পরমা ঘোষ তাঁর পুজো স্পেশাল কালেকশনে নিয়ে এসেছেন ঠাকুরের গয়নার কারুকাজ। বিখ্যাত বাড়ির পুজোগুলোয় প্রতিমাকে যে ধরনের গয়না পরানো হয়, তার থেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজে পেয়েছেন তিনি। থিম পুজোর দাপটে আজকাল অতীতের ডাকের সাজ কোথাও কোথাও উপেক্ষিত। তাই শোভাবাজার, পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট বা লাহাবাড়ির পুজো অথবা বাগবাজার, ম্যাডক্স স্কোয়ারে প্রতিমার ডাকের সাজ মনে রেখে মায়ের ডাকের মুকুট অর্থাৎ মাথার পুরো সাজটাই হ্যান্ড এমব্রয়ডারিতে জারদৌসি টেকনিক ব্যবহার করে শাড়ি এবং ব্লাউজে ফুটিয়ে তুলেছে তাঁর ‘পরমা’ ব্র্যান্ড। ডাকের সাজে শোলার এফেক্ট দেওয়ার জন্য সুতো ব্যবহার করা হয়েছে। আর রাংতার কাজের এফেক্ট দিতে সিকুয়েন্স, সিলভার জরি এসবও ব্যবহার করেছেন। মায়ের মুকুটের জন্য বিভিন্ন বনেদি বাড়ির পুজো থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তা তৈরি করা হয়েছে। সেটায় সিলভার-গোল্ডেন দু’টো মিশিয়ে করা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকছে টিকলি এবং তাঁর চোখ। অর্থাৎ মা যেন পরে রয়েছেন সেটা। এছাড়া ঠাকুরের গয়না বিক্রি করে যেসব দোকান, সেখান থেকেও অনুপ্রেরণা নিয়ে গয়না এমব্রয়ডারি করা হয়েছে শাড়ি-ব্লাউজে। সেগুলো শুধুই ঠাকুরের গয়নার ডিজাইন। খুব জমকালো, মুক্তো-সোনা-চুনি-পান্নার এফেক্ট দিতে স্টোন ব্যবহার করা হয়েছে। সেটাও হয়েছে জারদৌসি টেকনিকে হ্যান্ড এমব্রয়ডারি করে। সবই হয়েছে সিল্কের ওপরে। কারণ এগুলো ভারী কাজ, তাই শাড়ি-ব্লাউজ দু’টোর ক্ষেত্রেই সিল্কে কাজটা করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিবারের মতো জনপ্রিয় গরদে ভিনটেজ সোনার গয়নার নকশা একইভাবে তুলে আনা হয়েছে। যাঁরা সিল্কে স্বচ্ছন্দ নন, তাঁদের জন্য কটনের অপশনও রয়েছে। জামদানি আর ধনেখালিতে পুরো কুমোরটুলির মানচিত্র তুলে আনা হয়। ঠাকুর তৈরি হচ্ছে, এই প্রক্রিয়ার ছবিও তার মধ্যে থাকে। সঙ্গে থাকছে পরমার ‘বাজল তোমার আলোর বেণু’ ব্লাউজ আর ‘দেবী’র পোস্টারের ব্লাউজও। এগুলো আগেকার কাজ হলেও পুজোর সময় কদর বাড়ে বলে জানালেন তিনি। তাই আলাদা করে পুজোর জন্য এগুলো আবার তৈরি করেন তিনি। জানালেন, বেশি জাকজমক যাঁরা পছন্দ করেন না, তাঁদের জন্য কুমোরটুলি শাড়ি, দেবী শাড়ি আর ব্লাউজ থাকছেই।
মডেল: শ্রেয়া ভট্টাচার্য ও পর্ণা চক্রবর্তী
ছবি: নীল ভৌমিক