Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সরকার শীতঘুমে,
হচ্ছে দক্ষ কর্মী ছাঁটাই
সমৃদ্ধ দত্ত

বিশ্বের বৃহত্তম ই-মার্কেটিং সংস্থা আমাজন প্রায় ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। টুইটার কোম্পানির মালিকানা বদল হওয়ার পর নতুন মালিক বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক প্রথম যে কাজটি করেছেন, সেটি হল ছাঁটাই। সর্বাগ্রে কোম্পানির সিইিও ভারতীয় পরাগ আগরওয়াল ও তাঁর টিমকে বিদায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপর দেখা যাচ্ছে নতুন মালিক কোম্পানিকে আরও লাভজনক করার জন্য কর্মী ছাঁটাই করার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেন বড়সড়? কারণ নতুন মালিকের নতুন সিদ্ধান্ত, টুইটারের কর্মী সংখ্যা কমিয়ে অর্ধেক করে দেওয়া হবে। ঠিক ৫০ শতাংশ ছাঁটাই হবে। ফেসবুক এবং হোয়াটস অ্যাপ যে কোম্পানি পরিচালনা করে, সেই মেটা গত সপ্তাহেই জানিয়েছে, তাদের টার্গেট ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই। মোট কর্মী সংখ্যার ১৩ শতাংশ ছাঁটাই হয়ে যাবে। 
এইসব সংস্থায় প্রধানত কারা কাজ করেন? উচ্চ বেতন তথা বিপুল সামাজিক স্ট্যাটাসের এই চাকরিগুলি প্রধানত কোন র‌্যাঙ্কের নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রফেশনালদের জন্য? এগুলি সবই যেহেতু প্রধানত তথ্য প্রযুক্তির দ্বারা পরিচালিত, তাই এখানে কাজ করেন ডেটা সায়েন্টিস্ট, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডেটা অ্যানালিস্ট, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স অপারেটর, রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়াররা। উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি ডিপ্লোমা নেওয়া হাই প্রোফাইল ছাত্রছাত্রীরা এই সেক্টরে চাকরি পায়। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্বের প্রথম সারির যে কোম্পানিগুলি রয়েছে তাদের অর্থাৎ টুইটার, মেটা, আমাজন, কয়েনবেস, মাইক্রোসফ্ট এবং স্ন্যাপের পক্ষ থেকে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। আরও হবে আগামী এক বছর ধরে। 
গোটা বিশ্বে এই কয়েক সপ্তাহে সামগ্রিকভাবে শুধুমাত্র টেক কোম্পানিগুলি থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি ছাঁটাই হয়েছে। মেটা (ফেসবুক সংস্থা) শুধু এই বছরেই ১৫ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করে ফেলেছে। অক্টোবর মাসে সম্মিলিতভাবে এসব সংস্থার ১১ হাজার পদ চিরতরে তুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বহু টেক সংস্থা গত আটমাস ধরেই এই পন্থায় পা মিলিয়েছে। ২০২০ এবং ২০২১ সালে যে পরিমাণ হায়ারিং অর্থাৎ নতুন নিয়োগ হয়েছিল, ২০২২ সালে দেখা যাচ্ছে, সেই প্রবণতা বন্ধ করে উল্টো পথ নেওয়া হচ্ছে লাগাতার। অর্থাৎ ফায়ারিং। ছাঁটাই। 
