Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুরাণের রাজার প্রত্যাবর্তন
হারাধন চৌধুরী

মহাভারতে যুধিষ্ঠির জানতে চেয়েছিলেন, রাজার উৎপত্তি কীভাবে? উত্তর দিতে গিয়ে পিতামহ ভীষ্ম যা বলেছিলেন, তার সারকথা হল—মানুষের লোভ আর মোহ থেকেই রাজার জন্ম। পৃথিবীর সূচনায় প্রতিটি মানুষ আপন শৃঙ্খলায় সুখে বসবাস করত। কিন্তু একদিন তাদের মনে লোভ বাসা বাঁধল, মানুষ মোহান্ধ হয়ে উঠল, তখনই সমাজে দেখা দিল বিশৃঙ্খলা, সেটা ক্রমে গড়াল মাৎস্যন্যায় পর্যন্ত। তখনই প্রয়োজন দেখা দিল দণ্ড ও দণ্ডদাতা এবং একজন রাজার। চরম বিশৃঙ্খলা দমনের সূত্র ধরেই রাজা পৃথুর অভিষেক হয়। তাঁকে পৃথিবীর প্রথম রাজা বলা হলেও তিনি কিন্তু অন্য এক রাজারই উত্তরসূরি। অধর্মের মূর্তিমান বিগ্রহ বেণ রাজার ধ্বংসস্তূপ থেকেই পৃথুর উৎপত্তি। পুরাণ, মহাভারত প‍্রভৃতি বলছে যে, রাজা বেণের বিরুদ্ধে ব্রহ্মবাদী ঋষিদের মহাজোট তৈরি হয়। সেই জোট কৈফিয়ত দাবি করেছিল, পালনের প্রতিজ্ঞা ভুলে আপনি প্রজাদের ক্ষতি করছেন কেন? ধর্মপালনে ব্রতী হোন। বেণের অট্টহাসির সামনে ঋষিদের যাবতীয় পরামর্শ, হুঁশিয়ারি ফুৎকারে উড়ে যায়। বেণ উল্টে শুনিয়ে দেন, ধর্ম? সে তো আমিই সৃষ্টি করেছি! ইচ্ছে করলে এই পৃথিবী ধ্বংস করে জলে ভাসিয়ে দিতে পারি। আমি যেমন সৃষ্টি করেছি, ধ্বংস করতেও আমার হাত কাঁপবে না! 
রাজার এই অতিদর্পই কাল হল। ঋষিরা বেণকে ধ্বংস করে তাঁদের ডানহাত মন্থন করলেন। উঠে এলেন নতুন রাজা পৃথু। তাঁর শপথবাক্য পাঠ নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কারও মতে, মানুষকে রক্ষার প্রশ্নে কোনওপ্রকার ভেদাভেদ না-করারই প্রতিজ্ঞা করেন তিনি। কিন্তু বেশিরভাগ পণ্ডিতের মতে, তিনি রাজকার্যে মনোনিবেশ করেন শুধু ঋষি-ব্রাহ্মণদের সুরক্ষার শপথ নিয়ে। পৃথু পুরো শপথবাক্য পাঠ করেননি। এই সামাজিক বোঝাপড়াটা সাধারণ মানুষ এবং রাজার মধ্যে হলে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা হতো না। প্রজাদের পরিবর্তে, চুক্তির প্রথম পক্ষে ছিলেন ঋষি-ব্রাহ্মণগণ। চুক্তি যেমনই হোক, পৃথিবীর সিংহাসনে বসলেন রাজা পৃথু। ভগবান বিষ্ণু তাঁর 
অংশ পৃথুর মধ্যে প্রবেশ করালেন। জগতে শৃঙ্খলা ও শান্তি ফিরে এল। কিন্তু সেসব কতটা স্থায়ী হল? প্রশ্ন থেকেই যায়। এই প্রসঙ্গে দুটি কারণ বড়: পৃথুর জন্ম স্বৈরাচারী বেণের থেকে এবং পৃথু সকল মানুষকে রক্ষার প্রতিজ্ঞা নেননি।
মানব সমাজে বারবার বিশৃঙ্খলা, হানাহানির কাহিনি সকলের জানা। 
