Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দশ বছরেও ধর্মই তাস!
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি এক কথার মানুষ। তিনি তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন হাই ভোল্টেজ হিন্দুত্বকে সামনে রেখে। লালকৃষ্ণ আদবানির রথযাত্রার রোডম্যাপ কী হবে সেই পরিকল্পনা করেছিলেন প্রমোদ মহাজন। কিন্তু সেই প্ল্যান সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গুজরাত বিজেপির এক যুবক নেতাকে। নরেন্দ্র মোদি ছিল তাঁর নাম। সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত সেই বহু চর্চিত রথযাত্রা এগিয়ে চলার পরোক্ষ কারিগর ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বহুদিন হয়ে গেল আদবানি সেই রথ থেকে নেমে গিয়ে হিন্দুত্ব রাজনীতির ভিত্তি স্থাপন করে বাণপ্রস্থে চলে গিয়েছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি কোনওদিনই মানসিকভাবে সেই রথ থেকে নামেননি। তিনি আজও হিন্দুত্বের রথে আসীন। কারণ কী? কারণ, তিনি ওই একটি জিনিসই জানেন। তিনি বহু অভিজ্ঞতায় লক্ষ্য করেছেন, ওসব উন্নয়নের কাজ-টাজ করেছেন অতীতে যে সব প্রধানমন্ত্রী, এমন মোটেই নয় যে, তাঁরা বছরের পর বছর ভোটে জিতেছেন। বরং কাজ করেও হেরে গিয়েছেন। প্রকৃত কাজ করার ঝামেলা অনেক। চিন্তা করতে হয়। মানুষের ভালোমন্দ কীভাবে হবে সেই হিসাব করতে হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবনযাপন, দুঃখ কষ্ট, প্রয়োজন বুঝতে হয়। সরকার কীভাবে চালানো নিয়ম সেই প্রটোকল জানতে হয়। অর্থনীতি, প্রশাসনিক নিয়মকানুন, ইতিহাস এসব সম্পর্কে অবগত থাকা অথবা ক্রমাগত শিখতে হয়। এইসব ঝামেলার কাজ করতে করতেই পাঁচ বছর কেটে যায়। আর নরেন্দ্র মোদি জানেন মানুষের স্মৃতি খুব দুর্বল। তাঁরা নিরন্তর নতুন কিছু খোঁজে। পুরনোকে মনে রাখে না। কাজ করার থেকে প্রচণ্ড কাজ করছি, এই প্রচার করার সুবিধা বেশি। 
‘যোগ্যতা অনুযায়ী তুমি কিন্তু সেই স্বীকৃতি পেলে না। সমাজ ও জীবন থেকে তোমার যতটা পাওয়ার কথা, অতটা পেলে না। তোমাকে কেউ বুঝল না।’ লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এই ধরনের কথা শুনলে প্রত্যেক মানুষই খুব খুশি হয়।  বঞ্চনার সাইকোলজি সর্বাগ্রে মানুষকে আচ্ছন্ন করে। সেই ফর্মুলা অনুযায়ী, মোদি ২০১৪ সাল থেকে ভারতবাসীকে বলে এসেছেন, অতীতের কোনও সরকার প্রকৃত 
উন্নয়নের কাজ করেনি। মানুষের যা পাওয়া উচিত ছিল, সেটা পায়নি। আমরা দেশবাসীকে প্রকৃত 
সম্মান দেব। সাধারণ মানুষের দেশের কাছে যেটা প্রাপ্তি সেটা পৌঁছে দেব। আগে কিছুই হয়নি। 
এবার হবে। এই মনস্তত্ত্ব স্বাভাবিকভাবেই সিংহভাগ মানুষ পছন্দ করেছে। 
