Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বেকারে ছেয়ে গেলে
আয়কর ছাড় কার জন্য?
হিমাংশু সিংহ

 

অদ্ভুত বাজেট। সোনার দাম বাড়িয়ে কৃত্রিম হীরেকে ছাড় দেওয়া হল। একবারও ভেবে দেখা হল না এই দেশের অলিগলিতে হলুদ ধাতুর কারবারিরা একটা ছোট দোকান খুলে আজও কোনওক্রমে সংসার চালান। সংগঠিত বড় ব্যবসায়ীদের আগ্রাসন সত্ত্বেও সেগুলি আজও টিমটিম করে জ্বলছে। মালিক কর্মচারী মেলালে সংখ্যাটা কিন্তু অনেক। কয়েক কোটি। করোনাকাল থেকেই দাম চড়ে রয়েছে। ব্যবসায় মন্দা। এই পরিস্থিতিতে দশ গ্রাম সোনার দর ৬০ হাজারের উপরে চলে গেলে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ ছোট ছোট সোনার দোকান মালিকরা সহ্য করতে পারবেন তো! তবে গুজরাতের হীরে ব্যবসায়ীরা দু’হাত তুলে বিজেপি সরকারকে আশীর্বাদ করবেন। লোকসভা নির্বাচনের এক বছর আগে থাকতেই তাই হীরে লবির মনোরঞ্জন করা হল বাংলা সহ দেশের তামাম সোনা ব্যবসায়ীর ভাত মেরে। 
৮৭ মিনিটের সংক্ষিপ্ত ভাষণ। অর্থমন্ত্রী বেকার সমস্যার কথা উল্লেখই করলেন না একবারও। একটা বাক্যও খরচ করলেন না মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে। পেট্রল, ডিজেল রান্নার গ্যাসের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে। গ্যাসের দাম গত আট বছরে দ্বিগুণ হয়ে প্রায় এগরোশো টাকা। অথচ ছাড় মিলেছে যৎসামান্য। এটাই সরকারের বিচার! অর্থমন্ত্রীর জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতায় ‘গরিব’ শব্দটা উচ্চারিত হল মাত্র দু’বার। মুখে অমৃতকালের কথা বললেও নির্মলা সীতারামন সর্বঅর্থেই রামরাজ্যের বাজেটই পেশ করলেন লাল টেম্পল পাড় শাড়িতে। সঙ্গে লাল শালুতে মোড়া আইপড। আয়োজনে খামতি ছিল না। কিন্তু সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ ব্যাপক হ্রাস করা হল কেন, উত্তর মেলেনি। গরিব, কৃষক, যুবক-যুবতীদের উৎসাহ দিতে একটা শব্দও খরচ করা হয়নি কেন, জানা যায়নি তাও। আগাগোড়াই শুধু কথার মায়াজাল, পরিশেষে প্রাপ্তি শূন্য। গরিব মানুষের তেমন কোনও লাভ না হলেও বিকেলের সাংবাদিক সম্মেলনে লাল শাড়ি বদলে গেল শৌখিন হলুদে। সরকারের দাবি, আয়করে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে তাতেই মধ্যবিত্ত খুশি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, নতুন না পুরনো আয়কর—কোন কাঠামোয় লাভ বেশি সেই বিভ্রান্তিকর ধাঁধাতেই বন্দি হয়ে গিয়েছে বেতনভুক নাগরিকের যাবতীয় স্বস্তি। প্রায় একশো ঘণ্টা কেটে গেলও হিসেব যেন শেষই হচ্ছে না। পুরনো আয়কর কাঠামোয় বিনিয়োগের উপর হরেক কিসিমের ছাড় আছে। সেইসব ছাড় নতুন কর কাঠামোয় অনুপস্থিত। অথচ এলআইসি, পিপিএফ এসব করাই তো সেই জন্য। ৮০ সি ধারায় দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য আয়ে ছাড় পেতে। হাউজিং লোনের সুদে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় (২৪বি ধারা) পেতেই একটা ছোট্ট ফ্ল্যাট কেনা। বাড়তি ছাড় মেলে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম ও মেডিক্লেমের মতো স্বাস্থ্যবিমায়। কিন্তু সেসব ছেড়ে নতুন কর কাঠামোয় শুধুই সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। বাকি ছাড় হাপিশ। সরকারের দাবি, হিসেব অনেক সরল করতে সাহায্য করবে এই নয়া আয়কর