Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশভাগ করে ৭৭ বছরে কী পেল প্রতিবেশীরা?
সমৃদ্ধ দত্ত

পরকালের কোনও অদৃশ্য নো ম্যানস ল্যান্ডে দাঁড়িয়ে এখন হয়তো জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী এবং বল্লভভাই প্যাটেলরা হাসতে হাসতে  মহম্মদ আলি জিন্নাকে বলছেন, কী ব্যাপার জিন্না সাহেব! দেশভাগ করে তাহলে কী পেলেন? অখণ্ড ভারতকে ভেঙে দিয়ে, ভারত নামক দেশ থেকে চলে গিয়ে আলাদা রাষ্ট্র হলেই নাকি অপার শান্তি, অতুল ঐশ্বর্য আর পরম সুস্থিতি আসবে? এরকমই তো বলতেন আপনি আপনার অনুগতদের। তা ৭৭ বছর কেটে গেল। সেসব তো কিছুই হল না। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করলেন। কিন্তু আপনার প্রিয় পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তান, কোথাও এই ৭৭ বছরে স্থায়ী শান্তি তো এলই না, এমনকী দুই প্রান্তেই গণতন্ত্র স্থাপন করা গেল না! অশান্তি, অরাজকতা লেগেই রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানকে তো ধরেই রাখতে পারলেন না। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে সেই দেশটি অর্থাৎ বাংলাদেশ চিরস্থায়ী সুস্থিতি স্থাপন করতে ব্যর্থ। যারা ভারতে থাকতে চায়নি, ভারতকে অন্য দেশ হিসেবে বিবেচনা করেছে, সেই পূর্ব ও পশ্চিম দুই পাকিস্তানেই তো দেখা যাচ্ছে ৭৭ বছর ধরে একই চিত্র। একজন করে শাসক আসেন। তিনি ক্রমেই হয়ে যান জনতার কাছে ভিলেন। তারপর হয় তিনি পালিয়ে যান কিংবা তাঁকে হত্যা করা হয়, নতুবা জেলবন্দি। কখনও সেনাবাহিনী দখল করে নেয় ক্ষমতা। নির্বাচন বলে কোনও বস্তু মাঝেমধ্যে দেখা যায় বটে। কিন্তু হয় তার ফলাফল মেনে নেওয়া হয় না অথবা ভোট ভোট পুতুল খেলা হয়।  
নেহরুরা জিন্নার ম্লান এবং বিবর্ণ মুখের দিকে তাকিয়ে নিশ্চিত বলছেন,  যে দেশটা ভেঙে দিয়ে আপনি চলে গিয়েছিলেন, সেই ভারতের দিকে তাকিয়ে দেখুন। ১৯৫১ সালের অক্টোবর মাস থেকে সেই যে গণতান্ত্রিক নির্বাচন শুরু হয়েছিল, আজ পর্যন্ত তার অন্যথা হয়নি। এক বছর আগে পরে হলেও নির্বাচন কিন্তু ঠিক হয়েছে। এমনকী কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে জরুরি অবস্থা জারি করে স্বৈরতন্ত্রের পথে হাঁটার মৃদু চেষ্টা করেও ঠিক পরের নির্বাচনেই পরাস্ত হয়েছেন। তারও বহু বছর পর কেউ আবার একনায়কতন্ত্র কায়েমের স্বপ্নে বিভোর হয়ে যাওয়ার পর আচমকা একটি আপাত নিস্তরঙ্গ ভোটে মহাধাক্কা খেয়ে দেখেছেন তাঁর গরিষ্ঠতা জনতা কেড়ে নিয়েছে। 
কত বড় বড় সঙ্কট সামলেও এমন একটা দেশ গড়ে যেতে পারলাম যে, ৭৭ বছর পরও অটুট গণতন্ত্র, সেকুলারিজম। আবার বিশ্বের পঞ্চম অর্থনৈতিক শক্তিও হয়ে গেলাম। নেহরু গান্ধীরা ঠিক যে কথা জিন্নাকে কাল্পনিক সাক্ষাৎকারে বলছেন, আমাদের মতো সাধারণ বঙ্গবাসীর মনেও অনুরূপ প্রশ্ন আসছে ঠিক সেই সুরেই। পূর্বতন পূর্ববঙ্গের উদ্দেশে। সেটি হল, দেশভাগ তথা বঙ্গভাগ করে তাহলে আপনাদের কী লাভ হয়েছে? আমাদের মনে আছে ১৯৪০ সালে যেদিন মুসলিম লিগের লাহোর ডিক্লারেশন হল, সেই  প্রস্তাবটি কে পাঠ করেছিলেন। আবুল কাশেম ফজলুল হক। একজন বাঙালি মুসলিম লিগ নেতাকে দিয়েই করা হয়েছিল পাকিস্তান প্রস্তাব। 
