Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কাদের অপমান করছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ?
সমৃদ্ধ দত্ত

একাধিকবার অনুরোধ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু বারাণসীর শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত ক্ষিতিমোহন সেন বারাণসীর জ্ঞানজগৎ ছেড়ে বোলপুরে গড়ে ওঠা একটি ক্ষুদ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে নারাজ। তিনি বিনীতভাবে নিজের অপারগতা এবং অনিচ্ছার কথা চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তখন এই নতুন ব্রহ্মচর্যাশ্রম নামক শিক্ষার অঙ্কুরকে ভবিষ্যতের জ্ঞান মহীরুহ হিসেবে নির্মাণ করার স্বপ্নে বিভোর এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই তিনি ১৯০৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আবার ক্ষিতিমোহন সেনকে চিঠি লিখে প্রায় অনুনয়ের সুরেই বলেন, ‘আমার একজন সহযোগীর বড়ই প্রয়োজন। এখনও আশা ছাড়তে রাজি নই।’। এই অনুরোধের পর আর আচার্য ক্ষিতিমোহন সেন জেদ বজায় রাখেননি। তিনি সেই বছরের আষাঢ় মাসের রাতে বোলপুর স্টেশনে নামলেন শান্তিনিকেতন আশ্রমে যোগ দিতে। কিন্তু নেমেই দেখলেন ভয়ঙ্কর বৃষ্টি। যানবাহনের ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা ছিল গোরুর গাড়ি। কিন্তু একে রাত্রি। আর এই বৃষ্টি। তাই কোনও গোরুর গাড়িও ছিল না। অতএব রাত কাটাতে হল বোলপুর স্টেশনে।
সামান্য আলো ফুটতেই ক্ষিতিমোহন বেরিয়ে এলেন স্টেশনের বাইরে। পথে হাঁটতে শুরু করলেন। এবং রাস্তায় হাঁটার সময় তিনি একটি অলৌকিক কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন। কেউ একজন গান গাইছে। ‘তুমি আপনি জাগাও মোরে’। আশ্রমে পৌঁছে ক্ষিতিমোহন জানতে পারেন রবীন্দ্রনাথ ভোর তিনটে নাগাদ ঘুম থেকে উঠে পড়েন। আর তারপর ধ্যানে বসেন পূর্বাস্য হয়ে। এরপর এই গান। ক্ষিতিমোহন নিজেই বিস্ময়ের সঙ্গে লিখেছিলেন, শান্তিনিকেতনের দেহলি নামক বাড়ির দোতলায় রবীন্দ্রনাথ গান গাইছেন। আর সেই গান বোলপুর স্টেশনের রাস্তায় শোনা যাচ্ছে, এটা এক আশ্চর্য ঘটনা হলেও এতটাই ছিল রবীন্দ্রনাথের কণ্ঠের শক্তি। সেই প্রথম দিন থেকে ৫০ বছর শান্তিনিকেতনেই রয়ে গিয়েছিলেন আচার্য ক্ষিতিমোহন সেন। এই ব্রহ্মচর্যাশ্রমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ দেওয়ার পথ চলায় তাঁর অবদান অকল্পনীয়। 
কতটা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জ্ঞানী ছিলেন ক্ষিতিমোহন সেন? গত শতকের পাঁচের দশকে অক্সফোর্ডে স্প্যালডিং প্রফেসর হিসেবে প্রাচ্য দর্শন ও নীতিবিদ্যাশাস্ত্র পড়াতেন সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। বিখ্যাত গ্রন্থ প্রকাশনা সংস্থা পেঙ্গু‌ইন বুক ভারতীয় শাস্ত্র সম্পর্কে বই প্রকাশ করতে আগ্রহ প্রকাশ করলে, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ একবাক্যে তাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, আপনারা শান্তিনিকেতনের মহাপণ্ডিত