Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উপেক্ষিত সাধারণ মানুষ, লক্ষ্য
শুধুই কর্পোরেট উন্নয়ন
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এমন একটি বাজেট পেশ করা হল যেটি দেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষ কাউকেই ভালো রাখবে না। সরকারের কোষাগারে নিত্য ঋণ বাড়ছে। সেসব কমিয়ে সরকারের নিজের আয় বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব নেই। ফলে ঘাটতি কমানোর কথা ভাষণে বলা হলেও তার কোনও দিশা বাজেটে নেই। কোন পথে সরকারের আয় বাড়বে বা ব্যয় কমবে তার কোনও রোড ম্যাপ নেই। ফলে চাপ বাড়বে সাধারণ মানুষের উপর। আগামী দিনে ঘাটতি হ্রাসের বদলে সরকার নিজেই বাধ্য হবে বিনিয়োগ কমাতে। তাতে নিয়োগ পরিস্থিতি খারাপ হবে। পরিষেবা অথবা ব্যয় সামাল দিতে বাজার থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হবে সরকার। পরিণামে বাড়বে সুদের খরচ এবং জিনিসের দাম। মুদ্রাস্ফীতি কমানো, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, গরিবি কমানো বা অসাম্য দূর করা প্রভৃতি কোনও ক্ষেত্রেই এই বাজেট পাশ নম্বর তুলতে পারেনি।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে সরকারের এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ভাবা হয়েছিল, সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষ সুরাহা এতে থাকবে। কিন্তু তেমন কোনও প্রস্তাবও এল না।
কর ছাড়ের যে-কথা বলা হয়েছে, সেটাও কেবলমাত্র নতুন ব্যবস্থার জন্য। পুরনো করব্যবস্থায় ছাড় বা লাভ তেমন নেই। এই বাজেট থেকে সুবিধা পাবেন সম্পন্ন মধ্যবিত্ত এবং বেশিটাই উচ্চবিত্ত মানুষ। যার যত আয় তার সুবিধা প্রাপ্তি, ছাড় ও লাভ তত বেশি। তাই এই বাজেট সমাজে অসাম্য আরও বেশি বাড়াবে। ছাড় পেলেন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীরা। সাধারণ মানুষের এতে উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। মিউচুয়াল ফান্ড থেকে আয়ের উপর ছাড় নেই। সোনা ও রুপোর দাম বাড়ছে, আরও বাড়বে।
অর্থনীতির উপর এই বাজেটের সামগ্রিক প্রতিক্রিয়া খুবই নেতিবাচক হতে বাধ্য। সুদের হার বাড়বে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার কোনও ভাবনাই নেই। আমদানি শুল্ক হ্রাসের কারণে বাড়বে আমদানি। রপ্তানি বাড়াতে নতুন কোনও ঘোষণা নেই। ফলে, বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতি বাড়বে, যার পরিণামে টাকার দাম কমবে, সমস্ত জিনিসপত্র হবে অগ্নিমূল্য। এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই দেশ চলছে। আগের বাজেটগুলির লাগাতার ভুলের মাশুল গুনছে মানুষ। এইভাবেই নিরন্তর দামবৃদ্ধির চক্রের মধ্যে দিয়ে পেরচ্ছে অর্থনীতি। এই বাজেট তার প্রতিষেধক হিসেবে কিছু ব্যবস্থা নেবে, এটাই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু সেই পথে হাঁটলেনই না নির্মলা সীতারামন।
