Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, রাজ্য, দেশ, বিশ্বজুড়ে মমতার সরকার ও বাংলার বদনাম করেও জনসমর্থনের ছিটেফোঁটাও ফিরে পেতে ব্যর্থ বামেরা। একদা বামেদের গড় মাদারিহাটে নির্দল প্রার্থীর অর্ধেক ভোট পেতেও হিমশিম খেতে হয়েছে আরএসপিকে। শোচনীয় হাল বিজেপি’রও। বিষাক্ত নেতিবাচক প্রচার যে ব্যুমেরাং হয়েছে শহর থেকে গ্রামে, উত্তর থেকে দক্ষিণে, এই সার সত্যটা বুঝলেই মঙ্গল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে আগস্ট মাস থেকে নাগাড়ে কুৎসা ও অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে বাংলার মানুষ। মমতা আবেগের ভোটে শুধু বিরোধীরা পরাজিতই হয়নি, ৬টি কেন্দ্রেই ব্যবধান বেড়েছে লাফিয়ে। কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও তিনগুণ, আবার কোথাও আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে জয় হয়েছে মমতার উন্নয়ন ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ একঝাঁক জনমুখী প্রকল্পের। বামেদের জামানত জব্দ হয়েছে একাধিক আসনে। মাদারিহাটে বিজেপি’র জেতা আসনেও শুরু থেকেই যেমন গেরুয়াকে পিছনে ফেলে ঝড় উঠেছে। তেমনি শহর ঘেঁষা নৈহাটিতেও ব্যবধান দ্বিগুণকেই ছাড়ায়নি, এ যাবৎ সমস্ত  রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। তালডাংরা, মেদিনীপুর, হাড়োয়া—কোথাও এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়নি বিরোধীরা প্রতিযোগিতায় আছে। নৈহাটিতে নকশাল দাঁড় করিয়ে দ্বিতীয় হওয়ার স্বপ্নও মাঠে মারা গিয়েছে আলিমুদ্দিনের কর্তাদের। সিতাই ও হাড়োয়ায় জয় এসেছে লক্ষাধিক ভোটে। বাংলার বুকে বামেদের টানা ৩৪ বছরের অপশাসনের শাপমুক্তি এবারও হল না। রক্তক্ষরণ চলছেই। মানুষ তাঁদের যে ক্ষমা করতে রাজি নয়, এটা জানাই ছিল। সেই হতাশা থেকেই তাঁরা খড়কুটো আঁকড়ে ধরতে শুধু আইএসএফ নয়, এই নির্বাচনে নকশালদের সঙ্গেও জোট বেঁধেছিল। শূন্যের কলঙ্ক তাতেও ঘুচল না। চূড়ান্ত হতাশা থেকেই অগত্যা কম পয়সার ‘পিকে’র খোঁজ শুরু হয়েছে। যদি ছাব্বিশের লড়াইয়ে অন্তত জামানত বাঁচানোর পরামর্শটা মেলে!
বাংলার রাজনীতিতে ‘অডম্যান’ দলবদলু নির্ভর সাম্প্রদায়িক বিজেপি দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই দ্রুত পায়ের তলার মাটি খোয়াচ্ছে উত্তরবঙ্গেও। সিতাই গেল, মাদারিহাটও রইল না। মেদিনীপুরে সিপিআই প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে। আসলে উত্তরের মানুষ গেরুয়া দলের বাংলা ভাগের চক্রান্ত মেনে নেয়নি। চা বাগানের শ্রমিক ক্ষিপ্ত তাঁর প্রতিশ্রুতিপূরণের কোনও চেষ্টাই করেনি মোদির বিজেপি। উল্টে বিভাজনের বিষ ঢেলে বাংলার আর্থসামাজিক কাঠামোকে দুর্বল করার চক্রান্ত হয়েছে পদে পদে। এই নির্বাচন আর একটা কাজও করেছে সচেতনভাবে। রাজ্যের ত্রিমুখী লড়াইয়ের পরিবেশকে চতুর্মুখী করে দিয়েছে। কংগ্রেস আলাদা লড়লে ভোট ভাগাভাগি বাড়বে বই কমবে না। এরকম চললে ১৬ মাস পর যে বিধানসভা ভোটের লড়াই হবে তাতে বিরোধীদের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।
