Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ন্তা শাসক নয়, জনগণই
মৃণালকান্তি দাস

ভারতের ইতিহাস পুনর্লিখন হবে! বিশেষ করে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিবৃত্ত। দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার পক্ষে সেটা নাকি বিশেষ জরুরি। এমনই নির্দেশ এসেছে দেশের শাসক দলের কাছ থেকে।
সঙ্ঘ পরিবারের তরফ থেকে এই প্রস্তাব অবশ্য নতুন নয়। তাঁরা শেখাতে চায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সারির নেতার নাম বিনায়ক দামোদর সাভারকর এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আর হিন্দু মহাসভা, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, জনসঙ্ঘ ও ভারতীয় জনতা পার্টি হল আসল ন্যাশনালিজম-এর প্রবক্তা। ইতিহাস শিখিয়েছে, আমরা পরাধীন হয়েছি ১৭৫৭ সালে। সঙ্ঘ বলে, আমরা পরাধীন হয়েছি তার ঢের আগে। পাঠান-মোঘলদের হাতে। সঙ্ঘের কাছে ব্রিটিশের অধীনতাটা পরাধীনতা নয়, বরং মুসলিম অপশাসনের হাত থেকে মুক্তি। এ সব ভাবনার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল বাজপেয়ি-আদবানি জমানাতেই। মোদি জমানায় তা উৎকট চেহারা নিয়েছে। সেখানে জনসাধারণের ভাবনা, যুক্তিবোধের কোনও মূল্য নেই। আছে শুধু দেশবাসীর উপর শাসকের ভাবনা চাপিয়ে দেওয়ার ছল-কৌশল!
ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে পূর্ণ স্বরাজের ডাক দিয়ে যাত্রাপথের শুরু হয়েছিল ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি। স্বাধীনতা দিবসের তকমাও পেয়েছিল সেই দিনটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঔপনিবেশিক শাসনের শেকল ভেঙে ভারত যখন সত্যিই স্বাধীনতার মুখ দেখল— দিনটি ঘটনাচক্রে দাঁড়াল ১৫ আগস্ট। ফলে ২৬ জানুয়ারির অভিধাও ক্রমে পাল্টাল। আড়াই বছর পর ১৯৫০ সালে দেশের প্রথম সংবিধান কার্যকর করার সূত্রে বেছে নেওয়া হয়েছিল ঐতিহাসিক মাহাত্ম্যে পূর্ণ ২৬ জানুয়ারি দিনটিকেই। সেই থেকে বিংশ শতকের ভারতে যেদিনটি ছিল স্বাধীনতা দিবসের প্রথম দাবিদার, সেই ২৬ জানুয়ারির পরিচয় ভারতীয় জনসাধারণের কাছে দাঁড়াল: সাধারণতন্ত্র দিবস।
পরাধীনতার দীর্ঘ অধ্যায় পেরিয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচার স্বপ্ন বাস্তব হয়ে উঠেছিল সেই দিন। শুরু হয়েছিল আমাদের গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা। এক নতুন লক্ষ্যের কথা ভেবেই ভারতীয় নাগরিকদের জন্য কাজ করেছিলেন সংবিধান প্রণেতারা। বিবিধের মাঝে মহান মিলনের লক্ষ্যে যাত্রাই ছিল তাঁদের স্বপ্ন। ভারতীয় সংবিধানের উপক্রমণিকায় জানানো হয়েছিল, ‘উই, দ্য পিপ্‌ল অব ইন্ডিয়া’। উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়, এই সংবিধান ভারতের নাগরিকরা নিজেদের জন্য রচনা করেছিলেন। এই স্বাধীনতা, এই সাধারণতন্ত্র আমাদের প্রত্যেকের। সাধারণের জন্য সাধারণের তৈরি শাসনব্যবস্থা। ‘আমরা সবাই রাজা আমাদের 
এই রাজার রাজত্বে’। সংবিধান নাগরিকদের সেই অধিকার দিয়েছিল।
স্বামী বিবেকানন্দের মতে, স্বাধীনতাই উন্নতির প্রথম শর্ত। যেমন মানুষের চিন্তা ও কথা বলার স্বাধীনতা রয়েছে, তেমনই তার আহার, পোশাক ও অন্য সব বিষয়েই স্বাধীনতার প্রয়োজন। স্বাধীনতা ইট-কাঠ-পাথর নয়, স্বাধীনতা একটা জীবন দর্শন, একটা বাঁচার ভঙ্গিমা। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, সেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আমরা কি আদৌ পেয়েছি? নাকি তার থেকে ক্রমশ দূর থেকে দূরতর বিন্দুতে সরে যাচ্ছি। ব্যবহারিক রাজনীতিতে ৭৩ বছরের সংবিধানটিকে আজ ক্রমশই যেন দুর্বল, মলিন দেখাতে শুরু করেছে। প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে, স্বাধীনতা মানে কি শুধু সংখ্যাগুরুর ধর্মাচরণেরই স্বাধীনতা? ভারতীয় রাজনীতিতে যাঁরা বর্তমান শিরোনেতা, তাঁদের কাছে সাংবিধানিক নৈতিকতার প্রতি বিশ্বস্ত থাকা যে তত গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেটা ইতিমধ্যে যথেষ্ট স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সত্তরের দশকে জরুরি অবস্থার সময়ে যেমন ভারতীয় গণতন্ত্র ও তার প্রতিষ্ঠানগুলির উপর ‘সরাসরি’ আক্রমণ নেমে এসেছিল, এখনকার পরিস্থিতি সে রকম নয়। এখন যেটা হচ্ছে, তাকে বরং আমরা বলতে পারি সংবিধানের উপর ‘সহস্র কোপ’। 
ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, যদি দেখা যায় সরকার পক্ষ জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে, দলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কোনও আইন চাপিয়ে দিচ্ছে তখনই বিঘ্নিত হয় রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো। অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে সংগঠিত একনায়কতন্ত্র বা দলতন্ত্রের উত্থান। এই কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থায় মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে কুক্ষিগত হয় রাষ্ট্রের সব ধরনের কর্তৃত্ব। ঠিক এভাবেই ইতালিতে মুসোলিনি ও জার্মানিতে হিটলারের উত্থান হয়েছিল। প্রথম জীবনে হিটলারও একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৩২ সালে জার্মান সংসদ নির্বাচনে নাৎসি পার্টি গোটা দেশে একক বৃহত্তম দল হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। বহুদলীয় সরকার তৈরি হলেও মতভেদের জেরে তার পতন হয়। পুনঃনির্বাচনেও নাৎসিরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। এই অবস্থায় জার্মান সংসদ একটি বিশেষ আইন (এনাবলিং অ্যাক্ট) পাশ করে। পরে প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গকে প্ররোচিত করে হিটলারকে চ্যান্সেলর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৩৪ সালে হিন্ডেনবার্গের মৃত্যু হলে হিটলার সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নিজেকে ‘ফ্যুয়েরার’ ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রগবেষকদের অভিমত, ভারতে আজ কর্তৃত্ববাদ, সংখ্যাগুরুবাদ, জনপ্রিয়তাবাদ ইত্যাদি সব মিলেমিশে ভারতীয় সাধারণতন্ত্র এবং তার সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে বিপদগ্রস্ত করতে শুরু করেছে। বাক্‌স্বাধীনতা, সাম্যের অধিকার ইত্যাদি সংবিধান-স্বীকৃত বেশ কিছু মৌলিক অধিকারকে ইতিমধ্যেই এমন ভাবে সঙ্কীর্ণ কিংবা লুপ্ত করা হয়েছে, যা এই দেশ আগে কখনও দেখেনি। ইন্দিরা গান্ধীর ‘ইমার্জেন্সি’ ছিল সরাসরি ঘোষিত জরুরি অবস্থা, লুকোছাপা ছিল না। আজকের জরুরি অবস্থা হল সংবিধান-বিরুদ্ধ গুপ্ত ইমার্জেন্সি। এর মূলমন্ত্র জোর নয়, এর মন্ত্র প্রতারণা। তার চেয়েও বড় বিপদ হল এই ইমার্জেন্সি শুধু রাষ্ট্রকেন্দ্রিক নয়, সমাজ-রূপান্তরও এর অন্যতম লক্ষ্য। নতুন রাষ্ট্রের সামাজিক ভিত্তি হবে এক ত্রিকোণ শক্তি— হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুস্থান। ৭৩ বছর পর আজ পিছন ফিরে তাকাতে গিয়ে মনে হচ্ছে, যে মন্ত্রের মূলে ছিল বহু স্বরের সৌহাদ্যপূর্ণ সহাবস্থান, সেই মন্ত্রোচ্চারণ এখন অস্পষ্ট। বিবিধতার চর্চায় যে সযত্ন প্রয়াস থাকা দরকার, তাতে ফাঁকি দিয়েছি আমরা। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সমাজ-পরিসর হয়ে এখন ব্যক্তিমানসেও অসহিষ্ণুতার ছাপ পড়ছে। দেশের বদলে দ্বেষের মন্ত্রে দীক্ষার কাজ চলছে এখন। পরমতের প্রতি অসহিষ্ণুতা, তীব্র ঘৃণা 