ক্ষিতিমোহন সেনকে অনুরোধ করতে পারেন এই বিষয়ে লিখতে। ভারতে তাঁর মতো হিন্দুশাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত কমই আছে। তবে তিনি হিন্দি, বাংলা অথবা সংস্কৃতে লিখবেন। ইংরাজি অনুবাদকের একজন  ব্যবস্থা করতে হবে। সেই মতোই পেঙ্গুইন বুকসের পক্ষ থেকে ‘হিন্দুধর্ম’ শীর্ষক বই লিখতে বলা হয় ক্ষিতিমোহনকে। এবং সেই বইয়ের ইংরাজি অনুবাদ করেন ক্ষিতিমোহন সেনের দৌহিত্র অমর্ত্য সেন। যিনি অর্থনীতির ছাত্র ও অধ্যাপক হলেও অসামান্য সংস্কৃতজ্ঞ। 
ক্ষিতিমোহন সেনের কন্যা অমিতা সেন রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্যগুলির সিংহভাগের পারফর্মার ছিলেন।  যে নৃত্যশৈলীকে আজ বলা হয় আধুনিক নৃত্য, সেই আধুনিক নৃত্যের স্টাইলও সেই সময় তাঁদের নৃত্যদলের মাধ্যমেই প্রথম চালু হয়। আবার আশ্চর্যজনকভাবে সেই একই নারী জুডো নামক মার্শাল আর্টে ছিলেন পারঙ্গম। নাচ এবং জুডো। সেই সময় যা ছিল বাঙালি শিক্ষিত পরিবারের কাছে যথেষ্ট দূরবর্তী এক বিষয়, চর্চার ক্ষেত্রে। সেই দুটি নিয়েই উৎকর্ষের শীর্ষে যান অমিতা সেন।
ক্ষিতিমোহন সেনকে ব্রহ্মচর্যাশ্রম থেকে দেওয়া হয়েছিল বাসস্থান। গুরুপল্লীতে। আর তাঁর কন্যা ও জামাতা ঢাকা থেকে এসে শ্রীপল্লীতে পৃথক একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। যার নাম দেওয়া হয় প্রতীচী। ক্ষিতিমোহনের স্ত্রী কিরণবালা একাধারে ছিলেন অসামান্য চিত্রশিল্পী এবং ধাত্রীমাতা। আধুনিক সন্তানপ্রসব ব্যবস্থা শিখে তিনি বোলপুর শান্তিনিকেতনের গরিব মানুষের ঘরে ঘরে বিজ্ঞানসম্মতভাবে নিরাপদ উপায়ে মা ও সন্তানকে যাতে বাঁচিয়ে রাখা যায়, সেই লক্ষ্যে নিপূণ প্রসব বিদ্যায় তিনি সেই সময়ে ওই গ্রাম্য এলাকায় ছিলেন কিংবদন্তি। 
বাঙালি হিসেবে আমাদের একটাই সংশয়। বর্তমান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির একাংশ যে অধ্যাপক অমর্ত্য সেনকে লক্ষ্য করে নানাবিধ অসম্মানসূচক লাগাতার মন্তব্য করে চলেন, সেটা কি তাঁদের মনের কথা? নাকি তাঁদের কেরিয়ারের জন্য এরকম করে যাওয়া খুবই প্রয়োজন? কারণ, সকলেই নিজেদের প্রভু অর্থাৎ উপরওয়ালাকে খুশি করতে চায়। যাঁরা লাগাতার অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের নোবেল পাওয়াকে ‘মিথ্যা’ কথা বলে আখ্যা দেন, জমি দখলদার হিসেবে তকমা দিয়ে থাকেন, তাঁরা কি তাঁদের দিল্লিবাসী প্রভুদের খুশি করার জন্য এতটাই মরিয়া যে, নিজেদের বাঙালিয়ানার আইডেন্টিটিকেও জলাঞ্জলি দিতে দ্বিধা করছেন না? 
অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের জগৎজোড়া খ্যাতি ও স্বীকৃতি। বাংলায় ১৯১৩ সালের পর থেকে একাধিক নোবেল এসেছে। অন্য প্রদেশবাসীর মনে ক্ষোভ জমতেই পারে। বিশেষ করে যেসব প্রদেশের প্রতিনিধিরা নিজেদের রাজ্যকে ভারতের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করেন। তাঁদের এই আন্তর্জাতিক নোবেল অথবা অস্কারের ব্যাপারে মনে ঈর্ষা হতেই পারে। যদিও তাঁরা নিছক ওই কারণেই যে অমর্ত্য সেনের উপর ক্ষিপ্ত তা নয়।। অমর্ত্য সেন যেহেতু লাগাতার বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি এবং সাম্প্রদায়িকতার ঩বিরুদ্ধে সরব, প্রতিবাদ করে থাকেন, সেই কারণে তাঁদের এই ক্রোধ। কিন্তু সাধারণ নিয়মে সেই প্রতিবাদ অথবা বিরুদ্ধতার জবাব দেওয়া উচিত পাল্টা যুক্তি কিংবা ঐতিহাসিক রেফারেন্স দিয়ে।
