Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বেকারে ছেয়ে গেলে
আয়কর ছাড় কার জন্য?
হিমাংশু সিংহ

 

অদ্ভুত বাজেট। সোনার দাম বাড়িয়ে কৃত্রিম হীরেকে ছাড় দেওয়া হল। একবারও ভেবে দেখা হল না এই দেশের অলিগলিতে হলুদ ধাতুর কারবারিরা একটা ছোট দোকান খুলে আজও কোনওক্রমে সংসার চালান। সংগঠিত বড় ব্যবসায়ীদের আগ্রাসন সত্ত্বেও সেগুলি আজও টিমটিম করে জ্বলছে। মালিক কর্মচারী মেলালে সংখ্যাটা কিন্তু অনেক। কয়েক কোটি। করোনাকাল থেকেই দাম চড়ে রয়েছে। ব্যবসায় মন্দা। এই পরিস্থিতিতে দশ গ্রাম সোনার দর ৬০ হাজারের উপরে চলে গেলে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ ছোট ছোট সোনার দোকান মালিকরা সহ্য করতে পারবেন তো! তবে গুজরাতের হীরে ব্যবসায়ীরা দু’হাত তুলে বিজেপি সরকারকে আশীর্বাদ করবেন। লোকসভা নির্বাচনের এক বছর আগে থাকতেই তাই হীরে লবির মনোরঞ্জন করা হল বাংলা সহ দেশের তামাম সোনা ব্যবসায়ীর ভাত মেরে। 
৮৭ মিনিটের সংক্ষিপ্ত ভাষণ। অর্থমন্ত্রী বেকার সমস্যার কথা উল্লেখই করলেন না একবারও। একটা বাক্যও খরচ করলেন না মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে। পেট্রল, ডিজেল রান্নার গ্যাসের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে। গ্যাসের দাম গত আট বছরে দ্বিগুণ হয়ে প্রায় এগরোশো টাকা। অথচ ছাড় মিলেছে যৎসামান্য। এটাই সরকারের বিচার! অর্থমন্ত্রীর জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতায় ‘গরিব’ শব্দটা উচ্চারিত হল মাত্র দু’বার। মুখে অমৃতকালের কথা বললেও নির্মলা সীতারামন সর্বঅর্থেই রামরাজ্যের বাজেটই পেশ করলেন লাল টেম্পল পাড় শাড়িতে। সঙ্গে লাল শালুতে মোড়া আইপড। আয়োজনে খামতি ছিল না। কিন্তু সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ ব্যাপক হ্রাস করা হল কেন, উত্তর মেলেনি। গরিব, কৃষক, যুবক-যুবতীদের উৎসাহ দিতে একটা শব্দও খরচ করা হয়নি কেন, জানা যায়নি তাও। আগাগোড়াই শুধু কথার মায়াজাল, পরিশেষে প্রাপ্তি শূন্য। গরিব মানুষের তেমন কোনও লাভ না হলেও বিকেলের সাংবাদিক সম্মেলনে লাল শাড়ি বদলে গেল শৌখিন হলুদে। সরকারের দাবি, আয়করে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে তাতেই মধ্যবিত্ত খুশি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, নতুন না পুরনো আয়কর—কোন কাঠামোয় লাভ বেশি সেই বিভ্রান্তিকর ধাঁধাতেই বন্দি হয়ে গিয়েছে বেতনভুক নাগরিকের যাবতীয় স্বস্তি। প্রায় একশো ঘণ্টা কেটে গেলও হিসেব যেন শেষই হচ্ছে না। পুরনো আয়কর কাঠামোয় বিনিয়োগের উপর হরেক কিসিমের ছাড় আছে। সেইসব ছাড় নতুন কর কাঠামোয় অনুপস্থিত। অথচ এলআইসি, পিপিএফ এসব করাই তো সেই জন্য। ৮০ সি ধারায় দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ে ছাড় পেতে। হাউজিং লোনের সুদে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় (২৪বি ধারা) পেতেই একটা ছোট্ট ফ্ল্যাট কেনা। বাড়তি ছাড় মেলে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম ও মেডিক্লেমের মতো স্বাস্থ্যবিমায়। কিন্তু সেসব ছেড়ে নতুন কর কাঠামোয় শুধুই সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। বাকি ছাড় হাপিশ। সরকারের দাবি, হিসেব অনেক সরল করতে সাহায্য করবে এই নয়া আয়কর কাঠামো। তবে একবার নতুন কাঠামোয় গেলে নাকি আর ফেরা যাবে না। সেই গোলকধাঁধা আর