১৯৪৭ সালের ২০ জুন অখণ্ড বাংলার বিধানসভায় যে তিনটি ভোটাভুটি হয়েছিল, সেখানে দেশভাগ তথা বাংলা ভাগের প্রস্তাবের পক্ষে রায় কী হয়েছিল? পূর্ববঙ্গের মুসলিম লিগ বিধায়করা কীসের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন? বাংলা যদি অখণ্ড থাকে, তাহলে সে পাকিস্তানে যোগ দেবে।  পূর্ববঙ্গের তাবৎ জেলার মুসলিম লিগ বিধায়কেরা তাঁদের পৃথক ভোটাভুটিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তাঁরা ভারতে থাকবেন না, পাকিস্তানে যোগ দেবেন।  
বাংলা নামক ভাষার তুলনায়, সেই সময় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল ধর্মকে। অর্থাৎ পূর্ববঙ্গের যে বিধায়কেরা বাংলা ভাগ এবং পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেদিন তাঁরা বাংলা ভাষা এবং বাঙালি আবেগের বদলে ধর্মের ভিত্তিতেই ঐক্যকে বেশি জরুরি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। আর ওই ১৯৪৭ সালেই তাঁদের মোহভঙ্গ হতে শুরু করে। কারণ, পূর্ব পাকিস্তানকে মহম্মদ আলি জিন্না ১৯৪৮ সালে ঢাকায় গিয়ে ধমক দিয়ে বলে এসেছিলেন বাংলা ভাষা নিয়ে আন্দোলন করে লাভ নেই। উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তিনি ঢাকার সমাবেশে বলেছিলেন, যারা বাংলা নিয়ে এই আন্দোলন করছে, তারা আসলে হিন্দুস্তানের এজেন্ট! 
এরপর পূর্ববঙ্গ দেখল দুর্ভিক্ষ। ১৯৪৮-১৯৪৯ সালে জেলায় জেলায় খাদ্যসঙ্কট চরম আকার ধারণ করে। অতঃপর ১৯৫২ সালের ভাষা  আন্দোলন। তার আগে শিক্ষক ধর্মঘট। রেল ধর্মঘট। ১৯৭১-এর গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধ। মুজিবুর রহমানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া। সেই স্বাধীনতার পর প্রথম প্রধানমন্ত্রীকেই নিজের ঘরে সপরিবারে হত্যা করা। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর রহস্যজনক বিমান দুর্ঘটনা। আশির দশকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা। পূর্ব বঙ্গ থেকে পূর্ব পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ হওয়ার পর পর্যন্ত এই যে ৭৭ বছর কেটে গেল, এখনও সুস্থিতি এল না কেন? অবিরত অনিশ্চয়তা।  
পশ্চিমবঙ্গের একাংশ বাংলাদেশ ব্যাপারটা নিয়ে খুবই আবেগপ্রবণ।  তারা দুঃখ পায় অথবা রেগে যায় যে, বাংলাদেশের একটা বড় অংশ কেন ভারতবিরোধী? কেন ক্রিকেট খেলার সময় ভারতকে তারা সমর্থন করে না? কেন ভারতের পরাজয় দেখলে আনন্দ পায়। কেন ভারত বিদ্বেষের  আঁচ প্রকট? এই যে বিস্মিত হওয়া কিংবা রেগে যাওয়া, এটা বরং বেশি আশ্চর্যের। আসলে ইতিহাস অজ্ঞতা। যে ভূমিখণ্ড ১৯৪৭ সালে ভারতে থাকতে চায়নি, যারা ভারত ও বাংলা থেকে নিজেদের বিযুক্ত করে নিয়েছিল, পাকিস্তানে যোগ দিয়েছিল স্বেচ্ছায়, তাদের মধ্যে বৃহৎ একটি অংশ ভারত বিরোধীই হবে এটা কী এমন একটা সাংঘাতিক বিস্ময়কর তথ্য? 