আসলে অর্থমন্ত্রীর কাছে সাধারণ মানুষকে রেহাই দেওয়ার চাইতে বৃদ্ধির হার বাড়ানোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই মুদ্রাস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা না নিয়েই তিনি উচ্চবিত্তকে ছাড় দিয়ে বাজারে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়াতে চেয়েছেন। যে-রাষ্ট্র এভাবে চলে, তার বাজেট রচিত হয় বড়লোকদের কথা ভেবে। সাধারণের সঞ্চয় বাড়িয়ে চাহিদা বাড়বে, সেই ভাবনাটাই নেই। তাই কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সম্ভাবনা সামান্যই। বড়লোকের ভোগ্যপণ্য নির্ভর শিল্পগুলিতে কর্মী নেওয়ার সুযোগ কমছে। সেখানে এখন চলছে দ্রুত গতিতে রোবোটিক আধুনিকীকরণ। এই বাজেটে ধাক্কা খেল বস্ত্রশিল্প, ব্রাত্য রইল নির্মাণ ও গাড়ি শিল্প, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং পরিষেবা ক্ষেত্র। অথচ আম জনতার চাকরির সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র এইগুলোই। কৃষি, ছোট ব্যবসা এবং গ্রামোন্নয়নের বিকাশে বড় কোনও ঘোষণা নেই।
সরকার আম জনতার কথা ভেবে কোনও প্রস্তাব রাখেনি। তাঁদের জীবিকার স্বার্থে, সঞ্চয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কোনও কথা নেই। অথচ বাজেট প্রস্তাবে সরকার জানিয়েছে, তারা কর ছাড়া নির্ভর করছে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের উপরই বেশি। নতুন বন্ড ছেড়ে খোলা বাজার এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলার কথা বলা হয়েছে। এতে অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ী, সুদের হার আরও বাড়বে। তাতে চাপে পড়বে শিল্প-বাণিজ্য। ফলে নতুন লগ্নি, চাকরি, কর্মসংস্থান কমিয়ে আনা হবে। ছাঁটাই বাড়বে। এদিকে বাজেটে এমন কিছু প্রস্তাব আছে যাতে বড়লোকের আয় এবং অসাম্য বাড়বে। অন্যদিকে, সার্বিকভাবে সাধারণ মানুষ ও দেশের কোষাগারের আয় কমতে বাধ্য।
এই বাজেটের একমাত্র ইতিবাচক দিক হল—পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি। কিন্তু সেটাতেও সাধারণের বিশেষ লাভ নেই। উন্নত পরিকাঠামো তুলে দেওয়া হচ্ছে পেটোয়া কর্পোরেট গোষ্ঠীগুলোর হাতে। এগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকলে বা ব্যবহার করার বরাত সরকারি সংস্থাগুলো পেলে শ্রীবৃদ্ধি হতো দেশের কোষাগারের। সুফল পেত সাধাণ মানুষও। আরও পঞ্চাশটি নতুন বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, শহর, গ্রিন এনার্জি, হাইড্রোজেন জ্বালানি তৈরির প্রকল্প প্রভৃতির বরাত পাবে কর্পোরেট ক্ষেত্র। বাজেটে এই প্রস্তাব দেখে লাফাচ্ছে শেয়ার বাজার। জনগণের সঞ্চয়ের টাকা ব্যাঙ্ক মারফত তারাই ঋণ হিসেবে নেবে, লগ্নি করার জন্য পাবে। লাভের মুনাফা তাই কুক্ষিগত হবে তাদেরই কাছে। এভাবেই বাড়বে অসাম্য। এই দেশে তৈরি হবে আরও কিছু ধনাঢ্য (বিলিয়নেয়ার) মালিক। সরকার চাইছে, আরও অনেক উদ্যোগপতি গড়ে তুলতে। তাই নতুন স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও স্টার্ট আপ গড়ে তোলার বরাদ্দ বেড়েছে। এসবই সমাজের সেই উচ্চস্তরের শিক্ষিত ও