Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অপরিণতমনস্ক
রাজনীতির দিশাহীনতা
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি ভিন্ন মতাবলম্বীর দল নিজেদের নীতি ও আদর্শ প্রচার করে। দু পক্ষেরই প্রধান লক্ষ্য হল, সাধারণ মানুষকে নিজেদের দলে টানা। কখনও কর্মী হিসেবে। কখনও সমর্থক হিসেবে। কখনও নিছক ভোটার হিসেবে। এটাই রাজনীতির দস্তুর। যদি দেখা যায়, একটি দল বা সংগঠনের প্রভাব অনেক বেশি জনমনে, তাহলে তার স্পষ্ট কারণ হল, এই দলটি মানুষের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় হতে পেরেছে। সেই দলের নেতাদের প্রভাব মানুষের উপর বেশি। অন্য দলটি পিছিয়ে পড়ছে। কারণ তাদের প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম। তাদের দলে এমন কোনও তুমুল জনপ্রিয় নেতানেত্রী নেই, যাঁকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে জনপ্রিয়তার লড়াইয়ে নামা যায়। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে নীতি, আদর্শ,  প্রভাবের প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় দলটি অনেকটাই হেরে যাচ্ছে প্রথম দলের কাছে। এইরকম অবস্থায় নীতি, আদর্শ, প্রভাব বিস্তারের প্রবল প্রচেষ্টায় দাঁতে দাঁত চেপে মানুষের মধ্যে আরও বেশি করে নিজেদের জনপ্রিয় করার মরিয়া প্রয়াসই হল স্বাভাবিক নিয়ম। এভাবে একদিন দ্বিতীয় দল প্রথম দলের থেকে অধিক জনপ্রিয় হবে। দ্বিতীয় দলের দর্শন, অবস্থান, ভাবনাচিন্তা মানুষ গ্রহণ করবে। প্রথম দল ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাবে। এসবই হল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নীতির লড়াই। 
কিন্তু যদি দেখা যায়, আমার সংগঠন বা দল যে নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী, তার বিপরীত মতাবলম্বী কোনও তুমুল জনপ্রিয় নেতাকে হত্যা করলাম, তার অর্থ কী? অর্থ হল, আমি তাঁর অথবা তাঁর দলের সঙ্গে নীতি ও আদর্শের লড়াইয়ে জিততে পারলাম না। বারংবার হেরে যাচ্ছি। তাই শর্টকার্ট পদ্ধতিতে আমি সেই দলের প্রধান নেতাকে হত্যা করলাম। কার্যত আমি এভাবে স্বীকার করে নিলাম যে, আমার দলের চিন্তাধারা ও দলীয় নেতৃত্ব জনপ্রিয়তার লড়াইয়ে ওই বিরুদ্ধপক্ষীয় নেতার কাছে হেরে গিয়েছে। তাই আমার খুব রাগ হয়েছে। সুতরাং রেগে গিয়ে আমি বিরুদ্ধপক্ষীয় নেতাকে হত্যা করে সরিয়ে দিলাম। ভাবলাম, এর ফলে আমার দল জনপ্রিয় হয়ে যাবে। 
নাথুরাম গডসে, নারায়ণ আপ্তেরা এটাই ভেবেছিলেন। গডসে কি দেশভাগের জন্য গান্ধীহত্যা করেছেন? একেবারেই না। কারণ, তিনি তো একবার নয়। একাধিকবার গান্ধীকে হত্যা করার চেষ্টা করেছেন। কখনও পঞ্চগনিতে গিয়েছেন হামলা করতে। কখনও সেবাগ্রামে টার্গেট করেছেন। সেসব তো দেশভাগের আগে।  নাথুরাম গডসে মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করে বস্তুত অসহায়ভাবে পরোক্ষে যেন স্বীকারই করে নিয়েছিলেন যে, নীতি, আদর্শ ও চিন্তাধারার প্রতিযোগিতায় তাঁর দল অথবা সংগঠন মহাত্মা গান্ধীকে হারাতে পারছে না। গান্ধীর জনপ্রিয়তার ধারেকাছে ভারতজুড়ে নাথুরাম গডসের নেতারা জনপ্রিয় হতে পারছেন না। তাহলে কী করণীয়? সহজ পদ্ধতি। গান্ধীকে হত্যা করে ফেলা। খুবই বুদ্ধিহীন ও নিম্নমেধার সিদ্ধান্ত বলাই বাহুল্য। কারণ, প্রথমত এভাবে ভাবার মধ্যে সুদূরপ্রসারী সাফল্যের পরিকল্পনা, অনুশীলন কিংবা পরিশ্রম থাকে না। নিজের সমমনস্ক সংগঠন ও নেতাকর্মীদের কাছে হিরো হওয়ার বাসনা থাকে।  