Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জ্ঞানবাপী মামলা, উত্তেজনার চোরাস্রোত
মৃণালকান্তি দাস

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি অলোক কুমার নাকি উত্তেজনার চোরাস্রোতে ভাসছেন! ইতিউতি যা মন্তব্য করছেন তাতেই টের পাওয়া যাচ্ছে সেই উত্তেজনা। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে আরএসএসের সম্মেলনে যেমন বলেছিলেন, ‘বিচারকের রায় বুঝিয়ে দিয়েছে জ্ঞানবাপী মামলা ১৯৯১ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা উপাসনাস্থল আইনের আওতায় পড়ে না। এর অর্থ, প্রথম বাধা কাটল। জয় আমাদের হবেই। কারণ, সত্য আমাদের সঙ্গে।’ সেদিন হিন্দুদের পক্ষে অন্যতম মামলাকারী সোহনলাল আর্য বলেছিলেন, ‘এই রায় জ্ঞানবাপী মন্দিরের নতুন ভিত্তিপ্রস্তর।’ আর উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকের প্রতিক্রিয়া, ‘দেশে খুশির ঢেউ উঠেছে।’
জ্ঞানবাপী মামলা নিয়ে কেন এত উত্তেজনা?
বাবরি মসজিদে পাকানো সলতের আগুন যে বাকি ভারতেও ছড়াতে পারে, তা আঁচ পেয়েই ১৯৯১ সালে নরসীমা রাও সরকার ‘প্লেসেস অব ওয়রশিপ অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইন অনুযায়ী, স্বাধীনতার সময় দেশের যে কোনও ধর্মস্থানের যে চরিত্র ছিল, তা পরিবর্তন করা বেআইনি। অর্থাৎ, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট যে ধর্মস্থানগুলি মন্দির হিসেবে গণ্য হতো, সেগুলিকে মসজিদ বা গির্জায় পরিবর্তন করা যায় না। যেখানে মসজিদ ছিল, তাকেও কোনওভাবে মন্দিরে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আইনের ৪(২) ধারা অনুযায়ী, এই আইন কার্যকর হওয়ার তারিখে যদি কোনও মন্দির বা মসজিদের চরিত্র নিয়ে কোনও মামলার শুনানি চালু থাকে, সেই মামলা বাতিল হয়ে যাবে। ৪(৩) ধারা বলছে, এই আইন কার্যকর হওয়ার আগে যদি কোনও মামলার ফয়সালা হয়ে গিয়ে থাকে, তবে সেই রায় চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ, ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ থেকে ১১ জুলাই ১৯৯১— এই সময়কালে যদি কোনও আদালত কোনও মসজিদকে মন্দিরে বা মন্দিরকে মসজিদে পরিবর্তন করার পক্ষে রায় দেন, তবে সেই আদেশ বহাল থাকবে। অর্থাৎ বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিবাদ এই আইনের আওতার বাইরে থাকবে। 
এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল— ঐতিহাসিক ন্যায়-অন্যায়ের বিতর্কে না জড়িয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং বিদ্বেষ থেকে দেশকে রক্ষা করা। আজকের ভারতে এই আইনটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ ইতিহাসের কথা তুলে বর্তমান ও ভবিষ্যতের চেহারা পাল্টে দিতে মরিয়া হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতি। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ যেদিন অযোধ্যা মামলার চূড়ান্ত রায় দিয়েছিলেন, সেদিন তাঁরাও ওই ১৯৯১ সালের আইনের প্রাসঙ্গিকতার উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, ওই আইন দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র অটুট রাখার সহায়ক। যা দেশের সংবিধানের মূল কাঠামো। ধর্মনিরপেক্ষ ভারত যেন ধর্মীয় সংঘাতের বধ্যভূমি না হয়ে ওঠে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি একযোগে একথাও বলেছিলেন, ঐতিহাসিক ভুলত্রুটির সংশোধন আদালতের আঙিনায় হওয়া ঠিক নয়। সুপ্রিম কোর্টের এমন মন্তব্যে এ দেশের মানুষ যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন!
সুপ্রিম কোর্টের যে পাঁচ বিচারপতি সর্বসম্মতিক্রমে অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিলেন, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ছিলেন সেই বেঞ্চের অন্যতম। আর বিচারপতি পি এস নরসিংহ তখন ছিলেন মামলার অন্যতম আবেদনকারী রাজেন্দ্র সিংহের আইনজীবীর ভূমিকায়। রাজেন্দ্রর বাবা গোপাল সিংহ বিশারদ ১৯৫০ সালে ‘রামের জন্মভূমিতে’ পুজোর অনুমতি চেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন সেই পি এস নরসিংহ। সুপ্রিম কোর্টের এই দুই বিচারপতির হাতেই গিয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ সংক্রান্ত মামলা। মজার বিষয়, চলতি বছরের ২০ মে সেই দুই বিচারপতিই জ্ঞানবাপী মামলা শুনানির জন্য পাঠিয়েছিলেন বারাণসী জেলা আদালতে। ২০২১-এর আগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই মামলারই এবার শুনানি হবে বারাণসী জেলা আদালতে। এই রায়ের পর মনে হওয়া স্বাভাবিক, অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের মন্তব্যকেই চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনিই তো ১৯৯১ সালের আইনের প্রাসঙ্গিকতার কথা শুনিয়েছিলেন গোটা দেশবাসীকে। বলেছিলেন, ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনে বলা হয়েছিল, কোনও ধর্মস্থানের চরিত্র বদল করা যাবে না। তাহলে জ্ঞানবাপীর ক্ষেত্রে সেই আইন বলবৎ হবে না কেন?
