Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতির জটিল জ্যামিতি এবং বিরোধী জোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজনীতি বিষয়টার সঙ্গে বিজ্ঞানের এক অদ্ভুত যোগাযোগ। কখনও মনে হয়, নিউটনের তৃতীয় সূত্রের সঙ্গে এর মিলমিশ সবচেয়ে বেশি। যেমন ক্রিয়া, তার ঠিক সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া। কোনও রাজনীতিক দল নির্বাচনের আগে কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এবং কীভাবে সে ব্যাপারে মানুষকে কনভিন্স করতে পারছে, ঠিক তার উপর নির্ভর করে ভোটযন্ত্রের প্রভাব প্রতিপত্তি। আবার কখনও মনে হয়, এ এক নিখুঁত পারমুটেশনের অঙ্ক। ঘুঁটি সাজিয়ে চলা নিরন্তর... খেলতে জানলে কোনও একটা তো ক্লিক করবে! ঝুঁকি? অবশ্যই আছে। ঠিকমতো অঙ্কটা কষতে না পারলে বেচাল হবেই হবে। ফেলুদার থিওরি ধার করলে অবশ্য রাজনীতিও একরকম জিওমেট্রি। এখানে অবশ্য স্ট্রেট লাইনে চলাফেরার ব্যাপার নেই। সবটাই সাপের মতো এঁকেবেঁকে। উল্টোদিকের দলের স্ট্র্যাটেজিকে ডজ করে এগিয়ে যাওয়া। যত দিন যাচ্ছে, রাজনীতির বিজ্ঞান ততই কঠিন হচ্ছে। প্রযুক্তি বেড়েছে। সঙ্গে মিডিয়ার আনাগোনা। আজ থেকে ৩০ বছর আগে প্রচারে আসাটা যত না কঠিন ছিল, আজ ব্যাপারটা ততই সহজ। গায়ে কত দামি পোশাক চাপাচ্ছেন, হাতে কোন ব্র্যান্ডের ঘড়ি পরছেন, কী মোবাইল ব্যবহার করছেন... সবটাই দেখছে মিডিয়া। আর প্রচার করছে। শাসক-বিরোধীর লড়াইটাও এখন আর তাৎক্ষণিক নয়। বিস্তর হোম ওয়ার্ক প্রয়োজন। অতীত-বর্তমান ঘেঁটে বের করে আনতে হবে দুর্বল জায়গা। তারপর আঘাত করতে হবে সেখানে। এও এক অক্লান্ত প্রক্রিয়া। থামলে চলবে না। দু’টো ইনিংস শাসনকালের শেষে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা বা অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর দেখা দেয়। সেটাই স্বাভাবিক। নরেন্দ্র মোদি জমানাতেও হয়েছে। বহু ফ্লপ নীতি, সংস্কারের অজুহাতে মানুষকে জলে ঠেলে দেওয়া, উগ্র ধর্মীয় রাজনীতি... প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা তৈরি না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। তাই তৃতীয় ইনিংসের পরীক্ষায় নামার আগে মোদি সরকারের চ্যালেঞ্জও প্রচুর। কিন্তু সেই তালিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কী? একটি ফর্মুলা—বিজেপির বিরুদ্ধে এক হতে হবে সব বিরোধীকে। তাহলেই ফেলে দেওয়া যাবে সরকার। মোক্ষম অঙ্ক। জাতীয়, আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক, এসব তত্ত্বকথার প্রাসঙ্গিকতাই আর নেই নতুন ভারতে। বিজেপিকে হটাতে হলে লড়াই হোক একসঙ্গে। মহাজোট? দরকার নেই। কিন্তু একটা সমঝোতা হলে ক্ষতি কী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছর দুয়েক ধরে বলে চলেছেন, ‘যে দল যেখানে শক্তিশালী, সে প্রার্থী দিক ওই কেন্দ্রে। অন্য বিজেপি-বিরোধী দল যেন সেখানে লড়াই করতে না নামে।’ খুব সহজ, কিন্তু কার্যকরী অঙ্ক। কিন্তু সমস্যাটাও যে এখানেই। কেন? কোনও বিরোধী দলই স্বার্থ ছেড়ে বেরতে পারছে না। সবারই অন্তরের প্রশ্ন, আমি কী পাব? আমার লাভ কতটা? আমি কি প্রধানমন্ত্রী হতে পারব? বাংলায় একটা কথা আছে, গাছে না উঠতেই এক কাঁদি! আমাদের দেশের বিরোধীদের অবস্থা হয়েছে কতকটা সেইরকম। সবাই কতটা সুখী হতে চায় প্রশ্ন থাকতে পারে, সবাই রাজা যে হতে চায়, সে ব্যাপারে সংশয় নেই। 
