রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বেশ কয়েক বছর ধরেই নিজস্ব বুটিক চালাচ্ছেন অঙ্গনা বসু। তাঁর বুটিকে এতদিন ফেব্রিকের কাজ হতো। শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি ইত্যাদির ওপর ছবি আঁকতেন অঙ্গনা। তারপর হঠাৎই একদিন ব্যবসার মোড় গেল ঘুরে। রং-তুলির জগৎ ছেড়ে অঙ্গনা পাড়ি জমালেন গামছার দুনিয়ায়। একেবারেই ভিন্ন ধারার কাজে মন দিলেন তিনি।
কিন্তু হঠাৎ বদল কেন? অঙ্গনা বললেন, ‘একটা নাটকের দল আমার কাছে গামছার তৈরি স্কার্ফ চেয়েছিল নাটকে ব্যবহার করবে বলে। সেই প্রথম আমি গামছা নিয়ে কাজ করলাম। তারপর সেই গামছাই ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠল। আমিও চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসার মোড় ঘুরিয়ে দিলাম।’
প্রথম দিকে গামছা দিয়ে স্কার্ফ আর ব্যাগ বানাতেন অঙ্গনা। ক্রমশ গামছা দিয়েই তৈরি করলেন কুর্তি, প্যালাজো, স্কার্ট, র্যাপার ইত্যাদিও। তারপর চাহিদা আরও বাড়লে তৈরি হল শাড়ি, পাঞ্জাবি। সম্পূর্ণ নিজের নকশাতেই কাজ করেন অঙ্গনা। এক একটা ডিজাইন নিয়ে বহুদিন ধরে ভাবনাচিন্তা করতে হয়। তারপর তা থেকেই ঠিক করা হয় নতুন কোনও গয়না বা ব্যাগের চেহারা কেমন হবে।
গামছার সঙ্গে কাঠের পুতুল, পেঁচা, রাজা-রানি ইত্যাদি মিলিয়েমিশিয়ে তিনি কানের দুল বা গলার হার তৈরি করেন। কখনও আবার দু’রঙা গামছার বিনুনি আর ফুল তৈরি করে তা-ই মিশিয়ে দেন গলার হারে। অথবা গামছার সঙ্গে মেশান একরঙা সুতির কাপড় আর তাঁর সঙ্গে কড়ি দিয়ে সম্পূর্ণ করেন নকশা। সাধারণত একটু বেশি রংচঙে আর উজ্জ্বল গয়না বানান অঙ্গনা। তাঁর মতে, সহজে যাতে চোখে টানে, সেজন্যই একটু বড় আর রঙিন গয়নার দিকে ঝুঁকেছেন তিনি।
তাঁর ব্যাগের ধরনও বিভিন্ন। কোনওটা বটুয়া স্টাইল, কয়েকটা আবার গোলাকার নকশার। গামছার হাতল, পাটের বিনুনি দেওয়া হাতল অথবা কড়ি ও বড় বোতামের কারুকাজ করা হাতল সেসব ব্যাগের চেহারাই আমূল বদলে দিয়েছে। কুর্তি বা প্যালাজোতেও পাবেন নানা রঙের গামছার সমাহার। এখনকার চাহিদা অনুযায়ী জ্যাকেট, নকশাদার ব্লাউজ সবই পাবেন অঙ্গনার সম্ভারে। মূলত অনলাইন বিক্রিতেই তিনি অভ্যস্ত। পরিচিত ও প্রতিবেশীদের মাধ্যমেও কিছুটা ব্যবসা হয়। এছাড়া রয়েছে তাঁর ফেসবুক পেজ। ফেসবুকে ‘অঙ্গনা’জ’ পেজে গিয়ে জিনিস পছন্দ করার সুযোগও রয়েছে ক্রেতাদের।
যোগাযোগ: ৯৮৩৬১০৫৫৩১