১৯৯১ সালের আইন, ১৯৪২ সালের এলাহাবাদ হাইকোর্টে রায় অথবা রাম জন্মভূমি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান— যেকোনও যুক্তি প্রয়োগেই জ্ঞানবাপীর মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার কথা। অথচ, সুপ্রিম কোর্টেই তা হয়নি। আসলে দেশের সরকারের চরিত্র বদলের পাশাপাশি আইনের সেই ‘স্পিরিট’ উবে যাচ্ছে। দ্রুত। দেশের সর্বত্র হিন্দুত্ববাদ দৃঢ় প্রোথিত করার রাজনৈতিক তাগিদ যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই উৎসাহিত হচ্ছে এই ধরনের প্রবণতা। তাতে যা হওয়ার তাই-ই হচ্ছে। জ্ঞানবাপী মসজিদে পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে দায়ের করা আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিয়েছেন বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেস। কোন যুক্তিতে? আইনে ধর্মস্থানের চরিত্র বদল করা যাবে না বলা হলেও, ধর্মীয় চরিত্র নির্ধারণ করা যাবে না— তা বলা হয়নি। বারাণসীর জেলা আদালতের বিচারক সেই চরিত্র নির্ধারণের রায়ই শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, স্মরণাতীতকাল ধরে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরে দেবদেবীর মূর্তি পূজা হয়ে আসছে। একবার কোনও সম্পত্তি দেবোত্তর ঘোষিত হলে তা ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। আরাধ্য দেবতার সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেলেও সেই সম্পত্তির চরিত্রের বদল ঘটে না। কাজেই জ্ঞানবাপী মসজিদের অভিন্ন দেওয়ালে থাকা হিন্দু দেবদেবীর নিরবচ্ছিন্ন পূজা–অর্চনার দাবিসংক্রান্ত মামলা ২২ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি শুনবেন।
এই জ্ঞানবাপীর সামনেই তো মগনলালের লোক ফেলুদাকে নিয়ে যাবে বলে অপেক্ষা করছিল। মোদিময় এই তল্লাটে জ্ঞানবাপী চক হয়ে গলিপথে মণিকর্ণিকা ঘাট পর্যন্ত জনপদ আসলে বারুদের স্তূপ। অথবা আতঙ্কের প্রহর গোনা একটি দ্বীপের মতো। এমনই এক দ্বীপ, যা মৃত্যু পরোয়ানা পেয়ে গিয়েছে, ডুবে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিজেপির ইস্তেহার মেনে বারাণসীর ভোল পাল্টানো শুরু ২০১৪-য়। নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘বিশ্বনাথজি ভিড়ে ঢেকে রয়েছেন।’ তাঁকে তিনি ‘মুক্ত’ করবেন! গঙ্গার ঘাট থেকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পর্যন্ত ৫০ ফুট চওড়া অত্যাধুনিক করিডরের জন্য প্রয়োজন ৪ হাজার বর্গফুট ফাঁকা জমি। অতঃপর বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টকে সঙ্গে নিয়ে বুট আর বুলডোজারের আওয়াজ তুলে জমি ‘ফাঁকা’ করতে নামে স্থানীয় ও রাজ্য প্রশাসন। রাতারাতি বদলে যায় মগনলালের সেই ডেরার অবয়ব।
আর তারপরই বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদ আদতে কাশীর বিশ্বনাথের জমি বলে দাবি ওঠে। ঠিক যেমন বাবরি মসজিদের জমির মালিক রামলালা বিরাজমান বলে দাবি উঠেছিল। রামজন্মভূমি আন্দোলনের সময় ঠিক যেমন প্রথমে কিছু ছোটখাটো হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দাবি তুলতে শুরু করেছিল, এ বারেও ঠিক তা-ই। অজ্ঞাতকুলশীল কিছু সংগঠন ঠিক ঠিক জায়গা বেছে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে প্যান্ডোরার বাক্স খোলার ব্যবস্থা করছে। নেহাতই পুরনো ছক। অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির আগের ধাপটা মনে করা যাক। ফৈজাবাদ ছিল বড় শহর, লখনউয়ের ঢের আগে থেকে ফৈজাবাদই ছিল অওধের নবাবদের রাজধানী। ছোট্ট অযোধ্যা স্টেশনে বেশিরভাগ ট্রেন দাঁড়াত না, থাকার জন্য গোটাকয়েক ধর্মশালা। ভদ্রস্থ হোটেল, রেস্তরাঁ মানেই ফৈজাবাদ। সেই ফৈজাবাদ নামটা উড়িয়ে দিয়ে বলা হল, গোটা জায়গাটাই অযোধ্যা। বাকিটা ইতিহাস।
সঙ্ঘ পরিবার জানে, এই মামলা যতদিন জিইয়ে থাকবে ততই গেরুয়া শিবিরের লাভ। এ সবের মাঝে বেকারত্বের হার বাড়ল না কমল, কত জন রোজগারের সুযোগ না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন, কেউ এ সব প্রশ্ন তুলবে না। ভোটভিখারি হিন্দুত্বের এ সব নিয়ে মাথাব্যথা নেই। পাঁচ হিন্দু মহিলা যে জ্ঞানবাপীর চত্বরে মা শৃঙ্গার গৌরীস্থলে পুজোর দাবিতে মামলা ঠুকে দিয়েছেন, তা নিয়েই হিন্দুত্ববাদীরা মাতোয়ারা। দেশবাসী জানে, গণতন্ত্রের সঙ্কটে আদালত মানুষের স্বার্থরক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেই দুর্ভাগ্যজনক ইতিহাসও ভারতেই রয়েছে। মোদির ভারতে আদালত কোন পথে হাঁটবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।
শেষ পর্যন্ত কী হবে, সেই জল্পনায় না গিয়ে আপাতত স্মরণ করা যাক, তিন দশক আগে ‘বাবরি মসজিদের কবল থেকে রাম জন্মভূমিকে মুক্ত করার’ আন্দোলনের সময় কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের বজ্রনির্ঘোষ ছিল, ‘ইয়ে (অযোধ্যা) তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’। হিন্দুত্ববাদীদের সেই হুঙ্কার বাস্তবায়িত হওয়ার পথে বারাণসীর জেলা আদালতের রায় প্রথম সোপান কি না, তা নির্ধারণের দায়িত্ব দেশের সুপ্রিম কোর্টের।
প্যান্ডোরার বাক্স একবার খোলা হলে আইন-আদালত দিয়ে কি আর তাকে বন্ধ করা যায়?
22nd  September, 2022
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

