Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কেন্দ্রে এলিট মন্ত্রীদের
এই দুরবস্থা কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারতীয় রাজনীতিতে দুই ধরনের রাজনীতিবিদ থাকেন। একটি অংশকে বলা হয় মাস-লিডার। অর্থাৎ জননেতা, জননেত্রী। যাঁদের আম জনতার উপর বিপুল প্রভাব। তাঁদের আহ্বানে, জনসভায় লক্ষ মানুষের সমাগম হয়ে যায়। সাধারণত এই অংশের নেতানেত্রীরা  সাধারণ, গরিব অথবা মধ্যবিত্ত পারিবারিক ও সামাজিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উঠে আসেন সংগ্রাম, পরিশ্রমের সিঁড়ি দিয়ে। এর ফলে তাঁদের ভারতের মতো একটি জটিল এবং বহুধা বিভক্ত সমাজ সংস্কৃতির জনমানস সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা তৈরি হয়। অর্থাৎ, একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করা মানুষ প্রতিদিন ঠিক কী চায়, তাদের অভাব এবং আকাঙ্ক্ষা কী, এসব নিয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা থাকে এই মাস-লিডারদের। যে কোনও সময় তাঁরা মানুষের সঙ্গে মিশে যান। অত্যন্ত বুঝে, প্রতিটি শব্দ বুঝেশুনে উচ্চারণ করে মানুষের কাছে নিজের উচ্চমার্গের ইমেজ বজায় রাখার কোনও তাগিদ তাঁদের থাকে না। তাঁরা সচরাচর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেন। কখনও ঠিক বলেন। কখনও ভুল বলেন। কিন্তু প্রচণ্ড আবেগ নিয়েই রাজনীতিটা করেন। কোনও ক্যালকুলেটিভ কেরিয়ার হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যান না। পরবর্তীকালে সাফল্য পাওয়ার পর নিজের অর্জিত ভাবমূর্তিকেই সাকসেস ফর্মুলা হিসেবে তাঁরা বুঝে যান। এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেটাকে পুঁজি করে অগ্রসর হন। কেউ কেউ দীর্ঘ সাফল্য লাভ করেন। কেউ কেউ আবার বিচ্যুত হন সাফল্যসরণী থেকে। কিন্তু চিরকাল তাঁদের সঙ্গে থেকে যান তাঁদের প্রতি একান্ত মুগ্ধ অনুগামী অথবা জনতা। তাঁকে ওই জনতা শতরকম ত্রুটি বিচ্যুতি সত্ত্বেও ‘আমাদের লোক’ হিসেবে বিবেচনা করে। এই রাজনীতিবিদদের সম্মোহনী শক্তির ম্যাজিকের কোনও নিখুঁত বিশ্লেষণ করা যায় না। এই মাস-লিডার অথবা জননেতা-নেত্রীদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, তাঁরা স্মার্ট ঝকঝকে শহুরে এলিট ইংরাজির তুলনায় মাতৃভাষায় কানেক্ট করেন মানুষের সঙ্গে। আর তাঁদের ব্যবহৃত শব্দ ও বাক্য দ্রুত মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে। বিতর্ক হয়। আলোচনা হয়। মুগ্ধতাও ছড়ায়। 
আর একরকম রাজনীতিবিদ আছেন যাঁরা ইংলিশ স্পিকিং, আছে হাই প্রোফাইল শিক্ষাগত যোগ্যতা। ধীরস্থির কথাবার্তা, পরিশীলিত শব্দচয়ন করেন। তাঁদের বক্তৃতায় আক্রমণাত্মক মেঠো ঝাঁঝ নেই। আবেগের তুলনায় যুক্তি এবং নিজের রাজনৈতিক আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করার সূক্ষ্ম ক্যালকুলেশন থাকে তাঁদের। অথচ ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গিয়েছে আশ্চর্যজনকভাবে এই শ্রেণির মানুষের নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক থাকে না। তাঁদের মেধা, শিক্ষা, প্রশাসনিক দক্ষতাকে কাজে লাগায় সংশ্লিষ্ট দল। বিনিময়ে তাঁদের বিধানসভা, লোকসভা অথবা রাজ্যসভায় জয়ী করিয়ে মন্ত্রী করে নিয়ে আসার দায়িত্ব পালন করে দল।  এই ইংলিশ স্পিকিং এলিট নাগরিক রাজনীতিবিদদের নিয়ে মুগ্ধতা আছে। কিন্তু তাঁদের একঝলক দেখার জন্য প্রবল গরমে কয়েকলক্ষ মানুষ হাজির হয়ে যাবে জনসভায় এরকম হয় না। অর্থাৎ এই রকম রাজনীতিবিদদের জনমোহিনী সম্মোহনী শক্তি নেই। একাই নিজেকে অথবা দলকে জিতিয়ে আনবেন সেই ক্ষমতা তাঁদের নেই। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত সম্পূর্ণ একা নিজের দলকে জিতিয়ে এসেছেন। তাঁর দলে বহু উচ্চশিক্ষিত এলিট সেলেব্রিটি পোড়খাওয়া অথবা প্রশাসনিকভাবে দক্ষ রাজনীতিবিদ আছেন। কিন্তু তাঁদের জয়ের জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের উপর। লালুপ্রসাদ যাদব, মায়াবতী, মুলায়ম সিং যাদব,নরেন্দ্র মোদি, জয়ললিতা, করুণানিধি, এন টি রামা রাও সকলেই এই গোত্রের। যদিও এই তালিকায় কয়েকজন জাতিগত আইডেন্টিটি অথবা ফিল্মি জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে অগ্রসর হয়েছিলেন। তবে নিজেদের সম্মোহনী শক্তিকে ভোটব্যাঙ্কে পর্যবসিত করতে সক্ষম হয়েছেন প্রত্যেকে। জওহরলাল নেহরু অথবা ইন্দিরা গান্ধীরা প্রবলতম জনপ্রিয় মাস-লিডার ছিলেন এবং ‌ইংলিশ স্পিকিংও ছিলেন। তাঁদের সাফল্য ফর্মুলায় অবশ্য পারিবারিক পেডিগ্রি এবং ইতিহাসের ব্যাকগ্রাউন্ড সাহায্য করেছিল। তার সঙ্গে  ছিল চূড়ান্ত কর্তৃত্ব, দল ও সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা। এই দুজনই দলকে জেতাতে পারতেন একক ক্যারিশমায়। যা বহুবার প্রমাণিত। অটলবিহারী বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আদবানিরা প্রধানত হিন্দুধর্ম, হিন্দি ভাষা এবং ভারতীয়ত্বের একটি সংমিশ্রণ তৈরি করে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা রচনা করেছিলেন। যদিও তাঁরা হিন্দুত্বকে বাদ দিয়ে স্রেফ একক ব্যক্তিত্ব দিয়ে দলকে জিতিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেননি। অর্থাৎ তাঁদের একক ক্যারিশমার তুলনায় হিন্দুত্ব রাজনীতির উত্থান ছিল প্রধান অনুঘটক। 
স্বাধীনতার পর থেকে তো বটেই, সাম্প্রতিককাল পর্যন্ত ইংলিশ স্পিকিং, শিক্ষাগত যোগ্যতা, তুখোড় রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, প্রশাসনিক জ্ঞান সংবলিত নেতাদের আধিক্য সর্বদাই কংগ্রেসে বেশি। মনমোহন সিং থেকে পি চিদম্বরম। প্রণব মুখোপাধ্যায় অথবা নরসিমা রাও। শশী থারুর কিংবা সলমন খুরশিদ। এঁরা প্রত্যেকেই ওই ইংলিশ স্পিকিং এবং প্রশাসনিক অথবা সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা জননেতা ছিলেন না। আম জনতা তাঁদের সম্মোহনী শক্তিতে মুগ্ধ হয়ে তাঁদের ভোট দিতে আগ্রহী, এরকম হয়নি। অথচ মন্ত্রী হিসেবে তাঁরা সফল ছিলেন। 
ঠিক এখানেই বর্তমান ভারত সরকারের সঙ্গে তুলনা চলে আসছে। মোদি সরকার তথা বিজেপি আদর্শগতভাবে স্বদেশি, ভারতীয়ত্ব, পশ্চিমী সভ্যতার বিরোধী, ইংরাজি ভাষাচর্চাকে পিছনে ফেলে বেশি বেশি হিন্দিকে আরোপ করার মরিয়া আগ্রাসনেই বিশ্বাসী চিরকাল। দিল্লিতে একটি হাই প্রোফাইল মার্কেট আছে। আদতে দেশভাগের পর উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ থেকে ভারতে চলে আসা উদ্বাস্তুদের পেশাগত পুনর্বাসনের জন্য এই মার্কেটে দোকান দেওয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। খান মার্কেট।  প্রাথমিকভাবে উদ্বাস্তুদের দোকান হলেও, পরবর্তীকালে খান মার্কেটে যাতায়াত করা মানুষের সিংহভাগই ইংলিশ স্পিকিং, এলিট ও ধনী। দীর্ঘকাল ধরেই বিজেপি নেতারা এই উন্নাসিক ও বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধাচারণ করা সেকুলারপন্থীদের আক্রমণ করে বলে থাকে ‘খান মার্কেট গ্যাং’। 
অথচ হঠাৎ দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি স্বধর্ম থেকে নিজেরাই সরে আসছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ চারটি মন্ত্রককে সরকারি পরিভাষায় বলা হয় বিগ ফোর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, প্রতিরক্ষামন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক, বিদেশমন্ত্রক। মোদি মন্ত্রিসভার অর্থ এবং বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্বে দুই ইংলিশ স্পিকিং নেতানেত্রী। নির্মলা সীতারামন ও সুব্রহ্মনিয়াম