পুঁজির মালিকদের জন্য। পরিণামে, আরও ক্ষুধার কষ্ট নিয়ে ঘুমোতে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা যে বাড়বে, তা নিয়ে হেলদোল নেই এই বাজেটের। দাম বৃদ্ধি ও বেকারির যে চাপ সাধারণের উপর পড়বে, তা হ্রাসেরও দিশা দেখানো হয়নি। শুধুই ‘উন্নয়নের’ কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু কার উন্নয়ন? তার কোনও উত্তর নেই। এভাবেই অর্থমন্ত্রীর নানা প্রস্তাবের পর্দা সরিয়ে সেটা বুঝে নিতে হচ্ছে। 
এই বাজেটে আছে রাজনীতির কৌশলী হিসেব। গত নির্বাচনগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে—উচ্চবিত্ত হিন্দু ভোট সংহত করতে পারলে আর দলিত ও আদিবাসী ভোট ক্রমশ বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়লে হিন্দিবলয়ে নরেন্দ্র মোদির প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব। সেদিকে তাকিয়েই নানা প্রস্তাব সাজানো হল এবারের বাজেটে। দলিত ও আদিবাসীদের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে ধর্মীয় উৎসবে উৎসাহ দিয়ে এবং গোবর্ধন স্কিম এনে হিন্দু রাজনীতি ও পুঁজির যৌথ ককটেল তৈরি করল সরকার। এখন দেশে উচ্চবিত্তকেন্দ্রিক অর্থনীতির নির্মাণই মোদির এজেন্ডা। তাদের শহরকেন্দ্রিক উন্নয়নই লক্ষ্য। বাকি মানুষ যেন অন্য ভারতের বাসিন্দা। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ও পুঁজি রাষ্ট্র ভাবনার আধারে জারি রইল ডিজিটাল ইন্ডিয়ার নির্মাণ। এভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট। 
তৈরি হবে নতুন ‘অমৃতকাল’। মোদি-যুগের সুবিধাভোগী কারা? সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণি। সাধারণ মানুষ পাবেন ছিঁটেফোঁটা। নেই সর্বসাধারণের ক্ষমতায়নে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রস্তাব। জনস্বাস্থ্য ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কাঠামো বিস্তারে তাই নেই ব্যয় বরাদ্দ। নেই মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের (এমএসএমই) জন্য ঋণমুক্তির প্রস্তাব। উল্টে এল তাদের আরও লোন প্রদান ও রিফান্ড প্রস্তাব। এই নিদান তাদের ঘুরে দাঁড়াতে বাস্তবিকই কোনও উপকারে আসবে না। তাই অনাহারী কৃষি শ্রমিক, ক্ষুদ্র চাষি এবং সার্বিকভাবে কৃষকের কল্যাণে কোনও বরাদ্দ এই বাজেটে নেই। তুলনায় ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর), আধার ও ব্যবসার জন্য প্যান, ডিজিটাল আইডেন্টিটি, ডিজি লকার তৈরি প্রভৃতিই অগ্রাধিকার পেয়েছে। ভোট পেরলেই মেয়াদ ফুরোবে—এমন স্কিমও চালু করে বলা হচ্ছে এটা প্রধানমন্ত্রীর মহিলা সম্মান! গ্রামে গ্রামে আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধি আম জনতার একমাত্র প্রাপ্তি। বাজেটে উপেক্ষিত দেশ, গ্রাম ও সাধারণ মানুষ। লক্ষ্য কেবলই উচ্চবিত্তের ইন্ডিয়া, যেখানে কর্পোরেট উন্নয়নই শেষ কথা। 
লেখক অর্থনীতির বিশ্লেষক। মতামত ব্যক্তিগত  
02nd  February, 2023
মোদিবাবুর আপন দেশে, গণতন্ত্র সর্বনেশে
সন্দীপন বিশ্বাস

