Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কতটা আয় করলে তাকে গরিব বলা যায়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই সমাজের আসল রূপ দেখতে পায়।
—হুমায়ুন আহমেদ
বহুল প্রচলিত একটা গল্প মনে পড়ল। রাজার উপর এক ভিক্ষুকের ভয়ানক ঈর্ষা। রাজার কতই না আরাম! তিনি সর্বক্ষণ ভালোমন্দ খেতে পারেন, দামি জামা পরেন, নরম গদির পালঙ্কে ঘুমোতেও পারেন। একদিন রাজার সঙ্গে দেখা করে সে কথা বলেই ফেললেন ভিক্ষুক। রাজা সব শুনে বললেন, ঠিক আছে। আজ তুমি আমার অতিথি। আমি যেমন জীবন কাটাই, তুমিও সেই আরামেই থাকবে। ভিক্ষুক দামি জামা পরলেন, চর্ব-চোষ্য খাওয়ানোও হল তাঁকে। তারপর নরম গদির পালঙ্ক। কিন্তু শুয়েই ভিক্ষুক দেখলেন, মাথার উপর একটা সুতোয় ঝুলছে তলোয়ার। ক্লান্তিতে যতই চোখ জুড়িয়ে আসে, ততই আতঙ্কে ভেঙে যায় ঘুম। এই বুঝি ছিঁড়ে পড়ল। সারারাত না ঘুমিয়ে ভোরবেলা ছুটে রাজার কাছে হাজির হলেন তিনি। বললেন, রক্ষে করুন মহারাজ। এভাবে ঘুমানো যায় না। রাজা হেসে বলেন, আমার অর্থ আছে, আরাম আছে, কিন্তু শান্তির ঘুম নেই। সেটাই তোমাকে বোঝালাম। তাহলে এই গল্পের মরাল কী? খুব সহজ—উচ্চবিত্তের টাকা থাকে, ঘুম থাকে না। আর নিম্নবিত্তের টাকা না থাকলেও শান্তির ঘুমের অভাব হয় না। কিন্তু মধ্যবিত্ত? এক অদ্ভুত জাঁতাকলে পেষাই হতে থাকা শ্রেণি। এদের খানিক টাকা আছে, কিন্তু তা দিয়ে রাজার আরাম হয় না। যদিও সমাজের একটা চাপ এই শ্রেণির উপর থাকে... স্টেটাস মেন্টেইন করার। সেই চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে রাতের ঘুমটাও যায় উড়ে। তার উপর চলতে থাকে সরকারের লাগাতার পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তা সে যে পার্টিই সরকারে থাকুক না কেন। সমাজের গিনিপিগ শ্রেণি হয়েই থেকে যায় মধ্যবিত্ত। কেন? খুব সাদামাটা হিসেব। 
ভারতে দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা সর্বাধিক। ফলে এঁরাই যে কোনও দলের সবচেয়ে বড় ভোটব্যাঙ্ক। পার্টি জানে, এঁদের তুষ্ট রাখতে হবে। সেটাও খুব সহজ। কারণ এঁদের চাহিদা সবথেকে কম। বিনামূল্যে চাল-ডাল, মাথার উপর যেমন-তেমন একটা ছাদের ব্যবস্থা, আর ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় সরকারি স্কুলে পড়াশোনা। সঙ্গে ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি তো রয়েইছে। এতেই তাঁরা খুশি। এবং তাতে কোনও অন্যায় নেই। কোনও সরকার যদি উপযাজক হয়ে বলে, তোমাকে কাজকর্ম করতে হবে না, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব... তাহলে হাতের লক্ষ্মী পায়ে তাঁরা ঠেলবেন কেন? ভোগ্যপণ্যের প্রতি মোহমায়া এই শ্রেণির সাধারণত থাকে না। তাই হাতে নগদের জোগান না থাকলেও খুব অসুবিধা নেই। যদি পকেটে টাকা থাকে, তখন তাঁরা কেনাকাটা করেন। আর কখন টাকা হাতে থাকে তাঁদের? যখন এই শ্রেণির মানুষ কাজে নামেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মানুষ কিনবেই। দাম বাড়লেও কিনবে, কমলেও। সবসময় তার একটা ব্যালান্স অর্থনীতিতে থাকেই। ভোগ্যপণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের উপর নির্ভর করে অর্থনীতির সূচকের ওঠানামা। ভোগ্যপণ্য বিক্রি বাড়লে উৎপাদন শিল্পের গতি ও পরিধি দুই বাড়ে। অর্থনীতি সচল থাকে। যদি সমাজের বেশিরভাগ মানুষই কেনাকাটা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখেন, তাহলে তা মোটেই ইতিবাচক নয়। এই শ্রেণির হাতে টাকা না থাকাটা তাই অর্থনীতির কাছে অবশ্যই অভিশাপ। কারণ, নগদের জোগান না থাকলে দেশের অর্থনীতিতে তাঁরা তেমন কিছুই কনট্রিবিউট করেন না। 
এবার আসা যাক উচ্চবিত্তদের হিসেবে। ধনী বলতে যা বোঝায়, সরকারি হিসেবে তাঁদের প্রত্যেকেই মাসে ২ লক্ষ টাকার উপর আয় করেন। কারণ, মোদি সরকারের মাপকাঠিই বলছে, বছরে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিম্ন আয়ের নাগরিক, আর মিডল ইনকাম গ্রুপ বা মধ্যম আয়ের নাগরিকদের আয় বছরে ১৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ, মাসে দেড় লক্ষ টাকা। এই হিসেব ধরলে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করলে তাঁকে নিম্নবিত্ত ধরাই যায়। মোদ্দা কথা হল, সরকারি মাপকাঠি বলছে, মাসে যাঁরা ২৫ হাজার টাকার নীচে আয় করেন, তাঁরা আর্থিক দিক থেকে দুর্বল। টুইস্ট কিন্তু এখানেই। কারণ দু’টি।
১) মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট কার্যকর করার পর থেকে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য সংরক্ষণ শুরু হয় দেশে। তারপর তাতে যোগ হয় ওবিসি। নরেন্দ্র মোদি সরকার জেনারেল ক্যাটিগরির জন্য আলাদা একটি সংরক্ষণ নিয়ে এসেছে। তার মাপকাঠি করা হয়েছে সেই ব্যক্তি বা পরিবারের আর্থিক অবস্থাকে। যদি কেউ আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে থাকেন, তিনি এই ক্যাটিগরিতে সংরক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে এসসি, এসটি বা ওবিসির সংরক্ষণ তিনি পাবেন না। আর আর্থিকভাবে দুর্বল হতে গেলে তাঁর বার্ষিক আয় কত হতে হবে? ৮ লক্ষ টাকা। মানে মাসে প্রায় ৬৭ হাজার টাকা। যদি এই পর্যায়ের উপার্জনকারীকে আর্থিকভাবে দুর্বল ধরা হয়, তাহলে লোয়ার ইনকাম গ্রুপের মাপকাঠি কেন ২৫ হাজারি হবে? আর্থিকভাবে সত্যিই দুর্বল হলে তো তাঁর আয়কর দেওয়ার কথা নয়। কিন্তু সরকারিভাবে নিম্নবিত্ত বা গরিবরা এদেশে আয়কর দিয়ে থাকেন। আড়াই লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় টপকে গেলেই তাঁকে ৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিতে হয়। যাঁর আয় ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা, তাঁকে দিতে হয় ২০ শতাংশ আয়কর। সঙ্গে যোগ হয় আগের স্ল্যাবের সাড়ে ১২ হাজার টাকা। তৃতীয় স্ল্যাব, অর্থাৎ ১০ লক্ষ টাকার বেশি আয় হলে ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকার সঙ্গে ইনকামের ৩০ শতাংশ টাকা ট্যাক্স দিতে হয় ভারতীয় নাগরিককে। সরকারের হিসেবে নিম্ন মধ্যবিত্তের আয় হওয়া উচিত ৬ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই শ্রেণির একাংশকে সরকারই ‘আর্থিকভাবে দুর্বল বলছে।’ তারপরও তাঁদের থেকে এই বিপুল হারে আয়কর কেটে নেওয়ার যুক্তি কী?
২) দেশের গরিব জনগণের মাপকাঠি স্থির করার আর একটি উপাদান হল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। গ্রামীণ আবাস প্রকল্পে সরকার কিন্তু ঠিক করেছে, পারিবারিক আয় ১০ হাজার টাকার বেশি হলে কোনও ব্যক্তি এই যোজনায় নাম লেখাতে পারবেন না। মানে, সরকার তাঁর বাড়ি তৈরি করে দেবে না। তাঁর বাড়িতে ফ্রিজ থাকতে পারবে না, দু’চাকার মোটরচালিত যানও নয়। এমন একটা মানদণ্ড ধরে বিচার করলে এই শ্রেণিকে গরিব বলতে অসুবিধা নেই। তাহলে বাকি মাপকাঠিগুলি এর সঙ্গে মিলছে না কেন? 
এখানেই এক্সপেরিমেন্ট। আর গিনিপিগ মধ্যবিত্ত। সরকার ধরে নিচ্ছে, কোনও ব্যক্তি আড়াই লক্ষ টাকা বছরে আয় করছেন মানে, তিনি কর দিতে বাধ্য। সরকারি সুবিধার জন্য যা খুশি হিসেব থাকুক না কেন, তাতে কিছু আসে যায় না। ওটা ভোট রাজনীতির জন্য তোলা থাক। সারা বছর কোষাগার তো ভরাতে হবে! মধ্যবিত্তরা চাকরি হারাবে, মূল্যবৃদ্ধির আঁচে পুড়বে, ধার করবে, ট্যাক্স দেবে, তারপর ভোগ্যপণ্যও কিনবে। কারণ, অর্থনীতি সচল রাখার দায় তো তাদেরই! রক্ত জল করে তারা ইনকাম করবে, আর তার একটা অংশ সরকার কেটেও নেবে। এ এক বিষম বিড়ম্বনা। তার উপর সরকারি সুবিধার আর্জি জানাতে গেলে তাদের শুনতে হবে, মশাই আপনার ক্রাইটেরিয়া মিলছে না। বাড়িতে অশান্তি, বাইরেও। মাথার উপর সুতোয় ঝুলছে তরবারি। শান্তির ঘুম? দূরঅস্ত। সমাজের আসল রূপটা দেখতে দেখতেই রাত কাটে তাদের। আর ভোট এলে শত ক্ষোভ নিয়েও লাইন দিতে হবে বুথের সামনে। মধ্যবিত্ত জানে, তারা পার্টির ভোটব্যাঙ্ক নয়... কিন্তু ভোট পাওয়ার ঘুঁটি। এই শ্রেণি সেটাই মেনে নিয়েছে। 
সরকার চলছে, রাজনীতিও। নেতারা আসবেন, ভাষণ দেবেন... মধ্যবিত্তের সুরাহা হবে না। এটাই নতুন ভারতের দস্তুর। বণিকসভা থেকে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ... প্রত্যেকেই বলছেন, আয়করের স্ল্যাব বদল করুন। জিএসটি কমান। একমাত্র তাহলেই মধ্যবিত্তের হাতে টাকা আসবে। অর্থনীতির চাকা ঘুরবে। তাতে কি কান দিচ্ছে মহামান্য ভারত সরকার? এখনও তার কোনও নামগন্ধ পাওয়া যাচ্ছে না। রাজনীতি দিয়ে ঢাকা চেহারার আড়ালে তারা সুবিধা দেবে ধনীদের, উৎকোচ তত্ত্বে ভোটব্যাঙ্ক সুনিশ্চিত করবে। নাঃ, তালিকায় জায়গা হচ্ছে না মধ্যবিত্তের।
29th  November, 2022
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
একনজরে
লক্ষ্য মহিলা ভোট নিজেদের দিকে আনা। সেই লক্ষ্যে সন্দেশখালির মহিলাদের সামনের সারিতে রেখে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারের কৌশল নিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পকে নিয়ে প্রচারের কৌশল তারা ভোঁতা করতে উদ্যত হয়েছে ...