শেখ মুজিবুর রহমান কেন কিছুটা পৃথক? কারণ তিনি ধর্মান্ধতা থেকে বের করে আনতে চাইছিলেন পূর্ব পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের আগ্রাসী ভারত বিরোধী এক উগ্র ইসলামিস্ট ভাবধারা থেকে বিযুক্ত করে নতুন একটি বঙ্গদেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদে দুজন মানুষ পাকিস্তানের অতি উগ্র ধর্মীয় কার্যকলাপ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন, এভাবে একটি উন্নত দেশ নির্মাণ করা যাবে না। এই দুজন ছিলেন, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং মুজিবুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর বহু ব্যর্থতা চোখে পড়ছিল। যার অনেকটাই সত্যি। কিন্তু তাঁকে সময় দেওয়া হয়নি একটা সবেমাত্র পাকিস্তানের কবলমুক্ত হওয়া দেশকে গড়ে তোলার। তিন বছরের মধ্যেই দুর্বলতা বুঝে হত্যা করা হয়েছিল। সেটা কাদের প্লট ছিল? 
যারা ভারত ছেড়ে একদিন চলে গিয়েছিল তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমাদের এত উতলা হওয়ার যৌক্তিকতা কী? এত আবেগই বা কেন? ভারত ও বঙ্গবাসী হিসেবে আমাদের এক ও একমাত্র লক্ষ্য কী হওয়া উচিত? ১) ভারতের বন্ধু একটি সরকার যেন বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসীন থাকে ২) ভারতের সীমান্ত যেন সুরক্ষিত থাকে ৩) দুই দেশেরই সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তি যেন দাঁত নখ বের করতে না পারে ৪) ভারতের বাণিজ্যিক স্বার্থ যেন সুরক্ষিত থাকে ৫) সন্ত্রাসের শিকড় যেন উপড়ে ফেলা হয় ৬)  ভারতে জঙ্গি পাচার বন্ধ হয়ে যায় ৭) সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান স্বাভাবিক থাকে। 
এসবই কিন্তু হাসিনার আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর থেকে সুস্থ সম্পর্ক আর কী হতে পারে?  এক মাস আগেও এসবই ছিল। সদ্য ভারতের জন্য সুবিধাজনক কয়েক হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করে গেলেন হাসিনা। বাংলাদেশের পরিকাঠামো নির্মাণে সেই চুক্তি সহায়ক হতো। অথচ ওই আন্দোলনের প্লট সব অনিশ্চিত করে দিয়ে গেল। 
আমাদের এপারের বঙ্গবাসীর একাংশ হঠাৎ ভারতের স্বার্থগুলিকে বিশেষ পাত্তা না দিয়ে কোটা বিরোধী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বুকভরা আশীর্বাদ, প্রাণভরা সমর্থন দিয়ে গেলেন। কেন সমর্থন করেছেন? কারণ তাঁরা জামাত ভাবেননি, বিএনপি ভাবেননি, পাকিস্তান ভাবেননি এবং ভবিষ্যৎ ভাবেননি। তাঁরা ভারতের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে কি না ভাবলেন না। তাঁদের প্রধান আবেগ হল, বাংলাদেশকে স্বৈরাচার থেকে মুক্ত করতে হবে। মায়ানমার নিয়ে তাঁদের ভাবনা হয় না। শ্রীলঙ্কা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। নেপাল নিয়ে মাথা ঘামান না। বাংলাদেশ নিয়ে প্রবল উদ্বিগ্ন। এসব করার সময় তাঁরা ভুলেই যান যে, বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ববঙ্গ এককালে ভারতে থাকতেই চায়নি। তাঁরা ভারতে থাকার তুলনায় পাকিস্তানে যুক্ত হওয়াকেই সঠিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। অথচ তাঁদের ভালোমন্দে আমাদের চরম উদ্বেগ! 