মোদি আত্মবিশ্বাসী যে তিনি আর যাই হোক ভারতের বিরাট কোনও উন্নয়ন করতে পারবেন না। ন’ বছরে সাধারণ মানুষের তুলনায় মোদি নিজেও সেটা আরও বেশি করে বুঝে গিয়েছেন। তাই তিনি যেটা সবথেকে বেশি ভালো পারেন সেইসব দিকেই মনোনিবেশ করেছেন। দেশকে অঘোষিতভাবে হিন্দুরাষ্ট্র করে ফেলতে হবে। হিন্দুত্ব রাজনীতির হৃদয়সম্রাট হয়ে উঠতে হবে। নোট থেকে পার্লামেন্ট সব বদলে দিয়ে সর্বত্র নিজের ছাপ রেখে যেতে হবে। আর লাগাতার প্রচার করে যেতে হবে বিরাট উন্নতি হচ্ছে। ভারত পাল্টে যাচ্ছে। এই তো আর মাত্র কিছুদিন, তারপর ভারত বিশ্বগুরু হয়ে যাবে। 
এবং সর্বোপরি ভারতের ইতিহাস পাল্টে দিতে হবে। ১৯৯০ সালের পর যাদের জন্ম তাদের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান নেই। তাই যারা নতুন স্কুল কলেজে ঢুকছে তাদের যদি নতুন ইতিহাস পড়ানো শুরু করা যায়, তাহলে তারাই যখন বড় হবে তখন এই নতুন ইতিহাসকেই সত্য বলে ভাববে। পরবর্তী প্রজন্মকে সেই শিক্ষাই দেবে। একদিন হয়তো গডসে ও গান্ধীজির জীবনীও একই বইতে পড়ানো হবে। একই শ্রদ্ধার সঙ্গে।
নিজের ভক্ত ও সমর্থকদের মোদি সবথেকে ভালো চেনেন। একদল সমর্থক আছে যারা সরাসরি ধর্মের রাজনীতিকে সমর্থন করি বলতে লজ্জা লজ্জা পায়। তাই তারা ২০১৪ সাল থেকে বলে আমার কাছে বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর নয়। আমি কিন্তু বিজেপির সমর্থক নই। আমার মোদির প্রতি একটা  বিশ্বাস আছে। এই লোকটা কিছু একটা করতে পারবে। আর কেউ তো কিছুই করল না। এই লোকটির কথায় আশা জাগে। একটা কিছু হওয়া দরকার। ভারতের ইকনমি ঠিক হোক এটাই চাই। পাঁচ বছর কেটে যাওয়ার পর এই সমর্থককুল বলত, আরও কিছুদিন সময় দিতে হবে তো! এতকাল ধরে যা করে গেছে আগের সরকারগুলো, সেই জঞ্জাল সাফ করতেই তো পাঁচ বছর লাগবে। সেই সময় দেওয়া হল। এবার ১০ বছর হয়ে যাচ্ছে। এখন সেই সমর্থকরা বলে, অনেক পাল্টে গেছে দেশ। প্রচুর কাজ হচ্ছে। প্রশ্ন: মূল্যবৃদ্ধি? উত্তর: সে তো গোটা দুনিয়ায় হচ্ছে! প্রশ্ন: বেকারত্ব? উত্তর: আমেরিকা ব্রিটেনের অবস্থা তো ভারতের থেকেও খারাপ! প্রশ্ন: বিভাজন আর ঘৃণার রাজনীতি? উত্তর: দেশ চালাতে গেলে একটু শক্ত হাতে তো হাল ধরতেই হবে। আর কোনও একটি সম্প্রদায়ের প্রতি বেশি বেশি নরম মনোভাব তোষণ করা, ওটা ঠিক নয়। মোদিজি ব্যালান্স করতে জানেন। সুতরাং এই অংশটি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ওসব উন্নয়ন অথবা কাজ কিংবা ভারতের অর্থনীতির বিরাট উন্নতি ঘটবে এসব ভেবে তাদের রাতের ঘুম হচ্ছিল না বলেই মোদিকে সমর্থন করেছেন, এরকম মোটেই নয়। তারা আসলে বিজেপির তো ভক্তই এবং শর্তহীনভাবে মোদির ভক্ত।   আমরা উন্নয়নের পক্ষে বলে নিছক একটু স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করে।  মিথ্যা ইতিহাস রচনা করা হচ্ছে, হোয়াটস অ্যাপ ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে ফেক নিউজ ছড়ানো হয়, এসব নিয়ে উন্নয়নবাদী মোদিভক্তদের বিশেষ হেলদোল দেখা যায় না। 