নাথুরাম গডসের হৃদয়ে শোনা যায় প্রবল দেশপ্রেম ছিল। যে সময়  সক্রিয়ভাবে হিন্দু মহাসভার সদস্য হয়েছেন, সেই সময় তাঁর বয়সি হাজার হাজার ভারতীয় নারীপুরুষ নেতাজির আজাদ হিন্দ বাহিনীর হয়ে সরাসরি ব্রিটিশের সঙ্গে লড়াইয়ে আত্মনিবেদন করে প্রাণদান করছেন। ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বম্বের একটি নৌবাহিনীর জাহাজ ও ব্যারাকে যে বিদ্রোহ সূচিত হল, সেখানে অল্পবয়সি রেটিংসদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছিল ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে। বম্বে থেকে করাচিতে যুবসমাজ ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই বিদ্রোহের সমর্থনে। কী করছিলেন গডসে  তখন? 
যে সংগঠনের তিনি সদস্য হয়েছিলেন, সেই হিন্দু মহাসভা গান্ধীহত্যার আগেও সফল ছিল না ভোট মানচিত্রে। পরেও বিশেষ সাফল্য পেল না। ১৯৪৬ সালের বাংলার বিধানসভা ভোটে মাত্র তিন। গান্ধীহত্যার পরবর্তীকালে আরও তো উত্তরোত্তর জনপ্রিয় হওয়ার কথা ছিল! কই হল না তো! এমনকী স্বয়ং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরে নিজস্ব পৃথক দল গঠন করলেন। হিন্দু মহাসভা রাজনৈতিক আলোচনাতেই আর নেই গত ৭০ বছর ধরে। 
রুবি পার্কে একটি পুজোয় গান্ধীজিকে মহিষাসুর সাজিয়ে চমক দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বিদ্বেষ ও ঘৃণার রাজনীতিকে উৎসবের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। হিন্দু মহাসভা নামক একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এই আয়োজন। কিন্তু এই আয়োজকরা বাংলার সামাজিক আচরণটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। তারা বিশ্লেষণ করে দেখলে বুঝতে পারবে যে, বাংলা ওভার পলিটিসাইজড জাতি কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু আশ্চর্যভাবে এই জাতি কোনও ব্যাপারেই বাড়াবাড়ি অর্থাৎ মাত্রাজ্ঞানহীন আচরণ পছন্দ করে না। রিজেক্ট করে দেয়। ছয়ের দশকের শেষভাগ থেকে নকশাল আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। উগ্র বামপন্থার প্রচার ও ব্যক্তিহত্যা। শ্রেণিশত্রু হত্যার নামে সাধারণ ট্রাফিক পুলিস কিংবা গ্রামের কোনও ব্যবসায়ীকে হত্যা করা। এই গোটা মাত্রাছাড়া অবাস্তবতা নিয়ে আজও প্রচুর বই লেখা হয়। সিনেমা হয়। নাটক হয়। কিন্তু প্রকৃত বার্তাটি হল, বাঙালি ওই প্রোজেক্টকে রিফিউজ করেছে। কয়েক বছর একটু আতঙ্ক টেনশন উত্তেজনা, ছেলে হারানোর কান্না গ্রাস করে রেখেছিল। কিন্তু আমবাঙালির সমর্থন পায়নি। তাই ব্যর্থ হয়ে গবেষণা ও প্রবন্ধে ঢুকে পড়েছে ওই আন্দোলন। তাঁদের উদ্দেশ্য নিশ্চিত মহৎ ছিল। পথ ছিল অবাস্তব ও ইমম্যাচিওরড। 
৩৪ বছর ধরে রাজ্যে একটি কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় ছিল। অথচ সেই রাজ্যের মানুষের মধ্যে ঈশ্বর আরাধনা, ধর্মীয় উৎসবের রমরমা একটুও কমল না তো বটেই, বেড়ে গেল উত্তরোত্তর। আজ আমাদের পারিপার্শ্বিক দেখলে মনে হয় যে এই রাজ্যটা ৩৪ বছর কমিউনিস্ট  শাসনে ছিল? কী ছাপ পড়েছে ধর্মাচরণে? বাস্তববাদী জ্যোতিবাবু চেষ্টাও করেননি কখনও নাস্তিকতা কিংবা কমিউনিজম জোর করে বলবৎ করতে। কিন্তু তাঁর উত্তরাধিকারী ক্ষমতার দর্পে