এবং বিবাদের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পথে আমরা ক্রমাগত ভেঙে যাচ্ছি— এক থেকে দুই, দুই থেকে তিন, তিন থেকে অজস্র। সাভারকর-গোলওয়ালকর-শ্যামাপ্রসাদের রোপণ করে যাওয়া ‘বিষবৃক্ষের’ বীজ থেকে আজ স্বাধীন ভারতের ফুটিফাটা দেওয়ালে যত্রতত্র গাছ গজাচ্ছে, দেওয়াল ভাঙল বলে...।
ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ভূমিকা কী হওয়া উচিত? ধর্ম বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকা। রাষ্ট্রের সকল নাগরিক যাতে তাঁদের পছন্দমতো ধর্ম পালন করতে পারেন তা দেখা। রাষ্ট্র পাহারাদার। কিন্তু মোদি জমানায় আমরা দেখতে পাচ্ছি ঠিক বিপরীতটাই। রাষ্ট্র যেন সমস্ত ধর্মের বা কোনও কোনও ধর্মের ঠিকাদারি নিয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ ধর্মের, আবার কোনও ক্ষেত্রে অনেকগুলি ধর্মের ঠিকাদার। যে রাষ্ট্রের পাহারাদার হওয়ার কথা ছিল, সে হল ঠিকাদার। ধর্মের ভিন্নতা এবং মানুষের দিগ্‌দর্শনহীনতাকে কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র শক্তি মুঠোয় রাখতে রাজনৈতিক নেতারা চাল দেন, তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের কথা না ভেবেই। মানুষ দিশাহারা, বিভ্রান্ত হয়ে ফাঁদে পা দেয়। তার সঙ্গে মিশে থাকে আগ্রাসী শক্তির উস্কানি।
এককোণে পড়ে থাকে তিনটি মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান। পড়ে থাকে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য। সাধারণতন্ত্র দিবসের হরেকরকম লোভনীয় ছাড়ের জাঁকজমকের আড়ালে সেই একই জং-ধরা গড়িয়ে-গড়িয়ে চলা নিরাপত্তাহীনতা! অপুষ্ট, অশিক্ষিত, নির্যাতনের শিকার দরিদ্র দেশবাসীর সেই অন্তহীন লড়াই। কর্মসংস্থানের বিবিধ সরণি উন্মুক্ত হলেও স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময়েই পড়ে থাকল দেশের 
অজস্র মানুষ— কর্মহীন, খাদ্যবস্ত্রহীন। নারী নিরাপত্তা, দুর্নীতি রোধ ইত্যাদি প্রশ্নে লড়াই ফুরায় না সাধারণ মানুষের। শুধু শাসকের রং বদলায়, নীতি বদলায়, কিন্তু দিন বদলায় না!
আজও দিন-আনা দিন-খাওয়া ভারতবাসীর আতঙ্কিত প্রশ্ন— ‘কতবার ভিটে হারাব আর? কোথায় যাব?’ অথচ, আমরা শিখেছি, ভারত মানে অখণ্ড এক চেতনায় বাঁধা কোটি কোটি নাগরিকের একাত্মতা। ঠিক কতটুকু সহিষ্ণুতা আর কতটুকু স্বাধীনতার সীমা টপকে গেলে আচরণ উগ্রতায় রূপান্তরিত হতে পারে, এই সূক্ষ্ম ভেদাভেদটুকু জানা খুবই জরুরি। যাঁদের যাবতীয় প্রাপ্তি, প্রত্যাশা, হতাশা এই ভূখণ্ড ঘিরেই, সংবিধানের প্রতিটি শব্দ তাঁদের জীবনমন্ত্র হতে পারে। আমাদের স্বাধীনতার গণতান্ত্রিক চেতনা এগিয়েছে, নানা তাত্ত্বিকের হাত ধরে নয়, বরং নানা বিদ্রোহ ও সংগ্রামের পথ ধরে। এই কারণেই ভারতীয় গণতন্ত্রের চরিত্র নির্ধারণ করতে গিয়ে লেখক ভি এস নইপল একসময় বলেছিলেন, ‘আ মিলিয়ন মিউটিনিজ নাও’। ভারতের যে কোনও সময় যেন লক্ষ লক্ষ বিদ্রোহের সমষ্টি।
ভারতীয় গণতন্ত্র শুধুমাত্র ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার যন্ত্রমাত্র নয়। ভারতীয় গণতন্ত্রের একটি বিশিষ্ট চরিত্র আছে। এটি বহুস্বরের গণতন্ত্র। আমাদের স্বাধীনতা বহুস্বর বজায় রাখার স্বাধীনতা। দেশের অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতা খর্ব করে ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন নেবে কি না, সে কথার উত্তর দেবে ভারতের ‘সাধারণ’ জনগণ। ভারতের ভবিষ্যতের নিয়ন্তা তাঁরাই। শাসককে তাঁদের কাছে জবাবদিহি করতেই হবে। 
গণতন্ত্রে শাসক কখনওই ‘রাজা’ নন, আর তাই প্রশ্নাতীতও নন!
26th  January, 2023
মোদিবাবুর আপন দেশে, গণতন্ত্র সর্বনেশে
সন্দীপন বিশ্বাস

