Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মতোই দর কষাকষি করছেন। তাই অনেকে মনে করছিলেন, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়াটা ভুল হয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি মুখ্যমন্ত্রীর ভুল হল, নাকি দাবি মেনে নিয়ে তিনি চিকিৎসক ও বিরোধীদের পালের হাওয়া এক ঝটকায় কেড়ে নিলেন? একথা ঠিক, জ্যোতি বসুর মতো আন্দোলনকারী ডাক্তারদের লাঠিপেটা করলে তিনি ‘কড়া প্রশাসকে’র তকমা পেতেন, কিন্তু কিছুতেই ‘অভিভাবক’ হয়ে উঠতেন না। 
গণআন্দোলনের জেরে ৫আগস্ট বাংলাদেশের বুকে ঘটে গিয়েছে গণঅভ্যুত্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চোখের জল ফেলতে ফেলতে দেশ ছাড়তে হয়েছে। তার চারদিনের মাথায় আর জি করের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বাংলার চিকিৎসক কন্যার খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য। জাস্টিসের দাবিতে চিকিৎসকদের আন্দোলন গণআন্দোলনের রূপ নিয়েছিল। সেই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে সরকার বিরোধী প্রমাণে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে সিপিএম ও বিজেপি। কিন্তু পারেনি।
বিরোধীরা ভেবেছিল, চিকিৎসকরা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে গেলে মুখ্যমন্ত্রী ‘ফাউল’ করবেন। তারজন্য পরিবেশ তৈরির চেষ্টাতে কোনও খামতি ছিল না। বিশৃঙ্খলা পাকিয়ে পরিস্থিতি এমন দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল যাতে পুলিস গুলি চালাতে বাধ্য হয়। সেটা করাতে পারলেই বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ বানানোর দিবাস্বপ্ন সফল হতো। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী 
ফাঁদে পা দেননি। কড়া পদক্ষেপের বদলে আলোচনার মধ্যেই সমাধানের রাস্তা বের করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। 
অভয়ার খুনি ও ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবিতে বাংলা এককাট্টা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসকরা এমন সব দাবি করেছেন যার সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের তেমন কোনও সম্পর্কই নেই। তা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের তোলা পাঁচটির মধ্যে মূল তিনটি দাবি মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, একতরফা চিকিৎসকদের মূল দাবিগুলি মেনে নেওয়া ঠিক হয়নি। তাঁদের বক্তব্য, এই সমস্যা সমাধানের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ পলিসিই বেশি কার্যকরী হতো। কারণ কড়া পদক্ষেপের ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে দেশের প্রধান বিচারপতি ‘ফ্রি-হ্যান্ড’ দিয়ে দিয়েছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, চিকিৎসকরা কর্মবিরতি চালিয়ে গেলে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রী কঠোর হননি। উল্টে সবসময় বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান চায় সরকার। 
সেই বার্তা দিতেই মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং পৌঁছে গিয়েছিলেন চিকিৎসকদের আন্দোলন মঞ্চে। সন্তানসম চিকিৎসকদের সামনে হাতজোড় করে কর্মবিরতি তুলে নিতে অনুরোধ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘কোনও কড়া পদক্ষেপ নেব না। গরিব মানুষের কথা ভেবে দয়া করে কাজে যোগ দিন।’ নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে দেশের কোনও মুখ্যমন্ত্রী কি এভাবে গণআন্দোলনের মঞ্চে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার সৌজন্য দেখিয়েছেন? নাকি দেখানোর মতো বুকের পাটা আছে?
মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিভাবকসুলভ উদারতাই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে মাস্টার স্ট্রোক হিসেবে কাজ করেছে। আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রাজনৈতিক জমি শক্ত করেছেন। তাই লাটাইয়ের সুতো ছাড়া ও গোটানোর বিষয়টা তাঁর জানা। তিনি খুব ভালো করেই জানেন, ঘুড়িতে হাওয়া ধরলে সুতো ছেড়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তখন সুতো গোটাতে নেই। তাতে থাকে ছিঁড়ে যাওয়ার ভয়। তাই তিনি সুতো ছেড়েই গিয়েছেন।
সেই ফর্মুলাতেই তিনি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবিমতো কলকাতা পুলিস কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের দুই কর্তাকে সরিয়ে দিয়েছেন। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নারায়ণস্বরূপ নিগমের ভূমিকা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। তাঁর ঘোষণার পর চিকিৎসক ও আন্দোলনকারীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন। খোল, করতাল, বাদ্যযন্ত্র সহকারে আন্দোলনকারীদের উদ্দাম নাচ ইতিমধ্যেই ভাইরাল। তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে গণআন্দোলনে এটা কি শোভা পায়? তবে, এসব যাঁরা করেছেন তাঁরা তাঁদের অন্তরের কদর্য রূপটাকেই প্রকাশ্যে এনে ফেলেছেন। কিন্তু গণআন্দোলন স্বমহিমায় উজ্জ্বল। 
চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরেই যে প্রশাসনের তিন পদস্থ কর্তার বদলি এবং পরিকাঠামো সংস্কারের উদ্যোগ, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে, মুখ্যমন্ত্রী চাইলেই সিবিআই তদন্তের দোহাই দিয়ে চিকিৎসকদের দাবিগুলি এড়িয়ে যেতে পারতেন। এই দাবিগুলি কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তোলা হলে হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই করতেন। চোখে চোখ রেখে লড়াইটা চালিয়ে যেতেন। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা তিনি করেননি। কারণ আন্দোলনটা ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। তাঁরাই ভবিষ্যৎ চিকিৎসা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড। তাই তিনি মূল তিনটি দাবিই মেনে নিয়েছেন। আর তাতেই ঘুরে গিয়েছে ‘হাওয়া’। 
মুখ্যমন্ত্রী মূল দাবিগুলি মেনে নিতেই দ্রুত বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। শুধু আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মধ্যেই মতভেদ হয়নি, এতদিন যাঁরা চিকিৎসকদের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন, রাত জেগেছেন, তাঁদের অনেকেই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এমনকী সিনিয়র ডাক্তারবাবুরাও।
যাঁরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলন করছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত মেধাবী। অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাঁরা চিকিৎসক হয়েছেন। এতদিন তাঁরা চিকিৎসা শাস্ত্রের বইয়ের পাতায় যা পড়েছেন এখন সেগুলিই তাঁদের বাস্তবে প্রয়োগ করার সময়। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে এই সময়টা অত্যন্ত মূল্যবান। এই সময় অভিজ্ঞ সিনিয়র চিকিৎসকদের অধীনে কাজ করার মধ্যে দিয়ে তাঁরা প্রচুর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। অথচ আন্দোলনের জন্য একটার পর একটা অতীব মূল্যবান দিন চলে যাচ্ছে। তাতে তাঁদের ক্ষতি হচ্ছে প্রচুর। সম্ভবত সেটা বুঝেই জুনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশ কাজে যোগ দিতে চাইছে। চিকিৎসকদের ধীরে ধীরে কাজে ফেরার ঘোষণায় সাধারণ মানুষ খুশি। কিন্তু ইতিমধ্যেই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, চিকিৎসকদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী ছিল? নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়, নাকি অভয়ার জাস্টিস? এতেই বোঝা যাচ্ছে, রুষ্ট হয়েছেন আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢেলে যাওয়া ‘পুরোহিতে’র দল।
পরিকাঠামোগত সংস্কারের উপরেই আটকে ছিল চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়টি। এব্যাপারে একটা কথা মনে রাখা দরকার, রাতারাতি কোনও পরিকাঠামো বদলে ফেলা বা তৈরি করা যায় না। তারজন্য দিতে হয় সময়। পাশাপাশি দেখতে হবে, তাঁদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনে সরকার আন্তরিক কি না! সরকার প্রতিশ্রুতি পালন না করলে ফের আন্দোলনে বাধা নেই। কিন্তু বানভাসি বাংলায় মানুষের পাশে না থেকে রাস্তায় থাকলে ‘ভগবানে’র গায়েও লেগে যেত স্বার্থপরের ছাপ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পরিকাঠামোগত সমস্যা কি শুধু স্বাস্থ্যেই, অন্যত্র নেই? না, আছে সর্বত্র। আর এটা বিশেষ কোনও রাজ্যের খামতি নয়, গোটা দেশের। আরও স্পষ্ট করে বললে, এটা প্রতিটি উন্নয়নশীল দেশের সমস্যা। পরিকাঠামোগত দুর্বলতা উন্নয়নশীল দেশের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কারণ প্রয়োজনের তুলনায় ‘রিসোর্স’ কম। তাই কোনও ক্ষেত্রেই আদর্শ পরিকাঠামো গড়ে তোলা একপ্রকার অসম্ভব। সেই পরিকাঠামোগত দুর্বলতাকে সামনে রেখে লাগাতার কর্মবিরতি সমর্থনযোগ্য নয়।
প্রায় প্রতি বছরই আমাদের দেশে রেল দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণ যায়। দুর্ঘটনা ঠেকানোর জন্য ২০২০ সালে ‘কবচ’ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেলকর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছিল, কবচ ব্যবস্থা চালু হলে সংঘর্ষের আগেই ট্রেন থেমে যাবে। চালক বা কেবিনম্যান ভুল করলেও ঘটবে না দুর্ঘটনা। কবচ লাগুর পরেও একের পর এক ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন ট্রেনের চালকরা যদি বলেন, ‘কবচ’ ত্রুটিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ট্রেন চালাবেন না। তাহলে কী হবে? তাঁদের দাবিকে কি মানুষ সমর্থন করবে, নাকি কেন্দ্রীয় সরকার ছেড়ে কথা বলবে?
একটা কথা মানতেই হবে, অভয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু এবং তার তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগকে ঘিরে চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে পালা বদলের স্বপ্ন দেখেছিল বিরোধীরা। জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশকে সামনে রেখে চলছিল সেই লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা। তোলা হয়েছিল স্লোগান, ‘দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।’ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোকে চুরমার হয়ে গেল  বিরোধীদের বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ বানানোর খোয়াব।
21st  September, 2024
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
একনজরে
গাজার পর এবার লেবানন। হামাসের মতোই হিজবুল্লাকে ‘শেষ’ করতে তৎপর ইজরায়েল। এই আবহে গত সপ্তাহ থেকে লেবাননে হিজবুল্লার ঘাঁটি লক্ষ্য করে একের এক হামলা চালাতে শুরু করে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। ইতিমধ্যেই শিশু সহ মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬০০ জনের। ...

মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে নতুন সরকার আসার পরে বাংলাদেশে তীব্র ভারত বিরোধী মনোভাব দেখা গিয়েছে। ভারত থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য ‘সেভেন সিস্টার্স’ বিচ্ছিন্ন করার জিগির দিচ্ছে সে দেশের কট্টরপন্থরী। ...

ভারত ও বাংলাদেশের সীমানা মিলিয়ে গিয়েছে জলের তলায়। কোথাও পদ্মা, কোথাও পদ্মার শাখা নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় চর ডুবে গিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যবর্তী ...

বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও শহরে নতুন রেকর্ড গড়ল সোনার দর। তা পেরিয়ে গেল ৭৬ হাজারের সীমা। ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ান মার্চেন্টস অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী এদিন ‘৯৯৯’ বিশুদ্ধতার ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৭৬ হাজার ১০০ টাকা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পর্যটন দিবস
১৭৬০ - মীর কাশিম মীর জাফরকে গদিচ্যুত করে বাংলার নবাব হন এবং বর্ধমান, মেদিনীপুর ও চট্টগ্রাম জেলা কোম্পানির হাতে তুলে দেন
 ১৮৩৩ -  বিশ্বপথিক রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যু
১৯৪৯  -  বেইজিংকে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়
১৯৫৮ - ভারতীয় হিসাবে প্রথম মিহির সেন ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন
১৯০৭ - বিপ্লবী শহিদ ভগৎ সিংয়ের জন্ম
১৯৩২ -  ভারতীয় চিত্রপরিচালক যশ চোপড়ার জন্ম
১৯৮০  -  বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়ে আসছে
১৯৯৮ - জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল (google)এর যাত্রা শুরু
২০০৮ -  বিশিষ্ট ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী মহেন্দ্র কাপুরের মৃত্যু
২০২৩ – বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক সৌম্যেন্দু রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৮৬ টাকা ১১৩.৪৫ টাকা
ইউরো ৯১.৬৭ টাকা ৯৪.৮৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ আশ্বিন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪। দশমী ১৯/৩৮ দিবা ১/২১। পুষ্যা নক্ষত্র ৪৯/৩৮ রাত্রি ১/২১। সূর্যোদয় ৫/৩০/২৫, সূর্যাস্ত ৫/২৪/৫৮। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৫ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৫০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৪ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫২ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৬ গতে ৯/৫৭ মধ্যে। 
১০ আশ্বিন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪। দশমী অপরাহ্ন ৪/২৬। পুষ্যা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৩০, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৮ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। 
২৩ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তিস্তার জলে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ির বোয়ালমারির নন্দনপুর
জলপাইগুড়ির বোয়ালমারির নন্দনপুরে তিস্তার জল ঢুকছে। এর জেরে বাহিরের চর ...বিশদ

11:54:00 PM

সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহের অভিযোগ, কর্মবিরতির ডাক জুনিয়র চিকিৎসকদের
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। ...বিশদ

11:44:00 PM

গজলডোবা ব্যারেজ থেকে ২ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হল
সিকিমে প্রবল বৃষ্টি। কালিঝোরা ড্যাম থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। গজলডোবা ...বিশদ

11:41:55 PM

প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন নেপালের কাঠমাণ্ডু

11:03:00 PM

ভারী বৃষ্টির জেরে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে দেওয়াল ভেঙে বিপত্তি, মৃত ২, আহত ৩

10:40:00 PM

কোচবিহারের বক্সিরহাটে বেআইনি কয়লা বোঝাই ২টি গাড়ি আটক, গ্রেপ্তার চালকরা

10:04:00 PM