Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

পাঁচ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। ‘খাঁচাবন্দি তোতাপাখি’ সিবিআইয়ের তদন্ত যেখানেই থমকে থাকুক, জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌঁছে যাওয়া নিঃসন্দেহে সদর্থক রাজনীতিরই পরিচয়। ‘ছোটরা ভিজছে, সারারাত আমিও ঘুমতে পারিনি’, এই মন ছুঁয়ে যাওয়া অভিব্যক্তিই বুঝিয়ে দেয় আন্দোলনের ভিতর দিয়েই তাঁর তিলে তিলে বেড়ে ওঠা। নিজের পদের উচ্চতা ও গরিমাকে পাশে সরিয়ে তিনি যেভাবে সরকারের মানবিক মুখকে সামনে এনেছেন, তাতে ডাক্তারদের উচিত মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকাকে সম্মান দিয়ে অবিলম্বে কাজে ফেরা। তাতে চিকিৎসকদের ভাবমূর্তিই উজ্জ্বল হবে। অন্যথায় মানুষের আদালতে কিন্তু তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে।
বিচার চাই বলে চেঁচালেই কি বিচার মেলে? শুধু রাস্তার মোড়ে মোড়ে উচ্চকিত স্লোগান তুললেই কি স্বর্গ থেকে বিচার নেমে আসবে? সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগের রাতে নিয়ম করে রাত ও ভোর দখলের কর্মসূচি, গান সঙ্গীত, কবিতা, রাস্তাজুড়ে শিল্পীদের তুলির টান। মানববন্ধন। এই আকাশছোঁয়া আবেগকে নিশ্চিতভাবে সম্মান করি। মনুষ্যত্ব আছে এমন সবাই আমরা বিচার চাই। দ্রুত অপরাধীর কঠোরতম শাস্তি হোক, প্রথম দিন থেকে রাজ্য সরকারও চায়। সেই লক্ষ্যেই নয়া বিলও পাশ হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। এটাও দেখতে হবে কলকাতা পুলিসের হাত থেকে তদন্ত নেওয়ার পর এখনও সামান্যতম কোনও ব্রেক থ্রু কি করতে পেরেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ১১ বছর পর আবার যে সংস্থাকে ভর্ৎসনা করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে বলতে হয়েছে, এবার অন্তত খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসুন। স্বভাবতই এ হেন তদন্তকারী সংস্থা মানুষকে কতটা বিচার দিতে পারবে এবং কতদিনে, সেই সংশয় কিন্তু তৈরি হচ্ছে। ভয় একটাই, যদি বিচার না পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে কর্মবিরতি চলে তাহলে গরিব মানুষের আরও কী শোচনীয় পরিণতি অপেক্ষা করছে! আবেগ স্বাগত, কিন্তু জেদ নয়। বিচার কিন্তু হাসপাতালের প্রতিটা রোগীরও ন্যায্য অধিকার। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করেছেন, চিকিৎসকরা সাড়া দেননি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাঁরা মানেননি। নির্বাচিত সরকারের উপর এই অবিশ্বাস ও সর্বোচ্চ আদালতের অবমাননার মুখে দাঁড়িয়ে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে, না প্রকাশ্যে কাঁদবে তার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।
এই সংশয়ের কারণ সিবিআইয়ের হাতে ৭ হাজার মামলা ঝুলে। এর মধ্যে ৩৬১টি মামলা ২০ বছরের বেশি পুরনো। ৬৫৮টি আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এখনও তদন্ত শেষ করতে পারেনি। এমনিতে ৯০ দিনে তদন্ত শেষ হওয়ার কথা। বহু ক্ষেত্রে বছরের পর বছর ধরপাকড়, চার্জশিট দেওয়ার পরও শেষে অভিযুক্তরা হয় বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছেন কিংবা সিবিআই নিজেই প্রমাণের অভাবে তদন্তে যবনিকা টানতে বাধ্য হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আবার গুরুত্বপূর্ণ শুনানি। অনেক আশা আমাদের। একটা কিছু হবে। বিচারের দিকে অগ্রসর হওয়ার একটা ইঙ্গিত অন্তত মিলবে। কিন্তু গত ৯ সেপ্টেম্বরের  শুনানিতে সিবিআই যখন সুপ্রিম কোর্টে বলল, তথ্য-প্রমাণ পেতে অসুবিধা হয়েছে। প্লেস অব অকারেন্স এবং অপরাধের সিন আমূল বদলে ফেলা হয়েছে। তথ্য নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না, প্রথম থেকেই তারা তদন্তের চেয়ে ব্যর্থতা ঢাকার অজুহাত খুঁজতেই ব্যস্ত। এধরনের অনুসন্ধানে সিবিআইয়ের পেশাদার গোয়েন্দাদের দক্ষতা প্রমাণিত। সেই জন্যই তাঁদের এত দর। কোনও অপরাধীই সব তথ্য-প্রমাণ পরিপাটি গুছিয়ে রেখে যায় না। সেই প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে বিচার পাইয়ে দেওয়াই কিন্তু সিবিআইয়ের দুঁদে গোয়েন্দাদের বিশেষত্ব। অথচ গত সোমবারের শুনানিতে সিবিআইয়ের স্বনামধন্য কৌঁসুলির গলায় বারবার ব্রেক থ্রুয়ের বদলে অজুহাতের সুরই প্রকাশ পাচ্ছিল। ঘরপোড়া গোরু বলেই বলতে বাধা নেই আর জি কর কাণ্ডে সরাসরি এখনও পর্যন্ত একজনই গ্রেপ্তার হয়েছে কলকাতা পুলিসের হাতে। তিনি সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। সিবিআইয়ের হাতে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার হয়েছেন বটে, তবে তা স্রেফ দুর্নীতির মামলায়। তার সঙ্গে খুন কিংবা ধর্ষণের যোগ এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাহলে যে বিচারের দাবিতে গোটা নাগরিক সমাজ আজ পথে নেমেছে তারা কবে সুবিচার পাবে। আজ কাল পরশু... পুজোর আগে কিংবা পরে, বছর ঘুরে, কিংবা অর্ধদশক পরে!