প্রথমত বেশি বেশি কথাও বলতেন। আর আজীবন মানুষের পাশে থাকা দলকে সরিয়ে আনলেন বিরোধী ও সাধারণ মানুষের প্রতি দম্ভ, অহং এবং তাচ্ছিল্যের জগতে। সেটা কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে অপাঙ্গে দেখল মানুষ। সেই সময় দুটি বাড়াবাড়ি এবং মাত্রাজ্ঞানহীনতার নমুনাও উপহার দিলেন তিনি। সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম। ঠিক পরের বছর থেকেই মানুষ সরে যেতে শুরু করলেন। কারণ কিন্তু নিছক কোনও অপ্রাপ্তি ও উন্নয়নহীনতা নয়। প্রধান কারণ ওই আচরণগত মাত্রাজ্ঞানহীনতা। দাম্ভিকের ইমম্যাচিওরিটি। 
২০২১ সালে বিজেপি ছিল যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। কিন্তু হিল্লিদিল্লি থেকে নেতাদের নিয়ে এমন উচ্চগ্রামে একটা ভিন্ন সংস্কৃতির বাজনা শুরু হল যে, বাঙালি বিরক্ত হয়ে তাদের প্রত্যাখ্যান করল। সুতরাং মানুষের মনস্তত্ত্ব বুঝে নিখুঁত একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা আয়ত্ত করতে না পারলে, এই রাজ্যে টিকে থাকা খুব সমস্যা। এই রাজ্যটি হুজুগে। কিন্তু একইসঙ্গে আবার সতর্ক। যেভাবেই হোক অতি সক্রিয়তা, অতি বিদ্বেষ, অতি ঘৃণা, অতি রাজনৈতিক দম্ভ, অতি আগ্রাসী সংস্কৃতি, কোনওটাই মেনে নেয় না। কতটা সংস্কৃতির সঙ্গে কতটা ধর্ম মেশাতে হবে, কতটা শিষ্টতার সঙ্গে কতটা রাজনৈতিক আগ্রাসন মেশাতে হবে, কতটা আক্রমণাত্মক বক্তৃতায় কতটা সৌজন্য মেশাতে হবে, এসব মাপার একটি অদৃশ্য পরীক্ষাগার আছে এই রাজ্যবাসীর মস্তিষ্কে। গান্ধীজির থেকে নেতাজি এখানে শতগুণ জনপ্রিয়। কিন্তু তাই বলে গান্ধীজিকে রাক্ষস বানিয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেষ্টায় জয়ধ্বনি প্রত্যাশা করলাম, এসব ছেলেমানুষি অন্য রাজ্যে চলতে পারে। এখানে নয়। আর তাই রাতারাতি রূপ বদলে ফেলা হল। এই নির্বুদ্ধিতার অর্থ হল, রাজ্যবাসীকে না চেনা এবং রাজনীতিও না বোঝা! স্বাধীনতার পর থেকে এই রাজ্যটি সবথেকে বেশি প্রত্যাখ্যান করেছে অপরিণতমনস্কদের!
07th  October, 2022
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
একনজরে
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...

নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

প্রথম দফার ভোটে প্রচার পর্ব শেষ হয়েছে বুধবার বিকেলেই। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। অদ্ভুতভাবে বাংলার প্রথম দফার ভোটে ব্রাত্য রইলেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। ...

পিছনে লেগে রয়েছে ইডি। চীনা ভিসা দুর্নীতি মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দিল্লি

17-04-2024 - 10:27:17 PM

আইপিএল: ১৯ রানে আউট সাই হোপ, দিল্লি ৬৭/৪ (৫.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

17-04-2024 - 10:14:08 PM

আইপিএল: ১৫ রানে আউট অভিষেক পোরেল, দিল্লি ৬৫/৩ (৫ ওভার) টার্গেট ৯০

17-04-2024 - 10:08:47 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত এক পরিযায়ী শ্রমিক

17-04-2024 - 10:01:42 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট পৃথ্বী শ, দিল্লি ৩১/২ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

17-04-2024 - 09:53:34 PM

আইপিএল: ২০ রানে আউট জ্যাক, দিল্লি ২৫/১ (২ ওভার) টার্গেট ৯০

17-04-2024 - 09:50:47 PM