যখনই সেই ইতিহাস অথবা যুক্তির রেফারেন্সকে এড়িয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হবে, অপমান করা হবে এবং সমাজের চোখে প্রতিপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করা হবে অশালীনভাবে, তখনই প্রমাণ হয় যে, আক্রমণকারীদের কাছে ক্ষমতা আছে, যুক্তি নেই। তর্কে তারা পরাস্ত করতে পারছে না অমর্ত্য সেনকে। তাই ব্যক্তি আক্রমণকে বেছে নেওয়া হয়েছে। দুটি অভিযোগ ক্রমাগত করা হচ্ছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতীচী বাড়ির কাছে যত জমি থাকা উচিত, তার থেকে বেশি জমি দখল করে রাখা হয়েছে। ওই জমি ছেড়ে দিতে হবে। আর দ্বিতীয়ত নোবেল পাননি অমর্ত্য সেন। যে বাড়ির সঙ্গে আচার্য ক্ষিতিমোহন সেনের স্মৃতি জড়িয়ে, সেটা নিয়ে এরকম বুক ফুলিয়ে লাগাতার কার্যত অপপ্রচার করার প্রয়াস আদতে কাদের খুব আনন্দ দিচ্ছে? দিল্লীশ্বরদের এবং অন্য প্রদেশবাসীকে। বাঙালির শিক্ষা আইকন হিসেবে যাঁদের নিয়ে আমরা গর্ব করি, তাঁদের প্রকাশ্যে অপমান করা হলে কারা তৃপ্তি পাবে? যারা বাঙালিকে জাতি হিসেবে প্রথম থেকে ইতিহাসগতভাবে পছন্দ করে না। তার ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। তিনি বাঙালির এই অপমানের যোগ্য জবাব দিতে আসরে আবির্ভূত হয়ে সরকারি নথিপত্র প্রকাশ্যে এনে দেখিয়েছেন, বিশ্বভারতীর অভিযোগ অসত্য। বরং তিনি পরোক্ষে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন যে, এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্ন হল, বঙ্গ বিজেপি লাগাতার তাদের দিল্লীশ্বরদের খুশি করতে বাংলা ও বাঙালির বিরাগভাজন হয়ে চলেছে কেন? এই আত্মঘাতী আচরণগুলির কারণ কী? তাদের একাংশ অমর্ত্য সেনকে অপমান করে। তাদের একাংশ আবার বাংলাকে ভাগ করার পক্ষে সওয়াল করে। এসব করে সবথেকে বেশি ক্ষতি তো বঙ্গ বিজেপিরই! 
স্বস্তির কথা অবশ্য একটাই। ভবিষ্যৎ ইতিহাস বিশ্বভারতীর বর্তমান কর্তৃপক্ষ অথবা তাঁদের কোনও মৌলিক অবদানের কথা মনেই রাখবে না। পদ থেকে অপসারিত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁদের নামও ভুলে যাবে ইতিহাস। অধ্যাপক অমর্ত্য সেন, আচার্য ক্ষিতিমোহন সেনদের নাম কিন্তু রয়েই যাবে বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাসে! এই পরিবারটিকে অপমান করার অর্থ কি বাঙালি সংস্কৃতিকেই অপমান করা নয়?
03rd  February, 2023
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
একনজরে
ধুবুড়ির কালবেলায় একটি ছোট ক্যাম্প অফিসে ডাঁই করে রাখা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এইআইইউডিএফের ফ্ল্যাগ। এত ফ্ল্যাগ কবে লাগাবেন? ক্যাম্পের কর্মী আনিমুল হক ...