এই সঙ্গে আজকের ভারতের কোনও মিল আমরা খুঁজে পাচ্ছি না কি? খবরকাগজ কিংবা টিভি খুলে প্রথমেই সামনে আসে আমাদের মন ভেঙে দেওয়ার ছবিগুলি। যেমন মণিপুরে একমাস ধরে চলছে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে হানাহানি। অবশেষে জঙ্গিদের উপর খড়্গহস্ত হয়ে উঠেছে সরকার। রবিবার যৌথ বাহিনীর আট-ন’ঘণ্টার অপারেশনে নিকেশ করা হয়েছে অন্তত ৪০ জন জঙ্গিকে। এখানে প্রশ্ন রয়ে যাবে, দেশেরই এতগুলি ‘মানুষ’ যে ‘জঙ্গি’ তকমা নিয়ে মরে গেল, তার দায় রাষ্ট্র নেবে না কেন? দেশটাকে মোদি সরকার গত ন’বছরে নানাভাবে ভেঙেছে: হিন্দু মুসলমান, আমিষাশী নিরামিষাশী, সাধারণ আমিষাশী গোমাংস ভক্ষণকারী, হিন্দিভাষী অহিন্দিভাষী, ধনী গরিব, বিজেপি অবিজেপি, সিঙ্গল ইঞ্জিন ডাবল ইঞ্জিন প্রভৃতি সংখ্যাহীন গোষ্ঠীতে। এই পরিকল্পিত বিভাজনের চূড়ান্ত গন্তব্যের নাম স্বৈরশাসন। সেটাই এখন চলছে, অংশত। একনায়ক চান, তার সাংবিধানিক বৈধতাসহ সমগ্রটা।
মোদির ভারত স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপনে মশগুল। ইতিমধ্যে আকাশবাণী মারফত বিশ্ববাসীকে শুনিয়ে ফেলেছেন তাঁর ১০১তম ‘মন কি বাত’। এমনকী, রবিবার সাভারকারের জন্মদিনে মহাসমারোহে তিনি উদ্বোধন করেছেন নতুন সংসদ ভবনের। এমন অনুষ্ঠানে ব্রাত্য ছিলেন দেশের পয়লা নম্বর নাগরিকই। প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর এই অপমানের প্রতিবাদে প্রথম সারির ২১টি রাজনৈতিক দল সংসদের এই আলো ঝলমলে অনুষ্ঠান বয়কট করে। তার আগের দিন, নীতি আয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও বয়কট করেন দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দশজন মুখ্যমন্ত্রী। বস্তুত মোদিকে রাজনৈতিকভাবে ‘একঘরে’ করে দেওয়ারই আন্দোলন জারি রয়েছে দেশজুড়ে। কারণ তাঁর জমানায় সংবিধান, সংসদ, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র পঞ্চত্বপ্রাপ্তির দশায় পৌঁছে গিয়েছে। রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে এই কথাও চালু আছে, মন্ত্রিসভা একটি আছে বটে, তবে বাস্তবে সব দপ্তরেরই মন্ত্রী একজন—প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। 
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে যায়, সেকালের বিখ্যাত কার্টুনিস্ট‍ শংকরের আঁকা ‘বিধান রায়ের ক্যাবিনেট’ শীর্ষক এক কার্টুনের কথা। ছবিটিতে দেখানো হয়েছিল যে, একটি টেবিল ঘিরে অনেকগুলি চেয়ার, কিন্তু সবগুলি চেয়ারে উপবিষ্ট একজনই—এক ও অদ্বিতীয় বিধানচন্দ্র রায়! ছবিটির প্রেক্ষিতে তাঁর মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রী পরে ঘনিষ্ঠমহলে বলেছিলেন যে, খাওয়া-দাওয়া সেরে বেলা ১২টা নাগাদ আমরা কচ্ছপের মতো গুটি-গুটি পায়ে অফিসে ঢুকি। তারপর বিধানবাবু এসে আমাদের সবাইকে চিৎ করে দেন। তখন আমরা একটু হাত-পা নাড়ি আর গলা বাড়িয়ে ইতিউতি তাকাই। আবার বিকেল ৪টের পর মুখ্যমন্ত্রীই আমাদের সোজা করে বসান। আমরাও একইভাবে ধীরেধীরে যে যার বাড়ি ফিরে যাই। বিধানবাবুর সঙ্গে আজকের ভারতেশ্বরের মানসিকতার মিল কিছু নেই, দু’জনের মধ্যে তুলনাও টানছি না। তবে, শংকরের স্মরণীয় ওই কার্টুনের অবতারণা আজকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার করুণ দশার প্রসঙ্গেই। বিরোধী দল ও রাজ্য সরকারগুলিকে দমনের অছিলায় মোদি শুধু সাধারণ দেশবাসীকে দুরমুশ করছেন না, দল এবং সরকারের অভ্যন্তরেও প্রশ্বাস গ্রহণের অবকাশটুকু রাখেননি। 
নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিরোধীদের অনুপস্থিতির  প্রসঙ্গে আমাদের খেয়াল করা উচিত—স্বাধীনতা ঘোষণার ‘আনন্দ-মুহূর্তে’ গান্ধীজি কোথায় ছিলেন, কী করছিলেন? সাভারকারের অনুগামীদের হিংসার বলি তিনি তখনও কিন্তু হননি। শোনা যায়, কোনও এক জ্যোতিষীর পরামর্শে স্বাধীনতার ঘোষণার মুহূর্তটিকে মধ্যরাত্রি অব্দি গড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আগেই চাউর হয়েছিল যে, দিল্লিতে ঐতিহাসিক উৎসবে মহাত্মা গান্ধী থাকছেন না। ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭, রাত ১২টায় জওহরলাল নেহরুর আগেবঘন কণ্ঠ ভেসে এসেছিল বেতারে, ‘বহু বছর আগে আমাদের ভাগ্যদেবতার সঙ্গে যে অভিসারের সংকল্প আমরা নিয়েছিলাম তা পূর্ণ করার সময় উপস্থিত।’ ‘আমরা আজ স্বাধীন’—সেই মুহূর্তে দেশবাসীর মনে অন্যকোনও ভাবনার জায়গা হয়নি। সবার মনে এই আশাই গাঢ় হয়ে উঠেছিল যে, এবার সমস্ত ধরনের বিভেদ, বৈষম্য ঘুচে যাবে, দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায়ের শাসন। 
কিন্তু গান্ধীজির মনে কি সংশয় ছিল? তিনি কি বুঝেছিলেন, এই রোমান্স বাষ্পীভূত হয়ে যাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা? হয়তো সত্যি অথবা নয়। বাস্তবে যেটা দেখা গিয়েছিল, স্বাধীনতা উদযাপনের মুহূর্তে তিনি কলকাতায় নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছিলেন হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতিরক্ষায়। এদিকে কলকাতা এবং অন্যদিকে নোয়াখালি ধর্মীয় ভেদাভেদকে কেন্দ্র করে চরম অশান্ত তখন। শান্তি ফেরানোর দায়িত্ব নিয়ে ৯ আগস্ট কলকাতায় এসে পৌঁছন গান্ধীজি। আমরা জানি, তার পরেও আর কখনও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেননি তিনি, অথচ ভারতের স্বাধীনতাই ছিল তাঁর আজীবনের সাধনা। এই প্রসঙ্গে আরও জানানো যায়, ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি দিল্লির এক প্রার্থনাসভায় মহাত্মা নিহত হন। ‘সুসংবাদ’ পেয়েই কলকাতার এক বিখ্যাত পণ্ডিত-অধ্যাপক বহুজনকে মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন! পরে তিনি অবশ্য জায়গা মতো গান্ধীজিরই প্রশস্তি গাইতেন শতমুখে! 
এর মধ্যে দেশের আজকের শাসকদের মিল খোঁজার চেষ্টা করুন, আশা করা যায়, নিরাশ হবেন না। মোদিকে দেখে মনে হয়, আধুনিক ভারতকে রাজা বেণ কিংবা পৃথুর যুগেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বপালনে ব্রতী তিনি। 
31st  May, 2023
অভিষেককে ভয় পাচ্ছে বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

অশ্বডিম্ব থেকে শূন্য এবং তারপর মাইনাস ২। ইডির তলবে ৩ অক্টোবর যদি অভিষেক যানও রাত ৯টার আশপাশে আবার সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে বেরিয়ে তাঁকে বলতেই হবে, এবার জিজ্ঞাসাবাদের নিটফল মাইনাস ৪। হতেও পারে মাইনাস ৬। কিন্তু মমতার মতোই অভিষেকও চিরদিন আন্দোলন ও প্রতিবাদে অনড়।
বিশদ

চিচিং ফাঁক: এ কেমন চৌকিদার?
তন্ময় মল্লিক

তমলুক শহরের ধারিন্দার বাসিন্দা সোমনাথ দাস একজন কাঠমিস্ত্রি। কোনও রকমে সংসার চলে। ক্যান্সার ধরা পড়েছে তাঁর দু’বছরের মেয়ের। কী করে মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাবেন, সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উবে গিয়েছে। সম্বল বলতে ব্যাঙ্কে জমানো অল্প কিছু টাকা। বিশদ

30th  September, 2023
জল্পনার আড়ালে কি স্মৃতি ইরানি এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

সুরাতে চালু হবে নতুন একটি জুয়েলারি ব্র্যান্ড। সেই প্রথম আউটলেট উদ্বোধন করবেন স্মৃতি ইরানি। মিডিয়ার ভিড়। তবে সিংহভাগ‌ই এন্টারটেনমেন্ট চ্যানেল। তাদের আগ্রহ হল, তুলসীর হাতে পিস্তল দেখা গিয়েছে। তাহলে কি তুলসী নিজের ছেলেকেই গুলি করবে? বিশদ

29th  September, 2023
ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ে বিশ্বমঞ্চে একা ট্রুডো
মৃণালকান্তি দাস

সবরমতী আশ্রমে চরকা কাটা থেকে মুম্বইয়ে শাহরুখ খানের সঙ্গে ছবি তোলা কিংবা অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে রুটি বেলা— এতকিছুর পরও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভারত সফর ছিল মূষিক প্রসব! বিশদ

28th  September, 2023
পুরীর মন্দিরের রাজনীতি ও অভুক্ত জগন্নাথ
সন্দীপন বিশ্বাস

সামান্য একটা তুচ্ছ কারণে পুরীর মন্দিরে প্রভু জগন্নাথদেবকে ব্রেকফাস্ট করতে হল সেই বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সারা বিশ্বের জগন্নাথ ভক্তদের মানসিকভাবে আহত করেছে।  ২০১৭ সালে মন্দিরের এক সেবায়েত অসবর্ণ বিবাহ করেছিলেন। বিশদ

27th  September, 2023
রাজ্যভাগ, পুনর্বিন্যাস ও একনায়কতন্ত্র
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চলতি বছরের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ছবির নাম কী? আপনি হয়তো বলবেন ‘জওয়ান’। কারণ, এই ছবিতে অস্ত্র দুর্নীতি আছে, কৃষক মৃত্যু, সিস্টেমের সর্বত্র কাটমানি খাওয়া, বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ইভিএম এমনকী ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার নামে ভোট না দেওয়ার আবেদনও রয়েছে। বিশদ

26th  September, 2023
মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ ক্রমাগত পিছচ্ছে
পি চিদম্বরম

ভারতের সাংবিধানিক এবং সংসদীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলির মধ্যে তিনটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য:
১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬: প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার সরকার সংবিধান (৮১তম সংশোধন) বিল সংসদে পেশ করেছিল। লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলিতে এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিলটির মাধ্যমে। কিন্তু তারপর আর কোনও অগ্রগতি হয়নি।
বিশদ

25th  September, 2023
দেশে অসন্তোষ, বিপদের গন্ধ পাচ্ছেন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

কৃষি বিল পাশ হয়েছে, কিন্তু কৃষক খুশি হওয়ার বদলে বিদ্রোহ করেছে। এক বছর ঠায় রাস্তায় বসে থাকতে বাধ্য হয়েছে ফসল ফলানোর কারিগররা।
বিশদ

24th  September, 2023
বিল যখন স্বপ্নপূরণের ‘গাজর’
তন্ময় মল্লিক

শাস্ত্রে আছে, শুভস্য শীঘ্রম অশুভস্য কাল হরণং। যে কোনও শুভ কাজ তাড়াতাড়ি সেরে ফেলা উচিত। দেরি করলে সেই কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
বিশদ

23rd  September, 2023
নতুন সংসদ ভবনে উদারতার আলো আসবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

পুরনো সংসদ ভবন এবং নতুন সংসদ ভবনের মধ্যে পার্থক্য কী? অসংখ্য। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে প্রধান পার্থক্য হল, আলো এবং বাতাস! সূর্যের আলো। প্রাকৃতিক বাতাস।
বিশদ

22nd  September, 2023
চীনকে চিনতে ভুল করেননি রবীন্দ্রনাথ
মৃণালকান্তি দাস

উত্তাল সময়ে চীনে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯২৪ সালে। ভ্রমণ করেছিলেন ৪৯ দিন। বক্তৃতা করেছিলেন একাধিক জায়গায়। আর পরিবর্তনের সেই ঝোড়ো হাওয়ায় কী বলবেন কবি, সেই দ্বিধা ছিল তাঁর প্রথম বক্তৃতাতেই: ‘আপনাদের ধর্ম এবং প্রথা সম্পর্কে এত বিরোধী মতামতের কথা আমি পড়েছি যে, ভাবছিলাম এঁরা আমাকে কিসের জন্য আমন্ত্রণ করেছেন, এঁদের কল্যাণের জন্য কোন বাণী বহন করে নিয়ে যাওয়া আমার কর্তব্য।’ বিশদ

21st  September, 2023
রাম বাম শ্যাম সেই এক ছাদেরই নীচে
হারাধন চৌধুরী

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, বাঙালি কলকাতায় না গেলে কুলীন হয় না। তেমনি ভারতীয় রাজনীতিতে বাংলার গুরুত্ব। কেন্দ্রীয় ক্ষমতা পেয়েও একটা রাজনৈতিক দল জাতে ওঠে না, যদি না বাংলার ক্ষমতা অন্তত একবার দখলের কৃতিত্ব তার ঝুলিতে থাকে। বিশদ

20th  September, 2023
একনজরে
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুরের বাংরুয়া গ্রামের এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত বধূর বাবার বাড়ির লোকজন হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খুনের অভিযোগ জানিয়েছেন। ...

খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। এর মধ্যে ভারতীয় হাইকমিশনার ও কনসাল জেনারেলকে স্কটল্যান্ডের একটি গুরুদ্বারে ঢুকতে বাধা দিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ...

মাত্র ১৪০০ টাকার জন্য নিজের বন্ধুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মধ্যরাতে চাকদহের ঘোড়াস্ট্যান্ড এলাকায়। মদের আসরেই বচসার মধ্যে কুপিয়ে ...

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়  ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় দিনটি শুভ। স্বামী/ পত্নী/ সন্তানের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস
১৮৫৪: চালু হল সর্বভারতীয় পোস্টাল স্ট্যাম্প
১৮৬১: বিশিষ্ট চিকিৎসক নীলরতন সরকারের জন্ম
১৯০৬: গায়ক শচীনদেব বর্মনের জন্ম
১৯১৯: গীতিকার মজরুহ সুলতানপুরির জন্ম
১৯৩৫: বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৯৫: শিল্পপতি আদিত্য বিড়লার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৩৩ টাকা ৮৪.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৭৮ টাকা ১০৩.২২ টাকা
ইউরো ৮৬.৪১ টাকা ৮৯.৫৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৭,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৮,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৫,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ আশ্বিন ১৪৩০, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩। দ্বিতীয়া ১০/২৭ দিবা ৯/৪২। অশ্বিনী নক্ষত্র  ৩৪/৫১ রাত্রি ৭/২৮। সূর্যোদয় ৫/৩১/২৭, সূর্যাস্ত ৫/২১/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ গতে, ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ  ১১/৫১ গতে ৩/১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৮ গতে ৯/২৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে। 
১৩ আশ্বিন ১৪৩০, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩। দ্বিতীয়া দিবা ১২/১৩। অশ্বিনী নক্ষত্র  রাত্রি ১১/৯।  সূর্যোদয় ৫/৩২, সূর্যাস্ত ৫/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৬ গতে ৮/৪২ মধ্যে ও ১১/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/১৮ গতে ৫/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে  ১২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/৩০ মধ্যে। 
১৫ রবিউল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এশিয়ান গেমস:শ্যুটিংয়ে ফের পদক ভারতের
এশিয়ান গেমসে শ্যুটিংয়ে আবারও পদক জিতল ভারত। মহিলাদের ট্র্যাপ ইভেন্টে ...বিশদ

10:08:02 AM

দিল্লিতে বন্ধ হল আফগান দূতাবাস
আজ থেকে আফগানিস্তানের নয়াদিল্লির দূতাবাস পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে। যার জেরে ...বিশদ

10:03:00 AM

এশিয়ান গেমস: গল্ফে রুপো জয় ভারতের
এশিয়াডে আরও একটি ইতিহাস রচনা করলেন ভারতীয় গল্ফার অদিতি অশোক। ...বিশদ

09:52:45 AM

বিষ্ণুপুরের সন্তানহারা পরিবারের পাশে সায়ন্তিকা
বিষ্ণুপুরের বরামারায় কাঁচা বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে ৩ শিশুর মর্মান্তিক ...বিশদ

09:40:39 AM

অসমের ধুবরিতে ভূমিকম্প
আজ ভোরবেলা একটি মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে অসমের ধুবরি জেলা। ...বিশদ

09:37:00 AM

নারায়ণগড়ে উল্টে গেল পর্যটক বোঝাই বাস, জখম ৪০
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় থানার উকুনমারীতে জাতীয় সড়কের ধারে নিয়ন্ত্রণ ...বিশদ

09:31:00 AM