কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
হাওয়ায় শুকনো টানের মরশুম শুরু। তাই ত্বককে সতেজ রাখতে প্রয়োজন নিত্য পরিচর্যা। এক্ষেত্রে সই পাতান তেলের সঙ্গে। আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা নানা তেলই ত্বকের সৌন্দর্যভাণ্ডারের দায়িত্ব নিক এই শীতে।
নারকেল তেল: অপরিশুদ্ধ নারকেল তেলে থাকে লিনোলিনিক অ্যাসিড ও লরিক অ্যাসিড। এই তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণও সর্বজনগ্রাহ্য। তাই শীতে ত্বককে কোমল রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সারারাত মুখে নারকেল তেল মেখে রাখার পরামর্শ দেন রূপবিশেষজ্ঞরা। এতে এন্ডোডার্ম (ত্বকের ভিতরের অংশ) পর্যন্ত আর্দ্রতা পৌঁছায়। যাঁদের ত্বক এমনিই বেশ রুক্ষ তাঁরা তো বটেই, এমনকী, তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরাও শীতকালে এই তেল শরীরে হালকা হাতে মাসাজ করতে পারেন। ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ থাকলেও নারকেল তেল সেক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। এছাড়া মুখের দাগছোপ দূর করতেও ওস্তাদ লরিক অ্যাসিড। তাই শীতে ত্বককে সতেজ রাখতে নারকেল তেলকে রাখুন ফিট লিস্টে।
সর্ষের তেল: পুরনো দিনের মানুষরা সবচেয়ে বেশি ভরসা করেন সর্ষের তেলে। শিশুদের শরীরে এই তেল মাখিয়ে রোদে শুইয়ে রাখার প্রচলন একটা সময় প্রায় প্রতিটি বাঙালি ঘরেই ছিল। হাড়ের জোর আনার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করতে সর্ষের তেল খুব উপযোগী। রুপবিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠের মতে, সর্ষের তেলের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে মাখলে তা ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। শীত মানেই পার্টি বা উৎসব। সেক্ষেত্রে বেরনোর আগে দু’-এক ফোঁটা সর্ষের তেল নিয়ে মুখে হালকা মাসাজ করে মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিলে তা ফেসিয়ালের কাজ করে। এতে ত্বকে মেকআপ বসেও খুব সুন্দর। শীতের ফাটা গোড়ালিকে জব্দ করতেও আস্থা রাখুন সর্ষের তেলে। প্রতিদিন রাতে সর্ষের তেল পায়ে মাসাজ করে শুতে যান। পা ফাটার সমস্যা থাকবে দূরে।
অলিভ অয়েল: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ডি, ই এবং জরুরি ফ্যাটি অ্যাসিডের গুণে ভরপুর অলিভ অয়েল ত্বকের কোলাজেন স্তরকে মজবুত রাখে। পছন্দের কোনও এসেনশিয়াল অয়েল দু’-এক ফোঁটা নিয়ে তার সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে চোখের চারপাশে রোজ মাসাজ করলে ডার্ক সার্কল হওয়ার কোনও সুযোগই পাবে না। বডি স্ক্রাবিংয়েও এই তেলকে কাজে লাগান। সিকি কাপ চিনির সঙ্গে তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল আর দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে সারা শরীরে ঘষলে মৃত কোষ ঝরে যায়। ত্বক উজ্জ্বল ও নরম থাকে।
ক্যাস্টর অয়েল: চুলের পাশাপাশি ত্বককেও সতেজ করতে পারে এই তেল। ব্রণ ও আই ব্যাগ সারাতেও এটি সক্ষম। রাতে ঘুমোনোর আগে দু’-এক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল নিয়ে চোখের চারপাশে ও ব্রণর জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। এতে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান আছে। তাই সানবার্ন রুখতে এর জুড়ি নেই। শীতেও ত্বক পুড়ে গেলে তাই ক্যাস্টর অয়েল মেখে কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। বাতাস থেকে আর্দ্রতা শোষণ করার ক্ষমতা আছে এই তেলের। তাই তা ত্বককে আর্দ্রও রাখে।