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করলেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়ম নওয়াজ। শুক্রবার কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ...

বৃহস্পতিবার রাতে উল্লাসে তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ সুনীল মণ্ডলের উল্লাসের বাড়িতে কেক কাটলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। আবার শুক্রবার সকালে প্রাতঃভ্রমণ করার সময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কাউন্সিলার অজিত খাঁ ...

দুবাইয়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল কুস্তিগির দীপক পুনিয়া ও সুজিত কালকের প্যারিস ওলিম্পিকসের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ। কিরগিজস্থানে আয়োজিত এশিয়া কুস্তি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে
১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৪৪: বাংলার নবজাগরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যাযয়ের জন্ম
১৮৭৯: ডিরোজিওর অন্যতম শিষ্য, কলকাতার প্রথম শেরিফ রাজা দিগম্বর মিত্র প্রয়াত হন 
১৮৮৯: ফরাসী বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তিতে স্মারকস্তম্ভ হিসেবে ৯৮৫ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়
১৮৮৯: জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের জন্ম
১৯০৫: অগ্নিযুগের বিপ্লবী, সুভাষচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ অনুগামী জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদারের জন্ম
১৯১২: আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকারের মৃত্যু
১৯১৮: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শওকত আলীর জন্ম
১৯২০: ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী যূথিকা রায়ের জন্ম 
১৯৪৬: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়
১৯৪৮: বলিউড অভিনেত্রী ববিতার জন্ম
১৯৫০: রাজনীতিক তথা অন্ধ্রপ্রদেশের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর জন্ম
১৯৫২: বাংলা ভাষার সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬০: বংশীবাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষের মৃত্যু
১৯৭২: চাঁদের মাটিতে নামল অ্যাপোলো ১৬
১৯৭২: বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির জন্ম
১৯৯৯: কলেরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে ১৩ জনকে হত্যা করে আত্মহত্যা করল এরিক হ্যারিস এবং ডিলান কেবোল্ড
২০১৩: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ১৫০ 
২০১৯ : বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক অমর পালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.১৯ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৮ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৯ টাকা ৯০.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী ৪৩/৩৫ রাত্রি ১০/৪২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ২২/০ দিবা ২/৪। সূর্যোদয় ৫/১৬/৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। রাত্রি ৮/১১ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ১/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।
৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪। দ্বাদশী রাত্রি ১০/৫৮। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র দিবা ২/৪৩। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে ও ২/৩ গতে ৩/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২১ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৬ মধ্যে। 
১০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৫২৬: পানিপথের যুদ্ধে মোগলরা আফগানদের পরাজিত করে ১৭৭০: আজকের দিনে ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া ...বিশদ

08:33:48 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। বৃষ: নতুন ...বিশদ

08:31:22 AM

উপাচার্য: আজ বৈঠক রাজভবনে
উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে ফের বিরোধ বাধল শিক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্যপালের মধ্যে। ...বিশদ

08:10:00 AM

বাসুকি নাগের সন্ধান!
পৌরাণিক কাহিনি কি তবে সত্যি হল? সমুদ্রমন্থনের সময় সাহায্য নেওয়া ...বিশদ

08:05:00 AM

আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

19-04-2024 - 11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

19-04-2024 - 11:15:12 PM