কাঠামো। তবে একবার নতুন কাঠামোয় গেলে নাকি আর ফেরা যাবে না। সেই গোলকধাঁধা আর বিভ্রান্তির অদ্ভুত টানাপোড়েনে মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীর হিমশিম অবস্থা। এত হিসেব কষেও লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কিন্তু উনিশ-বিশ। অনেকেই বলছেন, এতো সুখের চেয়ে স্বস্তি ভালো। খুড়োর কল ঝুলিয়ে এই আকালের বাজারে ভোটের ময়দানে হাটট্রিক করাই লক্ষ্য বর্তমান সরকারের। মধ্যিখানে ব্যস্ততা বাড়বে ট্যাক্স কনসালটেন্টদের। কর কমাতে নির্মলার কর ধাঁধায় আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়বে চেম্বারে! শত শত ইনসিওরেন্স এজেন্ট, হোম লোন সংস্থা ইতিমধ্যেই প্রমাদ গুনছে। নয়া করকাঠামো জনপ্রিয় হলে কর বাঁচানোর টোপ দিয়ে ফি-বছর এজেন্টদের মার্চ মাসের ব্যবসা মাঠে মারা যাবে যে! আর একটা ছোট্ট তথ্য দিই। ১৩৬ কোটির এই গরিব দেশে কর দেয় ১০ কোটিরও কম মানুষ! আর বেকারের সংখ্যা ৪৪ কোটি। এর মধ্যে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, দক্ষ অদক্ষ সব শ্রেণির যুবক যুবতীরাই আছেন। এই বাজেট কার মুখে হাসি ফোটাবে?
অমৃত কালের প্রথম বাজেট। গরল বর্ষণ নয়, প্রত্যাশা ছিল অমৃতকুম্ভ প্রাপ্তির। অর্থমন্ত্রী শুরুও করেছিলেন ছক্কা মেরে। বললেন, ৯ বছর আগে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত ছিল দশম স্থানে। আর এখন পৃথিবীর পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি। নিঃসন্দেহে পাঁচ ট্রিলিয়নের স্বপ্নে তা দেওয়া মোদি শাসনের উজ্জ্বল কীর্তি। কৃষকের আয় দ্বিগুণের ধারেকাছে না গেলেও নিরন্তর সুখস্বপ্নের কল্পনাকে মর্তে নামিয়ে আনার মিথ্যে জাল বিস্তারও নিঃসন্দেহে সাফল্য।   লকডাউনকে হারিয়ে জিডিপি ৭ শতাংশের আশপাশে। তার জন্য কৃতিত্ব দাবি করতেও ভুল করলেন না নির্মলা। অথচ ভারতীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি গ্রাম ও যুব সমাজের কর্মসংস্থান নিয়ে তেমন কিছুই বলতে শোনা গেল না তাঁকে। বিগত ৪৫ বছরের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বেকার সমস্যার সুরাহার কোনও চেষ্টাই বাজেটে নেই। দোসর জিনিসের দাম। উল্টে করোনার দুর্দিনে যে একশো দিনের কাজ গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রেখেছিল, অক্সিজেন জুগিয়েছিল তার বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি। আসন্ন মন্দার যে আশঙ্কা আর্থিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, তার মোকাবিলার কোনও উদ্যোগই কিন্তু চোখে পড়েনি। কার্যত প্রান্তিক মানুষের জন্য একটাও ঘোষণা ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট খতিয়ানে স্থান পায়নি। 
শুধু একশো দিনের কাজেই ব্যাপক কাটছাঁট হয়নি, কমিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বরাদ্দও। বড়লোকের অবশ্য এতে কিছুই যায় আসে না। তাঁদের জন্য পাঁচতারা নার্সিংহোম, বেসরকারি হাসপাতাল সর্বদা প্রস্তুত। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হলেও ধনীর কী যায় আসে। যায় আসে প্রান্তিক মানুষের, গ্রামের এককোণে পড়ে থাকা অসহায় গরিবের। বৃহৎ কর্পোরেট ও শহুরে উচ্চবিত্ত মানুষের হাতে সরকার যতই তামাক খাক, ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড আজও কৃষি ও গ্রাম। অদ্ভুত এক সরকারি উদাসীনতায় ওই দু’টি ক্ষেত্রই চরম উপেক্ষিত। এক কথায়, মোদিজির ভোট বাজেটে গ্রামের মানুষ ও গ্রামীণ অর্থনীতি সম্পূর্ণ ব্রাত্য। ভাবটা এমন, গরিব মানুষকে নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই নেই সরকার বাহাদুরের। বোঝাই যাচ্ছে, রেকর্ড তৃতীয়বার কুর্সিতে বসার দৌড়ে মোদিজির তুরুপের তাস শহরের ভোট। তাই ব্রাত্য কৃষিক্ষেত্র। বরাদ্দ কমেছে ৫ শতাংশ। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনাটিও চরম অবহেলিত। বরাদ্দ ছাঁটাই ৩১ শতাংশ। বরাদ্দ একধাক্কায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনাতেও। অর্থাৎ আর্ন্তজাতিক যে সমীক্ষা রিপোর্ট বছরের শুরুতেই ঝড় তুলেছিল, যাতে বলা হয়েছিল, ভারতে ১ শতাংশের হাতে ৪০ শতাংশ সম্পদ কুক্ষিগত তার রিপোর্টের সত্যতাই কি বাজেট বক্তৃতাতেও প্রমাণিত হচ্ছে। আরও বলা হয়, মোট জিএসটি আদায়ের ৬৪ শতাংশই আসে ৫০ শতাংশ গরিব, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের থেকে। অথচ দেশটা কিন্তু এখনও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বৃহৎ শিল্পপতিদের অঙ্গুলিহেলনে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের আকস্মিক পতনও তাই সরকারের মাথাব্যথার কারণ। প্রশ্ন উঠছে কোন জাদু বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ এমন সংস্থায় বিনিয়োগ করেছে এলআইসি ও স্টেট ব্যাঙ্ক, তা নিয়েও। সরকারি অনুগ্রহ ছাড়া এ জিনিস অসম্ভব!
যুবশক্তির জন্য অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা ৪৭ লক্ষ স্টাইপেন্ড। অথচ দেশে বেকার যুবকের সংখ্যা ৪৪ কোটি। তাহলে এই যোজনা সম্পূর্ণ সফল হলেও মোট বেকারের মাত্র ১ শতাংশও উপকৃত হবে কি না সন্দেহ। আর প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা? এজন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৩৬টি কেন্দ্র খোলা হচ্ছে খুব ভালো কথা। কিন্তু রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, দ্রোণ প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার অর্থ এটাও একটি বিশেষ শ্রেণির জন্য আলাদা করে দেওয়া হল। এতে প্রত্যন্ত গ্রামের গরিব ছেলেমেয়েরা কি উপকৃত হবেন? না পুরোটাই শহুরে ধনী বাড়ির যুবক যুবতীদের কথা ভেবে?
বাজেটে চূড়ান্ত উপেক্ষিত সংখ্যালঘুরাও। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ সামান্য বাড়লেও সংখ্যালঘুদের জন্য টাকা কিন্তু কমে গিয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য আগেরবার বরাদ্দ ছিল ১৬০ কোটি। আর এবার ভোটের আগের বছর তা ছেঁটে করা হয়েছে মাত্র ১০ কোটি। অর্থাৎ কমল প্রায় ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ রামরাজ্যের বাজেট বরাদ্দেও বিভাজনের চোখ রাঙানির উচ্চকিত উপস্থিত। তাহলে সবকা সাথ সবকা বিকাশ শুধু কথার কথা মাত্র! বাজেট তৈরিতেও পুরোমাত্রায় সাম্প্রদায়িক বিচ্ছিন্নতাবাদ কাজ করেছে। সেই সঙ্গে কর্পোরেটদের উপর নিঃশর্ত নির্ভরতা। কিন্তু এই পথে কি মোকাবিলা করা যাবে আসন্ন মন্দার, বেকার সমস্যা ও মূল্যবৃদ্ধির? নাকি অমৃতকালে এক ভয়ঙ্কর সঙ্কটের অপেক্ষায় দেশের অর্থনীতি। উত্তরটা ভবিষ্যতের গর্ভে।
05th  February, 2023
মোদিবাবুর আপন দেশে, গণতন্ত্র সর্বনেশে
সন্দীপন বিশ্বাস