রাজা হতে চান নরেন্দ্র মোদিও। আরও একবার। তৃতীয়বার। বিজেপিতেও দুটো গোষ্ঠী রয়েছে। এক পক্ষ মোদিপন্থী, অন্যপক্ষ নয়। মোদিপক্ষই অবশ্য সংখ্যায় বেশি। অন্যপক্ষ যেমন দলের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী, তাঁরা তেমন নয়। মোদির ভক্তরা ব্যক্তিপুজোয় আস্থাবান। একটা সময় কাঁটাঝোপের মতো দলের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিলেন বাজপেয়িপন্থী নেতানেত্রীরা। তাঁদের প্রায় সবাইকে ক্ষমতার অলিন্দের বাইরে পোস্টিং দিয়ে দিয়েছেন মোদিজি। আরএসএস তাঁর প্রকাশ্য সমর্থক। ফলে দল নিয়ে খুব মাথাব্যথা তাঁর নেই। হঠাৎ করে তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পানকৌড়ির মতো কেউ মাথাচাড়া দেবে—সেই ভয় বিজেপিতে নেই। বরং অঙ্কটা কষতে হবে বিরোধী মঞ্চ নিয়ে। আর সেটাই তিনি করছেন। জোরদার পারমুটেশন। দল অনেকগুলো। তাদের মাথাও অনেক। কেউই খুব কম ক্ষমতাবান নন। বরং নিজের নিজের ক্ষেত্রে তাঁদের যথেষ্ট প্রতাপ। ডিএমকের স্ট্যালিন, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, ধুঁকতে থাকা অবস্থাতেও আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদব, শিবির বদলানো নীতীশ কুমার এবং অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আছেন শারদ পাওয়ারও। আসন খুব বেশি পাবেন না, কিন্তু রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ঝুলি তাঁর পরিপূর্ণ। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে স্বয়ং সোনিয়া গান্ধীকে বিপাকে ফেলেছিলেন। এখন বিরোধী কুলের কৃপাচার্য হয়ে পরামর্শ বিতরণ করে থাকেন। ফলে মোদিজির পক্ষে সমীকরণ গোছানোটা খুব সহজ নয়। সেক্ষেত্রে উপায় কী? এমন একজন যদি বিরোধী মুখ হয়ে দাঁড়িয়ে যায়, পাবলিকের মধ্যে যাঁর তেমন গ্রহণযোগ্যতাই নেই! কে সেই ব্যক্তি? অনেক খুঁজেপেতেও অবশ্য রাহুল গান্ধী ছাড়া অন্য নাম মাথায় আসবে না। সেখানেই চালটা চেলেছেন মোদিজি। বাকি বিরোধী নেতানেত্রীদের স্রেফ অবজ্ঞা করো। গুরুত্ব দাও রাহুলকে। প্রচার দিয়ে যাও, কিন্তু নেগেটিভ। এটাই স্ট্র্যাটেজি। পাবলিক শুধু রাহুলের নাম শুনবে, কিন্তু ভরসা করতে পারবে না। উল্টোদিকে প্রচারের পাম্প খাবেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসও ভাববে, মোদি সরকার ভয় পেয়েছে বলেই রাহুলবাবাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বিরোধীদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আর কেই বা থাকতে পারে!
কংগ্রেস বুঝছে কি না জানা নেই, অন্য বিরোধী দলগুলি কিন্তু এই স্ট্র্যাটেজি বুঝে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো স্পষ্টই বলে ফেলেছেন—রাহুল গান্ধীকে বিরোধী মুখ করে তোলাটাই বিজেপির এজেন্ডা। এতেই ওরা সুবিধা পাবে। ফলে বিরোধী জোটের জ্যামিতিতে রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেস নিয়ে এই মুহূর্তে মহা সংশয়। রাহুল গান্ধী অবশ্য চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না। ভারত জোড়ো যাত্রা বের করছেন, বিলেতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করছেন, সংসদে বলার চেষ্টা করছেন। তাও কোনও কিছুই ক্লিক করছে না। কেন? কারণ একটাই, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভেবে নেওয়াটা অধিকাংশ ভারতবাসীর কাছে এখনও বেশ কঠিন। অন্য বিরোধীরাও নিজেদের মতো ফের সমঝোতার বাতাবরণ তৈরি শুরু করে দিয়েছে। অখিলেশ যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কে সি আর, লালুপ্রসাদ যাদব, ফারুক আবদুল্লা... নামের তালিকা বাড়ছে। এঁদের যুক্তি হল, ভোটের আগে জোট দরকার নেই। ‘শক্তি যার, আসন তার’ ফর্মুলায় লোকসভা নির্বাচনটা লড়ে নেওয়া যাক। গত ভোটের নিরিখে বিজেপির ভোটের হার কত? ৩৭ শতাংশ। এই সমঝোতা মেনে লড়তে নামলে বিরোধীদের আসন বিজেপির থেকে বেশি হতে বাধ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য পরিষ্কার, কংগ্রেস যদি এই কৌশল মেনে আসতে চায়, আসুক। অখিলেশও একই কথা বলছেন। বাকি থাকল লালুপ্রসাদ যাদব এবং কে সি আর। লালুজিকে একটু হাওয়া দিলে অবশ্য তিনি বা তাঁর দল সোনিয়া গান্ধীর দিকে ঝুঁকে যেতেই পারেন। আর কে সি আর? কখন তিনি শাসকের দিকে ঘুরে যাবেন, সেই শঙ্কা থেকেই বেরতে পারে না অন্য বিরোধীরা। ফলে শঙ্কার মেঘ থেকেই যাচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য, এই মেঘটাই আরও ঘন এবং