বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
প্রশ্ন: লকডাউনে দিন কাটছে কীভাবে? মাথা কীভাবে ঠান্ডা রাখছ?
সৃজা: সকালটা কাজ আর এক্সারসাইজ করে কেটে যাচ্ছে। প্রথমে রান্না, অবন্তিকাকে (কন্যা) খাওয়ানো, স্নান করানো এই সব চলে। তার পরে ৪৫ মিনিট ধরে ওয়েট ট্রেনিং করি। দুপুরে খাওয়ার পরে মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে একটু ওয়েব সিরিজ দেখি। বিকেলে চা খেতে খেতে আমি আর অর্জুন আড্ডা দিই। তখন অবন্তিকাও আমাদের সঙ্গে খেলে। মাথা মাঝে মাঝেই গরম হচ্ছে। কিন্তু অর্জুন ভালোবেসে ঠান্ডা করে দিচ্ছে! আসলে এত কাজ একসঙ্গে তো কোনওদিন করতে হয়নি। তাই একটু হাবুডুবুই খাচ্ছি।
প্রশ্ন: অর্জুন কীভাবে সাহায্য করছে?
সৃজা: আমরা কাজ ভাগ করে নিয়েছি। ও ঘর ঝাড় দেওয়া-মোছা, আর বাকি সব সাফসুতরো করায় ব্যস্ত থাকে। আমি রান্নাটা করি। তবে অর্জুনও মাঝেমধ্যে স্পেশাল কিছু একটা বানিয়ে আমায় চমকে দেয়। কয়েক দিন আগেই অনলাইনে একটা রেসিপি দেখে অন্যরকম একটা ফ্রেঞ্চ টোস্ট বানিয়ে খাইয়েছে। সে এক দারুণ ব্যাপার।
প্রশ্ন: অর্জুন নিজে এগিয়ে এসে কাজ করছে, না তুমি বলার পরে করছে?
সৃজা: আমার থেকে ও-ই বেশি আগ্রহী। কাজ করতে কোনও রকম দ্বিধা নেই ওর। ও আমার চেয়েও আগে ঘুম থেকে উঠে কাজে লেগে পড়ে।
প্রশ্ন: লকডাউনে বলি-সেলেবদের অনেকেই স্ত্রীকে দিয়ে হেয়ারকাট করিয়ে ছবি দিচ্ছেন। তোমাদের তেমন কিছু হল নাকি?
সৃজা: ও নিজেই ট্রিমার দিয়ে মাথার সামনের দিকের চুলটা কেটে নিয়েছে। তার পর পুরোটায় সামঞ্জস্য যাতে থাকে, সেটা আমি দেখে ট্রিম করে দিয়েছি।
প্রশ্ন: সাধারণ সময়ে যখন অবসর পাওয়া যায়, তখন অর্জুন কি পাশে থাকে, কীভাবে?
সৃজা: হ্যাঁ ও বাড়িতে থাকলেই সাহায্য করে। মেয়ের ডায়াপার বদলানো থেকে শুরু করে স্নান করানো, খাবার বানানো সবই ও দিব্যি সামলে দেয়।
প্রশ্ন: লকডাউনে দু’জন দু’জনের সঙ্গে সময় কাটাতে পারছ। মেয়ের সঙ্গেও অনেকটা সময় থাকছ। সেটা কেমন লাগছে?
সৃজা: আমরা তিনজনে বেশ আনন্দে আছি। কোভিড-এর জন্য এবার বেড়াতে যাওয়া হল না। কিন্তু একটা লম্বা ছুটি পেয়ে এমনিতে সব মিলিয়ে ভালোই লাগছে।
প্রশ্ন: ওর অভিনয় ছাড়া আর কীসে মুগ্ধ হও? কোনও বিশেষ স্মৃতি?
সৃজা: ওর খুব ধৈর্য। আমি রেগে গেলে খুব শান্তভাবে আমাকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে ঠান্ডা করে। আর ও খুব কেয়ারিং। আমাকে যাতে কম কাজ করতে হয়, তার জন্য নিজে অনেক কাজ আগেভাগে করে ফেলে। সারপ্রাইজ দিতেও ভালোবাসে। সেটা কোনও স্পেশাল ডিশ হোক বা দামি গ্যাজেট। বিশেষ স্মৃতি বলতে, গত বছর পয়লা বৈশাখে ও নিজে পছন্দ করে দুটো শাড়ি কিনে এনেছিল। কারণ ওর মনে হয়েছিল, এটাই আলটিমেট বাঙালি প্রেম— বউয়ের জন্য শাড়ি কিনে আনা!