Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সাগরদিঘি মডেলের ভবিষ্যৎ কী?
তন্ময় মল্লিক

সাগরদিঘি মডেলেই কি বিরোধীরা পঞ্চায়েত ভোট করবে? এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব মুখে সরাসরি জোটের কথা বলছে না ঠিকই, কিন্তু পঞ্চায়েতে ‘রামধনু জোট’ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিরোধী দলের নেতারা যতই আস্ফালন করুন না কেন, রাজ্যের অর্ধেক আসনে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা এককভাবে কোনও দলেরই নেই। ফলে যেখানে নিজেরা প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হবে, সেখানে তৃণমূল বিরোধী যিনি থাকবেন তাঁকে জেতাতে চাইবে। তারজন্য বিরোধীরা নির্দল প্রার্থীকে প্রকাশ্যে, আর প্রতীকে দাঁড়ানো অন্য দলের প্রার্থীকে তলে তলে সমর্থন করবে। কারণ ‘সাগরদিঘি মডেলে’ পঞ্চায়েত ভোট না করলে বিরোধীদের কঙ্কালসার চেহারাটা মানুষ দেখে ফেলবে। তাতে লোকসভা ভোটে তৃণমূল ফাঁকা মাঠ পেয়ে যাবে। আর সেটা বিজেপি কিছুতেই চাইবে না।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে প্রচুর প্রার্থীর প্রয়োজন। কেবল গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ৬২ হাজার ৪০৪টি। এছাড়া পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯৪৯৮টি এবং জেলা পরিষদে ৯২৮টি আসন রয়েছে। বাস্তবটা হল, এই বিপুল সংখ্যক আসনে প্রার্থী জোগাড় করার জন্য যে সাংগঠনিক ক্ষমতা থাকা দরকার তার সিকিভাগ কোনও বিরোধী দলের নেই। 
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৭৭টি আসনে জিতেছিল ঠিকই। কিন্তু সবটাই ছিল ‘হাওয়ার ভোট’। যে কোনও নির্বাচনেই তারা অধিকাংশ বুথে এজেন্ট দিতে পারে না। কারণ বিজেপির কোনও সংগঠন তৈরি করতে পারেনি। শাসক দলের নেগেটিভ ভোটই তাদের সম্বল। বিধানসভা ভোটের আগে নতুন প্রজন্মের একটা অংশ বিজেপির দিকে ঝুঁকলেও এখন আর তাদের দেখা যায় না। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ, মালদহ ছাড়া অন্য কোনও জেলায় কংগ্রেসের তেমন শক্তি নেই বললেই চলে। শুধু জাতীয় স্তরে নয়, রাজ্যেও নেতৃত্বের সঙ্কটে ভুগছে কংগ্রেস। অধীর চৌধুরী নিজের জেলায় কিছু কর্মসূচি নিলেও অন্য জেলায় কংগ্রেসকে খুঁজেই পাওয়া যায় না। ফলে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জিতলেও কংগ্রেসের পালে হাওয়া লাগার এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই। 
বিরোধী দলগুলির মধ্যে একমাত্র সিপিএমের কিছু এলাকায় সংগঠন আছে। কিন্তু একের পর এক নির্বাচনে হারতে থাকায় কমরেডদের অনেকেই হতাশায় নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। সিপিএমের পুরনোরাই সম্বল। নতুন প্রজন্মের ভিড় ভীষণভাবে কমে গিয়েছে। লড়াইয়ের ময়দানে নেতৃত্বের দীর্ঘ অনুপস্থিতি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকাটা এরাজ্যে বামেদের ভেন্টিলেশনে পাঠিয়ে দিয়েছে। সেখান থেকে বের করে আনার জন্য একটা উপনির্বাচনে জয়লাভ কিছুই নয়। সাগরদিঘির রেজাল্ট বড়জোর তাদের পঞ্চায়েত ভোটে কিছুটা অক্সিজেন জোগাতে পারে। 
এবার পঞ্চায়েত ভোটে মহিলা সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী দিতে বিরোধীদের হিমশিম খেতে হবে। রাজ্যের ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। সেই হিসেবে প্রতিটি দলকে প্রায় ৩৫ হাজার মহিলা প্রার্থী দিতে হবে। কিন্তু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রী প্রকল্পের সৌজন্যে মহিলাদের একটা বড় অংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভোট ব্যাঙ্কে’ পরিণত হয়েছে। তার উপর রাজ্যে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী। সেই গোষ্ঠীর সদস্যরা সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পাচ্ছেন। সেই সুবাদে গ্রামবাংলার বহু গৃহবধূ হেঁশেল সামলানোর পাশাপাশি সংসারে অর্থও জোগান দেন। তাই বঙ্গে ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সৌজন্যে এখন গ্রামের অধিকাংশ গরিব পরিবারই ‘ডাবল ইঞ্জিন’। সেই সব পরিবার থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী বের করা বিরোধীদের জন্য রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