আজ থেকে ঠিক দু’শো বছর আগে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের প্রতিবাদে রাজা রামমোহন রায় তাঁর ফারসি ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্র ‘মীরাৎ-উল-আখবার’-এর পাতায় এক অগ্নিস্রাবী নিবন্ধ লিখেছিলেন।
বিশদ

মোদিজি, অস্ত্র ব্যুমেরাং হবে না তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সাল ২০১৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর। লেখাটা হাত থেকে নামালেন মনমোহন সিং—‘আমার কি পদত্যাগ করা উচিত?’ উল্টোদিকে বসে মন্টেক সিং আলুয়ালিয়া। তৎকালীন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান। আর মনমোহন সিংয়ের বন্ধু।
বিশদ

28th  March, 2023
আইনের নামে রাষ্ট্রের শক্তি প্রদর্শন চলছে
পি চিদম্বরম

শক্তি প্রদর্শন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর তিনি এবং তাঁর সরকার হস্তক্ষেপ করেন না, এবং তাঁরা কখনও হস্তক্ষেপ করেননিও। সুযোগ পেলেই, এটা জোরের সঙ্গে দাবি করেন মাননীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
বিশদ

27th  March, 2023
মমতা রসায়নের তল পাবে বিরোধীরা?
হিমাংশু সিংহ

১৯৮৪ সালে ইন্দিরা হত্যার পর পর সাধারণ নির্বাচনে ধূমকেতুর মতো রাজনীতিতে উত্থান মমতার। যাদবপুরে সিপিএমের কুলীন ব্যারিস্টার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি যে অমন হেলায় হারাবেন তা বিশ্বাস করতে চাননি কেউ। বিশদ

26th  March, 2023
মমতা-মডেল ছাড়া গতি নেই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

টার্গেট সবসময় উঁচুতে বাঁধা হয়। তাতে লক্ষ্যের ধারেকাছে না হোক, অর্ধেকটা গেলেও সম্মান বাঁচে। বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বও সেই নীতিতেই নির্বাচনে আসন লাভের লক্ষ্য স্থির করে। কখনও সখনও শিকে ছিঁড়লেও বেশিরভাগ সময়েই তা মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে সন্দিহান বিজেপির এবার লোকসভার টার্গেট চারশো। বিশদ

25th  March, 2023
মোদি সরকার এত স্বল্পে ভীত কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে মোরারজি দেশাই অনশনে বসেছিলেন। তাঁর অন্যতম দাবি ছিল এক বছর আগে ভেঙে দেওয়া গুজরাত বিধানসভা আবার গঠনের জন্য অবিলম্বে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করা হোক। বিশদ

24th  March, 2023
সিআইএ প্রধানের
কুনজরে আসলে কে?
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস গোটা বিশ্বের কাছে বিশেষ পরিচিত মুখ নন। ফলে, ডিরেক্টর কবে কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে এজেন্সি যেমন কোনও আলোচনা করে না, তেমনই দুনিয়ার কেউ ঘুণাক্ষরে টের পায় না তাঁর গতিবিধি। বিশদ

23rd  March, 2023
অন্য স্বাধীনতার লড়াই কি দুর্বল হচ্ছে?
হারাধন চৌধুরী

শেষ জনগণনা রিপোর্ট সামনে এসেছে ২০১১ সালে। ওই রিপোর্টে ভারতের যে নারীচিত্র প্রকাশিত হয়, তা ভয়াবহ। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের (এনসিপিসিআর) রিপোর্ট অনুসারে, ২০০১ পরবর্তী একদশকে ভারতে ২৯ লক্ষ বাল্যবিবাহের ঘটনা সামনে আসে। বিশদ

22nd  March, 2023
রাজনীতির জটিল জ্যামিতি এবং বিরোধী জোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজনীতি বিষয়টার সঙ্গে বিজ্ঞানের এক অদ্ভুত যোগাযোগ। কখনও মনে হয়, নিউটনের তৃতীয় সূত্রের সঙ্গে এর মিলমিশ সবচেয়ে বেশি। যেমন ক্রিয়া, তার ঠিক সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া। বিশদ

21st  March, 2023
সংসদীয় গণতন্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ চলছে
পি চিদম্বরম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউস ভারতকে ‘আংশিকভাবে মুক্ত গণতন্ত্র’-এর স্তরে রেখেছে। এটা ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে অবনমন বলেই ধরতে হবে। অন্যদিকে, সুইডেনের ভি-ডেম ইনস্টিটিউট ভারতকে ‘ইলেক্টোরাল অটোক্রেসি’ আখ্যা দিয়েছে।
বিশদ

20th  March, 2023
দেশের অপমান নিয়েও রাজনীতি!
হিমাংশু সিংহ

রাজনীতি আমাদের মজ্জায়। দুর্নীতি, লোভ আর উচ্চাকাঙ্ক্ষা শিরায় শিরায়। ডানবাম সবাই এই দোষে কমবেশি দুষ্ট। শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি বড় কম হয়নি। ধর্ম, সম্প্রদায় নিয়েও লড়াই সপ্তমে। অর্থনীতি, সমাজনীতি, কর্মসংস্থান, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, দুর্নীতির আমি তুমি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, সবই সঙ্কীর্ণ দলীয় আকচাআকচির শিকার। বিশদ

19th  March, 2023
মমতাকে চাষি-বিরোধী
প্রমাণ অত সোজা নয়
তন্ময় মল্লিক

মন জয়ের সহজতম উপায় হল, বঞ্চনার অভিমানকে উস্কে দেওয়া। পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তাই বাংলায় শুরু হয়েছে চাষিদের খ্যাপানোর চেষ্টা। বিরোধীদের দাবি, এরাজ্যের চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। অবস্থা এতটাই নাকি খারাপ যে আলুচাষি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশদ

18th  March, 2023
একনজরে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এক ...