এই প্রবণতা থেকে যে চরম আশঙ্কার বার্তা পাওয়া যাচ্ছে সেটা হল, এই প্রথম দেখা যাচ্ছে, হাই প্রোফাইল চাকরিতে বিপুল ছাঁটাই হচ্ছে। অর্থাৎ চাকরির জগতে যে সফটওয়্যার ও ইনফরমেশন টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি একচ্ছত্র দাপট দেখিয়ে আসছে বিগত ২০ বছর ধরে, হঠাৎ সেই সেক্টরের উচ্চ বেতন, উচ্চ স্ট্যাটাস, হাই প্রোফাইল চাকরির আর নিশ্চয়তা থাকছে না। সবথেকে কম চাকরি তথা কর্মসংস্থান হওয়ার কথা কাদের? যাদের বলা হয় আনস্কিলড লেবার। অর্থাৎ যাদের কোনও বিশেষ বিষয়ে বিশেষ নৈপুণ্যের অধীত জ্ঞান নেই। তারা শুধুই ম্যানুয়াল লেবার দিতে পারবে। সোজা কথায় শারীরিক শ্রমের কাজের বাজার অনেক বেশি এবং এই বাজারটিই কিন্তু অসংগঠিত। ভারতের মতো দেশে এই অসংগঠিত সেক্টর সবথেকে বেশি অর্থনীতিতে জোগান দেয় আর্থিক লেনদেন। ভারতের দুর্ভাগ্য হল স্কিল থাকলেও তাদের যথাযোগ্য কাজ ও মর্যাদা কম। পাড়ার প্লাম্বার কিংবা ইলেকট্রিশিয়ানরা স্কিলড লেবার। অথচ তাঁদের সেই স্কিলের রাষ্ট্র কোনও সুযোগ দেয় না। 
এই শ্রমিকদের কোনও নিরাপত্তা নেই। নেই কোনও জব স্ট্যাটাস।  দীর্ঘকাল ধরে ভারত ও বিশ্বের সর্বত্র ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর ছিল বৃহত্তম চাকরিদাতা। কিন্তু বিগত বছরগুলিতে দেখা গেল, বৃহৎ ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি আর তৈরি হচ্ছে না সেভাবে। সবথেকে বড় ধাক্কা লাগলো ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কোর সেক্টরে। অর্থাৎ সিভিল, মেকানিক্যাল এবং ইলেকট্রিক্যাল। বছরের পর বছর ধরে এই কোর সেক্টরের কোর্সে ভর্তি হওয়ার আগ্রহ কম। মেধাবী  অথবা মাঝারি মানের ছাত্রছাত্রী, দুপক্ষই সর্বাগ্রে পছন্দ করছে তথ্য প্রযুক্তিকে। যে কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রবণতা হল, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মতো কোর্সগুলির আসন আগে পূর্ণ হয়। 
অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল এডুকেশনের রিপোর্ট দেখা যাচ্ছে, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মোট আসন ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১২ সালে যা ছিল ২৬ লক্ষ। ২০২২ সালে সেটি ২৩ লক্ষ। ২০১৪ সালে সবথেকে বেশি ছিল। ৩১ লক্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং সিট। কেন এই ক্রমহ্রাসমান অবস্থা? কোর সেক্টরের লক্ষ লক্ষ আসন ফাঁকা পড়ে থাকে বছরের পর বছর ধরে। এর কারণ কম বেতনের চাকরি। কম চাকরির সুযোগ। নির্মাণ ও ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের মন্দা।  তাই সবথেকে মূল্যবান কোর্স হয়ে উঠেছে তথ্য প্রযুক্তি। 
কিন্তু এবার বিস্ময়কর হল, স্কিলড কর্মীদের অবাধে ছাঁটাই করা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। ভারতেও। সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরের নিয়োগ প্রবণতায় ধীরগতি। লকডাউনে সবথেকে বেশি দাপট দেখিয়েছে তথ্য প্রযুক্তি এবং সার্ভিস সেক্টর। অনলাইন সার্ভিস এমন শিখর স্পর্শ করেছিল যে, হু হু করে চাকরি বেড়েছে এইসব তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায়। যে হারে নিয়োগ হচ্ছিল, সেই গতি তো নেইই, বরং ছাঁটাই শুরু হয়েছে। 
এইসব উচ্চশিক্ষার পর চাকরি পাওয়ার জন্য আরও কী করতে হয়? ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের পর আবার ম্যানেজমেন্ট কোর্স করতে হয়। অর্থাৎ দ্বিগুণ স্কিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই কর্মীদের ছাঁটাই করা চলছে। এই দক্ষ কর্মীরা ছাঁটাই হলে আবার চাকরি পেয়ে যাবেন! তাহলে আর চিন্তা কীসের? চিন্তা হল, একদিকে যেমন ছাঁটাই শুরু হয়েছে, তেমনই শুরু হয়েছে প্যাকেজ র‌্যাশনালাইজেশন প্রক্রিয়া। অর্থাৎ এখন তাবৎ অডিট এবং কনসালট্যান্ট সংস্থাগুলি কোম্পানিদের পরামর্শ দিচ্ছে যে, তোমরা অনেক বেশি স্যালারি দিচ্ছো। এত স্যালারি দেওয়ার মতো বাজারই নয়। বরং এখন স্কিলড ওয়ার্কারদের চাহিদার তুলনায় সাপ্লাই বেশি। অতএব বেতন কমাও। সেই পরামর্শ মেনে নিয়ে শুরু হয়েছে পে কাট। একটি পদের জন্য আগে যে বেতন পাওয়া যেত, এখন আগামী দিনে সেই বেতন কাঠামো অনেক কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। এটাই নতুন প্রবণতা। অর্থাৎ কর্মী ছাঁটাই এবং বেতন ছাঁটা‌ই। এই দুইয়ের পরিণাম কী? এডুকেশন লোন মেটাতে না পারা। তার ফলশ্রুতি টের পাওয়া যাচ্ছে। 
ভারতের ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক গত আগস্ট মাসে স্থির করেছে উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ দেওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হবে। কারণ প্রবলভাবে বেড়ে চলেছে লোন ডিফল্টারের সংখ্যা। অর্থাৎ উচ্চশিক্ষার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে, তারপর আর সেই টাকা পরিশোধ করতে পারছে না অথবা করছে না। এরকম সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তাই এই বছরে ১৪ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এডুকেশন লোন দেওয়ার টার্গেট। অর্থাৎ সবথেকে বড় বিপদ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের। যারা লোন নিয়ে বিদেশে বা স্বদেশে পড়াশোনা করতে চাইছে। 
এই প্রেক্ষাপটে ভারত সরকার কী করছে? এখনও স্বপ্ন বিক্রির সেই ট্রেন্ডই চলছে। অর্থাৎ ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। যা কিছু ভালো সব ভবিষ্যতে অপেক্ষা করে আছে। ২০২৫ সালে ভারত হবে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি। ২০৪৭ সালে হবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি। ২০৩০ সালে বেকারত্ব থাকবে না। সব ঘরে জল আসবে। সবার ঘর হবে। ইত্যাদি। শুধুই অবাস্তব ক্যাম্পেন এখনও অব্যাহত। বাস্তব অবস্থা নিয়ে ভারত সরকার কোনও চিন্তাভাবনা করছে এরকম সামান্য কোনও নমুনা দেখা যাচ্ছে না। বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির সঙ্গে ভারতের পার্থক্য কী? ওইসব দেশ বিপন্নতার কথা স্বীকার করে বারংবার বলছে যে, আমাদের এখন থেকে সতর্ক হতে হবে। সামনে আরও খারাপ সময় আসছে। সকলে একসঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। আর ভারত সরকার ক্রমাগত বলে চলে, শুরু হয়েছে অমৃতকাল! সোনার ভারত তৈরি হল বলে! যে রাষ্ট্র দেশবাসীকে ঠকায়, সেই দেশের মানুষ সত্যিই ভাগ্যহীন! 
18th  November, 2022
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে ইউজিসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নিয়েপা’র অধ্যাপক এবং সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে নাগরিক কমিশন গঠিত হল। ...

একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...

দেশজুড়ে আদর্শ নির্বচনী আচরণবিধি চলছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ওই দিন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। কিন্তু বিতর্ক বেঁধেছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে। ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:04:22 PM