মহিলা প্রার্থী ঠিক করার ক্ষেত্রে বিজেপির সঙ্কটটা আরও বেশি। বিশেষ করে সংখ্যালঘু প্রভাবিত এলাকায়। এমনিতেই সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিজেপির তেমন প্রভাব নেই। সেখানে সংখ্যালঘু মহিলা প্রার্থী খুঁজে পাওয়াটা তাদের কাছে গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে দাঁড়াবে। সংখ্যালঘু এলাকায় অধিকাংশ মহিলা আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারবে না। সেখানে কংগ্রেস বা সিপিএম কাউকে দাঁড় করালে তিনিই হবেন ‘রামধনু জোটে’র প্রার্থী। 
একইভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এবং হিন্দিভাষী এলাকায় গেরুয়া শিবিরের প্রভাব আছে। বিশেষ করে মতুয়াদের মধ্যে। তাই সেই সব এলাকায় ‘সাংগঠনিক দুর্বলতা’র অজুহাত দেখিয়ে সিপিএম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী দিতে চাইবে না। এই মুহূর্তে সিপিএম, কংগ্রেস বা বিজেপি নেতৃত্বের কাছে তারা কত আসন জিতল, সেটা বড় নয়। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল তৃণমূল কত আসনে হারল। তৃণমূলকে হারানোটাই ‘নৈতিক জয়’ বলে বিরোধী দলের নেতারা তাঁদের কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোকাবিলার কোনও রাস্তা তাঁদের সামনে নেই। সেকথা মাথায় রেখেই 
বিরোধী দলের নেতারা কৌশলে জোটের সম্ভাবনাকে জিইয়ে রাখছেন।
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘রাজ্য সরকার বিরোধীদের সঙ্গে যেভাবে দুর্ব্যবহার করছে, তার বিরুদ্ধে এক হওয়ার দরকার আছে। সেটা সাগরদিঘির উপনির্বাচনে মানুষ অনেকটা দেখিয়ে দিয়েছেন।’ সিপিএমের 
রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য অনেকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানি গোছের। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি বাঁচবে না। বাঁচার জন্য বিরোধীদের কাছে অক্সিজেন চাইছে। কারণ বিজেপি নিজে বিরোধী নয়। আগে নকল বিরোধিতা থেকে আসল বিরোধিতায় নামুক, তারপর দেখা যাবে।’ 
‘তারপর দেখা যাবে’ বলে সেলিম সাহেব কী বোঝাতে চেয়েছেন? তাহলে সাম্প্রদায়িকতাটা আসল ইস্যু নয়? বিজেপি তৃণমূলকে কষিয়ে টাইট দিতে পারছে না বলেই তারা ‘অচ্ছুৎ’। সেই কারণেই কি সিপিএম তাদের হাত ধরছে না! তার মানে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শায়েস্তা করার জন্য সিপিএম যে কোনও শক্তির হাত ধরতে পারে। বামেদের ট্র্যাক রেকর্ড অবশ্য সেকথাই বলছে। মমতাকে হারানোর আশায় ২০১৬ সালে একদা প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। আর একুশে হাত মিলিয়েছিল আইএসএফ এর মতো ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি’র সঙ্গেও। কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট করার জন্য সিপিএম প্রায় চার দশকের বন্ধু শরিকদের ডানা ছাঁটতেও পিছপা হয়নি। 
