Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জোট করে ভোট? নাকি
ভোটের পর জোট?
সমৃদ্ধ দত্ত

বিজেপি বনাম বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াইয়ে বিরোধীদের বারংবার পরাস্ত হতে হচ্ছে এক ও একটিমাত্র মানদণ্ডে। সেটি হল প্রচার অথবা প্রোপাগান্ডা। প্রচারকে বিজেপি একটি ৩৬৫ দিনের প্রকল্প হিসেবেই গ্রহণ করেছে। পরিণত করেছে উন্নত শিল্পে। প্রতিদিন বিজেপির নানাবিধ প্ল্যান নির্মাতাদের প্রধান কাজ হয়, আজ অথবা ইদানীং কোন প্রচারটি বেশি করে করব। আজকের নাগরিক সমাজ গভীরভাবে তলিয়ে কোনও ঘটনা অথবা পরিণতি কিংবা কার্যকারণকে বিশ্লেষণ করে না। তারা  ইনস্ট্যান্ট ডেমোক্রেসি এবং ইনস্ট্যান্ট ইস্যুর ভক্ত।
বিজেপি দুটি বিষয়কে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করতে সর্বদাই উন্মুখ। প্রথমত জোরদার বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে, এখন আমরা সবাই খুব ভালো আছি। দেশবাসী প্রচণ্ড উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতি উন্নত। চাকরি-বাকরি প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবসার জন্য এটাই আদর্শ সময়। আন্তর্জাতিক মহল ভারতকে খুব সমীহ করে। চীন ভারতকে ভয় পায়। আর দ্বিতীয়ত, দেশের ভবিষ্যৎ আরও ভালো। এই হবে, সেই হবে, ভারত এক নম্বর হবে। ভারত মহাশক্তিধর হবে। সকলের জন্য জল হবে। সকলের মাথায় ছাদ থাকবে। ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি। আর সবথেকে বড় যে প্রচার সেটি হল, যে কোনও ক্ষুদ্র সাফল্যকে বিজেপি অশ্বমেধের ঘোড়ার বিশ্বজয় হিসেবে প্রচার করতে পারে সুনিপুণভাবে। বিরোধী দলগুলি এই প্রচারকে সঠিকভাবে পাল্টা প্রচার দিয়ে বিদ্ধ করতে পারছে না। বিজেপি এমন একটি ধারণা জনমনে প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করে এবং সফলও হয় যে, কংগ্রেস দলটা আজ বাদে কাল উঠেই যাবে। কংগ্রেস গোটা দেশ থেকে প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। কংগ্রেস এই প্রচারের পাল্টা কোনও যুক্তি কিংবা প্রোপাগান্ডা করতে পারছে না। অথচ বিজেপির প্রচারের প্রবল শব্দে ঢাকা পড়ে যায় যে, হিমাচল প্রদেশে বিজেপি সরকারের পতন ঘটেছে। কংগ্রেস সরকার গঠন করেছে। বিজেপি এককভাবে জয়ী হয়েছে কোনওমতে ত্রিপুরায়। কিন্তু প্রচারের মহিমায় গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে, বিজেপি গোটা উত্তর পূর্ব ভারতই দখল করে নিয়েছে। এখন উত্তর পূর্ব ভারত বিজেপিময়। আর কংগ্রেস ও বিরোধীরা ধূলিসাৎ। 
কংগ্রেস অথবা বিরোধীরা কখনওই সেই একই বিক্রমে এই প্রচার তীব্র স্তরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় না যে, আদতে ভারতের মানচিত্রে বিজেপির অবস্থান ক্রমেই কমছে। উত্তর ভারতে খোদ রাজধানী দিল্লিতেই বিজেপি পরাস্ত হয় বারংবার। এমনকী অতি সম্প্রতি দিল্লি পুরসভা থেকে পর্যন্ত বিজেপিকে বিদায় করে দিয়েছে দিল্লিবাসী। উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা আর উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার। হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস। দিল্লিতে আম আদমি পার্টি। রাজস্থানে কংগ্রেস। গুজরাতে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে হাফ বিজেপি। কারণ ভোটে বিজেপি পরাস্ত হয়েছিল। এখন শিবসেনা ভেঙে সরকারে রয়েছে। একই ফর্মুলা মধ্যপ্রদেশে। ভোটে পরাস্ত হয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস ভেঙে সরকার গড়তে হয়েছে। ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস। কর্ণাটকে ভোটে হেরে যায় বিজেপি। পরে দল ভাঙার মাধ্যমে সরকার গঠন করেছিল। এবার আসন্ন ভোটে কর্ণাটক টালমাটাল বিজেপির কাছে। সমস্ত জনমত সমীক্ষা বলছে বিজেপি পরাস্ত হবে। সরকার গড়বে কংগ্রেস। দক্ষিণ ভারতের আর কোনও রাজ্যে বিজেপি নেই। হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই। গোয়ায় বিজেপি। পূর্ব ভারতের কোনও রাজ্যে বিজেপি নেই। উত্তর পূর্ব ভারতের অসম ও ত্রিপুরায় এককভাবে। বাকি রাজ্যগুলিতে স্থানীয় দলের সঙ্গে জোট করে সরকারে। 
সুতরাং ভোটের ময়দানে বিজেপি অপ্রতিরোধ্য তো নয়ই, বরং যে কোনও সময় যে কোনও রাজ্যে হেরে যাচ্ছে। কিন্তু পরিসংখ্যান ধরে ধরে সেই প্রচারটি বারংবার, লাগাতার বিরোধীরা করে যেতে পারছে না। বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধিকে এক ও একমাত্র অস্ত্র করে পাখির চোখের মতো তুঙ্গে নিয়ে যাওয়ার যে প্রচার সেরকম কোনও প্রয়াস আমরা দেখতে পা‌ই না। প্রতিটি দেশবাসীর কাছে কিন্তু এই দুই সঙ্কট ঘরে ঢুকে বসে আছে। কিন্তু একটির পর একটি নতুন ইস্যু আসছে, বিরোধীরা দিগভ্রান্ত, তাই এই ঘরে ঘরে যে ইস্যুটি সমর্থন পেতে পারে, সেই এজেন্ডা থেকে সরে যাচ্ছে। লক্ষণীয়, হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস সরাসরি বলেছে আমরা ক্ষমতায় এলে পুরনো পেনশন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনব। অন্য সব ইস্যুকে ছাপিয়ে এই একটি প্রচারেই বিজেপি ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে। ঠিক সেরকম কোনও ইস্যু এখনও পর্যন্ত একমাত্র অস্ত্র হিসেবে বিরোধীরা চিহ্নিত করতে পারছে না, যা নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে তুফান তোলা সম্ভব। 
অন্যদিকে, বিরোধীদের কাছে সবথেকে বড় ধাক্কা হল, মোদি সরকার যে আর্থিকভাবে ভারতকে সফল ও শক্তিশালী করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেটা বিজেপিও বুঝতে পেরেছে। তাই সব ইস্যু ছাপিয়ে হিন্দুত্বকেই একমাত্র চালিকাশক্তি হিসেবে লোকসভা ভোটে ব্যবহার করবে সেটা ক্রমেই স্পষ্ট। যে ইস্যুকে সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধ করার মতো পরিস্থিতি কোনও রাজনৈতিক দলের কাছেই নেই। কারণ এই ইস্যুকে বিরোধিতা করার অর্থ হল, বিজেপিকে আরও সুযোগ পাইয়ে দেওয়া যে, বিরোধীরা হিন্দুবিরোধী। যা বিজেপির কাছে লাভদায়ক। সেই অভিযোগ যতই বিজেপি বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রচার করতে পারবে, ততই ভোটের ময়দানে পাবে সুফল। 
একমাত্র  মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বকে দেশজুড়ে চরম এক প্রতিবাদ বিক্ষোভে নিয়ে যেতে পারলে এবং বিরোধীরা নির্দিষ্ট কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে বিশ্বাস করাতে পারলেই বিজেপি অনেকটাই সমস্যায় পড়বে। রাজ্যের ইস্যুর পাশাপাশি এমনভাবে কেন্দ্রীয় স্তরের ইস্যুকে টার্গেট করা দরকার যেগুলি সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের অভিজ্ঞতা ও সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু বিজেপির পক্ষে সুবিধাজনক হল, বিরোধীরা স্থির হয়ে একটি বা দুটি ইস্যুতে নিজেদের সম্মিলিতভাবে আবদ্ধ রেখে মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে না। কী কী ইস্যুতে বিরোধীরা মোদি সরকারকে চেপে ধরছে? আদানিকে কেন বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, ইডি সিবিআই কেন বিরোধীদের বেছে বেছে টার্গেট করছে, এলআইসির টাকা কেন শেয়ারমার্কেটে ডুবে গেল, বাক স্বাধীনতা কেন হরণ করা হচ্ছে, গণতন্ত্র কেন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নেই, মূল্যবৃদ্ধি, পেট্রল ডিজেলের দাম ইত্যাদি। 