বিশেষ করে যারা আন্দোলন করেছে এবং আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে, তাদের কাছে দুটো ভিলেন। শেখ হাসিনা এবং ইন্ডিয়া। তারা গোপনও করেনি সেকথা। ১৯৭১ সালে ভারতের সহায়তা মনে রেখেও ওই অবস্থান। কিন্তু তা সত্ত্বেও এপার বাংলার বাঙালির একাংশ ওই ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করে প্রায় নিজেদের ছাত্র আন্দোলনের প্রবাসী শাখায় পরিণত করেছে। আর তারপর? এখন জ্বলছে বাংলাদেশের সম্পদ। প্রাণ হারাচ্ছে বাংলাদেশিরা। ভারত চরম বিপদের দোরগোড়ায়। কিন্তু যারা ছাত্রদের  আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল, এখন আর তারা সেই ছাত্রদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করছে না যে, ভাই, এসব কী ব্যাপার? তোমাদের সেই ধন্য ধান্য পুষ্প ভরা...কারার ওই লৌহ কপাট... মুক্তির মন্দির সোপান তলে...সেসব কোথায় গেল এখন? প্রশ্ন করা হচ্ছে না যে, তোমাদের আন্দোলন চলাকালীন  কারা ট্রেনে আগুন ধরাচ্ছিল? কারা সরকারি ভবন পুড়িয়ে দিয়েছিল? কারা পুলিসকে পিটিয়ে হত্যা করছিল? তখন ভিড়ের আনন্দে ওসব কথা মনে আসেনি যে আমরা যদি মেধাবী ছাত্র হই, আমাদের সঙ্গে এরা কারা? মবোক্রেসির উচ্ছ্বাসে ওসব ব্যাপারে মাথা ঘামাওনি কেন? আর এখন নিজের দেশবাসীকেই কারা হত্যা করছে? তোমাদেরই তো মিছিলে ছিল এরা। 
বলা হচ্ছে এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। বলা হচ্ছে এটা মুক্তিযুদ্ধ। গণ অভ্যুত্থান। শেখ মুজিবের মূর্তি ভাঙা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙা হচ্ছে। বাংলাদেশ একটি অন্য দেশ। তাদের মোট কতগুলো স্বাধীনতা দিবস হবে, তারা রবীন্দ্রনাথকে ‘কাফের’ কবি ভাবে কি না সেটা একান্তভাবেই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের মতামত দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাদের কাছেও আমাদের কথা বা মতামতের গুরুত্ব নেই। যদি তাদের সমর্থন করি, তাহলে আমরা ভালো। যদি তাদের বিরোধিতা করি, তাহলে আমরা খারাপ! অতএব আমরা পক্ষপাতহীন। কেন? কারণ ওই যে! তারা তো আমাদের সঙ্গে ১৯৪৭ সালে থাকতে চায়নি! তারা ম্যাচিওরড একটি রাষ্ট্র। নিজের ভালো নিজেরাই ঠিক করবে। ভারত নাকি পাকিস্তান? কে তাদের বন্ধু? সেটা তো তারাই সিদ্ধান্ত নেবে! এখানে জোরাজুরি হয় নাকি? তাদের নতুন সরকার ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখলে ভারতও রাখবে। আর বিদ্বেষপূর্ণ হলে ভারতও সেইমতো অবস্থান নেবে। এটাই তো কূটনীতি! এখানে আবেগ কোথায়! 
আমাদের একটাই স্বাধীনতা দিবস। আমাদের একটা সাধারণতন্ত্র দিবস আছে। আমাদের একটা সংবিধান দিবস আছে। মবোক্রেসি নয়, ৭৭ বছর ধরে আমাদের চালিকাশক্তি ডেমোক্রেসি! দেশভাগ করে দিয়ে ওরা যেটা পেলই না! দেশভাগ করে কাদের ক্ষতি হল? কাদের লাভ হল? 
09th  August, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
বিচার চলুক, বাঁচুক বাংলার অর্থনীতিও
হারাধন চৌধুরী

