd  March, 2024
স্নিগ্ধ বেশ

গ্রীষ্মের নানাবিধ প্রিন্ট দিয়ে ফ্যাশন করতে পারেন। লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য। বিশদ

16th  March, 2024
ত্বকের যত্নে টম্যাটো

ত্বকের দেখভালে কাজে লাগাতে পারেন টম্যাটো। রূপ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জানাচ্ছেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

09th  March, 2024
দহন দিনের দেখভাল

মরশুম বদলের সঙ্গেই ত্বক ও চুলের যত্নের ধরন বদলান। শেহনাজ হুসেন-এর সঙ্গে কথা বলে লিখলেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

02nd  March, 2024
নবাবের বাড়িতে বাঙালি পোশাক

সম্প্রতি বলিউড তারকা সইফ আলি খানের পোশাক ডিজাইন করলেন অভিষেক রায়। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা, কথা বললেন অন্বেষা দত্ত। বিশদ

24th  February, 2024
নারকেল জলে চুলের যত্ন

ডাব ও নারকেল জল দিয়ে চুলের যত্নের হদিশ দিলেন বিশেষজ্ঞ। লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য। বিশদ

17th  February, 2024
বেনারসি জ্যাকেট

শাড়ি বা অন্য পোশাকের সঙ্গে বেছে নিন মানানসই বেনারসি জ্যাকেট। কেমন সেই সাজ? বিশদ

17th  February, 2024
নানা রূপে বেনারসি

বেনারসির নকশা ও রূপের নানারকম নিয়ে মতামত জানালেন বিশেষজ্ঞরা। বিশদ

10th  February, 2024
একনজরে
তাপমাত্রা বাড়তেই ভাবনা বদল। বুধবার বালুরঘাটে এই মরশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন পারদ আরও চড়ার পূর্বাভাস পেয়ে ভোট দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন ভোটাররা। ...

কলকাতা বেলেঘাটার বাসিন্দা গণেশ দাসকে খুনের ঘটনায় বুধবার উদ্ধার হল কিছু হাড়গোড়। জয়পুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গাইঘাটা খাল থেকে ফিমার, কোমরের সহ সাতটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জলে ডুবিয়ে রাখতে ব্যবহৃত বস্তা, দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। ...

একাধিক মামলায় তিনি ছিলেন পুলিসের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। জানুয়ারিতেই তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, থাইল্যান্ডে ধরা পড়লেন নয়ডার স্ক্র্যাপ মাফিয়া তথা উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রবি কানা। ...

ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম সমালোচক তথা বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান। জেলের ভিতর সেই মৃত্যু নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিন্দার মুখে পড়েছেন পুতিন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM