Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উপেক্ষিত সাধারণ মানুষ, লক্ষ্য
শুধুই কর্পোরেট উন্নয়ন
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

এমন একটি বাজেট পেশ করা হল যেটি দেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষ কাউকেই ভালো রাখবে না। সরকারের কোষাগারে নিত্য ঋণ বাড়ছে। সেসব কমিয়ে সরকারের নিজের আয় বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব নেই। ফলে ঘাটতি কমানোর কথা ভাষণে বলা হলেও তার কোনও দিশা বাজেটে নেই। কোন পথে সরকারের আয় বাড়বে বা ব্যয় কমবে তার কোনও রোড ম্যাপ নেই। ফলে চাপ বাড়বে সাধারণ মানুষের উপর। আগামী দিনে ঘাটতি হ্রাসের বদলে সরকার নিজেই বাধ্য হবে বিনিয়োগ কমাতে। তাতে নিয়োগ পরিস্থিতি খারাপ হবে। পরিষেবা অথবা ব্যয় সামাল দিতে বাজার থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হবে সরকার। পরিণামে বাড়বে সুদের খরচ এবং জিনিসের দাম। মুদ্রাস্ফীতি কমানো, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, গরিবি কমানো বা অসাম্য দূর করা প্রভৃতি কোনও ক্ষেত্রেই এই বাজেট পাশ নম্বর তুলতে পারেনি।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে সরকারের এটাই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ভাবা হয়েছিল, সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষ সুরাহা এতে থাকবে। কিন্তু তেমন কোনও প্রস্তাবও এল না।
কর ছাড়ের যে-কথা বলা হয়েছে, সেটাও কেবলমাত্র নতুন ব্যবস্থার জন্য। পুরনো করব্যবস্থায় ছাড় বা লাভ তেমন নেই। এই বাজেট থেকে সুবিধা পাবেন সম্পন্ন মধ্যবিত্ত এবং বেশিটাই উচ্চবিত্ত মানুষ। যার যত আয় তার সুবিধা প্রাপ্তি, ছাড় ও লাভ তত বেশি। তাই এই বাজেট সমাজে অসাম্য আরও বেশি বাড়াবে। ছাড় পেলেন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীরা। সাধারণ মানুষের এতে উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই। মিউচুয়াল ফান্ড থেকে আয়ের উপর ছাড় নেই। সোনা ও রুপোর দাম বাড়ছে, আরও বাড়বে।
অর্থনীতির উপর এই বাজেটের সামগ্রিক প্রতিক্রিয়া খুবই নেতিবাচক হতে বাধ্য। সুদের হার বাড়বে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার কোনও ভাবনাই নেই। আমদানি শুল্ক হ্রাসের কারণে বাড়বে আমদানি। রপ্তানি বাড়াতে নতুন কোনও ঘোষণা নেই। ফলে, বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতি বাড়বে, যার পরিণামে টাকার দাম কমবে, সমস্ত জিনিসপত্র হবে অগ্নিমূল্য। এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই দেশ চলছে। আগের বাজেটগুলির লাগাতার ভুলের মাশুল গুনছে মানুষ। এইভাবেই নিরন্তর দামবৃদ্ধির চক্রের মধ্যে দিয়ে পেরচ্ছে অর্থনীতি। এই বাজেট তার প্রতিষেধক হিসেবে কিছু ব্যবস্থা নেবে, এটাই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু সেই পথে হাঁটলেনই না নির্মলা সীতারামন।