একাধিক মামলায় তিনি ছিলেন পুলিসের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’। জানুয়ারিতেই তাঁর নামে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, থাইল্যান্ডে ধরা পড়লেন নয়ডার স্ক্র্যাপ মাফিয়া তথা উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার রবি কানা। ...

কলকাতা বেলেঘাটার বাসিন্দা গণেশ দাসকে খুনের ঘটনায় বুধবার উদ্ধার হল কিছু হাড়গোড়। জয়পুর থানার পুলিস জানিয়েছে, গাইঘাটা খাল থেকে ফিমার, কোমরের সহ সাতটি হাড় উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি জলে ডুবিয়ে রাখতে ব্যবহৃত বস্তা, দড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। ...

একটা নেটে অনবরত হাত ঘুরিয়ে চলেছেন সুয়াশ শর্মারা। আর একটা নেট পেসারদের দখলে। মূল পিচের ঠিক পাশের নেটে আবার থ্রো ডাউনের বিরুদ্ধে টক টক করে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব  ম্যালেরিয়া দিবস
১৮৫৯: সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়
১৯৪০: মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনোর জন্ম
১৯৬৯: ফুটবলার আই এম বিজয়নের জন্ম
১৯৮৭: সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৩.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৮.০৫ টাকা ৯০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ ৩/৫৫ দিবা ৬/৪৬। বিশাখা নক্ষত্র ৫৩/০ রাত্রি ২/২৪। সূর্যোদয় ৫/১২/১৫, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/৫৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। 
১২ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৪। বিশাখা নক্ষত্র রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/১৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৭ গতে ৫/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১/০ মধ্যে। 
১৫ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৪ রানে হারাল দিল্লি

24-04-2024 - 11:27:04 PM

আইপিএল: ১৩ রানে আউট সাই কিশোর, গুজরাত ২০৬/৮ (১৯ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:18:57 PM

আইপিএল: ৫৫ রানে আউট ডেভিড মিলার, গুজরাত ১৮১/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:08:30 PM

আইপিএল: ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডেভিড মিলারের, গুজরাত ১৭৭/৬ (১৭ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 11:05:47 PM

আইপিএল: ৪ রানে আউট রাহুল তেওতিয়া, গুজরাত ১৫২/৬ (১৬ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:58:15 PM

আইপিএল: ৮ রানে আউট শাহরুখ খান, গুজরাত ১৩৯/৫ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২২৫

24-04-2024 - 10:49:17 PM