কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মুমতাজ সরকার
জীবনের প্রথম ট্যাটু ক্লাস ইলেভেনে। কোমরে ছোট একটা ডিজাইন। কারণ স্কুলে পড়ি তখনও। তবে খুব ভেবেচিন্তে করিনি। বাড়িতে কাউকে বলিওনি। মা-বাবা তখন ট্যুরে। ট্যাটুর প্রতি ভালোলাগা বরাবরই ছিল। এক মাস পরে মা-বাবা ফিরলে বলে দিয়েছিলাম। মা পছন্দ করেননি। বাবা ভালো করেই বলেন, ‘এমন ডিজাইন করলে কেন, ভেবে করেছিলে? এটা সারাজীবনের সঙ্গী। আর একটু ভেবে করতে পারতে।’ যাই হোক, ব্যাপারটা মিটে যায়।
স্কুলের পড়া শেষ করে আবার একটা ট্যাটু করি। সেটা হাতে, একটা ইউনিকর্ন। নিজেকে মেলাতে পারি ইউনিকর্নের সঙ্গে। ম্যাজিকাল ব্যাপার। ম্যাজিক তো আমার পরিবারের অঙ্গ। ইউনিকর্ন খুব পিওর ক্যারেক্টার, যাকে চট করে নির্দেশ দিয়ে চালানো যাবে না। আমিও তাই। ইউনিকর্ন সবাই দেখতে পায় না। মিথিক্যাল একটা ব্যাপার। যাদের মন পবিত্র, বলা হয় তারাই দেখতে পায়। তাই সবটা মিলিয়ে আগ্রহ ছিল। আমরা তিন বোনই ইউনিকর্ন করেছি। তবে ডিজাইনে পার্থক্য আছে। পায়ে করেছি অন্য একটা নকশা।
হাতের ইউনিকর্নটা পরে আরও ইলাবরেট করিয়েছি। মান্ডালা ডিজাইন দিয়ে। গোটা হাতেই করার ইচ্ছে ছিল। তবে আমার পেশায় সেটা মুশকিল। তাই অর্ধেক হাতে করিয়েছি। আর একটা নকশা করিয়েছি পিঠের মাঝখানে। ওটায় আছে পদ্মফুল। সেটাও পবিত্রতার প্রতীক। আরও ট্যাটু করানোর ইচ্ছে আছে। করোনা কমলেই করাব।
প্রথমবার যারা করাবে, তাদের মনে রাখতে হবে, ডিজাইনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সারাজীবন সঙ্গে থাকবে। তাই দেখেশুনে করা ভালো। সব সময় ট্যাটুর মানে থাকবে, এমন না হলেও দেখতে যাতে ভালো লাগে, সেটা মাথায় রাখো। এমনও হয়, কম বয়সে যে ডিজাইনটা যাবে, বয়স হয়ে গেলে সেটা মানানসই লাগবে না। তাই সারা জীবন ক্যারি করতে পারবে, এমন কিছুই করানো উচিত। কোন ট্যাটু আর্টিস্টের কাছে করছ, সেটাও দেখে নেওয়া ভালো। শপিং মলে খোলা জায়গায় বা পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠা যে কোনও ট্যাটু পার্লারে যাওয়াটা ঠিক নয়।