Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রতারক স্যাম, ক্রিপ্টো দুনিয়ার পতন
মৃণালকান্তি দাস

অশরীরী মুদ্রার খেলা দেখেছিল আমেরিকা! গত বছর ঠিক এই সময় ন্যাশনাল ফুটবল লিগ জিতেছিল লস অ্যাঞ্জেলেস র‌্যামস। ফাইনালে হেরে গিয়েছিল সিনসিনাটি বেঙ্গলস। শুধু খেলা নয়, সেই রাতে প্রায় ১০ কোটি দর্শকের চোখ আটকে গিয়েছিল মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেলগুলির প্রচারিত বিজ্ঞাপনে। একরাশ উত্তেজনা নিয়ে আমেরিকানরা দেখেছিলেন, খেলার ফাঁকে ফাঁকে ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির ‘অবাক করা’ বিজ্ঞাপন। যেখানে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি বেচাকেনার প্ল্যাটফর্ম ‘এফটিএক্স’র বিজ্ঞাপন। তাতে ক্রিপ্টোর নিরাপদ ও সহজ পথ হিসেবে পরিচিত করাতে আসরে নামানো হয় আমেরিকার বিখ্যাত কমেডিয়ান ল্যারি ডেভিডকে। কোকাকোলা কিংবা জেনারেল মোটরসের মতো প্রথম সারির কোম্পানিগুলিকে পিছনে ফেলে ডিজিটাল মুদ্রার এমন ‘দামি’ বিজ্ঞাপন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা শুরু হয়ে যায়। তাহলে কি এতদিনে ডিজিটাল মুদ্রা সাবালক হয়ে উঠল? উত্তর পেতে বেশি সময় লাগেনি।
দুনিয়াজুড়ে এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, ক্রিপ্টোকারেন্সি কী? কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ক্রিপ্টোলজি ব্যবহার করে যে বৈদ্যুতিন মুদ্রা তৈরি হয়, তারই নাম ক্রিপ্টোকারেন্সি। এই মুদ্রা হাতে ছোঁয়ার উপায় নেই, এর অস্তিত্ব শুধুমাত্র ভার্চুয়াল জগতে। ‘ব্লকচেন’ নামে এক প্রযুক্তি দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করে এই অশরীরী মুদ্রা। এই ব্যবস্থায় প্রতিটি লেনদেন যেভাবে ডিজিটাল ব্লকের মাধ্যমে চিহ্নিত করা থাকে, সেই ‘ব্লকচেন’ ভেদ করা প্রযুক্তিগত ভাবে অসম্ভব, এমনটাই দাবি। এই আর্থিক ব্যবস্থায় ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা আমেরিকার ফেডারেল ব্যাঙ্কের মতো কোনও নিয়ন্ত্রক সংস্থা নেই। যে কোনও দুই সংস্থা বা ব্যক্তির ক্রিপটোকারেন্সি অ্যাকাউন্ট থাকলে তাঁরা কোনও নগদ ছাড়াই নিজেদের মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করতে পারেন। কোনও বিপণির ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাকাউন্ট থাকলে সেখান থেকে গ্রাহকরা ক্রিপ্টোকারেন্সিতেই জিনিসপত্র কিনতে পারেন। ছাপোষা মানুষের ক্রিপ্টোমুদ্রা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে হলে প্রচলিত ধারা মেনে বিনিয়োগ করা ছাড়া অন্য উপায় নেই। অর্থাৎ টাকা-ডলার-পাউন্ড ভাঙিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে আশা রাখতে হবে যে এর মূল্য দিন দিন বাড়বে। নিয়ন্ত্রণমুক্ত এই আর্থিক ব্যবস্থার পক্ষে দীর্ঘদিন ধরেই সওয়াল করে আসছেন পৃথিবীর প্রযুক্তিবিদদের একাংশ। 
এই মুদ্রার জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ, এতে লেনদেনকারীর পরিচয় গোপন থাকে। তার বদলে ব্যবহার হয় সঙ্কেতলিপি। অর্থাৎ, অন্য ডিজিটাল লেনদেনে যেমন বলা যায়, তা কার কাছ থেকে কার কাছে গিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে তা বলা যায় না। শুধু জানা যায় এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্যটিতে তার লেনদেন হয়েছে। তবে যদি এক্সচেঞ্জের লেনদেন (ট্রেডিং) করতে চান অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সি ভাঙিয়ে টাকা হাতে নিতে চান, তা হলে পরিচয় গোপন রাখা শক্ত। বিনিয়োগের সুফল দ্রুত মিলবে, এমন আশ্বাসে ক্রেতা টেনেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি বেচাকেনার প্ল্যাটফর্মগুলি। তথাকথিত ক্রিপ্টো ওয়ালেটকে ব্যাঙ্কের সঞ্চয়ী হিসেবের মতো করে তৈরি করা হয়। এতে উচ্চ হারে সুদের অফারও রয়েছে। প্রচলিত মুদ্রার উপর যাঁরা আস্থা হারিয়েছেন, তাঁদের কাছে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের বাড়তি সুবিধা হল, লেনদেনের ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী কোনও নিয়ন্ত্রক নিয়ে চিন্তা নেই।
কিন্তু অশরীরী মুদ্রার উপর মানুষের বিশ্বাস জমাট বাধার আগেই মাত্র তিন মাসের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়তে থাকে প্রথাগত আর্থিক মডেলের বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হওয়া ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি। একের পর এক। গত বছর মে মাসে ‍দুই ভার্চুয়াল মুদ্রা টেরাইউএসডি ও লুনার ব্যাপক পতন হয়। প্রায় সব দর হারায় মুদ্রা দু’টি। রাতারাতি ক্রিপ্টোমার্কেট থেকে উধাও হয়ে যায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় সিঙ্গাপুরভিত্তিক ক্রিপ্টো হেজ ফান্ড ‘থ্রি অ্যারোজ ক্যাপিটাল’। এরপরই দেউলিয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে নথিভুক্ত হওয়ার আবেদন করে ‘ভয়েজার ডিজিটাল’ ও ‘সেলসিয়াস নেটওয়ার্ক’। দু’টি প্রতিষ্ঠানই অর্থ ধার দিয়েছিল থ্রি অ্যারোজ ক্যাপিটালকে। ‘এফটিএক্স’-এর পতন হয় আরও কয়েক মাস পরে। গত নভেম্বরে। পরের মাসেই উত্তর আমেরিকার বাহামাস থেকে গ্রেপ্তার হন এফটিএক্সের প্রতিষ্ঠাতা স্যামুয়েল বেঞ্জামিন ব্যাংকম্যান-ফ্রিড। যাঁর বিরুদ্ধে আনা হয় প্রতারণার অভিযোগ। আমেরিকার সিয়াটেল ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের অধ্যাপক টিম লিউংয়ের কথায়, আগামী দিনে আরও অনেক দুঃসংবাদ হাজির হবে। দুনিয়ায় ক্রিপ্টো শীতের বদলে ক্রিপ্টো বরফ যুগ আসার শঙ্কাই বেশি...।
ক্রিপ্টোকারেন্সির কিং স্যামের পতন যতটা হতাশাজনক, উত্থান তার চেয়েও অনেক নাটকীয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স আত্মপ্রকাশ করে ২০১৯ সালে। এর আগে স্যাম ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ার মার্কেটে শেয়ার লেনদেনকারী হিসেবে কাজ করতেন। অঙ্কে মেধাবী, ধারালো বুদ্ধির স্যাম শেয়ার ব্যবসা ছেড়ে এসেছিলেন ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবসায়। তাঁর সঙ্গে সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন গুগলের প্রাক্তন কর্মী গ্যারি ওয়াং। তাঁদের হাত ধরেই এফটিএক্স বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জে পরিণত হয়েছিল। যার গ্রাহকসংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি। প্রতিদিন এখানে এক হাজার কোটি ডলারের ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন হতো। মাত্র পাঁচ বছরে স্যাম আয় করেছিলেন ৩২ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে তরুণ বিলিয়নিয়ারের তালিকায় নাম লেখান এই মার্কিন বিনিয়োগকারী। রাতারাতি ধনী হওয়ার গল্প তখন আমেরিকার ঘরে ঘরে। কী করেন, কী খান, কেমন জীবনযাপন—সব।
নিরামিষাশী স্যাম রাতে ঘুমোন মাত্র ৪ ঘণ্টা। ভিডিও গেম খেলা তাঁর নেশা। প্রিয় গেম লিগ অব লিজেন্ডস। কেন তিনি এই গেম খেলেন তার কারণ ব্যাখ্যা করে একাধিক টুইটে স্যাম বলেছিলেন, ‘এই লড়াইয়ের খেলা খেলতে খেলতেই তার মাথা থেকে কোম্পানির প্রতিদিনের কোটি কোটি ডলারের ব্যবসার দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়।’ ফরচুন ম্যাগাজিন একসময় স্যামকে আগামী দিনের ওয়ারেন বাফেট হিসেবেও বলা শুরু করেছিল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে গত নভেম্বরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেউলিয়া হন ক্রিপ্টোকারেন্সির এই বিলিয়নিয়ার। ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মগুলি যখন কুখ্যাত, তখনও এফটিএক্স নিজেদের বিশ্বস্ত হিসেবে জানান দিত। রাজনীতিবিদদের তহবিলে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার জোগান দিয়েছিলেন এমআইটির একসময়ের তুখোড় ছাত্র স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রিড। সবসময় দাবি করতেন, তাঁর অর্থ উপার্জনের একমাত্র কারণ ভালো কাজ করা। কিন্তু সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন জানিয়েছে, ব্যক্তিগত সুবিধের জন্যই গ্রাহকদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নয়ছয় করেছেন তিনি। কমিশনের দাবি, স্যাম প্রতারণা শুরু করেছিলেন একেবারে প্রথম থেকেই।
‘দ্য উইজার্ড অব লাইজ’ গ্রন্থের লেখক ডায়না হেনরিকসের কথায়, গড়পড়তা বিনিয়োগকারীরা বিনাপ্রশ্নে স্যামকে বিশ্বাস করেছিলেন। একজন প্রতারকের সবচেয়ে অপরিহার্য গুণ, তারা এমনভাবে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেন যা কখনও টলে না। এমনকী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও নেতিবাচক তথ্য মানুষের জানা থাকলেও। এফএফটিএক্সের গ্রাহকদের কাছেও সংস্থাটিকে বিশ্বাস করার মতো পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ ছিল না। তারপরও তারা স্রেফ বিশ্বাসের উপর ভর করে বিনিয়োগে এগিয়ে গিয়েছিলেন। স্যাম গ্রেপ্তার হওয়ার পর জানা যায়, ৫০টি বড় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে এফটিএক্সের দেনার পরিমাণ তিনশো কোটি ডলারের বেশি। এফটিএক্স-এ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে কারা কারা অর্থ খুইয়েছেন তার সম্পূর্ণ তালিকা এখনও জানা যায়নি। তবে এই প্ল্যাটফর্মটির ইকুইটি ইনভেস্টর ছিলেন মার্কিন ফুটবলার টম ব্যাডি ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী, মডেল জিজেল বুন্ডশেন প্রমুখ। এফটিএক্স’র বিজ্ঞাপনেও দেখা গিয়েছিল তাঁদের। এই কোম্পানিকে সমর্থন জানাতে দেখা গিয়েছে কমেডিয়ান ল্যারি ডেভিড, টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা, প্রাক্তন বাস্কেটবল তারকা শাকিল ও’নিল ও মার্কিন টিভি সিরিজ শার্ক ট্যাঙ্ক তারকা কেভিন ও’লিরিকে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন পর্ষদের রিপোর্ট জানাচ্ছে, দেশবাসীর ক্রিপ্টো হাতে রাখার ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ইউক্রেন (১২.৭ শতাংশ) ও রাশিয়া (১১.৯ শতাংশ)। গত ফেব্রুয়ারি থেকে যুদ্ধ চলছে যাদের মধ্যে। তার পরে যথাক্রমে ভেনেজুয়েলা (১০.৩ শতাংশ), সিঙ্গাপুর (৯.৪ শতাংশ), কেনিয়া (৮.৫ শতাংশ) ও আমেরিকা (৮.৩ শতাংশ)। ২০টি দেশের তালিকায় ভারতের স্থান সপ্তম। আর এর মধ্যে ১৫টিই উন্নয়নশীল দেশ। রাষ্ট্রসঙ্ঘ বলছে, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এর ব্যবহার বেড়েছে মূলত দ্রুত লেনদেনের সুবিধা থাকায় এবং মুদ্রার দামের পতন ও মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকি এড়ানোর মাধ্যম হিসেবে। কিন্তু তা তৈরি করছে বেশ কিছু আশঙ্কাও। যেমন এতে বাড়তে পারে ক্রিপ্টোর মাধ্যমে কর ফাঁকি, বেআইনি লেনদেন। প্রথাগত মুদ্রায় কমতে পারে নিয়ন্ত্রকের দখল। ক্রিপ্টোর ব্যবহার বিপুল বাড়লে তা আঘাত করতে পারে দেশের আর্থিক সার্বভৌমত্বেও। বিশেষত যে সব দেশে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে নেমেছে, তাদের ক্ষেত্রে ক্রিপ্টো বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। কেমন ঝুঁকি, তা টের পাচ্ছে আমেরিকা!
সেই কবে ডায়না হেনরিকস লিখেছিলেন, ‘চোখের পলকে এক সুদর্শন রাজপুত্র কুৎসিত ব্যাঙে পরিণত হয়েছে।’ 
 