আসলে অর্থমন্ত্রীর কাছে সাধারণ মানুষকে রেহাই দেওয়ার চাইতে বৃদ্ধির হার বাড়ানোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই মুদ্রাস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা না নিয়েই তিনি উচ্চবিত্তকে ছাড় দিয়ে বাজারে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়াতে চেয়েছেন। যে-রাষ্ট্র এভাবে চলে, তার বাজেট রচিত হয় বড়লোকদের কথা ভেবে। সাধারণের সঞ্চয় বাড়িয়ে চাহিদা বাড়বে, সেই ভাবনাটাই নেই। তাই কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সম্ভাবনা সামান্যই। বড়লোকের ভোগ্যপণ্য নির্ভর শিল্পগুলিতে কর্মী নেওয়ার সুযোগ কমছে। সেখানে এখন চলছে দ্রুত গতিতে রোবোটিক আধুনিকীকরণ। এই বাজেটে ধাক্কা খেল বস্ত্রশিল্প, ব্রাত্য রইল নির্মাণ ও গাড়ি শিল্প, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং পরিষেবা ক্ষেত্র। অথচ আম জনতার চাকরির সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র এইগুলোই। কৃষি, ছোট ব্যবসা এবং গ্রামোন্নয়নের বিকাশে বড় কোনও ঘোষণা নেই।
সরকার আম জনতার কথা ভেবে কোনও প্রস্তাব রাখেনি। তাঁদের জীবিকার স্বার্থে, সঞ্চয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কোনও কথা নেই। অথচ বাজেট প্রস্তাবে সরকার জানিয়েছে, তারা কর ছাড়া নির্ভর করছে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের উপরই বেশি। নতুন বন্ড ছেড়ে খোলা বাজার এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলার কথা বলা হয়েছে। এতে অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ী, সুদের হার আরও বাড়বে। তাতে চাপে পড়বে শিল্প-বাণিজ্য। ফলে নতুন লগ্নি, চাকরি, কর্মসংস্থান কমিয়ে আনা হবে। ছাঁটাই বাড়বে। এদিকে বাজেটে এমন কিছু প্রস্তাব আছে যাতে বড়লোকের আয় এবং অসাম্য বাড়বে। অন্যদিকে, সার্বিকভাবে সাধারণ মানুষ ও দেশের কোষাগারের আয় কমতে বাধ্য।
এই বাজেটের একমাত্র ইতিবাচক দিক হল—পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি। কিন্তু সেটাতেও সাধারণের বিশেষ লাভ নেই। উন্নত পরিকাঠামো তুলে দেওয়া হচ্ছে পেটোয়া কর্পোরেট গোষ্ঠীগুলোর হাতে। এগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকলে বা ব্যবহার করার বরাত সরকারি সংস্থাগুলো পেলে শ্রীবৃদ্ধি হতো দেশের কোষাগারের। সুফল পেত সাধাণ মানুষও। আরও পঞ্চাশটি নতুন বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, শহর, গ্রিন এনার্জি, হাইড্রোজেন জ্বালানি তৈরির প্রকল্প প্রভৃতির বরাত পাবে কর্পোরেট ক্ষেত্র। বাজেটে এই প্রস্তাব দেখে লাফাচ্ছে শেয়ার বাজার। জনগণের সঞ্চয়ের টাকা ব্যাঙ্ক মারফত তারাই ঋণ হিসেবে নেবে, লগ্নি করার জন্য পাবে। লাভের মুনাফা তাই কুক্ষিগত হবে তাদেরই কাছে। এভাবেই বাড়বে অসাম্য। এই দেশে তৈরি হবে আরও কিছু ধনাঢ্য (বিলিয়নেয়ার) মালিক। সরকার চাইছে, আরও অনেক উদ্যোগপতি গড়ে তুলতে। তাই নতুন স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও স্টার্ট আপ গড়ে তোলার বরাদ্দ বেড়েছে। এসবই সমাজের সেই উচ্চস্তরের শিক্ষিত ও পুঁজির মালিকদের জন্য। পরিণামে, আরও ক্ষুধার কষ্ট নিয়ে ঘুমোতে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা যে বাড়বে, তা নিয়ে হেলদোল নেই এই বাজেটের। দাম বৃদ্ধি ও বেকারির যে চাপ সাধারণের উপর পড়বে, তা হ্রাসেরও দিশা দেখানো হয়নি। শুধুই ‘উন্নয়নের’ কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু কার উন্নয়ন? তার কোনও উত্তর নেই। এভাবেই অর্থমন্ত্রীর নানা প্রস্তাবের পর্দা সরিয়ে সেটা বুঝে নিতে হচ্ছে। 