বিপজ্জনক করে দেওয়া। নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধীরা যতই মারামারি করবে, ততই তাঁর লাভ। ততক্ষণ সর্বত্র তিনি তাঁর প্রভাব নিশ্চিত করবেন। তবে হ্যাঁ, পারমুটেশনটা একটু বেশি করতে হবে। তিনি কণ্ঠরোধ করবেন বিরোধীদের। সংসদ অধিবেশনে মাইক্রোফোন ‘খারাপ’ হয়ে যাবে। সংসদ টিভিতে স্পিকার বলার সময় শোনা যাবে, কিন্তু বিরোধী এমপিদের বক্তব্য হারিয়ে যাবে প্রযুক্তির অন্ধকারে। বিরোধী জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতে-অফিসে এজেন্সি হানা দেবে। মামলা চলবে মাসের পর মাস। সেই এমপি-এমএলএদের বন্দিত্বের মেয়াদও বাড়বে। এরপরও যদি কাজ না দেয়, তিনি স্যামুয়েল অল্টম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই পারেন। কে এই অল্টম্যান? ‘ওপেন এআই’য়ের সিইও। তাঁর সংস্থার তৈরি চ্যাটজিবিটি এখন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে। একের পর এক আপগ্রেডেড ভার্সান তৈরি করছেন তাঁরা। গত ১৪ মার্চ বাজারে এসেছে জিবিটি-৪। হিসেব বলছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই সফ্টওয়্যারটি অন্তত ২০টি চাকরির বাজার শেষ করে দিতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষক, আইনজীবী, রিপোর্টার, ট্রাভেল এজেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের মতো পোস্ট। মোদি সরকারের রণনীতির অধিকাংশটাই ঘিরে থাকে প্রোপাগান্ডা এবং সোশ্যাল মিডিয়া। জিবিটি-৪ তাঁরা একবার কাজে লাগিয়ে দেখতেই পারেন। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা শুধুমাত্র ফেসবুকের তথ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে একটা গোটা নির্বাচনের নিয়তি বদলে দিয়েছিল। আর জিবিটি-৪ তো একমাসের মধ্যে ইউটিউবে টাকা কামানো, সোশ্যাল মিডিয়ার এনক্রিপটেড অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়া, এমনকী টুইটারের অ্যালগরিদম ভেঙে দেওয়ার দাবিও করছে। কাজেই স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মোদিজির কুর্সি নিশ্চিত করার জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে লোক রাখতে হবে না। আর তারপর দুশ্চিন্তাতেও থাকতে হবে না। 
এও এক জিওমেট্রি। তবে জটিলতম। এর আকার নির্ধারণ, আর বাঘের পিঠে সওয়ার হওয়া একই ব্যাপার। মোদিজিও কিন্তু বাঘের পিঠেই সওয়ার হয়েছেন। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ‘বিরোধীদের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত ইডির প্রতি। এই এজেন্সির জন্যই অন্তত তারা জোটবদ্ধ হতে পারছে।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বোধহয় বিজ্ঞানটা ভুলে যাচ্ছেন। পাস্কালের সূত্র কী ছিল? বদ্ধ কোনও তরলকে চাপ দিলে তা সেই তরলের প্রত্যেকটি বিন্দুতে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ, একসময় চাপ বেশি হয়ে গেলে তরল পদার্থও কঠিন আধার ভেঙে বেরিয়ে আসে। চব্বিশের ভোটে তেমন কিছু হবে না তো?
21st  March, 2023
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ২০০৯ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তিনিই জোড়াফুলের প্রার্থী। বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলির সময় দেখা গিয়েছে, জয় নিয়ে কার্যত ‘চিন্তামুক্ত’ থাকতেন তিনি। ...

নিজেদের মধ্যে সব দ্বন্দ্ব ভুলে তমলুক লোকসভার প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের সাফ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হলদিয়ায় একটি হোটেলে তমলুক লোকসভার ...

রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে ইউজিসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নিয়েপা’র অধ্যাপক এবং সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে নাগরিক কমিশন গঠিত হল। ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:04:22 PM