02nd  February, 2023
মোদিবাবুর আপন দেশে, গণতন্ত্র সর্বনেশে
সন্দীপন বিশ্বাস

আজ থেকে ঠিক দু’শো বছর আগে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের প্রতিবাদে রাজা রামমোহন রায় তাঁর ফারসি ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্র ‘মীরাৎ-উল-আখবার’-এর পাতায় এক অগ্নিস্রাবী নিবন্ধ লিখেছিলেন।
বিশদ

মোদিজি, অস্ত্র ব্যুমেরাং হবে না তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সাল ২০১৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর। লেখাটা হাত থেকে নামালেন মনমোহন সিং—‘আমার কি পদত্যাগ করা উচিত?’ উল্টোদিকে বসে মন্টেক সিং আলুয়ালিয়া। তৎকালীন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান। আর মনমোহন সিংয়ের বন্ধু।
বিশদ

28th  March, 2023
আইনের নামে রাষ্ট্রের শক্তি প্রদর্শন চলছে
পি চিদম্বরম

শক্তি প্রদর্শন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর তিনি এবং তাঁর সরকার হস্তক্ষেপ করেন না, এবং তাঁরা কখনও হস্তক্ষেপ করেননিও। সুযোগ পেলেই, এটা জোরের সঙ্গে দাবি করেন মাননীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
বিশদ

27th  March, 2023
মমতা রসায়নের তল পাবে বিরোধীরা?
হিমাংশু সিংহ

১৯৮৪ সালে ইন্দিরা হত্যার পর পর সাধারণ নির্বাচনে ধূমকেতুর মতো রাজনীতিতে উত্থান মমতার। যাদবপুরে সিপিএমের কুলীন ব্যারিস্টার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি যে অমন হেলায় হারাবেন তা বিশ্বাস করতে চাননি কেউ। বিশদ

26th  March, 2023
মমতা-মডেল ছাড়া গতি নেই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