আজ থেকে ঠিক দু’শো বছর আগে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের প্রতিবাদে রাজা রামমোহন রায় তাঁর ফারসি ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্র ‘মীরাৎ-উল-আখবার’-এর পাতায় এক অগ্নিস্রাবী নিবন্ধ লিখেছিলেন।
বিশদ

মোদিজি, অস্ত্র ব্যুমেরাং হবে না তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সাল ২০১৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর। লেখাটা হাত থেকে নামালেন মনমোহন সিং—‘আমার কি পদত্যাগ করা উচিত?’ উল্টোদিকে বসে মন্টেক সিং আলুয়ালিয়া। তৎকালীন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান। আর মনমোহন সিংয়ের বন্ধু।
বিশদ

28th  March, 2023
আইনের নামে রাষ্ট্রের শক্তি প্রদর্শন চলছে
পি চিদম্বরম

শক্তি প্রদর্শন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর তিনি এবং তাঁর সরকার হস্তক্ষেপ করেন না, এবং তাঁরা কখনও হস্তক্ষেপ করেননিও। সুযোগ পেলেই, এটা জোরের সঙ্গে দাবি করেন মাননীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
বিশদ

27th  March, 2023
মমতা রসায়নের তল পাবে বিরোধীরা?
হিমাংশু সিংহ

১৯৮৪ সালে ইন্দিরা হত্যার পর পর সাধারণ নির্বাচনে ধূমকেতুর মতো রাজনীতিতে উত্থান মমতার। যাদবপুরে সিপিএমের কুলীন ব্যারিস্টার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি যে অমন হেলায় হারাবেন তা বিশ্বাস করতে চাননি কেউ। বিশদ

26th  March, 2023
মমতা-মডেল ছাড়া গতি নেই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

টার্গেট সবসময় উঁচুতে বাঁধা হয়। তাতে লক্ষ্যের ধারেকাছে না হোক, অর্ধেকটা গেলেও সম্মান বাঁচে। বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বও সেই নীতিতেই নির্বাচনে আসন লাভের লক্ষ্য স্থির করে। কখনও সখনও শিকে ছিঁড়লেও বেশিরভাগ সময়েই তা মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে সন্দিহান বিজেপির এবার লোকসভার টার্গেট চারশো। বিশদ

25th  March, 2023
মোদি সরকার এত স্বল্পে ভীত কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে মোরারজি দেশাই অনশনে বসেছিলেন। তাঁর অন্যতম দাবি ছিল এক বছর আগে ভেঙে দেওয়া গুজরাত বিধানসভা আবার গঠনের জন্য অবিলম্বে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করা হোক। বিশদ

24th  March, 2023
সিআইএ প্রধানের
কুনজরে আসলে কে?
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস গোটা বিশ্বের কাছে বিশেষ পরিচিত মুখ নন। ফলে, ডিরেক্টর কবে কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে এজেন্সি যেমন কোনও আলোচনা করে না, তেমনই দুনিয়ার কেউ ঘুণাক্ষরে টের পায় না তাঁর গতিবিধি। বিশদ

23rd  March, 2023
অন্য স্বাধীনতার লড়াই কি দুর্বল হচ্ছে?
হারাধন চৌধুরী

শেষ জনগণনা রিপোর্ট সামনে এসেছে ২০১১ সালে। ওই রিপোর্টে ভারতের যে নারীচিত্র প্রকাশিত হয়, তা ভয়াবহ। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের (এনসিপিসিআর) রিপোর্ট অনুসারে, ২০০১ পরবর্তী একদশকে ভারতে ২৯ লক্ষ বাল্যবিবাহের ঘটনা সামনে আসে। বিশদ

22nd  March, 2023
রাজনীতির জটিল জ্যামিতি এবং বিরোধী জোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজনীতি বিষয়টার সঙ্গে বিজ্ঞানের এক অদ্ভুত যোগাযোগ। কখনও মনে হয়, নিউটনের তৃতীয় সূত্রের সঙ্গে এর মিলমিশ সবচেয়ে বেশি। যেমন ক্রিয়া, তার ঠিক সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া। বিশদ

21st  March, 2023
সংসদীয় গণতন্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ চলছে
পি চিদম্বরম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউস ভারতকে ‘আংশিকভাবে মুক্ত গণতন্ত্র’-এর স্তরে রেখেছে। এটা ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে অবনমন বলেই ধরতে হবে। অন্যদিকে, সুইডেনের ভি-ডেম ইনস্টিটিউট ভারতকে ‘ইলেক্টোরাল অটোক্রেসি’ আখ্যা দিয়েছে।
বিশদ

20th  March, 2023
দেশের অপমান নিয়েও রাজনীতি!
হিমাংশু সিংহ

রাজনীতি আমাদের মজ্জায়। দুর্নীতি, লোভ আর উচ্চাকাঙ্ক্ষা শিরায় শিরায়। ডানবাম সবাই এই দোষে কমবেশি দুষ্ট। শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি বড় কম হয়নি। ধর্ম, সম্প্রদায় নিয়েও লড়াই সপ্তমে। অর্থনীতি, সমাজনীতি, কর্মসংস্থান, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, দুর্নীতির আমি তুমি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, সবই সঙ্কীর্ণ দলীয় আকচাআকচির শিকার। বিশদ