এই বাজেটে আছে রাজনীতির কৌশলী হিসেব। গত নির্বাচনগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে—উচ্চবিত্ত হিন্দু ভোট সংহত করতে পারলে আর দলিত ও আদিবাসী ভোট ক্রমশ বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়লে হিন্দিবলয়ে নরেন্দ্র মোদির প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব। সেদিকে তাকিয়েই নানা প্রস্তাব সাজানো হল এবারের বাজেটে। দলিত ও আদিবাসীদের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে ধর্মীয় উৎসবে উৎসাহ দিয়ে এবং গোবর্ধন স্কিম এনে হিন্দু রাজনীতি ও পুঁজির যৌথ ককটেল তৈরি করল সরকার। এখন দেশে উচ্চবিত্তকেন্দ্রিক অর্থনীতির নির্মাণই মোদির এজেন্ডা। তাদের শহরকেন্দ্রিক উন্নয়নই লক্ষ্য। বাকি মানুষ যেন অন্য ভারতের বাসিন্দা। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ও পুঁজি রাষ্ট্র ভাবনার আধারে জারি রইল ডিজিটাল ইন্ডিয়ার নির্মাণ। এভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট। 
তৈরি হবে নতুন ‘অমৃতকাল’। মোদি-যুগের সুবিধাভোগী কারা? সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণি। সাধারণ মানুষ পাবেন ছিঁটেফোঁটা। নেই সর্বসাধারণের ক্ষমতায়নে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রস্তাব। জনস্বাস্থ্য ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কাঠামো বিস্তারে তাই নেই ব্যয় বরাদ্দ। নেই মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের (এমএসএমই) জন্য ঋণমুক্তির প্রস্তাব। উল্টে এল তাদের আরও লোন প্রদান ও রিফান্ড প্রস্তাব। এই নিদান তাদের ঘুরে দাঁড়াতে বাস্তবিকই কোনও উপকারে আসবে না। তাই অনাহারী কৃষি শ্রমিক, ক্ষুদ্র চাষি এবং সার্বিকভাবে কৃষকের কল্যাণে কোনও বরাদ্দ এই বাজেটে নেই। তুলনায় ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর), আধার ও ব্যবসার জন্য প্যান, ডিজিটাল আইডেন্টিটি, ডিজি লকার তৈরি প্রভৃতিই অগ্রাধিকার পেয়েছে। ভোট পেরলেই মেয়াদ ফুরোবে—এমন স্কিমও চালু করে বলা হচ্ছে এটা প্রধানমন্ত্রীর মহিলা সম্মান! গ্রামে গ্রামে আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধি আম জনতার একমাত্র প্রাপ্তি। বাজেটে উপেক্ষিত দেশ, গ্রাম ও সাধারণ মানুষ। লক্ষ্য কেবলই উচ্চবিত্তের ইন্ডিয়া, যেখানে কর্পোরেট উন্নয়নই শেষ কথা। 
লেখক অর্থনীতির বিশ্লেষক। মতামত ব্যক্তিগত  
02nd  February, 2023
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ফুলবাগান এলাকায় গার্ডরেল ভেঙে দুই শিশু সহ ৩ জনকে ধাক্কা মারল গাড়ি, উত্তেজনা

05:23:00 PM

মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরিতে রোড শো গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের

05:16:34 PM

গুয়াহাটিতে র‌্যালি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার

05:09:34 PM

পুনের আহমেদনগর রোডে একটি শপিং মলে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন

04:59:21 PM

বিয়ে সেরেই ভোট দিতে ছুটলেন নবদম্পতি
জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরের একটি বুথে হঠাৎই বেধে গেল হইচই। ভোটের দিন ...বিশদ

04:43:36 PM

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধপরিস্থিতি: আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত ও তেল আভিভের মধ্যে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখল এয়ার ইন্ডিয়া

04:39:42 PM