১৪ আগস্ট মধ্যরাতে রাত দখলের উৎসাহ দেখে এ রাজ্যের বামপন্থীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বপ্ন দেখা দোষের নয়, কিন্তু ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার খোয়াব মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। মাঠে ময়দানে বিচার চাওয়ার আড়ালে ফিসফাস শুরু হয়েছিল, এবার আবার আলিমুদ্দিনের চকমেলান প্রাসাদে বুঝি নহবত বসবে, সানাই বাজবে। ঠিক যেমন বসত এগারো সালের আগে রোজ। ব্যবসায়ী, গোমস্তা এবং হার্মাদদের সেই ত্র্যহস্পর্শে যেন আচমকা দোলা। জাস্টিস ওয়ালারা রব তুললেন ক্ষমতা বদলের। বাংলার শ্রেষ্ঠ ‘উৎসব’ দুর্গাপুজো পর্যন্ত বন্ধের। আর মোদি অমিত শাহ না এলে যে বঙ্গ বিজেপির প্রচার জমে না, তাঁরা প্রমাদ গুনতে শুরু করলেন। কারণ রামের ভোটে বামেরা কোপ বসালে গেরুয়া শিবির যে চিৎপটাং। সেই অঙ্কেই গত লোকসভা ভোটে বিজেপি’র আসন ১৮ থেকে কমে ১২ হয়েছে। আরও কিছুটা ভোট কাটাকুটি হলে আসন সংখ্যা আর দু’অঙ্কেরও থাকবে না। সেক্ষেত্রে আগামী বিধানসভায় বিজেপি’র আসন তিরিশেরও নীচে চলে যাবে। আর বামেরা অক্ষয় শূন্য বুকে নিয়েই নতুন দিনের সাধনায় মগ্ন হবে। 
তবু এতকিছুর পরও রাম ও বামের শিক্ষা হয় না। সাড়ে তিন মাস রাজ্য কাঁপিয়ে, হাজারো উস্কানি দিয়েও রাম বাম দুই শিবিরই শূন্যের গেরো কাটাতে পারল না। আর জি কর কাণ্ডে এক তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গত আগস্ট মাস থেকে দেশ কাঁপানো আন্দোলনের পরেও মরা গাঙে বান তো এলই না, নিদেনপক্ষে বর্ষার জমা জলে ছিপ ফেলে ল্যাটা মাছ ধরার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হল না। অথচ একটা দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, নাগরিক আবেগকে উস্কে দেওয়ার হীন চেষ্টা কম হয়নি। মুখে বিচার চাইলেও সেই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল ক্ষমতা বদল। রাত, ভোর, দুপুর দখলকে স্বাধীনতা আন্দোলনের চেয়েও মহান ও পবিত্র জনজাগরণ হিসেবে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা জারি ছিল পুরোদমে। সঙ্গে তথ্য যাচাই না করে ক্রমাগত মিথ্যের বেসাতি। এক বিখ্যাত (পড়ুন কুখ্যাত!) ডাক্তার বলে বসলেন ১৫০ গ্রাম সিমেন মিলেছে। ভুঁইফোড় নেতানেত্রীরা আওয়াজ তুললেন, ‘দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। তবু ভাটার টানে মজে যাওয়া বাম ও রামের পুকুরে সামান্য স্রোত পর্যন্ত দেখা গেল না। বরং যেই রাজনীতির কারবারিরা ওই আন্দোলনকে ভোট রাজনীতির বাঁকে ফেলে জনসমর্থন যাচাইয়ের চেষ্টা শুরু করলেন এরাজ্যের মানুষ রণেভঙ্গ দিলেন। তারই পরিণাম উপ নির্বাচনের একপেশে ফল, ৬-০।
বাংলার ফল নিয়ে বিরোধীদের এই স্বপ্নভঙ্গ নতুন নয়। ১৯ মে ২০১৬, ২ মে ২০২১, ৪ জুন ২০২৪ এবং অবশেষে ২৩ নভেম্বর ২০২৪। এই দিনগুলি দুর্গাপুজোর অষ্টমী, সরস্বতী পুজো, দেওয়ালি কিংবা রামনবমীর উৎসবের স্মৃতি বয়ে আনে না। দু’শো নাচনকোঁদনের পর ভোটের ফলে বিরোধীদের হারের মাইলফলক মাত্র! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা বড় কম হয়নি। এগারো সালের ঐতিহাসিক পালাবদলের পাঁচ বছর পর কংগ্রেস ও সিপিএম জোট বেঁধেও কিচ্ছু করতে পারেনি। তারপর থেকেই এ রাজ্যে গেরুয়া রাজনীতির অনুপ্রবেশের চেষ্টা হলেও তা কোনওবারই হালে পানি পায়নি। সতেরো সালে মুকুল রায়কে বের করে একটা ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। ফলপ্রসূ হয়নি কাঁথির ব্যর্থ যুবরাজের চক্রান্তও। ইডি, সিবিআই কোমর বেঁধেও কিচ্ছুটি করতে পারেনি। মহারাষ্ট্রে বিজেপি’র জয়, ঝাড়খণ্ডে সোরেনের জয় কিংবা ওয়েনাড়ে জিতে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কার প্রবেশের চেয়েও মমতার এই জয় কম তাৎপর্যপূর্ণ নয়।