জয়শঙ্কর। এই সরকারে সবথেকে গুরুত্ব পাচ্ছেন এখন কারা? রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, শিল্পবাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কাদের মতামতকে ক্যাবিনেট মিটিং-এ বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন কমিটির নেতৃত্বে রাখা হয়? বিদ্যুৎ মন্ত্রী রাজকুমার সিং, পেট্রলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। কোন মন্ত্রী দ্রুত উঠে আসছেন গুরুত্বের তালিকায়? রাজীব চন্দ্রশেখর। তথ্যপ্রযুক্তির রাষ্ট্রমন্ত্রী। 
এই প্রত্যেক মন্ত্রীর মধ্যে সাদৃশ্য কী? এঁরা সকলেই ইংলিশ স্পিকিং এলিট গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এবং কারও কোনও নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক নেই। সিংহভাগই লোকসভায় নয়, রাজ্যসভার এমপি হিসেবে মন্ত্রী হয়েছেন। জনমোহিনী শক্তি কারও নেই। এই শ্রেণির এলিট রাজনীতিবিদদের বিজেপি চিরকাল ব্যঙ্গ করেছে। কেউ আইএএস, কেউ আইআইটি, কেউ আমেরিকার হোয়ার্টন ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যানেজমেন্ট স্নাতক, কেউ ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের সর্বোচ্চ কর্তা, কেউ আবার বৃহৎ শিল্পপতি।  
কিন্তু সমস্যা এবং আশ্চর্য কাকতালীয় হল, এই প্রত্যেক হাইপ্রোফাইল এলিট মন্ত্রীদের মন্ত্রক ভারত সরকারের সবথেকে ব্যর্থ বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। দেশের বেকারত্ব আর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অর্থমন্ত্রকের ব্যর্থতা সর্বজনবিদিত। শিল্প ও বাণিজ্য কতটা ব্যর্থ তার প্রমাণ লাগাতার কয়েক বছর ধরে রপ্তানি ও শিল্পস্থাপনের হার সম্পূর্ণ তলানিতে। পেট্রলের দাম আকাশছোঁয়া থেকে আর নামেনি। বিদ্যুতের দাম দেশজুড়ে ক্রমেই চরম আকার নিয়েছে। আরও বাড়তে চলেছে। এবং রেল! বালাসোর দুর্ঘটনা এবং সাড়ে তিন লক্ষ শূন্যপদ পূরণ না হওয়া। সব ক্ষেত্রেই বোঝা যাচ্ছে রেলমন্ত্রীর অদক্ষতা কতটা! চীনের লাগাতার আগ্রাসন থেকে স্পষ্ট ভারতের বিদেশমন্ত্রকের দুর্বলতা।
কংগ্রেসের মনমোহন সিং, পি চিদম্বরম, প্রণব মুখোপাধ্যায়, নরসিমা রাও, এ কে অ্যান্টনি, শশী থারুররা ইংলিশ স্পিকিং, জিরো ভোটব্যাঙ্ক হওয়া সত্ত্বেও নিজেদের দায়িত্বে হয়েছিলেন চূড়ান্ত সফল।  অথচ মোদি সরকারের ইংলিশ স্পিকিং এলিট মন্ত্রীরা সকলে ব্যর্থ কেন?  
09th  June, 2023
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
একনজরে
তাপমাত্রা বাড়তেই ভাবনা বদল। বুধবার বালুরঘাটে এই মরশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন পারদ আরও চড়ার পূর্বাভাস পেয়ে ভোট দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন ভোটাররা। ...

কলকাতা বেলেঘাটার বাসিন্দা গণেশ দাসকে খুনের ঘটনায় বুধবার উদ্ধার হল কিছু হাড়গোড়। জয়পুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গাইঘাটা খাল থেকে ফিমার, কোমরের সহ সাতটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জলে ডুবিয়ে রাখতে ব্যবহৃত বস্তা, দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। ...

৫ কোটি টাকা ‘তোলা’ চেয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন কেএলও (কোচ ন্যাশনালিস্ট) এবার সরাসরি হুমকি চিঠি দিল রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে। ...

ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম সমালোচক তথা বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান। জেলের ভিতর সেই মৃত্যু নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিন্দার মুখে পড়েছেন পুতিন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM