Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পরিবার বনাম পদযাত্রা:
শেষ চেষ্টা রাহুলের
সমৃদ্ধ দত্ত

তিনি ক্রাউড পুলার নয়। তাঁর মধ্যে সেই স্পার্ক নেই, যা জনমানসে বিদ্যুতের মতো ছড়িয়ে পড়ে। তিনি যা বলেন, মন্ত্রমুগ্ধের মতো মানুষ শুনছে, এমন একেবারেই নয়। কোনও একটি জনপদে তিনি আসছেন সভা সমাবেশ করতে, আর শুধুমাত্র তাঁকে দেখতেই লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়ে গেল, এরকম দৃশ্য দেখা যায়নি কখনও। তাঁর জন্মদিন কবে? কতজন জানেন তারিখটি? সেই জন্মদিনে কি তাঁর মঙ্গলকামনায় দেশের মন্দির মসজিদ গীর্জায় প্রার্থনা করেন তাঁর ফ্যানবেস অথবা ভক্ত কিংবা সমর্থকরা? সেরকম শোনা যায় না। আগুনের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার মতো কৃচ্ছ্রসাধন করে তাঁর ক্যারিশমায় নিবেদিতপ্রাণ কর্মী সমর্থক? যেমন জয়ললিতার ক্ষেত্রে দেখা যেত? প্রশ্নই নেই। দেশবাসীর কথা বাদ দেওয়া যাক। নিজের দলের উপরই কি তাঁর কোনও প্রভাব আছে? তিনি তাঁর ঠাকুমার মতো একাধারে প্রবল জনপ্রিয়, আবার একনায়কতন্ত্রের ইমেজ কখনও ধারণ করতে পারবেন? ১০০ শতাংশ সেই সম্ভাবনা নেই। ভারতবর্ষকে তিনি কি খুব ভালো করে চেনেন? একথা তিনি নিজেও দাবি করেন না। বরং চেষ্টা করেন চিনতে অবিরত। ভারতের সমাজ, ভারতের শ্রেণিবিভাগ, জাতিচেতনা, ক্লাস বনাম কাস্ট স্ট্রাগল, সংস্কৃতি, বিনোদন ধর্মীয় রিচুয়ালস ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের একটা ধারণা তৈরি হয় ছেলেবেলা থেকে। সেগুলিকে কেন্দ্র করেই আমরা বেড়ে উঠি ক্রমেই শৈশব থেকে কৈশোর হয়ে যৌবনে।
কিন্তু এই সুযোগটি তাঁর ছিল না। তাঁর  ঠাকুমাকে সন্ত্রাসবাদীরা হত্যা করার পর একদিন সেন্ট কলম্বাস স্কুল থেকে তাঁকে ও জেসাস অ্যান্ড মেরি স্কুল থেকে তাঁর বোনকে দিল্লির সফদরজং রোডের একটি বাংলোয় সেই যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারপর গোটা কৈশোর হয়ে তারুণ্যে প্রবেশ করার পর্বটি একপ্রকার বন্দি জীবন কেটেছে। তাই সহজেই মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করা, ইচ্ছে করলেই বন্ধুদের জন্মদিনে অথবা বিয়েবাড়িতে যাতায়াত ইত্যাদি সম্ভব ছিল না। স্পেশাল সিকিউরিটি গ্রুপের উপর নির্ভর করত এই ভাইবোনের সামাজিক জীবন। সাত বছরের মধ্যে একইভাবে তাঁদের বাবাকেও হত্যা করা হয়। তাঁকে আর দেশেই রাখলেন না ভীতসন্ত্রস্ত মা ও বোন। তিনি চলে গেলেন আমেরিকায়। অতএব তাঁর এই দেশটাকে জানা হল না সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়টায়। 
২০০৪ সালে রাজনৈতিক করিডরে প্রাথমিকভাবে অনিচ্ছাসহকারে সেই যে হাঁটা শুরু করলেন রাহুল গান্ধী, সেই হাঁটা আজও চলছে। রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক সাফল্য আসবে কি না সেই উত্তর ভবিষ্যতের কালের গর্ভে নিহিত আছে। কিন্তু সম্ভবত ভারতের সবথেকে কঠিন রাজনৈতিক লড়াইটা তিনি করছেন। একদিকে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদির মতো প্রবল শক্তিশালী, ক্যারিশম্যাটিক, জনপ্রিয় ও দলের উপর একচ্ছত্র প্রভাবসম্পন্ন নেতানেত্রী। তাঁরা এক ডাকে লক্ষ লক্ষ মানুষকে জমায়েত করেন। তাঁরা হাজারো সমালোচনা ও আক্রমণ সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে নিজেদের ভোটার ও সমর্থকদের কাছে সমানভাবে আরাধ্য হয়ে থাকছেন ভোটের পর পর ভোটে। অন্যদিকে আছেন তেজস্বী যাদব, অখিলেশ যাদব, এম কে স্ট্যালিন, নবীন পট্টনায়ক, জগনমোহন রেড্ডির মতো পৈতৃক রাজনৈতিক পরিচয়ের উচ্চতম পে-ডিগ্রি সম্পন্ন মানুষ এবং তাঁদের একান্ত নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক। তাঁরা প্রত্যেকেই সেই উত্তরাধিকারকে সম্মান দিয়ে তারপর নিজেদের নেতৃত্ব ক্ষমতার মাধ্যমে স্থাপন করতে পেরেছেন। এ এক চরম সফলতা। এছাড়াও আছেন প্রাদেশিক আবেগকে পুঁজি করে ভোটারদের নয়নের মণি হয়ে ওঠা কে চন্দ্রশেখর রাও। ভারতের রাজনীতি আবর্তিত এই তিন ফর্মুলায়। 
এই মডেলগুলি থেকে সম্পূর্ণ অনেক দূরের এক নির্জন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী। এই নিবন্ধের শুরুতেই বলা হয়েছে যে, তাঁর না আছে প্রবল জনপ্রিয়তা, না আছে দলে একচ্ছত্র প্রভাব খাটানোর ব্যক্তিত্ব। এমনকী তিনি যে সর্বদা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তাও নয়। এই প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দলটির ইতিহাস এতই উচ্চমার্গের যে, সেই উত্তরাধিকার বহন করাও এক সাংঘাতিক বড় দায়িত্ব ও মানসিক চাপ। একইভাবে তাঁর পদবিটির ওজন ও ঐতিহ্য সমানভাবে পর্বতপ্রতিম। ঐতিহাসিকভাবে তাঁর দল সবথেকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কোনও সন্দেহ নেই। তাঁর ঠাকুমা দলকে একদা লোকসভা নির্বাচনে ৩৫২টি আসন, তাঁর বাবা চারশোর বেশি আসন এনে দেওয়ার ইতিহাস রচনা করেছেন। আর তাঁর আমলে সেই দল কখনও ৪৪, কখনও ৫২ পেয়েছে। 
