Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রত্যাশা যে আপনারই কাছে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

শ্রদ্ধেয় মোদিজি,
সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে আপনাকে কোটি কোটি সেলাম। এই বছর দশেক আগেও ভারতবর্ষের সবচেয়ে বেশি আলোচিত ব্যক্তি ছিলেন শচীন তেন্ডুলকর। মাঝে সানি লিওনিকে নিয়েও গোপনে-সঙ্গোপনে প্রচুর চর্চা হয়েছে, গুগল বাবাজীবন তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে বিরক্তও হয়েছে। কিন্তু সেগুলি নিতান্তই বালখিল্য ব্যাপার। আলগোছে হাওয়ার মতো এসেছে, হারিয়েও গিয়েছে। কিন্তু গত ন’বছরে আমাদের দেশে আলোচনায় থেকে গিয়েছে একটিই নাম—আপনার। ওই যে কথায় বলে না, শয়নে-স্বপনে-জাগরণে... আপনি তার সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এই দেশবাসী না চাহিলেও আপনারে ভুলতে পারে না। আপনার কর্মকাণ্ডই যে এত বিস্তৃত! ঘুম থেকে উঠে বাজারের থলি হাতে বেরতে গিয়েই পকেট হাতড়াতে হয়... এই টাকায় হবে তো? আরও লাগলে কোথায় পাব? ১০ বছরের মেয়েটা স্কুলের জন্য নতুন জুতো চাইলে বলতে হয়, এমাসে হবে না মা, সামনের মাসে চেষ্টা করে দেখব। ডাক্তার দেখাতে গেলে কনসাল্টেশন ফিজ যা লাগে, ওষুধের দাম তার তিনগুণ। আর এসবের নিত্যসঙ্গী মোক্ষম এক দুশ্চিন্তা... চাকরিটা থাকবে তো? রুটিন শুনেই বুঝতে পারছেন, এরা হল গিয়ে মধ্যবিত্ত। কম কামাবে, বেশি ট্যাক্স দেবে, আর প্রচুর অভিযোগ করবে। কী মুশকিল বলুন তো! আপনার কতই না কাজ, তার মাঝে বারবার এরা কি না আপনার নামে দু’গাল ভাত কম খায়, আর বেশিবেশি নিন্দা করে! দিনে যে কতবার আপনাকে বিষম খেতে হয়, আমরা বিলক্ষণ বুঝতে পারি। কিন্তু কীই বা করা যায় বলুন, প্রধানমন্ত্রী আপনি... দেশের মাইবাপ। এটুকু বোধহয় আপনাকে শুনতেই হবে। কারণ আপনার প্রতি প্রত্যাশাটাই যে এই শ্রেণির বড্ড বেশি! 
দর্শনশাস্ত্রে প্রত্যাশা শব্দের সংজ্ঞা বলা হয়েছে, ‘কোনও কর্মকাণ্ডের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে তীব্র বিশ্বাস’। এখানেই একটু গোল বাধে। প্রত্যাশা আর বিশ্বাস কি এক জিনিস? আমরা আপনার কাছে আশা করি, আপনি কোনও না কোনওদিন আমাদের সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ফেলে দেবেন। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এই কাজটা আপনি কখনও করবেন না। দু’টো কীভাবে এক হয়? তাও পণ্ডিত ব্যক্তিরা যখন বলে গিয়েছেন, নিশ্চয়ই কোনও না কোনও কানেকশন আছে। তাঁরা আরও বলেছেন, প্রত্যাশাই আমাদের বাস্তবের দিশা নির্ণয় করে। আমাদের চারপাশে যারা আছে, তাদের জীবনেও এই প্রত্যাশার প্রভাব পড়ে। 
নিম্নবিত্ত যারা খেটে যাওয়া মানুষ, দু’বেলা পেট পুরে খাওয়ার বেশি প্রত্যাশা তাদের সাধারণত থাকে না। মূলত এরা অসংগঠিত ক্ষেত্র। নির্মাণকাজ বা অন্যান্য শিল্প গতি পেলে এদের হাতে খানিক কাজকর্ম আসে। গ্রাম ছেড়ে তারা শহরে যায়, কাজ করে, টাকা জমায়, আবার ফিরে আসে গ্রামে। কিন্তু আপনার এই জমানায় শিল্পের হাল কেমন? গত ত্রৈমাসিকের হিসেব বলছে, উৎপাদন ক্ষেত্রের বৃদ্ধি ধাক্কা খেয়ে ৬.৩ শতাংশে নেমে গিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া বাকি জিনিসপত্রের চাহিদা কমেছে। আর চাহিদা না থাকলে সংস্থাগুলি যে উৎপাদন বাড়াবে না, সেটাই স্বাভাবিক। ফলে কাজ হারাচ্ছে অসংগঠিত ক্ষেত্র। একই অবস্থা গ্রামীণ অর্থনীতিতে। এই সেক্টরের সবচেয়ে বড় উপার্জনের জায়গা ১০০ দিনের কাজ। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আপনার সরকার নানা অছিলায় টাকা আটকে রাখছে। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ... যাঁদের খাওয়া পরা এই প্রকল্পের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল, তারা পড়েছে আতান্তরে। 