বিভ্রান্তির অদ্ভুত টানাপোড়েনে মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীর হিমশিম অবস্থা। এত হিসেব কষেও লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কিন্তু উনিশ-বিশ। অনেকেই বলছেন, এতো সুখের চেয়ে স্বস্তি ভালো। খুড়োর কল ঝুলিয়ে এই আকালের বাজারে ভোটের ময়দানে হাটট্রিক করাই লক্ষ্য বর্তমান সরকারের। মধ্যিখানে ব্যস্ততা বাড়বে ট্যাক্স কনসালটেন্টদের। কর কমাতে নির্মলার কর ধাঁধায় আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়বে চেম্বারে! শত শত ইনসিওরেন্স এজেন্ট, হোম লোন সংস্থা ইতিমধ্যেই প্রমাদ গুনছে। নয়া করকাঠামো জনপ্রিয় হলে কর বাঁচানোর টোপ দিয়ে ফি-বছর এজেন্টদের মার্চ মাসের ব্যবসা মাঠে মারা যাবে যে! আর একটা ছোট্ট তথ্য দিই। ১৩৬ কোটির এই গরিব দেশে কর দেয় ১০ কোটিরও কম মানুষ! আর বেকারের সংখ্যা ৪৪ কোটি। এর মধ্যে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, দক্ষ অদক্ষ সব শ্রেণির যুবক যুবতীরাই আছেন। এই বাজেট কার মুখে হাসি ফোটাবে?
অমৃত কালের প্রথম বাজেট। গরল বর্ষণ নয়, প্রত্যাশা ছিল অমৃতকুম্ভ প্রাপ্তির। অর্থমন্ত্রী শুরুও করেছিলেন ছক্কা মেরে। বললেন, ৯ বছর আগে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত ছিল দশম স্থানে। আর এখন পৃথিবীর পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি। নিঃসন্দেহে পাঁচ ট্রিলিয়নের স্বপ্নে তা দেওয়া মোদি শাসনের উজ্জ্বল কীর্তি। কৃষকের আয় দ্বিগুণের ধারেকাছে না গেলেও নিরন্তর সুখস্বপ্নের কল্পনাকে মর্তে নামিয়ে আনার মিথ্যে জাল বিস্তারও নিঃসন্দেহে সাফল্য।   লকডাউনকে হারিয়ে জিডিপি ৭ শতাংশের আশপাশে। তার জন্য কৃতিত্ব দাবি করতেও ভুল করলেন না নির্মলা। অথচ ভারতীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি গ্রাম ও যুব সমাজের কর্মসংস্থান নিয়ে তেমন কিছুই বলতে শোনা গেল না তাঁকে। বিগত ৪৫ বছরের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বেকার সমস্যার সুরাহার কোনও চেষ্টাই বাজেটে নেই। দোসর জিনিসের দাম। উল্টে করোনার দুর্দিনে যে একশো দিনের কাজ গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রেখেছিল, অক্সিজেন জুগিয়েছিল তার বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি। আসন্ন মন্দার যে আশঙ্কা আর্থিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, তার মোকাবিলার কোনও উদ্যোগই কিন্তু চোখে পড়েনি। কার্যত প্রান্তিক মানুষের জন্য একটাও ঘোষণা ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট খতিয়ানে স্থান পায়নি। 
শুধু একশো দিনের কাজেই ব্যাপক কাটছাঁট হয়নি, কমিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বরাদ্দও। বড়লোকের অবশ্য এতে কিছুই যায় আসে না। তাঁদের জন্য পাঁচতারা নার্সিংহোম, বেসরকারি হাসপাতাল সর্বদা প্রস্তুত। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হলেও ধনীর কী যায় আসে। যায় আসে প্রান্তিক মানুষের, গ্রামের এককোণে পড়ে থাকা অসহায় গরিবের। বৃহৎ কর্পোরেট ও শহুরে উচ্চবিত্ত মানুষের হাতে সরকার যতই তামাক খাক, ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড আজও কৃষি ও গ্রাম। অদ্ভুত এক সরকারি উদাসীনতায় ওই দু’টি ক্ষেত্রই চরম উপেক্ষিত। এক কথায়, মোদিজির ভোট বাজেটে গ্রামের মানুষ ও গ্রামীণ অর্থনীতি সম্পূর্ণ ব্রাত্য। ভাবটা এমন, গরিব মানুষকে নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই নেই সরকার বাহাদুরের। বোঝাই যাচ্ছে, রেকর্ড তৃতীয়বার কুর্সিতে বসার দৌড়ে মোদিজির তুরুপের তাস শহরের ভোট। তাই ব্রাত্য কৃষিক্ষেত্র। বরাদ্দ কমেছে ৫ শতাংশ। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনাটিও চরম অবহেলিত। বরাদ্দ ছাঁটাই ৩১ শতাংশ। বরাদ্দ একধাক্কায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনাতেও। অর্থাৎ আর্ন্তজাতিক যে সমীক্ষা রিপোর্ট বছরের শুরুতেই ঝড় তুলেছিল, যাতে বলা হয়েছিল, ভারতে ১ শতাংশের হাতে ৪০ শতাংশ সম্পদ কুক্ষিগত তার রিপোর্টের সত্যতাই কি বাজেট বক্তৃতাতেও প্রমাণিত হচ্ছে। আরও বলা হয়, মোট জিএসটি আদায়ের ৬৪ শতাংশই আসে ৫০ শতাংশ গরিব, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের থেকে। অথচ দেশটা কিন্তু এখনও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বৃহৎ শিল্পপতিদের অঙ্গুলিহেলনে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের আকস্মিক পতনও তাই সরকারের মাথাব্যথার কারণ। প্রশ্ন উঠছে কোন জাদু বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ এমন সংস্থায় বিনিয়োগ করেছে এলআইসি ও স্টেট ব্যাঙ্ক, তা নিয়েও। সরকারি অনুগ্রহ ছাড়া এ জিনিস অসম্ভব!
যুবশক্তির জন্য অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা ৪৭ লক্ষ স্টাইপেন্ড। অথচ দেশে বেকার যুবকের সংখ্যা ৪৪ কোটি। তাহলে এই যোজনা সম্পূর্ণ সফল হলেও মোট বেকারের মাত্র ১ শতাংশও উপকৃত হবে কি না সন্দেহ। আর প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা? এজন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৩৬টি কেন্দ্র খোলা হচ্ছে খুব ভালো কথা। কিন্তু রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, দ্রোণ প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার অর্থ এটাও একটি বিশেষ শ্রেণির জন্য আলাদা করে দেওয়া হল। এতে প্রত্যন্ত গ্রামের গরিব ছেলেমেয়েরা কি উপকৃত হবেন? না পুরোটাই শহুরে ধনী বাড়ির যুবক যুবতীদের কথা ভেবে?
বাজেটে চূড়ান্ত উপেক্ষিত সংখ্যালঘুরাও। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ সামান্য বাড়লেও সংখ্যালঘুদের জন্য টাকা কিন্তু কমে গিয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য আগেরবার বরাদ্দ ছিল ১৬০ কোটি। আর এবার ভোটের আগের বছর তা ছেঁটে করা হয়েছে মাত্র ১০ কোটি। অর্থাৎ কমল প্রায় ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ রামরাজ্যের বাজেট বরাদ্দেও বিভাজনের চোখ রাঙানির উচ্চকিত উপস্থিত। তাহলে সবকা সাথ সবকা বিকাশ শুধু কথার কথা মাত্র! বাজেট তৈরিতেও পুরোমাত্রায় সাম্প্রদায়িক বিচ্ছিন্নতাবাদ কাজ করেছে। সেই সঙ্গে কর্পোরেটদের উপর নিঃশর্ত নির্ভরতা। কিন্তু এই পথে কি মোকাবিলা করা যাবে আসন্ন মন্দার, বেকার সমস্যা ও মূল্যবৃদ্ধির? নাকি অমৃতকালে এক ভয়ঙ্কর সঙ্কটের অপেক্ষায় দেশের অর্থনীতি। উত্তরটা ভবিষ্যতের গর্ভে।
05th  February, 2023
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
একনজরে
মাঠের মাঝে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। প্রখর রোদে মাটি ফেটে গিয়েছে। বেলা যত গড়াচ্ছে সূর্যের তেজ ততই বাড়ছে। কিন্তু তাতে হেলদোল নেই মণিরা বিবি, প্রমীলা রায়, কবিতা রায়দের। ...

বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে পথ আটকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঁচল থানার গোয়ালপাড়া এলাকার ...

আট ম্যাচে পাঁচটা পরাজয়। প্লে-অফের পথ ক্রমশ কঠিন হচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। সোমবার সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৯ উইকেটে ...

বিজেপি সহ তামাম বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পুরোপুরি কর্পোরেট ধাঁচে প্রচার পরিকল্পনা সাজিয়েছে তৃণমূল। জনসংযোগই হোক বা তারকা প্রচারককে নিয়ে প্রার্থীর বর্ণাঢ্য রোড শো—সবেতেই থাকছে সেই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস 
১০৬১: ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়
১২৭১ : মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন
১৯২৬:  যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার
১৯৪২: মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যু
১৯৪৫ :সোভিয়েত সেনাবাহিনী  বার্লিনে প্রবেশ করে
১৯৫৬: লোকশিল্পী তিজ্জনবাইয়ের জন্ম
১৯৭২: চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যু
১৯৭৩: ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম
১৯৮৭: বরুণ ধাওয়ানের জন্ম
২০১১: ধর্মগুরু শ্রীসত্য সাঁইবাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯০ টাকা ৮৩.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০১.৮৯ টাকা ১০৪.৫০ টাকা
ইউরো ৮৭.৯৯ টাকা ৯০.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। পূর্ণিমা ০/১৫ প্রাতঃ ৫/১৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪৬/৩০ রাত্রি ১২/৪১। সূর্যোদয় ৫/১৩/০, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/৩৭। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২৭ গতে ১১/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৩ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। 
১১ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ অহোরাত্র। স্বাতী নক্ষত্র রাত্রি ১২/১। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৫/১০ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৫/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৫ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/৩৬ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৫ গতে ৩/৪৯ মধ্যে। 
১৪ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মিঠুন চক্রবর্তীকে গো-ব্যাক স্লোগান
মিঠুন চক্রবর্তীকে গো-ব্যাক স্লোগান তৃণমূল নেতৃত্বের। উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী ...বিশদ

06:16:29 PM

নিজের মোবাইল থেকে একাধিক ছবি ও তথ্য ডিলিট করেছে রাজারাম, ফরেন্সিকে পাঠানো হল ফোন

06:11:00 PM

বক্তৃতা দিতে দিতে জ্ঞান হারালেন নীতিন গাদকারি
নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দিতে দিতে আচমকাই জ্ঞান হারালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ...বিশদ

04:41:33 PM

দেবাংশুর প্রচারে উত্তেজনা
নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় তমলুক লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রচারের সময় ...বিশদ

04:28:51 PM

বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

04:08:00 PM

২৮ এপ্রিল, রবিবার অবধি রাজ্যে বজায় থাকবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

03:45:13 PM