ডিটেনশন ক্যাম্পে আগুন লেগে মৃত্যু হল ৩৯ জন শরণার্থীর। আহত আরও ২৯। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমেরিকায় অবৈধভাবে ঢোকার ...

ইতিমধ্যে শিবসেনার নাম ও প্রতীক হাতছাড়া হয়েছে উদ্ধব শিবিরের। এবার মানহানির মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে, তাঁর ছেলে আদিত্য এবং সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে সমন পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট। ...

রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত ফুটবল লিগে বুধবার মহমেডান স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হবে ইস্ট বেঙ্গল। বারাকপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া দুই শিবির। উল্লেখ্য, সোমবার জামশেদপুর এফসি’র কাছে ২-৩ গোলে হারের মুখ দেখেছে বিনো জর্জের দল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যালাভের পক্ষে দিনটি উত্তম। ব্যবসার উন্নতি, পেশায় সুনাম। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯৫- পিয়ানো বাদক হিসেবে বেটোভেনের আত্মপ্রকাশ
১৮০৭- জার্মান জ্যোর্তিবিদ উইলহেম অলবার্স ক্ষুদ্রতম গ্রহ ভেস্টা আবিষ্কার করেন
১৮৪৯- লর্ড ডালহৌসি সমগ্র পাঞ্জাবকে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষণাপত্র প্রচার করেন
১৮৫৭- বারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে শুরু হল সিপাহী বিদ্রোহ
১৯২০- ব্রিটিশবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়
১৯২৭- জন রবার্ট ভেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ ফার্মাকোলজিস্ট ও শিক্ষাবিদের জন্ম
১৯৩৯- অভিনেতা জগদীপের জন্ম
১৯৮২- গায়ক অনুপম রায়ের জন্ম
১৯২৯- অভিনেতা উৎপল দত্তের জন্ম
১৯৮২- তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৪ টাকা ৮৩.০৮ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬০ টাকা ১০৩.০০ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৬ টাকা ৯০.৫০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ১৪ চৈত্র, ১৪২৯, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩।  অষ্টমী ৩৮/৪৮ রাত্রি ৯/৮। আর্দ্রা নক্ষত্র ৩৬/১৬ রাত্রি ৮/৭। সূর্যোদয় ৫/৩৬/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ৯/৪০ গতে ১১/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৮ গতে ১০/১০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৭ গতে ৪/৬ মধ্যে।  
১৪ চৈত্র, ১৪২৯, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩।  অষ্টমী রাত্রি ১০/১৯। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৯/২৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪০ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪০ গতে ৪/৯ মধ্যে।  
৬ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রেড রোডে ধর্না মঞ্চ থেকে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেউ কেউ বলছেন আমি নাকি ধর্নায় বসতে পারিনা। আমি তো ...বিশদ

07:07:15 PM

জোকার ইএসআই হাসপাতালের হস্টেলে উদ্ধার ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ
হস্টেল রুমে আত্মঘাতী মেডিক্যাল ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে, আজ, বুধবার সকাল ...বিশদ

04:54:26 PM

ধর্নামঞ্চ থেকে সেভ ইন্ডিয়া সেভ ডেমোক্রেসির ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতাকে এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে 'সেভ ইন্ডিয়া ...বিশদ

04:00:03 PM

দুর্নীতিতে আমার যোগসাজশ প্রমাণ করতে পারলে মৃত্যুবরণ করব: অভিষেক

03:46:28 PM

জয় বাংলা যখন বলবেন, গর্ব করে বলবেন: অভিষেক

03:46:00 PM

একুশের ভোট প্রচারে মহিলাদের অপমান করার পরও প্রধানমন্ত্রীর পদ কেন খারিজ হবে না?: অভিষেক

03:40:00 PM