এবার ৬টি কেন্দ্রের উপ নির্বাচন নিঃসন্দেহে একটা ক্ষোভ বিক্ষোভের পরে বাড়তি আকর্ষণ গড়ে তুলেছিল। নানা মহল থেকে এটিকে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে সেমি ফাইনাল হিসেবে দেখানোরও চেষ্টা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের সিতাই ও মাদারিহাট নিয়ে যেমন আকর্ষণ ছিল তেমনি মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার তালডাংরার রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়েও কম আলোচনা হয়নি। কিন্তু প্রমাণ হল, শহরের প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবীরা ভোটযন্ত্রে শেষ কথা বলেন না। ফেসবুকও জনমত নির্ধারণ করে না। শেষ কথা বলে সাধারণ মানুষ। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ। তাঁরা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চায় না, বদনামও চায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চায়। গ্রাম বাংলায় এমন একটা পরিবারও নেই যেখানে মমতার একঝাঁক প্রকল্পের অন্তত একটিও ঢোকেনি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কন্যাশ্রী, বিধবা ভাতা, বাংলার আবাস, সমব্যথী— কী নেই।
বিধানসভা নির্বাচন আর ১৫-১৬ মাস দূরে। আগের সপ্তাহেই লিখেছিলাম, এমন ছন্নছাড়া পরজীবী বিরোধী শিবির দেখিনি। এটা মানতেই হবে, শাসক দলের নিচুতলার বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ আছে, পদে পদে ইস্যুরও কমতি নেই। পুলিসের ভূমিকায় তাঁর অসন্তোষের কথা প্রকাশ্যে বলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাজির মশলা মজুত থাকলেও তা ফাটানোর লোক কোথায়? একটা গ্রহণযোগ্য মুখ নেই। সেলিম হালিম অধিকারীরা এবার ষড়যন্ত্র থামিয়ে বাংলার কথা একটু বলুন। এই ফল থেকেই স্পষ্ট বলা যায়, সওয়া এক বছর পেরিয়ে আগামী ছাব্বিশ সালের মে মাসের গ্রীষ্মের অপরাহ্ণে আবার নবান্ন দখলের জনসমর্থনের চাবিকাঠিটা অনায়াসে পেয়ে যাবেন তৃণমূল নেত্রী। পরপর চারবার। তাঁর সামনে শুধু জ্যোতি বসু। সিপিএমের বিলিতি জমিদার কমিউনিস্ট। কালীঘাটের আটপৌরে সাধারণ ঘরের মেয়ে কিন্তু এখানেও জিতে গেলেন। অদম্য সাহস আর মানুষের পাশে ৩৬৫ দিন থাকার মন্ত্রেই তিনি আর একটা ‘মাইলস্টোন’ ছোঁয়ার অপেক্ষায়। নব্য ‘পিকে’ খোঁজা সিপিএম কিংবা মোদি-অমিত শাহের ডেলি প্যাসেঞ্জারি নির্ভর গেরুয়া শিবির রাতদিন এক করেও মমতার ভাবমূর্তিতে কালি লেপতে ব্যর্থ। একবার নয় বার বার। নিশ্চিতভাবে বাংলার মানুষ ১৬ মাস পরেও মমতা আবেগেই আস্থা রাখবে।
24th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
একনজরে
পারথ টেস্টে ঐতিহাসিক জয় এখন অতীত। সামনে গোলাপি বলে দিন-রাতের লড়াই। অ্যাডিলেডে ম্যাচটি শুরু ৬ ডিসেম্বর। তার আগে ভারতীয় দল ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়া প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে ...