যাঁর বিরুদ্ধে তাঁকে জাতীয় স্তরে লড়াই করতে হচ্ছে, সেই নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা, বাগ্মিতা, তাৎক্ষণিক হাততালিবান্ধব স্লোগান দেওয়া অথবা চটকদারি আকর্ষণীয় ইমেজের ধারেকাছে তিনি নেই। ঠিক এটাই রাহুল গান্ধীর লড়াইটাকে প্রবল আকর্ষণীয় করে তুলেছে। অর্থাৎ তাঁর পুঁজি প্রায় শূন্য। নিশ্চিত ভোটব্যাঙ্ক নেই, একক জনপ্রিয়তা নেই, একচ্ছত্র প্রভাব নেই, দলে শৃঙ্খলা নেই, নিবেদিতপ্রাণ টিম নেই, যখন তখন যে সে যেকোনও সময় বিজেপির প্রলোভনে পা দিয়ে দলত্যাগ করে চলে যাচ্ছে। 
রাহুল গান্ধীর মতো এই কঠিন লড়াইটা আর কেউ লড়ছেন না। কেন তাঁর এই লড়াইটা আকর্ষণীয়? কারণ, তিনি মাঠ ছেড়ে পালাচ্ছেন না। তিনি বারংবার ভুলুণ্ঠিত হচ্ছেন। বারংবার অপমানিত হচ্ছেন। তাঁকে নিয়ে প্রচুর হাসিতামাশা হয়। কিন্তু সব সহ্য করে এই শতাব্দীপ্রাচীন দলকে বাঁচিয়ে রাখা এবং আরও ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালিয়েই যাচ্ছেন। বহু রাজনৈতিক ভ্রান্তি করে, বহু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে, বহুবার বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে অবশেষে ২০২২ সালে রাহুল গান্ধী সম্ভবত শেষ বাজিটি খেলতে নেমেছেন তাঁর দলের অস্তিত্ব রক্ষায়। দুটি কর্মসূচি। দুটিই চমকপ্রদ। প্রথমত গান্ধী পরিবারের পক্ষ থেকে আর কেউ সভাপতি সভানেত্রী হবেন না কংগ্রেসের। গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে কেউ হোক। এটাই অনড় ঘোষণা। আগামী ১৯ অক্টোবরই জানা হয়ে যাবে যে, কে হচ্ছেন পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি। সিদ্ধান্তটির অভিঘাত বিশেষ করে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির কাছে অনেক বেশি। গান্ধী পরিবারের কেউ যদি সভাপতি পদেই না থাকেন, অর্থাৎ সরাসরি দলের চালিকাশক্তি না হন, তাহলে বিজেপির আাক্রমণের মূল অস্ত্রটিই অনেকটা ভোঁতা হয়ে যাবে। কারণ নরেন্দ্র মোদি অথবা বিজেপির যে কোনও নিচুতলার কর্মী, সকলের টার্গেট গান্ধী পরিবার। কিন্তু যদি অন্য কেউ সভাপতি হন, তাহলে আক্রমণের অভিমুখ এবার স্থির করতে হবে বিজেপিকে। 
আর দ্বিতীয় বিস্ময়কর যে কাজটি তিনি হাতে নিয়েছেন, সেটা একপ্রকার বেনজির। কন্যাকুমারী থেকে শুরু করে কাশ্মীর পর্যন্ত তিনি হাঁটা শুরু করেছেন। অর্থাৎ এই গোটা পথ তিনি হেঁটে হেঁটে পার করবেন। অবিশ্বাস্য এক কর্মসূচি। কারণ, রথযাত্রা নয়। পদযাত্রা। রাহুল গান্ধী যে পরিবার ও জীবন থেকে উঠে এসেছেন, সেখানে আরাম বিলাস ও সুরক্ষিত এক যাপনই স্বাভাবিক। কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি অথবা ঘটনায় কয়েকদিন একটানা শারীরিক পরিশ্রম করাই হয়। নির্বাচনের সময় সকল নেতা-নেত্রীই তা করেন। কিন্তু কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর হেঁটে চলা এক আশ্চর্য কর্মসূচি। তাও আবার আমাদের সকলের চোখের আড়ালে। ভারতকে চেনার, ভারতকে জোড়ার যাত্রা। অর্থাৎ তাঁর নিজের কথায়, এখন ভারতে বিদ্বেষ ও বিভাজন এতটাই ছড়িয়েছে, তিনি তাঁর বিপরীত পথে হেঁটে ভারতের মূল আত্মার সন্ধান করছেন। রাহুল গান্ধীর এই কর্মসূচি আদৌ কতটা সফল হবে অথবা নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে কি না, সেটা সময় বলবে। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি, তিনি চেষ্টা করছেন একটি হেরে যাওয়া লড়াইয়ের ময়দানে আবার প্রাণপণে ফিরতে। আর সেই ফেরার পথটি শর্টকার্ট করতে চাইছেন না। বরং কঠিন। শারীরিক কৃচ্ছ্রসাধন তো বটেই, পাশাপাশি একটি এক্সপেরিমেন্টও। অর্থাৎ এই ধরনের রাজনীতি আদৌ ২০২২ সালে গ্রহণযোগ্য কি না কিংবা সাফল্য পায় কি না এটারও একটা পরীক্ষা হয়ে যাচ্ছে।
সুতরাং বিস্ময়কর এক পদযাত্রা এবং অগান্ধী এক সভাপতি। রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক কেরিয়ারের মোক্ষম দুটি অন্তিম বাজি। তিনি কি পারবেন ইতিহাসের চাকা ঘোরাতে? পরিবার পারেনি, পদযাত্রা কি পারবে কংগ্রেসের জমি পুনরুদ্ধার করতে?
30th  September, 2022
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...

শপিং মলের পর এবার গির্জা। ফের ছুরি নিয়ে হামলা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সোমবার আচমকা ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন গির্জার বিশপ সহ আরও বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থী। জখম ...

কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সেই ২০০৯ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও তিনিই জোড়াফুলের প্রার্থী। বিগত লোকসভা নির্বাচনগুলির সময় দেখা গিয়েছে, জয় নিয়ে কার্যত ‘চিন্তামুক্ত’ থাকতেন তিনি। ...

দেশজুড়ে আদর্শ নির্বচনী আচরণবিধি চলছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। ওই দিন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। কিন্তু বিতর্ক বেঁধেছে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল-এর নক আউট ও সেমিফাইনালের দিনক্ষণ ঘোষণা
আইএসএল-এর নক আউট ও সেমিফাইনালের দিনক্ষণ আজ মঙ্গলবার ঘোষণা করে ...বিশদ

05:32:32 PM

রামনবমী নিয়ে তৃণমূলকে তোপ মোদির

05:03:07 PM

বিজেপি বাংলার ৬ কোটি মানুষকে ফ্রি তে রেশন দিচ্ছে: মোদি

05:02:34 PM

ঘরে ঘরে গিয়ে বলুন মোদিজি এসেছিলেন, আপনাদের প্রণাম জানিয়েছেন: মোদি

 

04:58:00 PM

এতবছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাকে পিছিয়ে রেখেছে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল: মোদি

04:56:47 PM

বাংলার বিকাশ মোদির অগ্রাধিকার: মোদি

04:55:09 PM