আজ থেকে ঠিক দু’শো বছর আগে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের প্রতিবাদে রাজা রামমোহন রায় তাঁর ফারসি ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্র ‘মীরাৎ-উল-আখবার’-এর পাতায় এক অগ্নিস্রাবী নিবন্ধ লিখেছিলেন।
বিশদ

মোদিজি, অস্ত্র ব্যুমেরাং হবে না তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সাল ২০১৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর। লেখাটা হাত থেকে নামালেন মনমোহন সিং—‘আমার কি পদত্যাগ করা উচিত?’ উল্টোদিকে বসে মন্টেক সিং আলুয়ালিয়া। তৎকালীন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান। আর মনমোহন সিংয়ের বন্ধু।
বিশদ

28th  March, 2023
আইনের নামে রাষ্ট্রের শক্তি প্রদর্শন চলছে
পি চিদম্বরম

শক্তি প্রদর্শন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর তিনি এবং তাঁর সরকার হস্তক্ষেপ করেন না, এবং তাঁরা কখনও হস্তক্ষেপ করেননিও। সুযোগ পেলেই, এটা জোরের সঙ্গে দাবি করেন মাননীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
বিশদ

27th  March, 2023
মমতা রসায়নের তল পাবে বিরোধীরা?
হিমাংশু সিংহ

১৯৮৪ সালে ইন্দিরা হত্যার পর পর সাধারণ নির্বাচনে ধূমকেতুর মতো রাজনীতিতে উত্থান মমতার। যাদবপুরে সিপিএমের কুলীন ব্যারিস্টার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি যে অমন হেলায় হারাবেন তা বিশ্বাস করতে চাননি কেউ। বিশদ

26th  March, 2023
মমতা-মডেল ছাড়া গতি নেই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

টার্গেট সবসময় উঁচুতে বাঁধা হয়। তাতে লক্ষ্যের ধারেকাছে না হোক, অর্ধেকটা গেলেও সম্মান বাঁচে। বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বও সেই নীতিতেই নির্বাচনে আসন লাভের লক্ষ্য স্থির করে। কখনও সখনও শিকে ছিঁড়লেও বেশিরভাগ সময়েই তা মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে সন্দিহান বিজেপির এবার লোকসভার টার্গেট চারশো। বিশদ

25th  March, 2023
মোদি সরকার এত স্বল্পে ভীত কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে মোরারজি দেশাই অনশনে বসেছিলেন। তাঁর অন্যতম দাবি ছিল এক বছর আগে ভেঙে দেওয়া গুজরাত বিধানসভা আবার গঠনের জন্য অবিলম্বে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করা হোক। বিশদ

24th  March, 2023
সিআইএ প্রধানের
কুনজরে আসলে কে?
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস গোটা বিশ্বের কাছে বিশেষ পরিচিত মুখ নন। ফলে, ডিরেক্টর কবে কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে এজেন্সি যেমন কোনও আলোচনা করে না, তেমনই দুনিয়ার কেউ ঘুণাক্ষরে টের পায় না তাঁর গতিবিধি। বিশদ

23rd  March, 2023
অন্য স্বাধীনতার লড়াই কি দুর্বল হচ্ছে?
হারাধন চৌধুরী

শেষ জনগণনা রিপোর্ট সামনে এসেছে ২০১১ সালে। ওই রিপোর্টে ভারতের যে নারীচিত্র প্রকাশিত হয়, তা ভয়াবহ। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের (এনসিপিসিআর) রিপোর্ট অনুসারে, ২০০১ পরবর্তী একদশকে ভারতে ২৯ লক্ষ বাল্যবিবাহের ঘটনা সামনে আসে। বিশদ

22nd  March, 2023
রাজনীতির জটিল জ্যামিতি এবং বিরোধী জোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজনীতি বিষয়টার সঙ্গে বিজ্ঞানের এক অদ্ভুত যোগাযোগ। কখনও মনে হয়, নিউটনের তৃতীয় সূত্রের সঙ্গে এর মিলমিশ সবচেয়ে বেশি। যেমন ক্রিয়া, তার ঠিক সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া। বিশদ

21st  March, 2023
সংসদীয় গণতন্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ চলছে
পি চিদম্বরম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউস ভারতকে ‘আংশিকভাবে মুক্ত গণতন্ত্র’-এর স্তরে রেখেছে। এটা ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে অবনমন বলেই ধরতে হবে। অন্যদিকে, সুইডেনের ভি-ডেম ইনস্টিটিউট ভারতকে ‘ইলেক্টোরাল অটোক্রেসি’ আখ্যা দিয়েছে।
বিশদ

20th  March, 2023
দেশের অপমান নিয়েও রাজনীতি!
হিমাংশু সিংহ

রাজনীতি আমাদের মজ্জায়। দুর্নীতি, লোভ আর উচ্চাকাঙ্ক্ষা শিরায় শিরায়। ডানবাম সবাই এই দোষে কমবেশি দুষ্ট। শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি বড় কম হয়নি। ধর্ম, সম্প্রদায় নিয়েও লড়াই সপ্তমে। অর্থনীতি, সমাজনীতি, কর্মসংস্থান, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, দুর্নীতির আমি তুমি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, সবই সঙ্কীর্ণ দলীয় আকচাআকচির শিকার। বিশদ

