কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
লকডাউন শেষের পথে। শুরু আনলক ওয়ান। আগামী সোমবার থেকে খুলে যাচ্ছে অনেক অফিস। রোজ না হলেও সপ্তাহে দু’তিন দিন যেতেই হবে। কর্মক্ষেত্রে তো আর যেভাবে খুশি যাওয়া যায় না। কেমন পোশাক পরবেন, কী ধরনের ব্যাগ নেবেন, জুয়েলারি পরা উচিত হবে কিনা - এমন নানা সংশয় মনে জাগছে।
• আনলক ওয়ান শুরু। কিন্তু সংক্রমণ তো থেমে নেই । কী ধরনের শাড়ি বা পোশাক পরে পথে বেরোব?
•• এই সময়ে শাড়ি না পরে চুড়িদার কামিজ, কুর্তা লেগিংস, স্ট্রেট পালাজো কুর্তা অফিসে পরা যেতে পারে। খুব ঘের দেওয়া সালোয়ার কামিজ ওড়না না পরাই ভালো। কারণ পোশাক যত ফ্লেয়ারি হবে, তত ড্রপলেটস লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই শাড়িটা অ্যাভয়েড করতে বলছি। ছ' মিটারের শাড়ি - কুঁচি, আঁচলের কোথায় ড্রপলেটস লেগে যাবে, বোঝাও যাবে না।
• কিন্তু যাঁরা শাড়ি ছাড়া অন্য পোশাক পরেন না বা যদি এর মধ্যে শাড়ি পরে বেরোতেই হয়, তাহলে?
•• যাঁরা অফিসওয়ারে রোজ শাড়ি পরেন, তাঁরা এমন শাড়ি বাছবেন, যা বাড়ি ফিরেই সাবান জলে ভিজিয়ে রাখলে নষ্ট হবে না। গরমের দেশে তো পুরো সিন্থেটিক শাড়ি পরা কষ্টকর। তাই সিন্থেটিক মিক্সডকটন শাড়ি পরতে পারেন। যদি এর মধ্যে অনুষ্ঠানে যেতে হয়, তাহলে তো সিল্ক তসরে হাত বাড়াতেই হবে। দামি শাড়ি বাড়িতে কাচলে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই আগে একটা প্যাকেট রেখে বেরোবেন। ফিরেই আলতো করে শাড়িটা খুলে ভাঁজ করে প্যাকেটে রেখে দেবেন। আলমারিতে তুলবেন না। খালি স্যুটকেসে রাখতে পারেন। তিন দিন পর শাড়িটি রোদে তিন চার ঘণ্টা রেখে তারপর আয়রন করে তুলবেন।
• লন্ড্রিতে জামাকাপড় কাচতে দেওয়া যাবে?
•• যাবে। তবে এক্ষেত্রে তিন চার দিন পরে ওই পোশাক ব্যবহার করা উচিত। যাঁরা বাইরে আয়রন করতে পাঠান, তাঁরাও বাড়িতে এনেই না পরে তিন চার দিন পর পরলে ভালো। তবে বেরনোর আগে বাড়িতে আয়রন করে ফ্রেশ পোশাক পরা সবচেয়ে ভালো।
• কী ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করা যায় এই সময়ে?
•• পিওর লেদার ব্যাগ না নিয়ে সিন্থেটিক লেদার লুক ব্যাগ নিন। যাঁরা এই সময়ে বেরোচ্ছেন, তাঁরা বাড়িতে নির্দিষ্ট জায়গা করুন, ফিরেই যেখানে জিনিসপত্র রাখবেন। সেখানে যেন আর কেউ হাত না দেয়, বিশেষ করে ছোটরা। সেইদিন আর ব্যাগে হাত দেওয়ার দরকার নেই। পরের দিন সাবান জল দিয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে ব্যাগ পরিষ্কার করবেন। তারপর খুব ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলবেন। কাপড়ের ব্যাগও নিতে পারেন। ফিরে পোশাকের সঙ্গে সাবান জলে ভিজিয়ে রাখবেন। এই সময়ে যেহেতু বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজ করতে হবে, তাই হ্যান্ড ব্যাগ না নিয়ে শোল্ডার ব্যাগ নিন। আর একটা উপায়ও আছে। কামিজ বা কুর্তিতে বড় পকেট তৈরি করিয়ে নিলে ছোটো পার্স, মোবাইল, চাবি, দরকারি কাগজ নিয়ে বেরনো যায়। তবে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে
এটা রিস্ক।
• জুয়েলারি, ঘড়ি পরা উচিত হবে?
•• বড় ঝোলানো ইয়ার রিংস, আংটি, হাতের চওড়া গয়না পরবেন না। ঘড়িও দরকার নেই। কারণ করোনার ড্রপলেটস কোন সারফেসে কতক্ষণ বেঁচে থাকে, তা এখনও গবেষণার পর্যায়ে। কানে ছোট্ট স্টাড পরুন। গলায় বড় নেকপিস পরলে ফিরে প্লাস্টিক প্যাকেটে ভরে রাখবেন। চার পাঁচ দিন ওটা আর পরবেন না। দেখবেন, ছোটদের হাতে যেন না যায়।
• হেয়ার অ্যাক্সেসরিজ ?
•• হেয়ার ক্লিপ, হেয়ার ব্যান্ডও সাবান জলে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
• বাড়ি ফিরে কি শ্যাম্পু করতে হবে ?
•• অবশ্যই। বেরনোর আগে শ্যাম্পু না করে ফিরেই শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। গরম কালে ঠান্ডা লাগার ভয় নেই। দরকার হলে স্নানের জল অল্প গরম করে নিন। বাইরে থেকে ফিরে শ্যাম্পু কিন্তু মাস্ট।
• আর জুতো ?
•• এই সময় চপ্পল নয়, পা ঢাকা জুতো পরুন। রোজ জুতো না পাল্টে ব্ল্যাক বা বেজ জুতো পরুন, যা সব পোশাকে মানানসই। জুতো নির্দিষ্ট জায়গায় খুলুন। জুতো রাখার জায়গা ঢাকা হলে ভালো। জুতো খুলেই বাড়ির চপ্পল পরবেন না। স্নানের সময় পায়ের নীচের দিকটা ঘষে ঘষে ধোবেন, তারপর বাড়ির চটি পরবেন।
• মাস্ক তো এখন আভরণ হয়ে গেল। এন95 মাস্ক কি পরতেই হবে?
•• এন95 মাস্ক পরা যেতেই পারে, তবে কটনের থ্রি লেয়ারড মাস্কও পরতে পারেন। যেহেতু পরতেই হবে, তাই অনেকেই এটা ফ্যাশন অ্যাক্সেসরি হিসেবে নিতে চাইছেন। পোশাকের সঙ্গে মানানসই মাস্ক তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন। যা-ই করুন, সচেতন থাকতে হবে আপনাকেই।