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সাগরদিঘিকে সামনে রেখে বঙ্গে যে বিরোধী জোটের আবহ তৈরি হয়েছে তার ভবিষ্যৎ কী? পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে রাজ্যের বহু আসনে রামধনু জোট হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই জোট কিছুতেই লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত গড়াবে না। রাজ্যের ৪২টি আসনেই বিজেপি প্রার্থী দেবে। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোর বাসনা যতই তীব্র হোক না কেন, লোকসভা ভোটে সিপিএম-কংগ্রেস জোটকে আলাদা প্রার্থী দিতেই হবে। 
লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের এবং বামেদের মধ্যে আসন সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রটি আর আগের মতো অধীর চৌধুরীর জন্য মোটেই ‘সেফ সিট’ নয়। এই আসনে ফের যদি অধীরবাবু প্রার্থী হন তাহলে তিনি যে কোনও মূল্যে সিপিএমের সঙ্গে জোট করবেন। ডানপন্থী দলে সাংসদ, বিধায়ক না হলে তিনি 
গুরুত্ব পান না। ফলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকলেও সাংসদ হওয়ার মরিয়া চেষ্টা তিনি চালাবেন। কিন্তু জোটের আসল খেলাটা জমবে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে।
ইতিহাস বলছে, অধীর চৌধুরী জোট বিরোধী। অন্তত মুর্শিদাবাদ জেলায় তো বটেই। তাঁর একটাই লক্ষ্য, মুর্শিদাবাদ জেলাকে ‘অধীর চৌধুরীর গড়’ বানানো। সেই কারণে রাজ্যজুড়ে কখনও তৃণমূলের, কখনও সিপিএমের সঙ্গে জোট হলেও অধীরবাবু মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেস নেতৃত্বের সেই সমঝোতা মানেননি। তারজন্য তিনি কখনও কংগ্রেস হাইকমান্ডের জোটের নির্দেশকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন, কখনও ভেঙেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের জোটের সিদ্ধান্ত। নিজের দাপট ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ‘গোঁজ প্রার্থী’ দাঁড় করিয়ে জোটের প্রার্থীকে হারিয়েছেন। এমনকী কংগ্রেসের হাত চিহ্নের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে গোঁজ প্রার্থী দিয়ে তাঁকেই জিতিয়ে এনেছেন। এটাই অধীরবাবুর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার স্টাইল।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর জয়ে সিপিএম যতই উল্লসিত হোক না কেন, ছাব্বিশে ‘ঘাড়ধাক্কা’ খাওয়ার জন্য এখন থেকেই তৈরি থাকা ভালো। কারণ অধীর চৌধুরী কখনওই নিজের তৈরি করা জমি অন্যকে ছাড়েন না। তাই অনেকেই বলছেন, বঙ্গে ‘সাগরদিঘি মডেলে’র ভবিষ্যৎ ‘ভূতের ভবিষ্যতে’র চেয়েও করুণ।
11th  March, 2023
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক খানিক গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগ না লাগালেও আমাদের কিছু হবে না। ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ভাঙড়ে। এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কোথাও তাঁকে অশান্তির কারিগর তকমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ঘুরিয়ে বহিরাগত বলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ...

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পানীয় জলের সংকট। শুক্রবার ক্ষোভে হরিরামপুর-ইটাহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। হরিরামপুর থানার বিশাল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী  বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

04:26:00 PM

এনআরসি-ক্যা-ইউসিসি না চাইলে বিজেপিতে একটাও ভোট নয়: মমতা

04:25:16 PM

একমাত্র তৃণমূল তখন অসমে গিয়েছিল, কিন্তু ওরা ঢুকতে দেয়নি: মমতা

04:24:33 PM

ভোট কেটে সুবিধা করতে এটা বিজেপির প্ল্যান: মমতা

04:12:44 PM

মোদি সরকার বাংলার টাকা বন্ধ করে দিল, কংগ্রেস-সিপিএম মুখ খোলেনি: মমতা

04:11:59 PM

আমের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি: মমতা

04:10:39 PM