Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নির্জলা নিয়তির অপেক্ষা!
মৃণালকান্তি দাস

মাত্র তিন মাসের মধ্যে জলশূন্য হয়ে যাবে গোটা কেপটাউন শহর! বিশেষজ্ঞদের এই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছিল ২০১৮ সালেই। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরের প্রায় ৪০ লক্ষ নাগরিক রীতিমতো যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিল। জল বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছিল গোটা শহর। যুদ্ধে শামিল সাধারণ মানুষ থেকে বড় বড় সংস্থাও। যে কেপটাউনে একসময় গৃহস্থালির ব্যবহারে প্রতিদিন প্রায় ৫০ কোটি লিটার জল খরচ হতো, তা কমিয়ে ২৫ কোটি লিটারের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কি বিপর্যয় ঠেকানো যায়? শুধু কেপটাউন নয়, জলসঙ্কট আজ গোটা বিশ্বে এতটাই ভয়াবহ যে, অদূর ভবিষ্যতে এই জলের জন্যই না তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়!
জলবায়ুর ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে ২০১৮-র আগের তিন বছর কেপটাউন-সহ গোটা পশ্চিম কেপ প্রদেশে বৃষ্টি হয়েছিল নামমাত্র। শহরবাসীর দৈনন্দিন চাহিদা মেটানো ও ক্রমবর্ধমান নগরায়নের ফলে ২০১৮-র জানুয়ারি মাসে এসে বোঝা গিয়েছিল, জলের ভাঁড়ারে রীতিমতো টান পড়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কেপটাউন পুরসভা ঘোষণা করে, তিন মাস পরে কেপ টাউনবাসীকে তারা আর জল সরবরাহ করতে পারবে না। ১২ মে, ২০১৮ দিনটিকে চিহ্নিত করা হয়েছিল ‘ডে-জিরো’ হিসেবে। অর্থাৎ ওই দিনের পরে শহরের কোনও কল থেকে আর জল পড়বে না। গোটা বিশ্ব এই খবরে স্তব্ধ, কেপটাউনবাসী বিভ্রান্ত ও সন্ত্রস্ত— এর পরে কী হবে?
পুরসভা হিসেব করে বলেছিল, প্রত্যেক শহরবাসীকে দৈনিক জলের ব্যবহার ৫০ লিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। তার মধ্যে পুরসভা থেকে মিলবে ২৫ লিটার পর্যন্ত। একটা গাইডলাইন বানানো হয়েছিল জনগণের সুবিধার্থে। এই গাইডলাইন পোস্টারের আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, অফিস, দোকানপাট, শপিংমল সর্বত্র। প্রতি ১০-১৫ মিনিট অন্তর এফএম রেডিও, টেলিভিশনে সচেতনতা-প্রচার। এগিয়ে এসেছিল যুবসমাজ। ছড়িয়ে দিয়েছিল নতুন ট্যাগলাইন: #ওয়াটারওয়াইজ। জলজ্ঞানী। কে কীভাবে ‘জলজ্ঞানী’ হয়ে কতটা জল বাঁচাতে পারে, সেই সব ধ্যান-ধারণা ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিশ্চিত আপনি ভাবছেন, এ তো কেপটাউনের গল্প। এসব জেনে লাভ কী?
যাঁরা এই প্রশ্ন তুলে জলসঙ্কটকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তাঁদের ভয়াবহ ভবিষ্যতের কথা শুনিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব জিওগ্রাফি’। চলতি বছরে তাদের গবেষণাপত্রে দাবি করেছে, প্রবল গরম ও খরার মুখোমুখি হতে চলেছে বিশ্বের ৯০ শতাংশ জনসংখ্যা। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার সাসটেনেবিলিটি’ পত্রিকায়। জলহাওয়া বিচার করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রবল গরমে স্থলভাগে জলসঙ্কট দেখা দেবে। অর্থাৎ জমিতে জলের ভাগ কমবে। খরা তৈরি হবে অবধারিতভাবে। অক্সফোর্ডের গবেষক লুইস স্লেটার জানিয়েছেন, এ ভাবে চললে সমাজের জন্য তা বিপজ্জনক। প্রভাব পড়বে বাস্তুতন্ত্রে। ধাক্কা খাবে অর্থনীতি। এবং শেষে তৈরি হবে সামাজিক বৈষম্য। গরিব মানুষ আরও গরিব হবেন। গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ক্ষতি হবে বেশি। শুধু তাই-ই নয়, জলসঙ্কট ‘কার্বন সিঙ্ক’-এর ক্ষমতা হ্রাস করবে। ‘কার্বন সিঙ্ক’ হল অরণ্য, সমুদ্র বা অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশ, যা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শুষে নিতে পারে। ফলে সে দিক থেকেও পৃথিবীর বাতাসে বিপদ ঘনাবে।
বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টও বলছে, আগামী কয়েক দশকে ভারতের একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহ এত তীব্র হয়ে উঠবে যে কার্যত ধ্বংসের সম্মুখীন হবে নাগরিক জীবন। তাপমাত্রা সহনশীলতার সীমা ছাড়ানোর ফলে এক একটি জনবহুল এলাকা হয়ে পড়বে বসবাসের অযোগ্য। ‘ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ ইন ইন্ডিয়াজ কুলিং সেক্টর’ শীর্ষক ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে পরিবেশের উষ্ণায়ন ও তাপপ্রবাহের ফলে বৈষম্য থেকে বিপুল জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে। ভারতের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে যেখানে কোনওভাবেই আর মানিয়ে নিতে পারবে না মানুষ। পাশাপাশি, তীব্র খরা পরিস্থিতির আশঙ্কাও রয়েছে পুরো মাত্রায়। এখানেই শেষ নয়! খোদ ভারতের নীতি আয়োগের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যে ২১টি ভারতীয় শহরে ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডার শেষ হয়ে যাবে। যার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ। এর ফলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে অন্তত ১০ কোটি মানুষ। ২০৩০-এ দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ পানীয় জলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
তবু আমরা নির্বিকার! আফ্রিকার দেশগুলিতে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আমাদের টলাতে পারেনি। উষ্ণায়নের কারণে বিশ্বজুড়ে ধ্বংসাত্মক সাইক্লোনের বাড়বাড়ন্ততেও আমরা টলব না বলে স্থির প্রতিজ্ঞ। অভিজ্ঞতা তো অন্তত সেটাই বলে। তবুও আমরা অবাধে গাছ কাটছি। আর প্রকৃতি হারাচ্ছে তার কার্বন শোধনের ফিল্টার। যা বাড়াচ্ছে সমুদ্রের তাপ, গরম হচ্ছে পৃথিবী, গলছে হিমবাহ, বাড়ছে বন্যা এবং ধ্বংস হচ্ছে সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গ্লাসগোর পরিবেশ রক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক বৈঠক কপ ২৬-এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন, ভারত ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে ‘নিট জিরো’ হয়ে উঠবে। এর মোদ্দা কথা, আমরা যা কার্বন নিঃসরণ করব তা সবুজের আচ্ছাদন ফিল্টার করে উঠতে পারবে। এটা করতে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে, বাড়াতে হবে সবুজের আচ্ছাদন। কিন্তু যে হারে গাছ কাটা এখনও চলছে তাতে এই লক্ষ্যমাত্রা আমরা আদৌ ছুঁতে পারব কি না সন্দেহ। কিন্তু এর তোয়াক্কা করে কে? কারই বা এত সময় আছে? আমরা সবাই জিডিপি-তে বুঁদ। সেনসেক্সে আচ্ছন্ন। আসলে আমরা বাঁচছি আজকের জন্য। কালকের জন্য নয়। আগামীর কথা ভাবার সময় কোথায়? ভারতে ‘সবুজ বিপ্লবের’ জনক এম এস স্বামীনাথনের ভাষায় যা ‘ইকোলজিক্যাল সুইসাইড’!
গত বছরে গরমের মরশুমে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়েছে ইউরোপের বিস্তীর্ণ অংশ। কোথাও নদী পুরোপুরি শুকিয়ে মাঠ হয়ে গিয়েছে, তো কোথাও ভয়ঙ্কর দাবানলে পুড়েছে বনাঞ্চল আর তার সংলগ্ন বসতি। সম্প্রতি আবহাওয়া নিয়ে প্রকাশিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক রিপোর্ট বলছে, গত পাঁচশো বছরে এমন ভয়াবহ খরা দেখেনি গোটা মহাদেশ। আগামী কয়েক বছরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আগে থেকেই সতর্ক করে রাখছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। কম বৃষ্টিপাতের জন্য ব্যাহত হচ্ছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন। তীব্র দাবদাহের ফলে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। বহু এলাকায় খরা আর দাবানলের ফলে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার ইউরোপবাসী। খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মূলত ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইতালি, লুক্সেমবুর্গ, মলডোভা, নেদারল্যান্ডস, সার্বিয়া, পর্তুগাল, ব্রিটেন, স্পেন, রোমানিয়ার মতো দেশে।
আমেরিকার অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়, হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সাস টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের যৌথ গবেষণা জানাচ্ছে, তাপপ্রবাহের তীব্রতা তো বাড়বেই। তার সঙ্গে এবার বাড়বে ‘হড়পা খরা’ (ফ্ল্যাশ ড্রট)-র ঘটনা, তীব্রতাও। আগের চেয়ে হড়পা খরা আরও ঘন ঘন হবে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল-সহ দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আর উত্তর আমেরিকার মধ্যাঞ্চলে। এই গ্রীষ্মে দু’তিন দিনের মধ্যেই মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাবে। ফুটিফাটা মাটিতে কোনও ফসল উৎপাদনই সম্ভব হবে না। ফলে, ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হবে ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূলত কৃষিনির্ভর দেশগুলির। ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হবে উত্তর আমেরিকার মধ্যাঞ্চলের স্টেটগুলিরও। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার কমিউনিকেশন্স’-এ। হড়পা বান যেমন কোনও দিনক্ষণ মেনে, আগেভাগে ইঙ্গিত দিয়ে হয় না, হড়পা খরাও তেমনই। আগে এই ধরনের খরা বিশ্বের কোথাও নজরে পড়েনি বিজ্ঞানীদের। কিন্তু গত দু’দশক ধরে এই ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। হড়পা খরা খুব চটজলদি হয়। আর তা হয় একেবারেই আকস্মিক ভাবে। পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে কোনও বিশাল এলাকার মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায়। সেই মাটিতে আর কোনও ফসলই ফলানো সম্ভব হয় না।
শুধু বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াই নয়, প্রকৃতির ভয়ঙ্কর ধাক্কা এসে লেগেছে রবীন্দ্র সরোবরেও। দক্ষিণ কলকাতার ‘ফুসফুস’ রবীন্দ্র সরোবর আজ বিপন্ন। সরোবরের জলস্তর যেভাবে হু হু করে নামছে, তাতে আশঙ্কিত পরিবেশবিদরা। বর্তমানে সরোবরের একাংশে চর পড়ে ঘাস জন্মেছে। গত এক বছর ধরে তেমন বৃষ্টি না হওয়াতেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র রবীন্দ্র সরোবরের জল এই ভাবে শুকিয়ে গেলে বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা। ফুসফুস যদি বিকল হয়, তবে শরীর কি সুস্থ থাকতে পারে? কে কাকে বোঝাবে, অপচয় যথেচ্ছ হলে কুবেরের ভাণ্ডারও নিঃশেষ হয়। কলকাতার জলসঞ্চয়ের অবস্থাও সেই রকম। গত কয়েক বছর ধরে সংবাদে প্রকাশ, কলকাতার ভূগর্ভস্থ জলস্তর উদ্বেগজনক হারে নামছে, এবং প্রস্থে কমছে গঙ্গা। অর্থাৎ, তলে তলে শুকচ্ছে শহর। তীব্র জলসঙ্কট শুধুমাত্র এখন সময়ের অপেক্ষা। নির্জলা কেপটাউনের মতো কবে ‘ডে-জিরো’ ঘোষণা হবে, তার অপেক্ষায় মহানগরবাসী!
01st  June, 2023
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’ বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
পুজো বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন
হিমাংশু সিংহ