সহকর্মীদের বেদম প্রহারের ফলে ৬ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে প্রাণ হারালেন বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক। মোতি আলি নামে ওই যুবক ছিলেন মালদহের বাসিন্দা। এই ঘটনার মাত্র একসপ্তাহ আগে শিরোনাম দখল করে হরিয়ানা। ‘গোমাংস ভক্ষণ’ সন্দেহে বাংলারই এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে। বিশদ

11th  September, 2024
গোরক্ষার নামে হত্যা! রুখে দাঁড়াক সমাজ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আহা! পিটিয়ে মারা হয়েছে বলবেন না। গোরক্ষায় কঠোর একটা আইন রয়েছে রাজ্যে। তার সঙ্গে তো আর কোনওরকম সমঝোতা চলে না! ওরা যদি এমন কোনও খবর পায়, কে আটকাবে ওদের?’ খুন হয়েছেন সাবির মল্লিক। প্রকাশ্যে। বিশদ

10th  September, 2024
বেকারত্ব কমাতে মোদি কিছুই করেননি
পি চিদম্বরম

খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্পূর্ণ ভাষণ আমি ইংরেজিতে পড়তে পেরেছি। এজন্য ইকনমিক টাইমস কাগজকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিয়েছিলেন হিন্দিতে। আমার ধারণা, ওই কাগজে প্রকাশিত অনুবাদটি যথাযথই ছিল।
বিশদ

09th  September, 2024
বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি
হিমাংশু সিংহ

হিসেব কিছুতেই মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর। তৃতীয়বার শপথ নেওয়া ইস্তক কী দেশে, কী বিদেশে। যত মিলছে না, ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন ও সঙ্কট। সেই কারণেই উৎসব মরশুম শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদির রাতের ঘুম উধাও। দশ বছর পর কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। বিশদ

08th  September, 2024
প্রতিবাদ যেন ‘শোকের উৎসব’ না হয়
তন্ময় মল্লিক

আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল সর্বস্তরের মানুষ। এমনকী অভয়ার বাবা, মাও। পৈশাচিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বাংলা। জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব এখন সিবিআইয়ের। বিশদ

07th  September, 2024
দুই সমাজের দূরত্ব কমুক
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুটি শ্রেণি আছে। একটি অংশের পরিবারে নবজাতক অথবা বালক বালিকাদের নাম আজও দেওয়া হয় চাঁপা, জবা, শেফালি, বকুল, কনক, মালতী, লতিকা, রতন, সনাতন, বিজয়, অমল, কানাই, কাশীনাথ, শম্ভুচন্দ্র, নিবারণ, উত্তম, সুবল...ইত্যাদি। বিশদ

06th  September, 2024
ধর্ম আগে, নাকি দেশ? জানে না বাংলাদেশ
মৃণালকান্তি দাস

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল ‘বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্সের (বিপিডি)’ ব্যানারে। ১ সেপ্টেম্বর সেই আলোচনা সভার শিরোনাম ছিল ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’। তবে এই শিরোনামের উপর আলোচনা হয়েছে সামান্যই। বিশদ

05th  September, 2024
একনজরে
আবার হিট অ্যান্ড রানের ঘটনা বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে। দ্রুতগতির গাড়ি পিষে দিল দুই বাইকযাত্রীকে। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন বছর সতেরোর এক কিশোর। গুরুতর জখম তাঁর ...