গাড়ি শিল্প ধারাবাহিকভাবে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই দেশের কর ব্যবস্থাকে এমনভাবে ঢেলে সাজানো উচিত, যেখানে প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণায় আরও বেশি করে নিজেদের যুক্ত করতে পারে অটোমোবাইল সংস্থাগুলি। ...

রোগে ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে। জীবনের আয়ু হয়তো মেরেকেটে ছ’মাস। সেক্ষেত্রে স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য চিকিৎসকের সহায়তা নিতে পারেন একজন মরণাপন্ন রোগী। ব্রিটেনে ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত বিল পেশ করেছেন লেবার নেতা কিম লিডবিটার। ...

জারি হয়েছিল ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস। তার ভিত্তিতে কুখ্যাত লস্কর-ই-তোইবা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে ভারতের হাতে তুলে দিল রোয়ান্ডা। সলমন রেহমান খান নামে ওই জঙ্গির প্রত্যর্পণ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পরিবারের কারও শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধির যোগ। জরুরি কাজকর্ম সর্বপ্রথম করে ফেলার চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৯৬: রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ সে দেশের মুদ্রা অবমূল্যায়িত করেন
১৭৭৫: স্যার জেমস জে অদৃশ্য কালি আবিষ্কার করেন
১৭৯২: মার্ক উডের করা সমগ্র কলকাতার নকশা প্রথম প্রকাশ করেন মি. বেইলি
১৮৯৭: ইংল্যান্ডের সারেতে প্রথম মোটরসাইকেল রেস হয়
১৯১০: ট্রাফিক বাতির পেটেন্ট হয়
১৯৩৬: অভিনেতা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪৪: ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান অ্যানিমেটর ও লেজারশিল্পী তথা জাদুকর পিসি সরকারের জ্যেষ্ঠ পুত্র মানিক সরকারের জন্ম
১৯৪৯: রস-সাহিত্যিক কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫১: অভিনেতা প্রমথেশ বড়ুয়ার মৃত্যু
১৯৯৩: জে আর ডি টাটার মৃত্যু
২০০১: জনপ্রিয় গায়ক এবং গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসনের মৃত্যু
২০১১: লেখিকা ইন্দিরা গোস্বামীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৩ টাকা ৮৫.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৭ টাকা ১০৮.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৫১ টাকা ৯০.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী ৬/৩৩ দিবা ৮/৪০। স্বাতী নক্ষত্র ১০/৩৮ দিবা ১০/১৮। সূর্যোদয় ৬/২/৩৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/১৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৭/২৮ গতে ৯/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ৩/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
১৩ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ৮/৮। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ১০/৪২। সূর্যোদয় ৬/৪, সূর্যাস্ত৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৭/৪৪ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/২১ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ৩/৩৮ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৬/৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১১/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।  
২৬ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সন্ত্রাস সম্পূর্ণরূপে দমন করা হবে: জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা

11:03:00 PM

আগামী কাল তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গাল, দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জারি লাল সতর্কতা

10:38:00 PM

৫০০-র বেশি সেনার দেহ পাঠিয়েছে রাশিয়া, জানাল ইউক্রেন

10:27:00 PM

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পুদুচেরি বন্দরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা

10:05:00 PM

আইএসএল: নর্থইস্টকে ১– ০ গোলে হারাল ইস্ট বেঙ্গল

09:35:00 PM

জার্মানির স্টুটগার্টে স্টেট মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি পরিদর্শন করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব

09:29:00 PM