19th  March, 2023
মমতাকে চাষি-বিরোধী
প্রমাণ অত সোজা নয়
তন্ময় মল্লিক

মন জয়ের সহজতম উপায় হল, বঞ্চনার অভিমানকে উস্কে দেওয়া। পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তাই বাংলায় শুরু হয়েছে চাষিদের খ্যাপানোর চেষ্টা। বিরোধীদের দাবি, এরাজ্যের চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। অবস্থা এতটাই নাকি খারাপ যে আলুচাষি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশদ

18th  March, 2023
একনজরে
ইতিমধ্যে শিবসেনার নাম ও প্রতীক হাতছাড়া হয়েছে উদ্ধব শিবিরের। এবার মানহানির মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে, তাঁর ছেলে আদিত্য এবং সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে সমন পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট। ...

শক্তিগড়ের গাংপুর স্টেশনের বাইরে যাত্রী তোলা নিয়ে মঙ্গলবার টোটো ও অটোচালকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়। ...

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এক ...

নামেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কয়েকটি নার্সিংহোমে অপারেশন করাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও দিতে হচ্ছে টাকা। এতে নাজেহাল হতে হচ্ছে রোগীদের পরিবারকে। দালালদের হাত ধরে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যালাভের পক্ষে দিনটি উত্তম। ব্যবসার উন্নতি, পেশায় সুনাম। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯৫- পিয়ানো বাদক হিসেবে বেটোভেনের আত্মপ্রকাশ
১৮০৭- জার্মান জ্যোর্তিবিদ উইলহেম অলবার্স ক্ষুদ্রতম গ্রহ ভেস্টা আবিষ্কার করেন
১৮৪৯- লর্ড ডালহৌসি সমগ্র পাঞ্জাবকে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষণাপত্র প্রচার করেন
১৮৫৭- বারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে শুরু হল সিপাহী বিদ্রোহ
১৯২০- ব্রিটিশবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়
১৯২৭- জন রবার্ট ভেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ ফার্মাকোলজিস্ট ও শিক্ষাবিদের জন্ম
১৯৩৯- অভিনেতা জগদীপের জন্ম
১৯৮২- গায়ক অনুপম রায়ের জন্ম
১৯২৯- অভিনেতা উৎপল দত্তের জন্ম
১৯৮২- তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৪ টাকা ৮৩.০৮ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬০ টাকা ১০৩.০০ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৬ টাকা ৯০.৫০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ১৪ চৈত্র, ১৪২৯, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩।  অষ্টমী ৩৮/৪৮ রাত্রি ৯/৮। আর্দ্রা নক্ষত্র ৩৬/১৬ রাত্রি ৮/৭। সূর্যোদয় ৫/৩৬/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ৯/৪০ গতে ১১/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৮ গতে ১০/১০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৭ গতে ৪/৬ মধ্যে।  
১৪ চৈত্র, ১৪২৯, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩।  অষ্টমী রাত্রি ১০/১৯। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৯/২৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪০ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪০ গতে ৪/৯ মধ্যে।  
৬ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রেড রোডে ধর্না মঞ্চ থেকে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেউ কেউ বলছেন আমি নাকি ধর্নায় বসতে পারিনা। আমি তো ...বিশদ

07:07:15 PM

জোকার ইএসআই হাসপাতালের হস্টেলে উদ্ধার ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ
হস্টেল রুমে আত্মঘাতী মেডিক্যাল ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে, আজ, বুধবার সকাল ...বিশদ

04:54:26 PM

ধর্নামঞ্চ থেকে সেভ ইন্ডিয়া সেভ ডেমোক্রেসির ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতাকে এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে 'সেভ ইন্ডিয়া ...বিশদ

04:00:03 PM

দুর্নীতিতে আমার যোগসাজশ প্রমাণ করতে পারলে মৃত্যুবরণ করব: অভিষেক

03:46:28 PM

জয় বাংলা যখন বলবেন, গর্ব করে বলবেন: অভিষেক

03:46:00 PM

একুশের ভোট প্রচারে মহিলাদের অপমান করার পরও প্রধানমন্ত্রীর পদ কেন খারিজ হবে না?: অভিষেক

03:40:00 PM