17th  April, 2024
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
একনজরে
কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত মেঘালয়ে ৬১.৯৫ শতাংশ, মিজোরামে ৪৯.১৪ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ৫১.৭৩ শতাংশ, পুদুচেরীতে ৫৮.৮৬ শতাংশ ও রাজস্থানে ৪১.৫১ শতাংশ, সিকিমে ৫২.৭২ শতাংশ ভোট পড়ল

04:17:00 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত লাক্ষাদ্বীপে- ৪৩.৯৮ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে- ৫৭.০৯ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে- ৫৩.৪০ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে- ৪৪.১২ শতাংশ, মণিপুরে- ৬৩.০৩ শতাংশ ভোট পড়ল

04:14:03 PM

রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবে ভেটো দিল আমেরিকা
রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্যালেস্তাইনকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিল আমেরিকা। গতকাল, ...বিশদ

04:13:15 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৫১.০১ শতাংশ, ত্রিপুরাতে ৬৮.৩৫ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৪৭.৪৪ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ৪৫.৬২ শতাংশ ভোট পড়ল

04:09:43 PM

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ (প্রথম দফা): দুপুর ৩ টে পর্যন্ত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে- ৪৫.৪৮ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে- ৫৫.০৫ শতাংশ, অসমে- ৬০.৭০ শতাংশ, বিহারে- ৩৯.৭৩ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে- ৫৮.১৪ শতাংশ ভোট পড়ল

03:55:00 PM

বিজেপিকে হারাতে বিকল্প তৃণমূল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

03:50:34 PM