গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কিছু শাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে একটা অন্য রকমের গল্প। সে গল্প জানলে শাড়িটি যেন আরও স্পেশাল হয়ে যায়। অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারের পরনের সাদা-কালোয় তেলিয়া কটন শাড়িটিও সেইরকম একটি শাড়ি। এর আভিজাত্য একবার দেখলেই বোঝা যায়। শাড়ির সঙ্গে মানানসই ব্লাউজে প্রিয়াঙ্কাকে মানিয়েছে চমৎকার। সঙ্গে গলায় ভারী গয়না সাজকে দিয়েছে পূর্ণতা।
তেলিয়া ভারতের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ শাড়ি বৈচিত্র্য। তৈরি হয় অন্ধ্রপ্রদেশে, মূলত হায়দরাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে। সুতি, সিল্ক দু’ধরনের সুতোতেই তেলিয়া বোনা হয়। যে রং দিয়ে সুতোগুলি রাঙানো হয় তাতে বিশেষ এক ধরনের তেল মেশানো থাকে। যার কারণে রং এত উজ্জ্বলতা পায়, তাই এর নাম তেলিয়া। মূল রং হয় তিনটি লাল-কালো-সাদা। নকশাগুলি অতি সূক্ষ্ম ও জটিল, বুনতে বিশেষ দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ লাগে, তাই এর দামটাও বেশি হয়। তেলিয়ার নকশা এক ধরনের ইক্কত। ইক্কত ওড়িশাতেও হয় আবার আমাদের বাংলার তাঁত শিল্পীরাও তাঁতের শাড়ির আঁচলে বা জমিতে অন্য ধরনের ইক্কত, চলতি কথায় কটকি নকশা বুনতে পারেন। ইক্কত নকশার অর্থ হল, যে নকশা শাড়িতে বোনা হবে যেমন চৌখুপি, দাবার ছক, মাছ, পাতা, ফুল, লতা যা-ই হোক না কেন, নকশাটি মাথায় রেখে সুতো সেই মাপে সেই দূরত্বে আগাম রং করে নিতে হবে যাতে তাঁতে ফেলে বুনলেই নির্দিষ্ট নকশা আপনাআপনি ফুটে ওঠে। এই সাদা কালো শাড়িটির নকশাকে বলে তেলিয়া রুমাল নকশা। অন্ধ্রের সুতির শাড়ি যেমন গাদোয়াল, তেলিয়া ভারতের সবচেয়ে ফাইন সুতিবস্ত্র, তাই এত আরামদায়ক।
তেলিয়া কটনের দাম শুরু প্রায় সাড়ে তিন হাজার থেকে। এমন শাড়ি সংগ্রহে থাকলে, পরবর্তী প্রজন্মও ব্যবহার করতে পারে, এমন টেকসই ও পাকা রং। শাড়ির অভিনবত্বই বলে দেয়, শুধু তারকা নন, এ শাড়িতে অনন্যা হতে পারেন আপনিও।
মেকআপ ও হেয়ার: অভিজিৎ পাল
ছবি: বিজয়া দত্ত
শ্যুটিংস্থল: জে ডব্লু ম্যারিয়ট, কলকাতা
যোগাযোগ: ৯৮৩০০৩২৫৩৭/ ৯০০৭০২৪৬৪৪
ব্লাউজ: সায়ন্তী ঘোষ ডিজাইনার স্টুডিও
যোগাযোগ: ৯৮০৪০১০৩৪৯
গয়না: অঞ্জলি জুয়েলার্স, যোগাযোগ:০৩৩-২৪৬০০৫৮১ ও সৌখিন, যোগাযোগ: ৮০১৭৭২১৩০৫