টার্গেট সবসময় উঁচুতে বাঁধা হয়। তাতে লক্ষ্যের ধারেকাছে না হোক, অর্ধেকটা গেলেও সম্মান বাঁচে। বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বও সেই নীতিতেই নির্বাচনে আসন লাভের লক্ষ্য স্থির করে। কখনও সখনও শিকে ছিঁড়লেও বেশিরভাগ সময়েই তা মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে সন্দিহান বিজেপির এবার লোকসভার টার্গেট চারশো। বিশদ

25th  March, 2023
মোদি সরকার এত স্বল্পে ভীত কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে মোরারজি দেশাই অনশনে বসেছিলেন। তাঁর অন্যতম দাবি ছিল এক বছর আগে ভেঙে দেওয়া গুজরাত বিধানসভা আবার গঠনের জন্য অবিলম্বে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করা হোক। বিশদ

24th  March, 2023
সিআইএ প্রধানের
কুনজরে আসলে কে?
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস গোটা বিশ্বের কাছে বিশেষ পরিচিত মুখ নন। ফলে, ডিরেক্টর কবে কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে এজেন্সি যেমন কোনও আলোচনা করে না, তেমনই দুনিয়ার কেউ ঘুণাক্ষরে টের পায় না তাঁর গতিবিধি। বিশদ

23rd  March, 2023
অন্য স্বাধীনতার লড়াই কি দুর্বল হচ্ছে?
হারাধন চৌধুরী

শেষ জনগণনা রিপোর্ট সামনে এসেছে ২০১১ সালে। ওই রিপোর্টে ভারতের যে নারীচিত্র প্রকাশিত হয়, তা ভয়াবহ। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের (এনসিপিসিআর) রিপোর্ট অনুসারে, ২০০১ পরবর্তী একদশকে ভারতে ২৯ লক্ষ বাল্যবিবাহের ঘটনা সামনে আসে। বিশদ

22nd  March, 2023
রাজনীতির জটিল জ্যামিতি এবং বিরোধী জোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজনীতি বিষয়টার সঙ্গে বিজ্ঞানের এক অদ্ভুত যোগাযোগ। কখনও মনে হয়, নিউটনের তৃতীয় সূত্রের সঙ্গে এর মিলমিশ সবচেয়ে বেশি। যেমন ক্রিয়া, তার ঠিক সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া। বিশদ

21st  March, 2023
সংসদীয় গণতন্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ চলছে
পি চিদম্বরম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউস ভারতকে ‘আংশিকভাবে মুক্ত গণতন্ত্র’-এর স্তরে রেখেছে। এটা ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে অবনমন বলেই ধরতে হবে। অন্যদিকে, সুইডেনের ভি-ডেম ইনস্টিটিউট ভারতকে ‘ইলেক্টোরাল অটোক্রেসি’ আখ্যা দিয়েছে।
বিশদ

20th  March, 2023
দেশের অপমান নিয়েও রাজনীতি!
হিমাংশু সিংহ

রাজনীতি আমাদের মজ্জায়। দুর্নীতি, লোভ আর উচ্চাকাঙ্ক্ষা শিরায় শিরায়। ডানবাম সবাই এই দোষে কমবেশি দুষ্ট। শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি বড় কম হয়নি। ধর্ম, সম্প্রদায় নিয়েও লড়াই সপ্তমে। অর্থনীতি, সমাজনীতি, কর্মসংস্থান, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, দুর্নীতির আমি তুমি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, সবই সঙ্কীর্ণ দলীয় আকচাআকচির শিকার। বিশদ

19th  March, 2023
মমতাকে চাষি-বিরোধী
প্রমাণ অত সোজা নয়
তন্ময় মল্লিক

মন জয়ের সহজতম উপায় হল, বঞ্চনার অভিমানকে উস্কে দেওয়া। পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তাই বাংলায় শুরু হয়েছে চাষিদের খ্যাপানোর চেষ্টা। বিরোধীদের দাবি, এরাজ্যের চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। অবস্থা এতটাই নাকি খারাপ যে আলুচাষি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশদ

18th  March, 2023
একনজরে
মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পে হাওড়া জেলার ২৭২টি রাস্তার কাজের সূচনা হল। এগুলির মোট দৈর্ঘ্য ২৬৫.৭৯ কিলোমিটার, তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৯০ কোটি টাকা। ...

নামেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কয়েকটি নার্সিংহোমে অপারেশন করাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও দিতে হচ্ছে টাকা। এতে নাজেহাল হতে হচ্ছে রোগীদের পরিবারকে। দালালদের হাত ধরে ...

ইতিমধ্যে শিবসেনার নাম ও প্রতীক হাতছাড়া হয়েছে উদ্ধব শিবিরের। এবার মানহানির মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে, তাঁর ছেলে আদিত্য এবং সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে সমন পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট। ...

রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত ফুটবল লিগে বুধবার মহমেডান স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হবে ইস্ট বেঙ্গল। বারাকপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া দুই শিবির। উল্লেখ্য, সোমবার জামশেদপুর এফসি’র কাছে ২-৩ গোলে হারের মুখ দেখেছে বিনো জর্জের দল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যালাভের পক্ষে দিনটি উত্তম। ব্যবসার উন্নতি, পেশায় সুনাম। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯৫- পিয়ানো বাদক হিসেবে বেটোভেনের আত্মপ্রকাশ
১৮০৭- জার্মান জ্যোর্তিবিদ উইলহেম অলবার্স ক্ষুদ্রতম গ্রহ ভেস্টা আবিষ্কার করেন
১৮৪৯- লর্ড ডালহৌসি সমগ্র পাঞ্জাবকে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষণাপত্র প্রচার করেন
১৮৫৭- বারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে শুরু হল সিপাহী বিদ্রোহ
১৯২০- ব্রিটিশবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়
১৯২৭- জন রবার্ট ভেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ ফার্মাকোলজিস্ট ও শিক্ষাবিদের জন্ম
১৯৩৯- অভিনেতা জগদীপের জন্ম
১৯৮২- গায়ক অনুপম রায়ের জন্ম
১৯২৯- অভিনেতা উৎপল দত্তের জন্ম
১৯৮২- তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৪ টাকা ৮৩.০৮ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬০ টাকা ১০৩.০০ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৬ টাকা ৯০.৫০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ১৪ চৈত্র, ১৪২৯, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩।  অষ্টমী ৩৮/৪৮ রাত্রি ৯/৮। আর্দ্রা নক্ষত্র ৩৬/১৬ রাত্রি ৮/৭। সূর্যোদয় ৫/৩৬/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ৯/৪০ গতে ১১/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৮ গতে ১০/১০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৭ গতে ৪/৬ মধ্যে।  
১৪ চৈত্র, ১৪২৯, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩।  অষ্টমী রাত্রি ১০/১৯। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৯/২৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪০ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪০ গতে ৪/৯ মধ্যে।  
৬ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রেড রোডে ধর্না মঞ্চ থেকে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেউ কেউ বলছেন আমি নাকি ধর্নায় বসতে পারিনা। আমি তো ...বিশদ

07:07:15 PM

জোকার ইএসআই হাসপাতালের হস্টেলে উদ্ধার ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ
হস্টেল রুমে আত্মঘাতী মেডিক্যাল ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে, আজ, বুধবার সকাল ...বিশদ

04:54:26 PM

ধর্নামঞ্চ থেকে সেভ ইন্ডিয়া সেভ ডেমোক্রেসির ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতাকে এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে 'সেভ ইন্ডিয়া ...বিশদ

04:00:03 PM

দুর্নীতিতে আমার যোগসাজশ প্রমাণ করতে পারলে মৃত্যুবরণ করব: অভিষেক

03:46:28 PM

জয় বাংলা যখন বলবেন, গর্ব করে বলবেন: অভিষেক

03:46:00 PM

একুশের ভোট প্রচারে মহিলাদের অপমান করার পরও প্রধানমন্ত্রীর পদ কেন খারিজ হবে না?: অভিষেক

03:40:00 PM