টানা বৃষ্টির জেরে আসানসোল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত। পুজোর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। রবিবারও ছুটির দিনে বৃষ্টিতে পুজোর বাজার দফারফা করে দিয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া এদিন মানুষজন বাড়ি থেকে বের হননি। ঝড়-বৃষ্টির জেরে জিটি রোডের উপর একের পর এক গাছ ...

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারস্থলের কাছেই চলল গুলি। রবিবার ফ্লোরিডা গল্ফ ক্লাবের বাইরে দুই ব্যক্তির মধ্যে গুলির লড়াই বাধে। জানা যাচ্ছে, ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই ট্রাম্প ক্লাব ...

পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। নাওয়া-খাওয়া ভুলে সকাল থেকেই পুজো উদ্যোক্তারা পড়ে আছেন পুজো প্রাঙ্গণে। কেউ ব্যস্ত প্যান্ডেল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ওজোন স্তর রক্ষা দিবস
১৭৩৬ - পোলিশ ডাচ পদার্থবিদ তথা প্রকৌশলী ও থার্মোমিটার উদ্ভাবক ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইটের মৃত্যু
১৮১২ - মস্কো শহরে এক অগ্নিকাণ্ডে এক দিনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শহর পুড়ে গিয়েছিল
১৯০৮- জেনারেল মোটরস কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা
১৯১৬- ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর জন্ম
১৯৩১- হিজলি ক্যাম্পে বন্দিদের উপর গুলিতে হত দুই বিপ্লবী সন্তোষকুমার মিত্র এবং তারকেশ্বর সেনগুপ্ত
১৯৩২- নোবেলজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রসের মৃত্যু
১৯৪৫- রাজনীতিবিদ পি চিদাম্বরমের জন্ম
১৯৫৩- যুক্তরাষ্ট্রের রক্সি থিয়েটারে বিশ্বের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘দ্য রোব’ প্রদর্শিত
১৯৫৫- আন্তর্জাতিক কপিরাইট কনভেনশন চালু
১৯৮৭- বিশ্বের ২৭টি দেশ ভূ-পৃষ্ঠের বায়ু মন্ডলকে রক্ষা করার জন্য ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস ব্যবহারে বিধিনিষেধ প্রয়োগে চুক্তিবদ্ধ হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৪ টাকা ১১২.১৯ টাকা
ইউরো ৯১.৫৩ টাকা ৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী ২৪/২০ দিবা ৩/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৭/৪৫ দিবা ৪/৩৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
৩০ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ১/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/৩৫ গতে ৪/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
১২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মহারাষ্ট্রের পালঘরে মহিলাকে গণধর্ষণ, অভিযোগ দায়ের
মহারাষ্ট্রের পালঘরের নালাসোপারা এলাকায় এক মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ। নির্যাতিতা ...বিশদ

15-09-2024 - 10:30:00 PM

আর জি কর কাণ্ড: রবিবার রাতে বৃষ্টিতে ভিজেই মহিষাদলে মহিলাদের মশাল মিছিল ও নাচের মুদ্রায় প্রতিবাদ

15-09-2024 - 10:13:17 PM

আইএসএল: কেরল ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারাল পাঞ্জাব এফসি

15-09-2024 - 09:51:35 PM

গঙ্গা, যমুনায় হু হু করে বাড়ছে জলস্তর, ভাসছে উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকা, উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ

15-09-2024 - 09:09:00 PM

দু’দিনের সফরে দিল্লি থেকে গুজরাতে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

15-09-2024 - 08:45:00 PM

উত্তরপ্রদেশের লখনউতে পুলিসের ফ্ল্যাগ মার্চ

15-09-2024 - 08:44:00 PM