অর্থাৎ, আপনার কাছে প্রথম এবং প্রধান প্রত্যাশা দু’টি—কর্মসংস্থান এবং মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম। এই দুইয়ের সঙ্গেই যে জীবনের অ আ থেকে চন্দ্রবিন্দু জুড়ে আছে। বলতে দ্বিধা হয়, এই দুই সমস্যা তো গত কয়েক বছরে ভারতবাসীর কাছে জলভাত হয়ে গিয়েছে। তারপরও আপনার সরকার কি সাধারণ মানুষের সুরাহার জন্য কিছু ভেবেছে? হয়তো ভেবেছে। আমরাই দেখতে পাচ্ছি না। তাই আশা করছি, এবার আপনি আমাদের সেই সুরাহার চাবিকাঠি দেখানোর জন্য কিছু না কিছু করবেন। আপনি বলবেন নানাবিধ প্যাকেজের কথা। আমরা বলব, ঋণসর্বস্ব। বরং ইএমআইয়ের বোঝা ভারী হয়েছে। কারণ, সাধারণ মানুষের হাতে টাকার জোগান বাড়েনি। দেশের যে চার-পাঁচ শতাংশ মানুষ আয়কর দেয়, তারা হাপিত্যেশ করবে... অস্থির হয়ে উঠবে। দুর্নীতি তাদের দিয়ে হয় না। নিজের পেট কেটেই তারা আপনার রাজকোষ ভরবে। আর আপনি ছাড় বাড়িয়ে যাবেন কর্পোরেটের। মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী কিন্তু বার্ষিক সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা আয়ের গণ্ডি পেরলে ২০ শতাংশ, আর ১০ লক্ষ পার করলে ৩০ শতাংশ আয়কর দেবে। খুব ন্যায়সঙ্গত কি? 
আপনি বলবেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র কথা। ব্যবসাই নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। শুরু তো করেছিলেন। কিন্তু তাতে কি কোনও নির্দিষ্ট ভবিষ্যৎ প্ল্যানিং ছিল? না, ছিল না। তাই একটার পর একটা প্রজেক্ট শুরু হয়েছে, আর থমকে গিয়েছে। কারণ, মার্কেটের চাহিদা ও সরবরাহের বেসিক ফর্মুলার সঙ্গে তার কোনও সামঞ্জস্য ছিল না। ভরসা ছিল বিদেশি বিনিয়োগে। সেটাও বাস্তবে খুব একটা কার্যকর হয়নি। আপনার সরকার ভেবেছিল, উৎপাদন ক্ষেত্রকে ১২ থেকে ১৪ শতাংশ গ্রোথ দেবে মেক ইন ইন্ডিয়া। ভাবনাটা সদ্যোজাতকে ক্লাস এইটের অঙ্ক করতে দেওয়ার মতো। ফল যা হওয়ার, সেটাই হয়েছে। এখনও আমরা ধুঁকতে থাকা শিল্প এবং অর্থনীতিকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনার উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। সরকারি সূচকে খুচরো বা পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার কমছে। কিন্তু মানুষের জীবনে তার কোনও প্রভাব নেই। পেট্রল-ডিজেলের দামও গত আট মাস ধরে পাহাড়চূড়ায় উঠে বসে আছে। আর আপনার মন্ত্রীরা কী বলছেন? তেল কোম্পানিগুলি তাদের লোকসান সামলে নেওয়ার পরই দাম কমবে জ্বালানির। কেমন সেই লোকসান? মানুষের কথা ভেবে নাকি কোম্পানিগুলিকে গত কয়েক মাসে দাম বাড়াতে দেওয়া হয়নি। এখন তাদেরটাও তো দেখতে হবে নাকি! তাই তারা এই মুহূর্তে লোকসান ‘পূরণ’ করছে। এই কাজটা মিটে গেলেই কমবে জ্বালানির দাম। আর কবে মিটবে লোকসান? লোকসভা ভোটের আগে? তখন তারা দাম কমাবে, আর তার প্রভাব পড়বে ভোটের যন্ত্রে? আপনার আন্তরিকতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু পাবলিক যে এইসব কথা বলছে! তাদের ঠেকাব কীভাবে? তারা খোঁচা দিচ্ছে, বিজেপি সরকার নাকি ভোটের জন্য অপেক্ষা করছে। সঠিক সময়ে দাম কমাবে জ্বালানির। তখন মূল্যবৃদ্ধিও লাগাম পরে অনুগত চাকরের মতো গেরুয়া বাহিনীর সামনে বসে যাবে। বাজার চাঙ্গা হবে। সরকারি চাকরি পাওয়া যাবে। ততদিন আমরা ধুঁকব, মাসের শুরুতে হিসেব কষব... এবার কত টাকা ধার করতে হবে। দু’বেলা খাবার, মাথার উপর ছাদ, একটু শান্তি, সামান্য আরাম। এগুলো তো নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয়! প্রতিদিনের অধিকার। এর জন্য আম আদমিকে ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে কেন? এটা কি সরকারের নিত্যকাজ নয়? ভগবদ্‌গীতায় কর্ম এবং অকর্মের প্রসঙ্গ রয়েছে। অকর্মের মানে কী? খারাপ কাজ? না, গীতা কিন্তু বলছে অকর্ম মানে কর্মশূন্যতা। কিছু না করে বসে থাকা। আপনার সরকার সেই পথেরই পথিক নয় তো? কাজ করলে ভুল হয়, কিন্তু না করলে? ভুলের সম্ভাবনাই নেই! আপনার লোকজন তাই কাজ কম, কথা বেশি বলে। কথায় তো আর ট্যাক্স বসে না! খুব বেশি হলে আপনি বছরে একবার কর্মসমিতির কোনও সভায় একটু ধমক দেবেন, ‘অবান্তর কথা বলবেন না। মানুষের কাছে যান। কাজ করুন।’ ব্যস, ওখানেই শেষ। কোন সিনেমার ট্রেলার বেরল, সেই নিয়ে আপনার নেতা-মন্ত্রীদের কতই না মাথাব্যথা! হিন্দুশাস্ত্র, সংস্কৃতি নাকি শেষ হয়ে গেল। হিন্দুত্ব তাঁদের গরিমা, হিন্দুত্বের তাসই তাদের ভোটের ভরসা। একবার তাঁদের প্রশ্ন করে দেখতে পারেন, কোন গ্রন্থকে এই দেশে হিন্দুশাস্ত্রের আধার বলে মানা হয়? তাঁরা বলতে পারলে আপনার অনেক সুবিধা হতো। কিন্তু অনেকেই ‘মনুসংহিতা’র কথা মাথা খুঁড়েও বের করতে পারবেন না। এই ‘মনুসংহিতা’র এক দারুণ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। লিখেছিলেন, ‘মনুতে আছে যে, যুদ্ধকালে শত্রুসেনা যে তড়াগপুষ্করিণ্যাদির জলে স্নান পানাদি করে, তাহা নষ্ট করিবে। যে হিন্দুধর্ম্মে তৃষিতকে এক গন্ডুষ জলদানের অপেক্ষা আর পুণ্য নাই বলে, সেই হিন্দুধর্ম্মেরই এই গ্রন্থে বলিতেছে যে, সহস্র সহস্র লোককে জলপিপাসাপীড়িত করিয়া প্রাণে মারিবে। এটা কি হিন্দুধর্ম্ম? যদি হয়, তবে এরূপ নৃশংস ধর্ম্মের পুনর্জ্জীবনে কি ফল? বস্তুতঃ এ হিন্দুধর্ম্ম নহে, যুদ্ধনীতি মাত্র,—কি উপায়ে যুদ্ধে জয়লাভ করিতে পারা যায়, তদ্বিষয়ক উপদেশ।’ এখনকার পরিস্থিতি দেখে ভয় হয়, আপনার সৈনিকরাও কি যুদ্ধজয়ে নেমেছে? যেনতেনপ্রকারেণ হারাতে হবে বিরোধীদের, সমাজকে, ঐক্যবদ্ধ ভারতকে, ধর্মনিরপেক্ষতাকে। 
১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। ভারতের প্রথম সাধারণতন্ত্র দিবস। ওই দিনটিতে গৃহীত হয়েছিল সংবিধান—আমাদের গণতন্ত্রের ভিত। ভাষণে সেদিন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের উদ্দেশ্য, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়, স্বতন্ত্রতা ও ঐক্য নিশ্চিত করা। এই বিশাল দেশের প্রত্যেক সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী, ভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে সদ্ভাব রাখা।’ এটাই তো ভারতবর্ষ! ধর্ম নয়, রং নয়, বিভাজন নয়... শুধুই ভারত। ‘তুমি বিদ্যা তুমি ধর্ম্ম/তুমি হৃদি তুমি মর্ম্ম/
ত্বং হি প্রাণাঃ শরীরে’... আমাদের জাতীয় গীত, আমাদের শিক্ষা—হিন্দু-মুসলিম নয়, ভারতীয় হওয়ার। মোদিজি, আমরা নিশ্চিত, ‘পথভোলা’ 
দলীয় কর্মীদের ভারতের চিরন্তন শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন আপনিই। আপনার কাছে আমাদের এটাই যে শেষ প্রত্যাশা।
24th  January, 2023
মোদিবাবুর আপন দেশে, গণতন্ত্র সর্বনেশে
সন্দীপন বিশ্বাস

আজ থেকে ঠিক দু’শো বছর আগে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের প্রতিবাদে রাজা রামমোহন রায় তাঁর ফারসি ভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্র ‘মীরাৎ-উল-আখবার’-এর পাতায় এক অগ্নিস্রাবী নিবন্ধ লিখেছিলেন।
বিশদ

মোদিজি, অস্ত্র ব্যুমেরাং হবে না তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সাল ২০১৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর। লেখাটা হাত থেকে নামালেন মনমোহন সিং—‘আমার কি পদত্যাগ করা উচিত?’ উল্টোদিকে বসে মন্টেক সিং আলুয়ালিয়া। তৎকালীন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান। আর মনমোহন সিংয়ের বন্ধু।
বিশদ

28th  March, 2023
আইনের নামে রাষ্ট্রের শক্তি প্রদর্শন চলছে
পি চিদম্বরম

শক্তি প্রদর্শন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর তিনি এবং তাঁর সরকার হস্তক্ষেপ করেন না, এবং তাঁরা কখনও হস্তক্ষেপ করেননিও। সুযোগ পেলেই, এটা জোরের সঙ্গে দাবি করেন মাননীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
বিশদ

27th  March, 2023
মমতা রসায়নের তল পাবে বিরোধীরা?
হিমাংশু সিংহ

১৯৮৪ সালে ইন্দিরা হত্যার পর পর সাধারণ নির্বাচনে ধূমকেতুর মতো রাজনীতিতে উত্থান মমতার। যাদবপুরে সিপিএমের কুলীন ব্যারিস্টার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি যে অমন হেলায় হারাবেন তা বিশ্বাস করতে চাননি কেউ। বিশদ

26th  March, 2023
মমতা-মডেল ছাড়া গতি নেই বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

টার্গেট সবসময় উঁচুতে বাঁধা হয়। তাতে লক্ষ্যের ধারেকাছে না হোক, অর্ধেকটা গেলেও সম্মান বাঁচে। বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বও সেই নীতিতেই নির্বাচনে আসন লাভের লক্ষ্য স্থির করে। কখনও সখনও শিকে ছিঁড়লেও বেশিরভাগ সময়েই তা মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে সন্দিহান বিজেপির এবার লোকসভার টার্গেট চারশো। বিশদ

25th  March, 2023
মোদি সরকার এত স্বল্পে ভীত কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে মোরারজি দেশাই অনশনে বসেছিলেন। তাঁর অন্যতম দাবি ছিল এক বছর আগে ভেঙে দেওয়া গুজরাত বিধানসভা আবার গঠনের জন্য অবিলম্বে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করা হোক। বিশদ

24th  March, 2023
সিআইএ প্রধানের
কুনজরে আসলে কে?
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র ডিরেক্টর উইলিয়াম জে বার্নস গোটা বিশ্বের কাছে বিশেষ পরিচিত মুখ নন। ফলে, ডিরেক্টর কবে কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে এজেন্সি যেমন কোনও আলোচনা করে না, তেমনই দুনিয়ার কেউ ঘুণাক্ষরে টের পায় না তাঁর গতিবিধি। বিশদ

23rd  March, 2023
অন্য স্বাধীনতার লড়াই কি দুর্বল হচ্ছে?
হারাধন চৌধুরী

শেষ জনগণনা রিপোর্ট সামনে এসেছে ২০১১ সালে। ওই রিপোর্টে ভারতের যে নারীচিত্র প্রকাশিত হয়, তা ভয়াবহ। ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের (এনসিপিসিআর) রিপোর্ট অনুসারে, ২০০১ পরবর্তী একদশকে ভারতে ২৯ লক্ষ বাল্যবিবাহের ঘটনা সামনে আসে। বিশদ

22nd  March, 2023
রাজনীতির জটিল জ্যামিতি এবং বিরোধী জোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাজনীতি বিষয়টার সঙ্গে বিজ্ঞানের এক অদ্ভুত যোগাযোগ। কখনও মনে হয়, নিউটনের তৃতীয় সূত্রের সঙ্গে এর মিলমিশ সবচেয়ে বেশি। যেমন ক্রিয়া, তার ঠিক সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া। বিশদ

21st  March, 2023
সংসদীয় গণতন্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ চলছে
পি চিদম্বরম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউস ভারতকে ‘আংশিকভাবে মুক্ত গণতন্ত্র’-এর স্তরে রেখেছে। এটা ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে অবনমন বলেই ধরতে হবে। অন্যদিকে, সুইডেনের ভি-ডেম ইনস্টিটিউট ভারতকে ‘ইলেক্টোরাল অটোক্রেসি’ আখ্যা দিয়েছে।
বিশদ

20th  March, 2023
দেশের অপমান নিয়েও রাজনীতি!
হিমাংশু সিংহ

রাজনীতি আমাদের মজ্জায়। দুর্নীতি, লোভ আর উচ্চাকাঙ্ক্ষা শিরায় শিরায়। ডানবাম সবাই এই দোষে কমবেশি দুষ্ট। শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি বড় কম হয়নি। ধর্ম, সম্প্রদায় নিয়েও লড়াই সপ্তমে। অর্থনীতি, সমাজনীতি, কর্মসংস্থান, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক, দুর্নীতির আমি তুমি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, সবই সঙ্কীর্ণ দলীয় আকচাআকচির শিকার। বিশদ

19th  March, 2023
মমতাকে চাষি-বিরোধী
প্রমাণ অত সোজা নয়
তন্ময় মল্লিক

মন জয়ের সহজতম উপায় হল, বঞ্চনার অভিমানকে উস্কে দেওয়া। পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তাই বাংলায় শুরু হয়েছে চাষিদের খ্যাপানোর চেষ্টা। বিরোধীদের দাবি, এরাজ্যের চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। অবস্থা এতটাই নাকি খারাপ যে আলুচাষি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশদ

18th  March, 2023
একনজরে
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন আয়োজিত ফুটবল লিগে বুধবার মহমেডান স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হবে ইস্ট বেঙ্গল। বারাকপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া দুই শিবির। উল্লেখ্য, সোমবার জামশেদপুর এফসি’র কাছে ২-৩ গোলে হারের মুখ দেখেছে বিনো জর্জের দল। ...

ইতিমধ্যে শিবসেনার নাম ও প্রতীক হাতছাড়া হয়েছে উদ্ধব শিবিরের। এবার মানহানির মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে, তাঁর ছেলে আদিত্য এবং সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে সমন পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট। ...

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এক ...

ডিটেনশন ক্যাম্পে আগুন লেগে মৃত্যু হল ৩৯ জন শরণার্থীর। আহত আরও ২৯। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমেরিকায় অবৈধভাবে ঢোকার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যালাভের পক্ষে দিনটি উত্তম। ব্যবসার উন্নতি, পেশায় সুনাম। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯৫- পিয়ানো বাদক হিসেবে বেটোভেনের আত্মপ্রকাশ
১৮০৭- জার্মান জ্যোর্তিবিদ উইলহেম অলবার্স ক্ষুদ্রতম গ্রহ ভেস্টা আবিষ্কার করেন
১৮৪৯- লর্ড ডালহৌসি সমগ্র পাঞ্জাবকে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষণাপত্র প্রচার করেন
১৮৫৭- বারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে শুরু হল সিপাহী বিদ্রোহ
১৯২০- ব্রিটিশবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়
১৯২৭- জন রবার্ট ভেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ ফার্মাকোলজিস্ট ও শিক্ষাবিদের জন্ম
১৯৩৯- অভিনেতা জগদীপের জন্ম
১৯৮২- গায়ক অনুপম রায়ের জন্ম
১৯২৯- অভিনেতা উৎপল দত্তের জন্ম
১৯৮২- তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠা



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৪ টাকা ৮৩.০৮ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬০ টাকা ১০৩.০০ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৬ টাকা ৯০.৫০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ১৪ চৈত্র, ১৪২৯, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩।  অষ্টমী ৩৮/৪৮ রাত্রি ৯/৮। আর্দ্রা নক্ষত্র ৩৬/১৬ রাত্রি ৮/৭। সূর্যোদয় ৫/৩৬/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ৯/৪০ গতে ১১/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩৮ গতে ১০/১০ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৭ গতে ৪/৬ মধ্যে।  
১৪ চৈত্র, ১৪২৯, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩।  অষ্টমী রাত্রি ১০/১৯। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৯/২৭। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪০ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪০ গতে ৪/৯ মধ্যে।  
৬ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রেড রোডে ধর্না মঞ্চ থেকে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেউ কেউ বলছেন আমি নাকি ধর্নায় বসতে পারিনা। আমি তো ...বিশদ

07:07:15 PM

জোকার ইএসআই হাসপাতালের হস্টেলে উদ্ধার ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ
হস্টেল রুমে আত্মঘাতী মেডিক্যাল ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে, আজ, বুধবার সকাল ...বিশদ

04:54:26 PM

ধর্নামঞ্চ থেকে সেভ ইন্ডিয়া সেভ ডেমোক্রেসির ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতাকে এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে 'সেভ ইন্ডিয়া ...বিশদ

04:00:03 PM

দুর্নীতিতে আমার যোগসাজশ প্রমাণ করতে পারলে মৃত্যুবরণ করব: অভিষেক

03:46:28 PM

জয় বাংলা যখন বলবেন, গর্ব করে বলবেন: অভিষেক

03:46:00 PM

একুশের ভোট প্রচারে মহিলাদের অপমান করার পরও প্রধানমন্ত্রীর পদ কেন খারিজ হবে না?: অভিষেক

03:40:00 PM