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি, যাই ঘটে যাক মাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজোয় মিটিং মিছিল অবরোধ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ। এই সময়টা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিকদেরও দু’দণ্ড অবকাশের সময়। আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক কূটকচালিরও ছুটি। বিশদ

29th  September, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

28th  September, 2024
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
একনজরে
আবাস যোজনার টাকা নিয়েও বাড়ি তৈরি করেননি উপভোক্তা—ইতিপূর্বে এমন বহু ঘটনা সামনে এসেছে। বিভিন্ন জেলায় খোঁজখবর করে জানা গিয়েছে, এই উপভোক্তাদের মধ্যে অনেকেই আর বাড়ি তৈরি করতে রাজি নন। অনেকে আবার বাড়ি তৈরির টাকা পেয়ে তা অন্য কাজে খরচ করে ...

মার্কিন ভিসার ক্রমবর্ধমান চাহিদা সামলাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল ইউএস মিশন। দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। এতে উপকৃত হবেন অসংখ্য মানুষ। পর্যটক, দক্ষ শ্রমিক ও পড়ুয়া মিলিয়ে অতিরিক্ত ২ লক্ষ ৫০ হাজার ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়েছে। ...

বাংলার দুর্গাপুজোর পাশাপাশি গোটা দেশ দশদিন ধরে মাতবে উৎসবে। তার ফলে সামগ্রিকভাবে ভারতে খুচরো ব্যবসা হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার। সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করল ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। ...

ফের নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতুতে বিপত্তি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে হাল্কা যানবাহনগুলিকে একমুখীভাবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মেয়াদি সঞ্চয় বা পৈতৃক সম্পত্তি সূত্রে ধনাগম যোগ দেখা যায়। কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও আর্থিক দিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব প্রাণী দিবস
১৩৩৭: (৭৫৮ হিজরী) খলিফা মনসুর বাগদাদের ভিত্তি স্থাপন করেন
১৫৩৫: ইংরেজি ভাষার প্রথম বাইবেল ছাপা সম্পন্ন হয়
১৬৬৯: হল্যান্ডের চিত্রশিল্পী রেমব্রান্টের মৃত্যু
১৮১৩: লর্ড ময়রার বাংলার গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন
১৮৩০: স্বাধীনতা ঘোষণা করল বেলজিয়াম
১৮৫৫: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে ও নেতৃত্বে বিধবা বিবাহ আইন প্রবর্তিত হয়
১৮৮৭: কলকাতায় এমারেল্ড থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯১১: সাধারণের ব্যবহারের জন্য প্রথম লন্ডনের পাতাল রেলস্টেশন চালু হয়
১৯৩১: সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪৭: জার্মানির পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাক্স প্লাঙ্কের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৯ টাকা ৮৪.৮৩ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৪৭ টাকা ১১৩.০৪ টাকা
ইউরো ৯১.০৬ টাকা ৯৪.২৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ আশ্বিন, ১৪৩১, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪। দ্বিতীয়া ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৫/৩১। অশ্বিনী নক্ষত্র ৩২/৪৩ রাত্রি ৬/৩২। সূর্যোদয় ৫/৩২/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/১৮/১৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২০ মধ্যে পুনঃ ৭/৭ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৬ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৩ গতে ৯/৫৪ মধ্যে। 
১৭ আশ্বিন, ১৪৩১, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/১১। চিত্রা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৫৪। সূর্যোদয় ৫/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/২০। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৮ মধ্যে ও ৭/১৩ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৪৩ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৯ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১০ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৩ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। 
৩০ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: ৫৮ রানে ভারতকে হারাল নিউজিল্যান্ড

10:51:00 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: ৭ রানে আউট শ্রেয়াঙ্কা, ভারত ১০২/৮ (১৮.৫), টার্গেট ১৬১

10:49:00 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: ৮ রানে আউট পূজা, ভারত ৯৪/৮ (১৭), টার্গেট ১৬১

10:41:00 PM

আগামী কাল মুম্বই মেট্রো লাইন ৩-এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:34:00 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: ১৩ রানে আউট দীপ্তি , ভারত ৮৮/৭ (১৪.৪), টার্গেট ১৬১

10:33:00 PM

মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপ: ৪ রানে আউট অরুন্ধতী, ভারত ৭৬/৬ (১২.৫), টার্গেট ১৬১

10:27:00 PM