অনুরোধ একটাই, প্রতিবাদ চলুক, কিন্তু দয়া করে পুজোর আগের বাজারটা নষ্ট করে দেবেন না। ৮০ হাজার কোটির ব্যবসা। চার বছর আগের কোভিড টানা দু’বছর বিক্রিবাটা স্তব্ধ করে দিয়েছিল। দিন আনা দিন খাওয়ারা এখনও সেই যন্ত্রণা, সেই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তার উপর মিছিল প্রতিবাদে পুজোর কেনাকাটা রোজ ব্যাহত হলে গরিব হকার ভাইদের বিচার দেবে কে? একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, কবে কোথায় ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে? বিচার চাই। গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে এই আওয়াজ তুলেই সমস্ত আবেগ দলা পাকিয়ে বুকে উঠে আসছে। নির্যাতিতার পরিবার, ডাক্তার, শিক্ষানবিশ ছাত্রছাত্রী এবং নাগরিক সমাজের এক সুর। কিন্তু আড়াল থেকে রাজনৈতিক উস্কানি কি নেই? ঘোলাজলে মাছ ধরতে কখনও সামনে, আবার কখনও আড়াল থেকে কারা সক্রিয়। পর পর নির্বাচনী রাজনীতিতে পরাজয়ের হতাশা কাটানোর অবলম্বন যদি একটা পৈশাচিক ঘটনা হয়, তাও কি সমর্থনযোগ্য? ফেসবুকে বেশ কিছু স্বনামধন্য ডাক্তারের প্ররোচনাই প্রমাণ করছে, শুধু বিচার নয়, আরও কিছু চাই! রাজ্যকে অশান্ত করতে পারলেই বিচার মিলবে তো?
১০০ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর তদন্তভার হস্তান্তর হয়েছে বলে সিবিআই আসল অপরাধীকে ধরতে পারবে না, এই তথ্য মানা যায়? নাকি বিশেষ কিছু করার নেই দেখেই চারদিন পর তদন্তভার নেওয়ার অজুহাত খাড়া করা হচ্ছে সচেতনভাবে। কোন ঘটনায় সিবিআই দু’ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে? চাঞ্চল্যকর শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে। সিবিআই তদন্তে যুক্ত হয় তিন বছর পর ২০১৫ সালে। দীর্ঘ তিন বছর পর। এতদিন কি প্লেস অব অকারেন্স (পিও) অক্ষত ছিল? অপরাধের সিন? বাস্তবের মাটিতে এটা হতে পারে? প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয় আরও দু’বছর পর ২০১৭ সালে। চার্জশিট দিতে এতটা সময় লাগল কেন? এই মামলায় শিনার বাবা-মা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁদের গাড়ির ড্রাইভারের দেওয়া বয়ান থেকেই কিনারা করা গিয়েছে বলে সিবিআই দাবি করেছিল। কিন্তু এতকিছুর পরও এখনও দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারও ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন হয়েছে শুনেছেন? উল্টে সিবিআই নিজেই রণেভঙ্গ দিয়েছে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে। একে একে সবাই ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। দু’বছর আগে শিনার মা ইন্দ্রাণী মুখার্জি ছ’বছর কারাবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে যান। ফাঁসি তো দূর অস্ত নিদেনপক্ষে কারও যাবজ্জীবন পর্যন্ত হয়নি।
হালের আর এক রোমহর্ষক ধর্ষণ ও খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে যোগীরাজ্যে। হাতরাসে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০। সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায় প্রায় সাতাশ দিনের মাথায় ১১ অক্টোবর। চারজন অভিযুক্তই গ্রেপ্তার হন। কিন্তু প্রায় তিন বছর মামলা চলার পর প্রমাণের অভাবে সিংহভাগ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস। তাহলে কোন আক্কেলে হাতরাস মামলার তদন্তকারী দুই অফিসার সম্পদ মীনা এবং সীমা আহুজাকে আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে যুক্ত করা হল? এই প্রশ্নও কিন্তু উঠছে নাগরিক সমাজে। এরাজ্যে রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি থেকে শুরু করে হালের শিক্ষা, খাদ্য, গোরু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কোন মামলায় সিবিআই ব্রেক থ্রু করতে সমর্থ হয়েছে? এককথায় উত্তর, একটি ক্ষেত্রেও নয়। কিছু গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র। তারাও একে একে ছাড়া পাচ্ছেন। গত সপ্তাহে অনুব্রত কন্যা ও মানিক ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। সিবিআইয়ের মুখে ঝামা ঘষে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, হেমন্ত সোরেন, মণীশ সিশোদিয়া। বোফর্স মামলা সম্ভবত এদেশের দুর্নীতির ইতিহাসে সবচেয়ে চর্চিত মামলা। সেখানেও সিবিআইয়ের অগ্রগতি শূন্য। দীর্ঘ প্রায় আড়াই দশক তদন্ত চালানোর পর এজেন্সি নিজেই মামলাটি গুটিয়ে নেওয়ার আবেদন করে আদালতে। ২০১১ সালে আদালতের অনুমতি নিয়ে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে মামলাটিকে ‘ক্লোজ’ করা হয়। এখানেই প্রশ্ন ওঠে, গালভরা তদন্তের নামে সিবিআইয়ের এই ট্র্যাক রেকর্ড সত্যি কি সুবিচার পাওয়ার উপযোগী? মুষ্টিবদ্ধ হাত বারবার আকাশের দিকে ছুড়লেও কোনও বিচার প্রক্রিয়া কিন্তু একদিনে শেষ হওয়ার নয়। তদন্ত হবে। অভিযুক্ত এক বা একাধিক যত জনই হোন তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হবে। অভিযুক্ত যদি গ্রেপ্তার হয়ে থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম হবে। আদালত তা যুক্তিগ্রাহ্য মনে করলে তারপর ট্রায়াল। পক্ষে বিপক্ষে দীর্ঘ সওয়াল। যদি চার্জশিট দুর্বল হয় তাহলে বিচারপর্বেই জাল কেটে বেরিয়ে যাবেন অভিযুক্তরা। আর জি কর কাণ্ডে এখনও তদন্তই শেষ হয়নি। তার আগেই পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা। এই ব্যর্থতার দায় কার?
কলকাতায়  নাবালিকা হেতাল পারেখ খুন ও ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ১৯৯০ সালে। গ্রেপ্তার হয় আবাসনের রক্ষী ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ 
মামলা চলে। ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয় ১৪ বছর পর, ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট। এখন বলা হচ্ছে, ধনঞ্জয় নাকি আসল দোষী নন। মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তার চেয়েও রোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর। দিল্লিতে চলন্ত বাসের মধ্যে ধর্ষিত ও নির্যাতিত হন নির্ভয়া। সেদিনও গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল। প্রতিবাদের 
ঢেউ দিল্লির সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও আলোড়ন ফেলেছিল। কিন্তু বিচার পেতে লেগেছিল আট 
বছর। ওই ঘটনায় চার অভিযুক্তের ফাঁসি হয় ২০২০ সালের মার্চ মাসে। সম্ভবত এটাই ভারতে এখনও পর্যন্ত শেষ ফাঁসির ঘটনা।
ধর্ষণের ঘটনার বাইরে জঙ্গি হামলা এবং দেশবিরোধী নাশকতার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অপরাধে গত দেড় দশকে তিন-তিনটি ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। সংসদে হামলায় যুক্ত থাকার ঘটনায় আফজল গুরু, মুম্বই হামলার প্রধান চক্রী পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী আজমল কাসব এবং ১৯৯৩ সালের মুম্বই হামলায় দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেমন। মেমনের ফাঁসি হয় ঘটনার দু’দশক পর, ২০১৫ সালে। আফজল গুরু ছিলেন সংসদে হামলায় অন্যতম প্রধান চক্রী। তাঁর ফাঁসি হয় ঘটনার ১২ বছর পর, ২০১৩ সালে। আর মুম্বই শহরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রধান ষড়যন্ত্রী হিসেবে কাসবের ফাঁসি হয় ২০১২ সালে, ঘটনার চার বছর পর। 
এতগুলো ঘটনার উদাহরণ দিলাম একটাই কারণে। কোথাও বিচার কিন্তু রাতারাতি আসেনি। বছর পেরিয়ে দশক, দু’দশক, তারপরও পেরিয়ে গিয়েছে সময়। অনেক ক্ষেত্রেই বিচার যখন এসেছে তখন প্রথম দিনের চোখের জল শুকিয়ে গিয়েছে। রাজনীতির কুশীলবরা বদলে গিয়েছেন বেমালুম। কিন্তু এক্ষেত্রে? একটা বর্বরোচিত ঘটনাকে নাগরিক আন্দোলনের উনুনে তা দিয়ে সরকারকে নাস্তানাবুদ করার ছক। পিছন থেকে ইন্ধন জুগিয়ে বিচার পাওয়া নয়, চেয়ার দখলের ছক কোনওদিন সফল হতে পারে না। সিবিআইয়ের ট্র্যাক রেকর্ড মোটেই আহামরি কিছুই নয়। মনে রাখবেন, কনভিকশনের রেট আধ শতাংশেরও কম।
15th  September, 2024
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
একনজরে
ভারত ও বাংলাদেশের সীমানা মিলিয়ে গিয়েছে জলের তলায়। কোথাও পদ্মা, কোথাও পদ্মার শাখা নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় চর ডুবে গিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যবর্তী ...

বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও শহরে নতুন রেকর্ড গড়ল সোনার দর। তা পেরিয়ে গেল ৭৬ হাজারের সীমা। ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ান মার্চেন্টস অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী এদিন ‘৯৯৯’ বিশুদ্ধতার ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৭৬ হাজার ১০০ টাকা। ...

দলের সাংগঠনিক অবস্থা এবং আগামীদিনের কর্মসূচি নিয়ে এক ঘণ্টার উপর আলোচনা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ...

গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে নৃশংসভাবে এক যুবককে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অশ্বনী বর্মন (৩১)। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পর্যটন দিবস
১৭৬০ - মীর কাশিম মীর জাফরকে গদিচ্যুত করে বাংলার নবাব হন এবং বর্ধমান, মেদিনীপুর ও চট্টগ্রাম জেলা কোম্পানির হাতে তুলে দেন
 ১৮৩৩ -  বিশ্বপথিক রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যু
১৯৪৯  -  বেইজিংকে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়
১৯৫৮ - ভারতীয় হিসাবে প্রথম মিহির সেন ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন
১৯০৭ - বিপ্লবী শহিদ ভগৎ সিংয়ের জন্ম
১৯৩২ -  ভারতীয় চিত্রপরিচালক যশ চোপড়ার জন্ম
১৯৮০  -  বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়ে আসছে
১৯৯৮ - জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল (google)এর যাত্রা শুরু
২০০৮ -  বিশিষ্ট ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী মহেন্দ্র কাপুরের মৃত্যু
২০২৩ – বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক সৌম্যেন্দু রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৮৬ টাকা ১১৩.৪৫ টাকা
ইউরো ৯১.৬৭ টাকা ৯৪.৮৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ আশ্বিন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪। দশমী ১৯/৩৮ দিবা ১/২১। পুষ্যা নক্ষত্র ৪৯/৩৮ রাত্রি ১/২১। সূর্যোদয় ৫/৩০/২৫, সূর্যাস্ত ৫/২৪/৫৮। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৫ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৫০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৪ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫২ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৬ গতে ৯/৫৭ মধ্যে। 
১০ আশ্বিন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪। দশমী অপরাহ্ন ৪/২৬। পুষ্যা নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৩০, সূর্যাস্ত ৫/২৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৮ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। 
২৩ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তিস্তার জলে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ির বোয়ালমারির নন্দনপুর
জলপাইগুড়ির বোয়ালমারির নন্দনপুরে তিস্তার জল ঢুকছে। এর জেরে বাহিরের চর ...বিশদ

11:54:00 PM

সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহের অভিযোগ, কর্মবিরতির ডাক জুনিয়র চিকিৎসকদের
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। ...বিশদ

11:44:00 PM

গজলডোবা ব্যারেজ থেকে ২ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হল
সিকিমে প্রবল বৃষ্টি। কালিঝোরা ড্যাম থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। গজলডোবা ...বিশদ

11:41:55 PM

প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন নেপালের কাঠমাণ্ডু

11:03:00 PM

ভারী বৃষ্টির জেরে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে দেওয়াল ভেঙে বিপত্তি, মৃত ২, আহত ৩

10:40:00 PM

কোচবিহারের বক্সিরহাটে বেআইনি কয়লা বোঝাই ২টি গাড়ি আটক, গ্রেপ্তার চালকরা

10:04:00 PM