19th  March, 2023
মমতাকে চাষি-বিরোধী
প্রমাণ অত সোজা নয়
তন্ময় মল্লিক

মন জয়ের সহজতম উপায় হল, বঞ্চনার অভিমানকে উস্কে দেওয়া। পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তাই বাংলায় শুরু হয়েছে চাষিদের খ্যাপানোর চেষ্টা। বিরোধীদের দাবি, এরাজ্যের চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। অবস্থা এতটাই নাকি খারাপ যে আলুচাষি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশদ

18th  March, 2023
একনজরে
ইতিমধ্যে শিবসেনার নাম ও প্রতীক হাতছাড়া হয়েছে উদ্ধব শিবিরের। এবার মানহানির মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে, তাঁর ছেলে আদিত্য এবং সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে সমন পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট। ...

নামেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কয়েকটি নার্সিংহোমে অপারেশন করাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও দিতে হচ্ছে টাকা। এতে নাজেহাল হতে হচ্ছে রোগীদের পরিবারকে। দালালদের হাত ধরে ...

শক্তিগড়ের গাংপুর স্টেশনের বাইরে যাত্রী তোলা নিয়ে মঙ্গলবার টোটো ও অটোচালকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়। ...

মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পে হাওড়া জেলার ২৭২টি রাস্তার কাজের সূচনা হল। এগুলির মোট দৈর্ঘ্য ২৬৫.৭৯ কিলোমিটার, তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৯০ কোটি টাকা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যালাভের পক্ষে দিনটি উত্তম। ব্যবসার উন্নতি, পেশায় সুনাম। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯৫- পিয়ানো বাদক হিসেবে বেটোভেনের আত্মপ্রকাশ
১৮০৭- জার্মান জ্যোর্তিবিদ উইলহেম অলবার্স ক্ষুদ্রতম গ্রহ ভেস্টা আবিষ্কার করেন
১৮৪৯- লর্ড ডালহৌসি সমগ্র পাঞ্জাবকে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষণাপত্র প্রচার করেন
১৮৫৭- বারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে শুরু হল সিপাহী বিদ্রোহ
১৯২০- ব্রিটিশবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়
১৯২৭- জন রবার্ট ভেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ ফার্মাকোলজিস্ট ও শিক্ষাবিদের জন্ম
১৯৩৯- অভিনেতা জগদীপের জন্ম
১৯৮২- গায়ক অনুপম রায়ের জন্ম
১৯২৯- অভিনেতা উৎপল দত্তের জন্ম
১৯৮২- তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৪ টাকা ৮৩.০৮ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬০ টাকা ১০৩.০০ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৬ টাকা ৯০.৫০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ১৪ চৈত্র, ১৪২৯, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩।  অষ্টমী ৩৮/৪৮ রাত্রি ৯/৮। আর্দ্রা নক্ষত্র ৩৬/১৬ রাত্রি ৮/৭। সূর্যোদয় ৫/৩৬/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ৯/৪০ গতে ১১/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৮ গতে ১০/১০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৭ গতে ৪/৬ মধ্যে।  
১৪ চৈত্র, ১৪২৯, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩।  অষ্টমী রাত্রি ১০/১৯। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৯/২৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪০ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪০ গতে ৪/৯ মধ্যে।  
৬ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রেড রোডে ধর্না মঞ্চ থেকে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেউ কেউ বলছেন আমি নাকি ধর্নায় বসতে পারিনা। আমি তো ...বিশদ

07:07:15 PM

জোকার ইএসআই হাসপাতালের হস্টেলে উদ্ধার ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ
হস্টেল রুমে আত্মঘাতী মেডিক্যাল ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে, আজ, বুধবার সকাল ...বিশদ

04:54:26 PM

ধর্নামঞ্চ থেকে সেভ ইন্ডিয়া সেভ ডেমোক্রেসির ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতাকে এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে 'সেভ ইন্ডিয়া ...বিশদ

04:00:03 PM

দুর্নীতিতে আমার যোগসাজশ প্রমাণ করতে পারলে মৃত্যুবরণ করব: অভিষেক

03:46:28 PM

জয় বাংলা যখন বলবেন, গর্ব করে বলবেন: অভিষেক

03:46:00 PM

একুশের ভোট প্রচারে মহিলাদের অপমান করার পরও প্রধানমন্ত্রীর পদ কেন খারিজ হবে না?: অভিষেক

03:40:00 PM