এই এতগুলি ইস্যুর সঙ্গে সাধারণ মানুষ কখনও একাত্মবোধ করতে পারে? শুধু এমন ইস্যুকেই তীব্রভাবে বাছাই করা উচিত নয় যা সরাসরি মানুষের মনের কথা? ভারতে জোট রাজনীতির বড়সড় সূত্রপাত হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর সেই ছিল প্রথমবার কংগ্রেসের নেহরুহীন অবস্থায় ভোটের ময়দানে নামা। সেবার রাজ্যে রাজ্যে রামমনোহর লোহিয়ার উদ্যোগে মূলত জোট হয়েছিল। জোটের নাম ছিল সংযুক্ত বিধায়ক দল। সমাজবাদী ও হিন্দুত্ববাদী, দু’পক্ষই ছিল। একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেস পরাস্ত হয়।
১৯৭৭ সালে ছিল জনতা দল নামক জোট। সেখানেও লোকসভা ও বিধানসভা দুই নির্বাচনেও পর্যুদস্ত হতে হয় কংগ্রেসকে। ১৯৮৯ সালে রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে একটিমাত্র ইস্যুতে জোট হয়। বোফর্স। তিনি পরাস্ত হন। ১৯৯৯ সালের ভোটে অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বের জোট পরাস্ত করে কংগ্রেসকে। ২০০৪ সালে সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ইউপিএ জোট গঠিত হয় লোকসভা ভোটের পর। 
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আর মাত্র এক বছর বাকি। জোট হবে কি না সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। আবার এখন ভারতের রাজনৈতিক সমীকরণও অনেক বদলে গিয়েছে। এখন কংগ্রেস এককভাবে জোটকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো শক্তিধর জায়গায় নেই। কারণ বহু রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলিই আদতে বিজেপির সঙ্গে টক্কর দেবে। যেমন তৃণমূল, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, এনসিপি শিবসেনা, আম আদমি পার্টি, ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি, বিজু জনতা দল, ওয়াইএসআর কংগ্রেস অথবা সিপিএম। সরাসরি কংগ্রেসের একক শক্তি সীমিত রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, গুজরাত ইত্যাদি রাজ্যে। তাও আবার কয়েকটি রাজ্যে সেই শক্তিও কমছে ক্রমেই। তাই ভোটের আগে জোট? নাকি জোট করে ভোট? এই ফর্মুলায় পৌঁছতে হবে বিরোধীদের। সর্বোপরি বিজেপি বিরোধী ইস্যু কী হবে?
17th  March, 2023
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ২০০৯ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তিনিই জোড়াফুলের প্রার্থী। বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলির সময় দেখা গিয়েছে, জয় নিয়ে কার্যত ‘চিন্তামুক্ত’ থাকতেন তিনি। ...

একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

দেশজুড়ে আদর্শ নির্বচনী আচরণবিধি চলছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ওই দিন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। কিন্তু বিতর্ক বেঁধেছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:04:22 PM