নতুন পার্লামেন্ট উদ্বোধনে কেন শুধুই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিন্দু সাধু সন্ন্যাসীদের নিয়ে এসে হিন্দু ধর্মমতে যাগযজ্ঞ, পুজো করে মন্ত্র শ্লোক উচ্চারণের মাধ্যমে প্রায় নিজের রাজ্যাভিষেক করলেন মোদি, সেটা নিয়ে দেশজুড়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। সমালোচনাও করা হচ্ছে। কিন্তু এটা ভেবে দেখা দরকার যে, মোদি আর কী করতে পারতেন? তিনি যদি হিন্দু মুসলিম পার্সি খ্রিস্টান বৌদ্ধ সকলকে 
ডেকে সর্বধর্মসমন্বয়ের একটি ছবি উপহার দিতেন অথবা দেশের বেঁচে থাকা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের 
নিয়ে এসে তাঁদের হাত দিয়ে উদ্বোধন করাতেন 
কিংবা রাষ্ট্রপতি গোটা অধ্যায়ের মধ্যমণি, মোদি 
নিছক একজন দর্শক— এরকম করতেন, সেটা কি তাঁর কাছে প্রত্যাশিত? এগুলো হলে আমরাই তো অবাক হতাম! আমরা তো জানি যে মোদি এরকম নয়। যা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাজ সেই নোটবাতিল ঘোষণা তিনি টানটান থ্রিলারের ভঙ্গিতে রাত ৮ টায় করেন। আবার পুরী হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনও তিনি করেন। সুতরাং সংসদ ভবন উদ্বোধন করার মতো হাই প্রোফাইল ইভেন্ট তিনি হাতছাড়া করবেন, এটা হয় নাকি? তাঁর ইমেজের সঙ্গে যা স্বাভাবিক সেটাই তিনি করেছেন। 
সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মোদির নিজের এবং হিন্দুত্বের জয়জয়কার দেখে একটি বিষয়ে আশ্বস্ত হওয়া গিয়েছে। সেটি হল, মোদি নিজে বুঝে গিয়েছেন যে, আসলে তিনি সরকারের উন্নয়ন কার্য বলতে যা বোঝায় তার কিছুই করে উঠতে পারেননি। তাই এইসব হাই প্রোফাইল রাজামৌলির সিনেমার মতো (বাহুবলী অথবা আরআরআর) বর্ণময় সিনেম্যাটিক ইভেন্টের দরকার পড়ছে। যাতে মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে যায়। মানুষ বিস্মিত হয়। আলোচনা হয় সোনালি রাজদণ্ড নিয়ে।  
নোটবাতিল করে মোদি বুঝতে পেরেছেন যে, তিনি অর্থনীতি বোঝেন না। অকস্মাৎ লকডাউন করে মোদি অবগত হয়েছেন যে, তিনি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অজ্ঞ। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে না পেরে মোদির উপলব্ধি হয়েছে তিনি সরকার চালনায় ব্যর্থ।  তিনি মাঝেমধ্যে ওরকম কিছু সিলেবাসের বাইরের কাজ করে হাততালি পাওয়ার চেষ্টা করলেও, সেটা যে তাঁর পথ নয়, সেকথা বুঝেছেন। সংসদ বদলের মতো একটি ঐতিহাসিক দিনে তিনি সবথেকে বিশেষজ্ঞ যে ব্যাপারে সেটিই পারফর্ম করছেন। ধর্ম ও নাটকীয় ইভেন্টের সংমিশ্রণে এক মেগা ওয়ান ম্যান  শো! 
02nd  June, 2023
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM