Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। প্রথমে সাম্রাজ্য গঠন। তারপর তা ধরে রাখা। এই কাজটা আরও বেশি কঠিন। রাজার জনপ্রিয়তা লুকিয়ে থাকে বিশ্বাসে। মানুষের বিশ্বাস। প্রজা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারলেই রাজার জনপ্রিয়তা বাড়ে। দুটো মিটারই একসঙ্গে উঠবে। আর নামবেও একসঙ্গে। চব্বিশের মহারণের পর এই সারসত্যটা বোধহয় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বুঝেছেন। ভোটের ফল থেকেই তার আভাস মিলেছে। সেই ফর্মুলা কিন্তু ধরা পড়েছে সঙ্ঘের নজরেও। তাই সংগঠন এবং দলীয় প্রচারে ধীরে ধীরে বোঝা কমানো হচ্ছে মোদিজির। নিঃশব্দে। ভোটের মুখে প্রচারসভার সংখ্যা বিপুলভাবে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে, বিরোধীদের আক্রমণে বারবার তাঁর মুখ সামনে আসছে না, রণনীতি তৈরিতেও তিনি আর প্রকাশ্যে নেই। সবচেয়ে বড় কথা, নির্বাচন মাত্রই মোদি—এই মিথ সুচারুভাবে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এর সাম্প্রতিকতম প্রমাণ ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের ভোট। দুটো রাজ্যেই লক্ষ করার মতো বিষয় কী? সরকারে আসার লড়াইয়ে বিজেপি নেমেছে। মোদি নন। কোনও রাজ্যেই আর তিনি মুখ নন। অর্থাৎ, এতদিন বিজেপির হার-জিতের কৃতিত্ব বা ব্যর্থতার দায় যেভাবে নরেন্দ্র মোদির কাঁধে চাপত, তেমনটা আর হচ্ছে না। মহারাষ্ট্রে জিতলে যেমন ক্রেডিট নেবেন নীতিন গাদকারি এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। আর ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী বিকাশ প্রকল্প। কেন্দ্রীয় হতে পারে, কিন্তু পাঁচ বছর আগে থেকে শুধুমাত্র আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক দখলের লক্ষ্যে এই সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প দিয়েই ঘুঁটি সাজিয়েছিল গেরুয়া শিবির। প্রথমে ছিল মোদির প্রকল্প। এখন বিজেপির। তখনের সঙ্গে এখনের দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক। এবং এই ফারাকটা তৈরি করা হচ্ছে। বিজেপির চালিকাশক্তিরাই করছে। সেইসঙ্গে হাওয়ায় বাতাসে ঘুরতে শুরু করছে মোক্ষম একটা প্রশ্ন—নরেন্দ্র মোদির অবসর কি আসন্ন?
নিয়মটা অলিখিত। কিন্তু অজ্ঞাত নয়। বরং বারবার প্রচারিত। বিজেপিতে গত ১০ বছর নাকি একটা হাওয়া ছিল... মোদিজি বললে, সেটাই নিয়ম। ঠিক যে নিয়মে লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশিদের মতো প্রথম সারির নেতাদের গ্যালারিতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বছরে একবার মোদিজি বাড়িতে গিয়ে ফুল দিয়ে আসবেন। পোজ দেবেন। ছবিও উঠবে। সবাই দেখবে, এখনকার নেতৃত্ব বর্ষীয়ানদের কতটা সম্মান করে। কিন্তু লক্ষ্মণরেখাটা হল, দল ও সংগঠনে আপনারা আমন্ত্রিত। স্বাগত নন। সিলিংটা যে মোদিজি নিজেই ঠিক করেছিলেন—৭৫ বছর। আনন্দীবেন প্যাটেলকেও ৭৫ ছোঁয়া মাত্র মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হয়েছিল। তাহলে মনে হতেই পারে, এবার কি নরেন্দ্র মোদি? আপ সুপ্রিমো তো এই একটি ইস্যু নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর পিছনে পড়ে আছেন। লোকসভা ভোটের প্রচারেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের লাগাতার দাবি ছিল, ‘আপনারা কার জন্য ভোট দিচ্ছেন? নরেন্দ্র মোদি? নাকি অমিত শাহ? মোদি তো আসলে অমিত শাহের জন্য ভোট চাইছেন। ১৭ সেপ্টেম্বর উনি রিটায়ার করে যাবেন। তারপর দেখবেন, হয় যোগী আদিত্যনাথ বা অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন। আপনাদের কী মনে হয়, অমিত শাহ তখন মোদির গ্যারান্টি পূরণ করবেন?’ খুব ভুল জায়গায় কিন্তু তিনি আঘাত করেননি। কারণ, দেশজুড়ে মোদিজির যা বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে, অমিত শাহের তা নেই। তিনি দলে চাণক্য হতে পারেন, মানুষের কাছে রবিনহুড নন। বিরোধীদের প্রচার ও মানুষের সংশয় যত বেড়েছে, ততই পাল্লা দিয়েছে বিজেপির ড্যামেজ কন্ট্রোল। যে অমিত শাহ ২০১৯ সালে প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘৭৫ বছরের বেশি কেউ টিকিট পাবে না। এটা পার্টির সিদ্ধান্ত।’ তিনিই আজ বলছেন, ‘বিজেপির সংবিধানে এমন কিছু লেখা নেই। ২০২৯ সাল পর্যন্ত মোদিজিই আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। আগামী যত নির্বাচন হবে, সেই সবক’টিতে।’ সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হল, নেতৃত্ব তো সামনে থেকে দেয়। গত ১০ বছরে মোদিজি তেমনটাই করে এসেছেন। এখন তাহলে তার অন্যথা হচ্ছে কেন? মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড বা অন্যান্য রাজ্যের উপ নির্বাচনগুলিতে কেন তাঁকে সামনের সারিতে পাওয়া যাচ্ছে না? কেন তিনি এই সময় বিদেশ সফরে গিয়ে সেইসব দেশের সম্মান নিতে ব্যস্ত? মহারাষ্ট্র জয় কি তাঁর দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়?
বরং উল্টোটা। মহারাষ্ট্র না জিততে পারলে বিজেপির আধিপত্যে আরও এক মুঠো চোনা পড়বে। সেটা মোদি-শাহও বিলক্ষণ জানেন। ভোটের সম্পূর্ণ বোঝা যদি মোদিজিকে বইতে হয়, তার ব্যর্থতার দায়ও শুধু তাঁকেই নিতে হবে। এমনিতে বাংলা এবং দক্ষিণ ভারতে বিজেপির একের পর এক ভরাডুবি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের ধার নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তার উপর মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য হারাতে হলে সেই কালো দাগ প্রধানমন্ত্রীর লার্জার দ্যান লাইফ ইমেজের জন্য খুব একটা সুবিধের হবে না। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একটা অংশ তা একেবারেই চাইছে না। তারা জানে, মোদিজিকে যদি সঙ্ঘ সত্যিই ‘অবসর’ নিতে বাধ্য করে, তাহলে তাদের হালও ধীরে ধীরে লালকৃষ্ণ আদবানি বা যশোবন্ত সিনহাদের মতোই হবে। শুধুমাত্র মোদিজির সৌজন্যে যে ক্ষমতার অলিন্দে তারা অবাধ বিচরণ করে থাকে, সেখানে দফায় দফায় বসবে ব্যারিকেড। আর তা টপকে যাওয়ার ক্ষমতা তাদের কারও নেই। সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ একেবারে অন্য নেতৃত্ব সাইডলাইনে অপেক্ষায় আছে। একটা সুযোগ মানেই তারা ঢুকে পড়বে ময়দানে। রাশ হাতে তুলে নেবে রাজনীতি নামক নক আউট গেমের। এতটুকু রেয়াত করবে না ছেঁটে ফেলতে। তাই মোদি জনতা পার্টিকে টিকিয়ে রাখতে হলে মোদিজিকেই চাই। দল আরও একবার বিজেপিতে ফিরে গেলে সমীকরণ বেসামাল হবেই। সঙ্ঘ অবশ্য এসব বোঝে না। তাদের কাছে নেতার থেকে অনেক বড় হল এজেন্ডা। নরেন্দ্র মোদি তাই দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ পর্বে এসে সেইসব এজেন্ডার সলতেতেই আগুন দিচ্ছেন। যেমন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, এক দেশ এক ভোট, হিন্দুরাষ্ট্র... এই সবই গণতন্ত্রের মোড়কে একাধিপত্য কায়েমের ব্লু-প্রিন্ট। একাধিপত্য কার? এতদিন একটিই নাম সামনে ছিল—নরেন্দ্র মোদি। এখন কিন্তু তা আর নেই। ধীরে ধীরে রং বদলাচ্ছে আবহাওয়ার। একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার এই এজেন্ডা কোনও ব্যক্তির নয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের। সাম্রাজ্য বিস্তার চলছে সেইমতো। এরপর সেন্সাস হবে, ডিলিমিটেশন, কিংবা রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন। সবেরই অভিমুখ যাবে একইদিকে—একাধিপত্যের ফর্মুলা। দেশের রাজনৈতিক ম্যাপ নিয়ে কাটাছেঁড়া হবে, ভোটব্যাঙ্ক ভাগ হবে, দুর্বল এলাকায় ব্যালান্স আনা হবে... এই সবই ফর্মুলার অঙ্গ। সেখানে নরেন্দ্র মোদি নিমিত্ত মাত্র। সঙ্ঘের আজ্ঞাবহ। তাঁর জনপ্রিয়তা এবং অথরিটি হালে পানি না পেলে সঙ্ঘ দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তিকে খুঁজে নেবে। কাজ না হলে তৃতীয়। এজেন্ডা পরিপূর্ণ করার পথে দৌড় কিন্তু থামবে না। কোনও ব্যক্তির জন্য নয়। এখানেও একটা প্রশ্ন উঠে আসছে—নরেন্দ্র মোদি ছাড়া অন্য কেউ বিজেপির মুখ হলে কি এভাবে ভোট-সাগরে বিজেপি ভাসতে পারবে? আমাদের দেশে এখনও নেতানেত্রীর মুখ দেখে ভোট হয়। কংগ্রেস তাই এত ভালো পরিস্থিতি তৈরি করা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধীর অ্যাভারেজ জনপ্রিয়তার জন্য বিপুল সংখ্যক আসন জিততে পারেনি। যেটা নরেন্দ্র মোদি বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একক ক্যারিশমায় করে থাকেন। সঙ্ঘ সেই মিথটাই ভাঙতে চাইছে। এই বদলের কর্মসূচিতে তাঁদের অস্ত্র একটাই—মেরুকরণ। মোদিকে সামনে রেখে ভারতে মেরুকরণ যদি ঠিকঠাক হয়ে যায়, তাহলে আর ব্যক্তির উপর নির্ভর না করলেও চলবে। প্লেন তখন অটো পাইলটে উড়বে। মানুষ ধর্ম নিয়ে মেতে থাকবে, আর ‘অশিক্ষার আলোয়’ দেদার চলবে ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। 
কবি রাজশেখর সম্রাট বিজয়াদিত্যকে বলেছিলেন, ‘সিংহাসন থেকে একবার মাটিতে পা ফেলেন দিকি। ওই মাটির মধ্যে জীবন-যৌবনের জাদুমন্ত্র আছে।’ কারণ তিনি বুঝেছিলেন, এই মানুষটা সত্যিকারের রাজা হতে চায়। সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখা কিংবা বাড়ানো এর লক্ষ্য নয়। তাহলেই যে সিংহাসনের অলঙ্কার ছাপিয়ে মানুষের মনে তার অধিষ্ঠান হয়। চিরকালের জন্য। শুধু মাটিতে পা রাখতে হবে। ক্ষমতা, অর্থ, অহঙ্কার বা ধর্ম-জাতপাতের জুতোয় পা গলালে সাম্রাজ্য মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে, কিন্তু তার ‘দি এন্ড’ আছে। অবসরও আছে। তারপর আর কেউ সেই রাজাকে মনে রাখবে না। বিজেপি কি এমন রাজা চায়? নরেন্দ্র মোদি কি এমন রাজা হতে চান? ফটোসেশন ছাড়া মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তাঁর কোনওদিনই নেই। অবসর এড়াতে হলে ওইটে এখন বড্ড প্রয়োজন। মন কি বাত বলা নয়, বরং শোনা। ‘ত্যাজিয়ে সোনার গদি...।’
19th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
একনজরে
নদী বাঁধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত বল্লাতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে একাধিক ইউক্যালিপটাসের বল্লা। তারসঙ্গে বহু খালি বস্তাও পুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার সকালে পুরশুড়ার ...

রাজ্য যোগ ও নেচারোপ্যাথি কাউন্সিলে ‘বিনা পরীক্ষা’তেই ১৯ জনকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কাউন্সিল সভাপতি তুষার শীল। ...

গাড়ি শিল্প ধারাবাহিকভাবে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই দেশের কর ব্যবস্থাকে এমনভাবে ঢেলে সাজানো উচিত, যেখানে প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণায় আরও বেশি করে নিজেদের যুক্ত করতে পারে অটোমোবাইল সংস্থাগুলি। ...

‘স্টার এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ পেল দিনহাটার শেমরক ফ্লোরেট স্কুল। সেরা কারিকুলামের জন্য তারা এই পুরস্কার পেল। গত বুধবার মুম্বইয়ে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রিন্সিপাল পারমিতা সরকারের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পরিবারের কারও শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধির যোগ। জরুরি কাজকর্ম সর্বপ্রথম করে ফেলার চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৯৬: রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ সে দেশের মুদ্রা অবমূল্যায়িত করেন
১৭৭৫: স্যার জেমস জে অদৃশ্য কালি আবিষ্কার করেন
১৭৯২: মার্ক উডের করা সমগ্র কলকাতার নকশা প্রথম প্রকাশ করেন মি. বেইলি
১৮৯৭: ইংল্যান্ডের সারেতে প্রথম মোটরসাইকেল রেস হয়
১৯১০: ট্রাফিক বাতির পেটেন্ট হয়
১৯৩৬: অভিনেতা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪৪: ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান অ্যানিমেটর ও লেজারশিল্পী তথা জাদুকর পিসি সরকারের জ্যেষ্ঠ পুত্র মানিক সরকারের জন্ম
১৯৪৯: রস-সাহিত্যিক কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৫১: অভিনেতা প্রমথেশ বড়ুয়ার মৃত্যু
১৯৯৩: জে আর ডি টাটার মৃত্যু
২০০১: জনপ্রিয় গায়ক এবং গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসনের মৃত্যু
২০১১: লেখিকা ইন্দিরা গোস্বামীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৩ টাকা ৮৫.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.১৭ টাকা ১০৮.৯০ টাকা
ইউরো ৮৭.৫১ টাকা ৯০.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী ৬/৩৩ দিবা ৮/৪০। স্বাতী নক্ষত্র ১০/৩৮ দিবা ১০/১৮। সূর্যোদয় ৬/২/৩৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/১৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৭/২৮ গতে ৯/৩৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৬ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ৩/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৬ মধ্যে। 
১৩ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ৮/৮। স্বাতী নক্ষত্র দিবা ১০/৪২। সূর্যোদয় ৬/৪, সূর্যাস্ত৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/২ মধ্যে ও ৭/৪৪ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/২১ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ৩/৩৮ মধ্যে ও ৪/৩২ গতে ৬/৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১১/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৬ মধ্যে।  
২৬ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সন্ত্রাস সম্পূর্ণরূপে দমন করা হবে: জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা

11:03:00 PM

আগামী কাল তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গাল, দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জারি লাল সতর্কতা

10:38:00 PM

৫০০-র বেশি সেনার দেহ পাঠিয়েছে রাশিয়া, জানাল ইউক্রেন

10:27:00 PM

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পুদুচেরি বন্দরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা

10:05:00 PM

আইএসএল: নর্থইস্টকে ১– ০ গোলে হারাল ইস্ট বেঙ্গল

09:35:00 PM

জার্মানির স্টুটগার্টে স্টেট মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি পরিদর্শন করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব

09:29:00 PM